ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পরিদর্শন করলেন মঙ্গোলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ অক্টোবর ২০২২

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পরিদর্শন করলেন মঙ্গোলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশি মালিকানাধীন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পরিদর্শন ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর খাগভাসুরেন বাদ্রান।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বহু দেশ থেকে পড়তে এসেছে। এ পর্যন্ত ১২১টি দেশের শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। যাদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে মঙ্গোলিয়ার।

সম্প্রতি পূর্ব-এশীয় এই দেশটির ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর খাগভাসুরেন বাদ্রান এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিচ্ছিলেন তিনি।

এই সময়ে কাজের অবসরে তিনি এসেছিলেন মঙ্গোলীয় শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির- ক্যাম্পাসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও বোর্ড চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও অন্যান্যের সঙ্গে মত বিনিময় করেন ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর।

ব্যাংকের মনিটারি পলিসি বিষয়ক মহাপরিচালক বায়াদ্রাভা বায়ারাসসাইখান এবং মনিটারি পলিসি কমিটির সদস্য মুনখবায়ার সেদেভাসুরেন গভর্নরের সঙ্গে ছিলেন।

এসময় তারা মঙ্গোলীয় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নেন। এবং শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের পক্ষ থেকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

আবুবকর হানিপ এসময় মঙ্গোলীয় প্রতিনিধি দলকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেরা শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পাচ্ছেন। এছাড়া তাদের লেখাপড়া শেষে যাতে কর্মজগতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে সে লক্ষে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবার্ক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাইভার্সিফায়েড কালচার থেকে আসা শিক্ষার্থীরা রয়েছে। এটা আরও সংহত করতে হবে।

আমরা চাই মঙ্গোলিয়া থেকে এখানে আরও শিক্ষার্থী আসুক, কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অ্যাফোর্ডেবল, বলেন হাসান কারাবার্ক।

ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর এ সময় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এবং ভবিষ্যতে আরও শিক্ষার্থী মঙ্গোলিয়া থেকে এখানে পড়তে আসবে বলে আসাবাদ ব্যক্ত করেন।