নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুন ২০২২
আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শতভাগ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে কিনা এ নিয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে এবং দল গুলোকে এ বিষয়ে মতামত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সংলাপের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর সাধারণ সম্পাদকদের চিঠি দিয়েছি। দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম বা প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে।
এর আগে প্রথম ধাপে গত ১৯ জুন ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ জুন তৃতীয় ধাপে বাকি ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ইভিএম নিয়ে ইতোমধ্যে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নিয়েছে ইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে সবার মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এ ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিন কিনতে হবে।
দ্বিতীয় দফায় সংলাপে যেসব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে--ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
যেসব দল অমন্ত্রণ পেয়েও সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি তারা হলো--বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল।
১৯ জুন ১ম ধাপে যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছিল--জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।
২৮ জুন ৩য় ধাপে যারা ইসিতে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে--বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল- এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।