নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২

নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: হানিফ

নড়াইলে লোহাগড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ‘অপরাধীদের এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এ ধরনের অপকর্ম করতে না পারে।’

নড়াইলের লোহাগড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, দোকানপাট পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘২০১১ সালে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শুরু হয় তখন থেকেই হঠাৎ করে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। রামু থেকে শুরু করে নাসিরনগর প্রত্যেকটি ঘটনার একটি যোগসূত্র পাওয়া যায়। দেখে মনে হয় ঘটনাগুলো পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। এগুলো ঘটানোর উদ্দেশ্য একটাই, সমাজের মধ্যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে সংঘাত সৃষ্টি করে সরকারকে বিব্রত করা। দেশের জনগণকে অস্থিতিশীল করাটাই মূল লক্ষ্য।’
লোহাগড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা-অগ্নিসংযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, দোষীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে দুষ্কৃতিকারীরা আগুন দিয়ে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ কোথাও ধর্মকে আঘাত করে কথা বললে বিক্ষুব্ধ হলে দেশের আদালতে মামলা করতে পারেন। কেউ ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে এই দোহাই তুলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। এই ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। যে আইন নিজের হাতে তুলে নেবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হানিফ বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতির ধারা দুটি। একটি পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার পক্ষের, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই আদর্শে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের জাতীয় চার মূলনীতির অন্যতম।’