নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
এম জি রাব্বুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি উপজেলায় এস এস সি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাসঁ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সারাদেশে ব্যপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীন সকল কেন্দ্রে গনিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং কৃষিশিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, থানায় প্রশ্নপত্র বাছাইয়ের (সর্টিং) সময় ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ঐ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আব্দুর রহমানের যোগসাজশে বাংলা ১ম পত্রের প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের ভেতর বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্রের প্রশ্নপত্রের একটি করে খাম ঢুকিয়ে নেন ও প্যাকেট সিলগালা করে তার ওপর স্বাক্ষর করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান। বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষার দিন যথানিয়মে থানা থেকে বাংলা ১ম পত্রের প্যাকেট এনে তা খুলে বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্রের খামটি কৌশলে সরিয়ে ফেলেন
পরে প্রধান শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষকের সহায়তায় ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের উত্তরমালা তৈরি করে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে (চুক্তিতে সবসেট) ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করেন।
এদিকে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভূরুঙ্গামারী থানা ও ইউএনও কার্যালয়ে রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ চার ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মঙ্গলবার রাতেই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম, সচিব প্রফেসর জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামছুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মধ্যরাত পর্যন্ত তদন্ত করেন।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মধ্যরাতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক রাসেল আহমেদ এবং ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবায়েরকে আটক করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা কেন্দ্রের বাইরে পাঠানো হয়। পরে সেই প্রশ্নের হাতে লেখা কপি চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলি করা হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিবসহ পরীক্ষা পরিচালনায় থাকা আরও শিক্ষক জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন সংশ্লিষ্টরা।