নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের উপজেলা প্রকৌশল দফতরের নৈশ প্রহরী আলমগীর শেখ (৪৮) নামে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে (নৈশপ্রহরী) পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পাল।
বৃহস্পতিবার ( ২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এঘটনা ঘটে।
আলমগীর শেখ (৪৮) উপজেলা প্রকৌশল দফতরের নৈশ প্রহরী। আলমগীর সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে। আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, আলমগীর হোসনের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এ কারণে আলমগীর তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) আলমগীরের স্ত্রী শহিদা বেগম উপজেলা পরিষদে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করেন। স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারিবারিক কলহের বিষয়টি অবহিত করেন এবং স্বামীর বিরুদ্ধে নালিশ করে ফিরে যান।
আলমগীরের জামাতা মাসুদ ও মেয়ে লোপা খাতুন বলেন, ইউএনও অভিযোগ যাচাই বাছাই না করেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আলমগীরকে ইউএনওর কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে স্ত্রী শহিদার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও নিজেই এবং তার দেহরক্ষী আনসার সদস্যরা আলমগীরকে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, "আমি উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করতেই লোকজনে ভীড় দেখে এগিয়ে যাই, তারপর দেখি আলমগীর মাটিতে পড়ে রয়েছে। বিস্তারিত শোনার আগে তাকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেই"।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমর কুমার পাল বাংলা ওয়্যারের কাছে বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন পারিবারিক কলহ সমাধানের জন্য আমি তাকে ডেকেছিলাম এবং পরবর্তীতে তাকে উপজেলা চত্বর থেকে বের করে দেই। মারধরের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ' সে সহানুভূতি অর্জনের জন্য এসব করছে'।
এব্যাপারে বগুড়া সদর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম বাংলা ওয়্যারকে বলেন, "আমার কাছে এখনও কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।