গুরুদাসপুরে আলোর ফাঁদে সুফল পাচ্ছে কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ অক্টোবর ২০২২

গুরুদাসপুরে আলোর ফাঁদে সুফল পাচ্ছে কৃষকরা

গুরুদাসপুর (নাটোর)প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ধানক্ষেতে উপকারী ও ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি শনাক্তকরণ ও দমনে আলোর ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহারে কাজ করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। গুরুদাসপুরে ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধান ক্ষেত সুরক্ষাকারী উদ্ভাসিত এই প্রযুক্তির ব্যবহার। আলোর ফাঁদ ব্যবহারে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের সুফল পেতে শুরু করেছে এখানকার কৃষকরা।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, নাটোর জেলার এক তৃতীয়াংশ ধান উৎপাদন হয় এই গুরুদাসপুর উপজেলাতে। ফলে ধানের ক্ষেতের আলোর ফাঁদ স্থাপনের মাধ্যমে পোকা শনাক্ত করণে কাজ করছেন এখানকার কৃষি বিভাগ আলোক ফাঁদ তৈরিতে হারিকেন, বৈদ্যুতিক চার্জার বাল্ব ও বাঁশ অথবা স্টিলের খুটি দরকার হয়।

সন্ধ্যার আগ মূহুতে ধানখেত থেকে ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের খুঁটি অথবা স্টিলের সাহায্যে মাটি থেকে ২-৩ ফুট ওপরে একটি বাল্ব জ্বালিয়ে এর নিচে পাত্রে মিশ্রিত ডিটারজেন্ট পাউডার অথবা কেরোসিন মিশ্রিত পানি রাখতে হয়।

উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষেতের পোকা শনাক্ত করণ জানা ছিল না। কৃষি অফিসের মাধ্যমে আলোর ফাঁদ এ প্রযুক্তির স্থাপন ও এর উপকারিতা নিজ চোখে দেখলাম। ব্যবহারে জানলাম ধান ক্ষেতের পোকা উপস্থিতি নির্ণয়। স্বল্প খরচে খুব সহজেই এ আলোর ফাঁদ তৈরির কৌশল ।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ কর্মকর্তা মতিয়র রহমান বলেন, আলোর ফাঁদ একটি পরিবেশ বান্ধব, পোকামাকর উপস্হিতি টের পাওয়া ও পর্যবেক্ষক পূর্বক ব্যাবস্হা নেওয়া যায়। নিরাপদ ফসল উৎপাদনের অন্যতম বিষমুক্ত প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে করে পোকামাকড় শনাক্ত যেমন সহজ হচ্ছে কীটনাশক ব্যাবহার কমে আসবে । কমে আসবে কৃষকদের উৎপাদন খরচ। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করা সহজ হবে।