নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ নভেম্বর ২০২২
বিএনপি যদি আর কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবে বলে দেশের মানুষকে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের জনক তারেক রহমান। সে এখন বিএনপির শীর্ষ নেতা। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদের কারণে মানুষ তাদের আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ হবে তালেবান, জঙ্গিবাদের দেশ।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানিয়েছিল। বাংলাদেশ পৃথিবীতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, জেএমবিসহ জঙ্গিদের প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল। সেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ ব্যর্থ রাষ্ট্রে ফিরে যেতে চায় না, জঙ্গিবাদ দেখতে চায় না।
ঢাকার আদালত পাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুব খুশি হয়েছেন- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত পরশু দিন ঢাকা আদালত এলাকা থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব খুঁচিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি এ ঘটনায় খুব খুশি হয়েছেন। কারণ বিএনপির দ্বারাই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি।
বিএনপি নেতারা এখন স্লোগান দেন ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের কি অর্জন ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের অর্জন কি ছিল বলুন? সেই সময়ে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বে এক নম্বর বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের মধ্যে সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ৬০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে।
বিএনপির জনসভায় কিছু কর্মী উপস্থিত হয়েছে। এই দেখে বিএনপি নেতাদের মনে হচ্ছে তারাই বোধ হয় রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে যাচ্ছে। পরিস্কার ভাবে বলে দিতে চাই, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগ নিবাচিত সরকার। আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে। এই সরকাকে আন্দোলন করে পতন ঘটনো যাবে না।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন তাদের প্রতি আহবান জনপ্রিয়তা আছে কি-না যাচাই করতে নির্বাচনে অংশ নিন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান বহির্ভূত দাবি করে নির্বাচনের বাইরে থাকলে দায়ভার আপনাদের, দেশের মানুষ এর দায় নিবে না। নির্বাচনে আসুন, প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কার সঙ্গে যাবে।
এছাড়া সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি।