নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই লাখ নতুন ইভিএম কিনতে নির্বাচন কমিশনের আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব আপাতত অনুমোদন পাচ্ছে না।
নির্বাচন কমিশন নতুন দুই লাখ ইভিএম কিনতে যে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে দিয়েছিল তা
আপাতত প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে না। পরিকল্পনা কমিশন রোববার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না বলে পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে।
বর্তমান কমিশন আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেশ শাসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদের হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে যা দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টি আসনে ভোট করা সম্ভব। ১৫০ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরও ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন। এ কারণে নতুন ইভিএম কিনতে প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়। তবে প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ ইভিএম ব্যবহার সম্ভব হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কমিশনের হাতে যে ইভিএম আছে আগামী নির্বাচনে সেগুলো ব্যবহার করা হবে।
নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এ জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় তারা।
নির্বাচন কমিশন গত বছরের জুলাই মাসে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করে, তাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায়। অন্যদিকে বিএনপি ইভিএমকে ‘কারচুপির যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করে আসছে।
এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন ২৩ আগস্ট জানায়, তারা সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের কাছে দেড় লাখ ইভিএম আছে। ১৫০ আসনে ভোট নিতে প্রয়োজন আরও ২ লাখ ইভিএম।
নতুন করে ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয় গত ১৯ অক্টোবর। প্রকল্পটির নাম ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’। প্রকল্পের পুরো টাকা সরকারেরই জোগান দেওয়ার কথা ছিল।