মহাদেবপুরে আন্ত:জেলা গরুচোর চক্রের চার সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

মহাদেবপুরে আন্ত:জেলা গরুচোর চক্রের চার সদস্য আটক

কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ আন্ত:জেলা গরুচোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে। এছাড়া চুরি করা গরু পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান ও ইটের পাকা দেয়ালে সিঁদ কাটার কাজে ব্যবহৃত দুই পাশ সুঁচালো লোহার সিঁদকাঠি জব্দ করেছে।

আটকরা হলো, জেলার ধামইরহাট উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে গোলাপ (২৬), সাপাহার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর দীঘিপাড়া গ্রামের বর্তমানে আমডাঙ্গার বাসিন্দা মৃত আলাউদ্দিন ওরফে ইটকেল আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), আমডাঙ্গা গ্রামের মৃত অনিল চন্দ্রের ছেলে পিকআপের ড্রাইভার শ্রী নিরেন চন্দ্র ওরফে বাবু (৫০) ও ওই উপজেলার তাজপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদ ওরফে লালমনের ছেলে বর্তমানে পোরশা উপজেলার ইটখোলা দীঘিপাড়া গ্রামে বসবাসকারী মৃত লোকমান হোসেনের জামাই তারিফ হোসেন (৩৫)।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মহাদেবপুর থানা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টা থেকে রাত ৩টার মধ্যে ৮/৯ জনের একদল গরুচোর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ইসরাইল হোসেনের গোয়াল ঘরের পাকা ইটের প্রাচীরে সিঁদ কেটে এক লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের দুইটি গাভী ও একটি বাছুর চুরি করে। জানতে পেরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দেবীপুর গ্রামের পাকা রাস্তার নীচের মাঠ থেকে গরুগুলো পিকআপে তোলার সময় জনতা গোলাপকে আটক করে ও গরুগুলো উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গোলাপকে গ্রেফতার, পিকআপ ও সিঁদকাঠি জব্দ করে।

ইসরাইল হোসেন এব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করলে নওগাঁর পুলিশ সুপার রাশিদুল হকের নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপ্স) গাজিউর রহমান পিপিএম এর সার্বিক সহযোগিতায়, মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, মহাদেবপুর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী চৌকশ পুলিশ টিম গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মহাদেবপুর থানার ওসি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের ফলে এলাকায় গরু চুরি কমে যাবে বলে আশা করা যায়। এসময় থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত), এসআই সামিনুর রহমানসহ অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।