নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ মে ২০২৩
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদলগুলোকে নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক অথবা নূন্যতম অংশগ্রহণমূলক করাই এখন আওয়ামী লীগের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এই বক্তব্যে এখনও অনড় আওয়ামী লীগ। কিন্তু বর্তমান নির্বাচনি ব্যবস্থায় দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে অনাস্থা প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় বিদেশি সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)
বাংলাদেশের বর্তমান ও পূর্বে কয়েক বছরের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
গেলো ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ মারা যাওয়ার পর জাতীয় পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তার ভাই জি এম কাদের।
গেলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করলেও এবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হযবরল হতে পারে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ইতিহাসের বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সেটা খারাপের দিকেও যেতে পারে আবার ভালোর দিকেও যেতে পারে।
তাই এবারের নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কে বেগ পেতে হতে পারে।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পূরণ না হলে দলটি হরতাল (হরতাল) ও অবরোধের মতো আরও আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করতে চায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি।
এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দল আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার তাদের দাবি না মানলে দলটি হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
গত রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক আলাপচারিতায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আন্দোলন-বিবৃতির প্রতি অসামাজিক অবস্থান ব্যক্ত করেন। কাদের জোর দিয়ে বলেন, এসব দলের নেতাদের বক্তব্য এবং তাদের বাস্তব কর্মকাণ্ডের মধ্যে চরম বৈষম্য রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় ওবায়দুল কাদের জানান, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রম বা ঘোষণা নিয়ে আওয়ামী লীগ মাথা ঘামায় না। তার মতে, এই দলগুলোর নেতাদের দেওয়া বক্তব্য এবং তাদের প্রদর্শিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে বৈষম্য আওয়ামী লীগকে তাদের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
ওবায়দুল কাদের দৃঢ়তার সাথে বলেছেন যে তার দল একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার নিজস্ব এজেন্ডায় মনোনিবেশ করছে। কাদের বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের উদ্বেগ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের সক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন, গণতান্ত্রিক নীতিকে সমুন্নত রাখে এমন পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতি তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরে।