নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২৩
কম্বোডিয়ায় কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বিদেশি কিছু সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে। গত রোববার নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) নিরঙ্কুশ বিজয় ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিল।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের মর্যাদা নষ্ট করার মতো পরিস্থিতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি দলের কোনো শক্ত বিরোধী দল নির্বাচনে ছিল না।
মিলার আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে হুমকি দিয়েছে ও হয়রানি করেছে। দেশটির সংবিধানের মর্যাদা এতে ক্ষুণ্ন হয়েছে। কম্বোডিয়ার নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়নি।
মিলার আরও বলেন, যাঁরা গণতন্ত্রের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে, তাঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি সহায়তাও স্থগিত করেছে দেশটি।
৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন হুন সেন। এবারের নির্বাচনেও সিপিপির জয়ে হুন সেনের ছেলে হুন মানেটের ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হুন মানেট এখন কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে আছেন।
সিপিপি ও হুন সেনের শাসন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, এমন একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে কম্বোডিয়ায়। দলটির নাম ক্যান্ডেললাইট পার্টি। তবে এবারের নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারেনি। নিবন্ধন–সংক্রান্ত ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে চলতি বছরের মে মাসে এই দলকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।