নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, 'স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার, সুশাসন, ন্যায় বিচার দিতে ব্যর্থ হওয়া আওয়ামী লীগের মত একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকে প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করতে হয় বিএনপিকে। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের সময় আন্দোলন এবং একটি এক দলীয় ফ্যাসিস্ট জালিম সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন কখনোই এক রকম হয় না। পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীদের যদি সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে আওয়ামী লীগ এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।'
শনিবার সকালে রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মিডিয়া সেলের উদ্যোগে ‘জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রগঠনে অবাধ, নিরপেক্ষ, নির্বাচনোত্তর একটি জাতীয় সরকার এবং দ্বিকক্ষ সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রুমিন ফারহানা আরও বলেন, একজন রাজনীতিবিদ নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেন আর একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক চিন্তা করেন আগামী ১০০ বছরে দেশ কোথায় নিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান আগামী ১০০ বছর পর দেশকে কোথায় নিয়ে যাবেন সেই চিন্তা করছেন। কিন্তু তারেক রহমানের দুর্ভাগ্য যে, আওয়ামী লীগের মতো একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হচ্ছে, যে আওয়ামী লীগের হাতে ১৯৭৩ সালেই গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রতিদিনই শক্তিশালী হচ্ছে। গত ১০ বছরে দেশ মারাত্মকভাবে সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দলীয়করণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন রাষ্ট্র মেরামত প্রয়োজন। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে তাদের পক্ষে একা এ কাজটি করা সম্ভব নয়। এজন্য বিএনপি একটি জাতীয় সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হলে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, গত ১৩ বছরের একনায়কতন্ত্রকে ভাঙতেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ খুবই জরুরি। আগামীর রাষ্টনায়ক তারেক রহমান দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এনি।