নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ মে ২০২৩
রাজধানীর সরকারি হিউম্যান সায়েন্স কলেজের শেখ হাসিনা হলের কাজ বন্ধে বিপাকে পড়েছেন হলের আবাসিক সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শারমিন সুলতানা ও সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার প্রভাতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করে হলের সংস্কার কাজ বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শারমিন সুলতানা সনি ও সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার প্রভাতি।
কলেজটির একমাত্র শেখ হাসিনা আবাসিক হলটি তিনতলা বিশিষ্ট। তবে হলের ভবন সংখ্যা তিনটি। ১ নম্বর ভবনে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল। ভবনটিতে ছাত্রীদের থাকার কক্ষে রং করা হয়েছে। বারান্দা ও দরজাসহ বাইরের দেওয়ালে রঙের কাজ বাকি। সিঁড়িতে টাইলসের কাজ আংশিক করে ইট, টাইলসের ভাঙা টুকরো, বালু, সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে।
হলের ওই ভবনের অধিকাংশ টয়লেট বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে শিক্ষার্থীরা৷ হলটিতে প্রতি তলায় ৭৮ জন শিক্ষার্থী থাকেন৷ এসব শিক্ষার্থীর ব্যবহারের জন্য প্রতি তলায় চারটি টয়লেট রয়েছে ৷ এরমধ্যে দুটি টয়লেট পুরোপুরি বন্ধ। যে দুটি চালু রয়েছে সেখানেও একটির পয়োনিষ্কাশন পাইপ ছোট হওয়ায় মাঝেমধ্যেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ৷ এসব কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও রয়েছেন শিক্ষার্থীরা৷
অভিযোগ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শারমিন সুলতানা সনি বলেন, সংস্কারকাজ কেন বন্ধ আমি জানি না৷ এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়া৷ আমি দীর্ঘদিন ধরে হলে নাই৷
সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার প্রভাতী বলেন, কাজ বন্ধের কারণ জানা নেই। কলেজের অধ্যক্ষ ভালো বলতে পারবেন৷ আর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ কারা কাজ পেয়েছে বা কাজের অগ্রগতি কী, এসব বিষয়ে আমরা জানি না।
তবে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার ইয়াসিন ৷ তিনি বলেন, বরাদ্দ নেই বিধায় কাজটা স্লো হয়ে আছে৷ আমাকে কেউ ফোন করে কাজটা বন্ধ করেনি৷ আমাদের ইন্টারনাল ফাইন্যান্সিয়াল সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ। এ কাজের টেন্ডারও হয়নি৷ শিক্ষা প্রকৌশলে অনেক ইমার্জেন্সি কাজ মৌখিক নির্দেশেই হয়৷
কলেজের অধ্যক্ষ সোনিয়া বেগম বলেন, শ্রমিকরা ধান কাটতে যাওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। তারা ফিরে এলেই পুনরায় কাজ শুরু হবে।