নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ জুলাই ২০২২
বিএনপিকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর চায়ে কী থাকবে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই চায়ের দাওয়াতে কী আছে, সেখানে কী থাকবে—ধুতরার ফুল থাকবে, নাকি হ্যামলকের রস থাকবে। এটা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগেও চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। পরে আমাদের নামে ব্যাপকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি যাঁরা হজে ছিলেন, চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, তাঁদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সারা দেশের বিদ্যুতের চরম সংকট এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
হঠাৎ বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরম সুরে কথা বলছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন। এসব স্বাভাবিক বিষয় না, এর ভেতর নতুন ষড়যন্ত্র রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও কর্মসূচি করলে চায়ের দাওয়াত দেব, হঠাৎ আপনার গলার সুর নরম হলো কেন? এটা তো অদ্ভুত ব্যাপার। আপনার গলার সুর যখন ক্ষীণ হয় তখন বুঝতে হয়, বিরোধী দলের ওপর মনে হয় আরও ভয়ংকর নির্যাতন নেমে আসছে।’
বড় প্রকল্পের নামে টাকা লুট হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে বড় বড় মেগা প্রজেক্টের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে, তাই তাদের হয়তো আদালতে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। কিন্তু জনগণের আদালতে জবাবদিহি করতে হবে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চায়ের দাওয়াত কেন দিচ্ছেন। যদি নিরপেক্ষ সরকার দিতে চান। তবে আলোচনা হতে পারে। তবে তাঁরা তো গণতন্ত্রকে জাদুঘরে রেখে দিয়েছেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলে সংবিধানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ নেই। এর দৃষ্টান্ত তো ১৯৯৬ সালে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে দস্যুদের মতো। গণতন্ত্র আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’