নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ অক্টোবর ২০২৩
২৮ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মতিঝিলে সমাবেশ করার ঘোষণা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। দলটির নেতারা মনে করেন, জামায়াতের ঘোষণায় লাভ-ক্ষতি দুটিই আছে।
দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াতের সমাবেশের ডাক দেওয়ার ফলে নিজেদের একধরনের লাভ দেখছে আওয়ামী লীগ। কারণ, জামায়াতকে গত এক দশক বা এরও বেশি সময় ধরে অনেকটা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের মতোই ‘ট্রিট’ করে আসছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। রাজপথে জামায়াতকে দমন করার নামে বিএনপিকেও দমন করা কিছুটা সহজ হবে। বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে না দেওয়ার অজুহাত হিসেবে জামায়াতের উপস্থিতিও ব্যবহার করতে পারবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে কোথায় তাদের (বিএনপি) সমাবেশ করতে দেওয়া হবে, সেটা এখনো ঠিক হয়নি।
ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, বিএনপি পশ্চিমা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছে যে জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। আর আওয়ামী লীগ বরাবরই বলে আসছে, জামায়াত এখনো বিএনপির মিত্র হিসেবেই রয়ে গেছে। বিএনপি ও জামায়াত একই দিনে রাজপথে নামার ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের এই বক্তব্যই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপির সঙ্গে মিশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে জামায়াত। কিন্তু আওয়ামী লীগ কিছুতেই তা হতে দেবে না।