নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে বা চাপে পড়ে যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এত দিন অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কাজ করেছেন, তাঁরা এখন থেকে যদি আর এ ধরনের অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কাজ না করেন, তাহলে তাঁদের আগের ভূমিকা “সহানুভূতি” ও “ইতিবাচক” দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।’
মঙ্গলবার রাতে বিএনপির মহাসচিব এমন আশ্বাস দিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী শাসনামলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, এমনকি জেল-জরিমানার মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হবে’ বলে বিএনপির বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ব্যাপারেই প্রশাসনের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল এই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের অতি নগণ্যসংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ ও দলবাজ কর্মকর্তা অপপ্রচার চালাচ্ছেন যে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী শাসনামলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, এমনকি জেল-জরিমানার মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।
এতে বোঝা যায় যে অনির্বাচিত ও অবৈধ আওয়ামী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যেসব ষড়যন্ত্র করছে, এমন অপপ্রচার সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর একাধিক বক্তব্যে এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। দলের পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়, তাহলে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দলীয় বিবেচনায় কিংবা আক্রোশমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বা কাউকেই তা করতে দেওয়া হবে না। উপরন্তু বিগত ১৫ বছর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, দীর্ঘদিন ওএসডি রাখা এবং পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে, তাঁদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।’