নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
নোয়াখালী শহরে নিজ বাসায় স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার রেশ না কাটতেই সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ‘ব্লেড দিয়ে’ গলা কাটার চেষ্টা করেছে এক বখাটে। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর (১৩) গলায় পেছন থেকে ভোঁতা জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে কাটার চেষ্টা করা হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। এতে ছাত্রীর গলায় তিন ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং আধা ইঞ্চি প্রস্থ স্থানে হালকা চামড়া উঠে গেছে। ওই অংশ কিছুটা ফোলা দেখা গেছে।
তবে ভেতরের দিকে কাটা যায়নি। হাসপাতালে আনার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে তাকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আঘাতটি ততটা গুরুতর নয়।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্কুলছাত্রী প্রথম আলোকে বলে, গতকাল রোববার বেলা পৌনে দুইটার দিকে বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল সে। এ সময় একটি অটোরিকশা এসে তার পেছনে দাঁড়ায়। অটোরিকশা থেকে নেমে মুখে মাস্ক পরা এক তরুণ পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে গলায় ধারালো কিছু দিয়ে টান দেন। তখন পেছনের দিক থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা আসছিল। তা দেখে ওই বখাটে দ্রুত তাঁকে নিয়ে আসা অটোরিকশায় উঠে পালিয়ে যান। এরপর সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রীর গলায় ব্লেডের আঘাত করা হয়নি। ভোঁতাজাতীয় কিছু দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করা হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ ছাত্রীকে দেখে এসেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। এরপরও ওই বখাটেকে পুলিশ শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ওই ছাত্রীর সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম ওরফে রনি (২৮) গত শনিবার আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গতকাল রোববারও জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ করেছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসব প্রতিবাদের মধ্যেই আবার আরেক ছাত্রীর গলায় ব্লেডের আঘাত করল বখাটে।