নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জানুয়ারি ২০২৩
আগামী রবিবার রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় উন্নয়নের বার্তা শুনতে লাখ লাখ মানুষ আসবেন, সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরাও আসবেন বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছেন। আমরা বিশ্বাস করি, রবিবারের জনসভায় বিএনপির লোকেরাও উপস্থিত হবে। কারণ যারা বিএনপি করে তারা এই দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপের নাগরিক নয়।
শুক্রবার দুপুরে জনসভাস্থল রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্র্রাসা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এদিকে, এই জনসভা ঘিরে রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ হয়রানি করছে বলে দুদিন আগে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু। তার এ বক্তব্যকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘বিএনপি আমাদের কাছে কোনো সাবজেক্ট নয়। টুকু মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন।’
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘ইকবাল মাহমুদ টুকুরা এভাবেই মিথ্যা বলেন। সত্যকে আড়াল করা তাদের কাজ। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃতি করার চেষ্টা করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিলীন করে দিয়েছিল এই টুকু সাহেবরা।’
এ সময় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিএনপি যে ১০ দফা দাবি দিয়েছে- তা দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকেই ভণ্ডুল করার জন্য অসাংবিধানিক-অগণতান্ত্রিক দাবি সামনে নিয়ে আসে। এই দাবিকে এই দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হবে’।
আবদুর রহমান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কথা বিএনপি বহু আগে থেকেই বলছে, এটা নতুন কথা না। বিএনপি একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দল, নেতৃত্বহীন দল। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের দলে একটা সংকট আছে, সেই সংকটে তারা ভুগছেও। সুতরাং বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে-মধ্যে একটু উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার জন্যই তারা এসব কথা বলে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এজে/