নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের সরকার কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি। বাংলাদেশের জনগণের ভোটে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছেন।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশিদের ভয় দেখান? ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ লোকের ভোটারের ভোটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮ দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। চীন বা রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে। আমাদের সরকার কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি। বাংলাদেশের জনগণের ভোটে শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোথায় অক্টোবরের ২৮ তারিখ? সময় ঠিক এ রকম। কোথায় ছিলেন এত দিন, কোথায় ছিলেন গয়েশ্বর বাবু? তিনি আজ (শনিবার) পল্টনে হাজির হয়েছেন। বলেছিলেন, অলিগলি খুঁজে পাব না, আমরা পালিয়ে যাব। কে পালিয়েছে? ডিবি অফিসে কোরাল মাছ খেয়ে পালিয়েছিল কারা? গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাননি। দোকানের ভেতরে ঢুকেছিল। দোকানদার বলে, আপনি কে? বলে, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা তাড়া করেছে। দোকানদার বলে, আমিও আওয়ামী লীগ। যাবে কোথায়?’
কাদের বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আরও ৫ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর! কবে হবে আন্দোলন? এই বছর না ওই বছর? রোজার পর না কোরবানির পর? কবে হবে আন্দোলন? কোন বছর?’
বিএনপিকে ভুয়া বলে কাদের বলেন, ‘বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। ভুয়া তো তারা চিরজীবন। আন্দোলন করে ভুয়া হয়ে গেছে। এই আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয় না। অবরোধ ডাকে কেউ শোনে না, হরতাল ডাকে রাস্তায় যানজট। বিএনপির আন্দোলন-অবরোধ-হরতাল, এক দফা ভুয়া। বিএনপি মানেই হচ্ছে ভুয়া।’
কাদের বলেন, ‘মাঠে নেমেছেন। কালো পতাকা মিছিল। কালো পতাকা মানে হচ্ছে শোক মিছিল। এ আরেক ভুয়া। আন্দোলনের নামে ভুয়া। ৩০ তারিখে (জানুয়ারি) আবার ডাকছে। সেটাও ভুয়া। লোকজন নেই, জনগণ নেই, নেতা-কর্মীরা হতাশ। তাদের নেতা লন্ডনের তারেক জিয়ার প্রতি কোনো আস্থা নেই। নেতা-কর্মীরা এখন আর তারেকের ফরমায়েশিতে কান দেয় না। বাংলাদেশের জনগণ তো নেই।’
খেলা একটা হয়ে গেছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের খেলা শেষ পাঁচ বছরের জন্য। এখন খেলা হবে রাজনীতির। এখন খেলা হবে দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, হরতাল, আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ৩০ তারিখ আবার কালো পতাকা মিছিল। সেদিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মহানগর, জেলা, সকল উপজেলায় আপনারা লাল-সবুজ পতাকা হাতে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবেন। সারা দেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা পাহারায় থাকবেন। এই অপশক্তিকে আমরা আর বাড়তে দিতে পারি না। তাদের রুখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’