নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রাজ্ঞ, দূরদর্শী ও সফল রাষ্ট্রনায়ক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, বাংলাদেশের উন্নয়নের কান্ডারি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন মানবতার আলোকবর্তিকা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই শুভ জন্মদিনে--আপনার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিবের কোলজুড়ে আসেন বঙ্গপাড়ের এ অগ্নিকন্যা। পাঁচ ভাই-বোন। কনিষ্ঠদের মধ্যে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল। তিনি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির কোলে-পিঠে, বাইগার নদীর তীরে। পিতা শেখ মুজিবুর রহমান জেল-জুলুম, রাজরোষ ছিল তার নিত্য সহচর।
ব্যক্তিজীবনে মরহুম পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। তাদের দুই সন্তান-তথ্য-প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
সরল সহজ সাদামাটা জীবনের অধিকারী শেখ হাসিনার গোটা জীবন নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অতিক্রম হয়েছে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সবাই ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। এ হত্যাকান্ডের ভিতর দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়। সে অবস্থার পরিবর্তন হয় ১৯৮১ সালের ১৭ মে। সেদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন সর্বস্বহারা শেখ হাসিনা। কান্ডারিবিহীন, দিগভ্রান্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দেশে ফিরে আসেন তিনি। সে সময়ে দেশের বাইরে ছিলেন বলেই ঘাতকের বুলেট তাকে তখন স্পর্শ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ দেশের সব মানুষেরই ভরসা ছিল এই যে, একদিন ফিরবেন তিনি। পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে এগিয়ে নেবেন দলকে, সর্বোপরি দেশকে। বাংলা মায়ের সন্তান তিনি। ফিরে এলেন আবার সেই মায়েরই কোলে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নামের আগে পরে কোন বিশ্লেষণ যোগ করার দরকার হয় না। এক কঠিন সংগ্রামের পথ বেয়ে নিজ প্রতিভায় বিকশিত তিনি। বিশ্বমানবের আশা-আকাংখা প্রতীকে পরিণত আজ তিনি। প্রায় ৪০ বছর ধরে একটানা দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকা, তিন-তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া রূপকথার বিস্ময়কর কাহিনীর মতো যেন। তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। শেখ হাসিনা নব্বইয়ের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং এই আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। পিতার মতো দুর্জয় সাহস নিয়ে দেশের রাজনীতি ও জনগণের পক্ষে নিজের দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন, যুদ্ধ করছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনও এগিয়ে চলছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো ১৯ বার তাকে হত্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
এই তিনিই আজকের জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী এবং একইসঙ্গে বিশ্ব নেত্রী, বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে নিজেকে সমাসীন করার জন্য প্রস্তুতি পর্ব সমাপণ করে সমুখে শান্তি পারাবার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দৃঢ় ও দীপ্ত পদক্ষেপে। নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক উচ্চতায় তিনি নিয়ে গেছেন, যে কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের জন্য রোল মডেল।
বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আরো মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন এই প্রত্যাশায় হেরাল্ড অফ চেঞ্জ, মাদার অফ হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি ভালো থাকলে ভালো থাকবে দেশ, ভালো থাকবে দেশের ১৬ কোটি মানুষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা।
সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মানবিক বাংলাদেশ।