পদ্মা সেতুতে চুম্বন করলেন এমপি ইকবাল হোসেন অপু

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২২

পদ্মা সেতুতে চুম্বন করলেন এমপি ইকবাল হোসেন অপু

পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগের মেলবন্ধন নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের প্রবেশদ্বার। যোগাযোগের দ্বার উন্মুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠার আগ মুহূর্তে সড়কে চুম্বন করেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। সেই চুম্বনের ছবি সোমবার (২৭ জুন) রাত থেকে ফেসবুকে ভাইরাল।

ছবিতে এমপি ইকবাল হোসেন অপুর সঙ্গে সড়কে চুম্বন  করেন তার কর্মী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মুজাফফর জমাদ্দার ও আরেকজন। এছাড়া পেছনে কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

সোমবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর প্রথম সেতু দিয়ে ঢাকা যাওয়ার সময় শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজায় ঢোকার আগে গাড়ি থেকে নেমে পদ্মা সেতুর সড়কে চুম্বন করেন অপু। পরে কর্মীদের নিয়ে দুই হাত তুলে মোনাজাত করতে দেখা যায় তাকে।

ফেসবুকে এম নুর হোসেন নয়ন লিখেছেন,‘আজ জননেতা ইকবাল হোসেন অপু এমপি মহোদয় পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় টোল দেওয়ার আগ মুহূর্তে রাস্তায় নেমে চুমু খেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুমন পাহাড় জানান, ‘আমাদের শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শরীয়তপুরে তার নিজ বাড়িতে ছিলেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনে জনসভায় যোগদানের জন্য করোনা টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এজন্য তিনি উদ্বোধনীর জনসভায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। পরে আবার করোনা টেস্ট করালে গতকাল তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই তিনি স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড় হয়ে ঢাকাতে গেছেন।’

এমপি ইকবাল হোসেন অপু বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হতে এসে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই। গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। শত বাধা, ষড়যন্ত্র আর দুষ্কৃতকারীদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। এ যে কী গর্বের, কী আনন্দের ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তাই আমি সেতুতে ওঠার আগেই সড়কে চুম্বন করেছি এবং মহান আল্লাহতালার কাছে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ তার পরিবার এবং সকল শহীদদের জন্য দোয়া করেছি। আমি কৃতজ্ঞতার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না, কী করবো, কী করলে এই ঋণ শোধ হবে আমাদের। আসলে এই ঋণ কখনো শোধ হওয়ার নয়।