আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ আগস্ট ২০২২

আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে যা বলে, করে তার উল্টো। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আজ ঠিক তার উল্টোটাই করছে। এই দলকে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহকে অবিশ্বাস করা। আল্লাহকে তো আর অবিশ্বাস করা যাবে না তাহলে আওয়ামী লীগকে অবিশ্বাস করতে হবে। এই সরকারের অধীনে যেহেতু নির্বাচনে যাচ্ছি না সুতরাং ইভিএম ১টা আসনে দিবে না ১০টা আসনে সেটা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। 

রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়নে জাতীয়তাবাদী প্রজম্ম ৭১ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না এ সিদ্ধান্তে আমাদের অটল থাকতে হবে। আমাদের অ্যাকটিভিটির মাধ্যমে এখন থেকেই যেন জনগণ সেই বার্তা পায়। আমাদের আরও সাহসী হতে হবে। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। রাজপথে সক্রিয় থেকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, একটা পজিটিভ দিক হলো বিএনপি এখন শুধু মার খায় না তারা মার দেয়। এটা বিএনপির জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার যুদ্ধে অনেক রক্ত যাবে, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। জনগণের জন্য বিএনপিকে এই যুদ্ধে নামতেই হবে।

পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, পুলিশকে আক্রমণ করা ঠিক নয়। তারা কর্তব্য পালন করছে। যদি তারা বাড়াবাড়ি করে আর জনগণ মনে করে ইউনিফর্মকে সম্মান করবে না তাহলে কিছুই করার নেই।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি চাপে সরকার হয়তো বলছে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আমরা কোনো হামলা মামলা করব না কিন্তু গত ১৫ দিনের পত্রিকার দিকে খেয়াল করেন। গত কয়েকদিন আগে যশোরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলামের বাসায় হামলা করা হয়েছে।

গয়েশ্বর বলেন, সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সিক্রেট ডায়েরি ফাঁস করে দিয়েছে। এই সিক্রেট ডায়েরির রাজ সাক্ষি তিনি। যেহেতু জনগণের কাছে তিনি এটি প্রকাশ করছেন সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাতে পারি।

প্রধান আলোচকের বক্তব্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, সরকার অনুগত নির্বাচন কমিশন বসিয়েছে। এই আউয়াল কমিশন আমরা মানি না। বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে সব দল একমত তারা নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান সরকার গণতন্ত্র চায় না। সরকার জানে জনগণ তাদের সমর্থন করবে না। তাই তো তারা ভারতের সাহায্য চায়।