নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ মার্চ ২০২৩
সাভারের বাসা থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিরুদ্ধে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল বুধবার জানান, ঢাকা থেকে যাওয়া সিআইডির একটি দল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে আমবাগান এলাকার ভাড়া বাসা থেকে শামসুজ্জামানকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির ঢাকা মেট্রো ও ঢাকা বিভাগীয় উপ-মহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন বলেন, 'আমাদের কোনো দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়নি, কাউকে তুলেও নেয়নি। অন্য কোনো দল অভিযান চালিয়েছে কি না, সে সম্পর্কেও আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।'
দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভোর ৪টার দিকে তিনটি গাড়িতে করে মোট ১৬ জন শামসুজ্জামানের বাড়ির সামনে যায়। তাদের মধ্যে সাত-আটজন বাড়িতে প্রবেশ করে। একজন শামসুজ্জামানের বসার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। সেখানে ১০-১৫ মিনিট থাকার পর তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সময় শামসুজ্জামানের বাসায় ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'তারা দ্বিতীয়বার বাড়ি এসে জব্দকৃত মালামালের তালিকা তৈরি করেন। শামসুজ্জামানকে জামাকাপড় নিতে বলা হয়। এ সময় কক্ষে দাঁড়িয়ে তার ছবি তোলা হয়। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে তারা আবার বের হয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন ওই বাড়িতে তল্লাশির সময় দুবারই উপস্থিত ছিলেন।'
শামসুজ্জামানকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার সময় আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক রাজু মন্ডল উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিষয়টি জানতে রাজু মন্ডল ও আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামানের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কল ধরেননি। ঢাকা জেলার (সাভার সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম বলেন, 'সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।'
শামসুজ্জামান ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিমের ছোট ভাই।