নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ মে ২০২৩
আজ বিস্কুট খাওয়ার দিন
আজ বিস্কুট খেয়েছেন তো? এমন প্রশ্ন হঠাৎ কেউ করলে চমকে যাবেন না! কারণ আজ বিস্কুট খাওয়ার দিন।
আমরা অবশ্য প্রায় সবাই বিস্কুট নানা কারণে খাই। সকাল-বিকালের নাস্তা, স্কুলের টিফিন, যে কোনো আড্ডায় চায়ের সঙ্গে যে জিনিসটির মানিকজোড় সেটি হলো বিস্কুট। ফলে দিন মেনে বিস্কুট খাওয়ার প্রসঙ্গ হয়তো অনেকের কাছে অবান্তর মনে হবে। কিন্তু সত্যিই এমন এক দিন আছে যে দিনটি শুধু বিস্কুটের জন্য।
দিনটি হলো ২৯ মে; বিস্কুট দিবস। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয় এই দিবস। বাংলাদেশে এই দিবস পালন হওয়ার কোনো খবর এখনো শোনা যায়নি। বিস্কুট জাতীয় সব ধরনের খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরতেই দিবসটির সূচনা।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, প্রাচীন গ্রিক, রোমান ও মিসরীয় সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনীর সদস্য ও ব্যবসায়ীদের বছরের একটি দীর্ঘ সময় সমুদ্র কিংবা দুর্গম অঞ্চলে কাটাতে হতো। তখন এমন একটি খাবারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, যা হবে ওজনে হালকা ও পর্যাপ্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ এবং সহজে নষ্ট হবে না। এত সব বিষয়ের সমন্বিত সমাধান হিসেবেই আবিষ্কার করা হয় বিস্কুট।
ল্যাটিন শব্দ ‘বিস’ ও ‘ককটাস’ থেকে বিস্কুট শব্দের উৎপত্তি। বিস শব্দের অর্থ দুইবার আর ককটাস শব্দের অর্থ রান্না করা বা আগুনে সেঁকা। অতীতে দুই ধাপে আগুনে সেঁকে বিস্কুট বানানো হতো।
আরো মজার ব্যাপার, প্রথমদিকে মদ বা বিয়ার তৈরির জন্য বিস্কুট ব্যবহার করা হতো। প্রাচীন সুমেরীয়রা বার্লির রুটি ছোট ছোট টুকরো করে মজুত করে রাখতেন। মদ তৈরির জন্য গরম পানিতে এই টুকরোগুলো দিতেন। ম্যাশ করে তার সঙ্গে মেশাতেন মধু। এরপর এটি গাঁজিয়ে তৈরি হতো মদ।
আমাদের দেশে হরেক রকমের বিস্কুট পাওয়া যায়। এগুলো খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। প্যাকেটজাত বিস্কুটের পাশাপাশি পাওয়া যায় খোলা কিংবা বেকারির বিস্কুট। তো বিস্কুট যখন কম-বেশি আমরা খাই, আজ কাজের অবসরে বিস্কুট খেয়ে দিনটি স্মরণীয় করে রাখা যেতেই পারে।