নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিকল্প প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহের শুরুতে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। এককালীন ব্যবস্থা হিসেবে জি-টু-জি চুক্তির অধীনে এসব বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবেন।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সমঝোতা চুক্তির অধীন ২৫টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানির চলমান কার্যক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল অপারেশন্স ইনচার্জ খায়ের রজমান মোহাম্মদ আনোয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'মূলত উচ্চ অভিবাসন খরচ এড়াতে মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তাদের প্রয়োজন ও উৎসাহে এমন ব্যবস্থায় সরকার সম্মতি দিয়েছে। এটি কেবল বিদেশি কর্মী নিয়োগ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (এমইএফ) এবং মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া হচ্ছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা এই নিয়োগ প্রকল্প অনুমোদন করেছে।'
এমইএফ সার্কুলার অনুযায়ী, ১০ হাজার কর্মীর মধ্যে ৪ হাজার ২০০ জন এখনো নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ। মন্ত্রণালয় মোট ২ হাজার ১০০টি এমইএফ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ করেছে।
মালয়েশিয়ার শ্রম ও অভিবাসন বিভাগ, কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি মালিকানাধীন বৈদেশিক নিয়োগ সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বয়েসেল) এই কর্মী পাঠানোর কাজ করছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর হাইকমিশনারকে দেওয়া এক চিঠিতে বয়েসেল জানিয়েছে, ২ সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিকদের মালয়েশিয়া পাঠানো হবে।