নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে কোনো রকমের বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।কোনো বাধা-প্রতিবন্ধকতা ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি, উল্লেখ করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের মৌলিক সমস্যার সমাধান না করে শুধু টিয়ার গ্যাস-গুলি ইত্যাদি দিয়ে কখনও আন্দোলন ব্যর্থ করা যায়নি। আমাদের চলমান আন্দোলনও বন্ধ করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র উদ্ধারে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তা প্রতিরোধ করব।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়া মঞ্চের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এই শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়েছিল।
গয়েশ্বর আরও বলেন, আমরা এখন যেসব দাবিতে আন্দোলন করছি, এগুলো বিএনপির দাবি বললে ভুল হবে। কারণ এসব দাবি জনগণের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানে প্রতিটা পরিবারের নাভিশ্বাস। আয়ের সঙ্গে তাদের ব্যয়ের কোনো রকমের সঙ্গতি নেই। দিন-দিন মানুষের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, উল্টোদিকে আয় হ্রাস পাচ্ছে। এ কষাঘাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়।
বিএনপির চলমান কর্মসূচি জনগণই সফল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে গয়েশ্বর বলেন, সরকারের কাছে কোনো সহযোগিতা চেয়ে কোনো লাভ নেই। পথে পথে বাধা আসবেই, বাধা এসেছে, সামনেও আসবে। বাধা অতিক্রম করেই মানুষ অধিকার আদায়ে পথে নেমে আসবে।
বিএনপির কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে। হয়তো একটা সময় আসবে, আন্দোলন জনগণ সফল করবে, শুধু আমরা সেখানে উপস্থিত থাকবো। এ ব্যাপারে আমরা খুব আশাবাদী।
এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ সরকারের পদত্যাগ। আমরা দাবি করছি, দ্রুত সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত এবং একটা অরাজনৈতিক নির্দলীয় সরকারের অধীনের একটি নির্বাচন। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আমাদের পাঁচজন শহীদ হয়েছেন। একদিকে আন্দোলন এবং অন্যদিকে শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধের একটা প্রতিশ্রুতি আমাদের সবার থাকবে। এটি কিন্তু মূলত সরকার পতনের আন্দোলন। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জিয়া মঞ্চের সহসভাপতি আবু তালেব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বয়ক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ।