নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২
বাঙালি বিয়ে মানেই অনেক রীতিনীতির মাঝে প্রচুর অনুষ্ঠান। সব অনুষ্ঠানেই জমিয়ে মজা করার সঙ্গে অবশ্যই নজর দিতে হবে সাজপোশাকের দিকে। বিয়ের সকালেই থাকে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আজকাল অনেকেই এই অনুষ্ঠানে থিম রাখেন। যেমন কনে এবং তাঁর বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সকলে হয়তো পরলেন হলুদ রঙের শাড়ি।
নাফিজা রহমান মৌ, পেশায় একজন ডিপ্লোমেট ও শিক্ষক। তাকে দেখা গেলো অথেনটিক একটি হলুদের ব্রাইডাল লুকে। বর্তমানে বেশিরভাগ কনেই গায়ে হলুদে পরেন লেহেঙ্গা। তবে বাঙালিয়ানা ও তার সৌন্দর্য শাড়িতেই। কনেদের গায়ে হলুদের জন্য এমনই সাজ নিয়ে এসেছে নাফিজা রহমান মৌ।
শুধু বর-কনেই নয়, আত্মীয়-স্বজনসহ অভ্যাগতরা তো বটেই পুরো বাড়িই সেজে ওঠে বৈচিত্র্যময় সাজে। না হলে বিয়েবাড়ি ঠিক জমে ওঠে না। এ সাজের আছে রকমফের, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তার ঘটেছে বিবিধ রূপান্তর।
আর এই সাজসজ্জার মাঝে কনের ইচ্ছে থাকে নিজেকে আরও রঙিন করে তুলতে। তার সাজসজ্জা হবে অন্যদের থেকে একটু ব্যাতিক্রম।
মৌ বলেন, ‘আমি সচরাচর মডেলিং করি না। তবে এই ব্রাইডাল লুকটা অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। বিয়েতে শাড়িই আমার ভালো লাগে। যেখানে সেজেছি, সেখান থেকেই শাড়ি, ফুল ও অ্যান্টিকের গয়না পরেছি। আমার অসাধারণ লেগেছে।’
এই সাজের শাড়ি ও জুয়েলারি দিয়েছে কাদ্রিজ কালেকশন। এই ডিজাইনের কোরিওগ্রাফার ছিলেন তিনি। অনলাইনেই সাধারণ মানুষ তার থেকে ব্রাইডালের জিনিসপত্র কিনতে পারেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক মাহফুজ কাদরী বলেন, আজকে মৌকে যেভাবে সাজানো হয়েছে সেটি আসলে হলদি ব্রাইডাল লুক অর্থাৎ কনের গায়ে হলুদের সাজ।
এই বিয়ের মৌসুমে কালারফুল লুকে সাজতে পছন্দ করেন ব্রাইডালরা। যদিও বেশিরভাগই এখন লেহেঙ্গা পরে তবে আজকে আমি চেয়েছি আদি লুককেই প্রাধান্য দিতে। এতে ফ্লোরাল জুয়েলারি ও চুন্দ্রি প্রিন্টের শাড়ি পরিয়েছি।
এই ব্রাইডাল হলদি সাজের মেকাপ করেছেন অভিরূপ শর্মা। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় অথেনটিক বিষয়টি শুধু শাড়িতেই থাকে। আমরা চেয়েছি কালারফুল হলুদের একটি সাজ দেওয়ার জন্য।’
আর মেকাপের ক্ষেত্রে আমি চেষ্টা করি স্কিন টোন ন্যাচারাল রাখার জন্য। কারণ এই টোনেই প্রতিটি মানুষকে বেশি সুন্দর লাগে। চোখের মেকাপটা ব্রাইট করেছি ও দিয়েছি হালকা লিপস্টিক। এভাবেই সাজটা জমে ওঠে।
হলুদের এই সাজ উপস্থাপন করা হয় মোহাম্মদপুরের দি গার্ডেন অ্যান্ড ক্যাফেতে। সেখানকার ডেকোরেশন এই সাজটাকে আরো সুন্দর করে তোলে।