নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে দেশ অচল করে দেওয়ার কথা বলে দেওয়া বিএনপির কর্মসূচি আমরা আমলে নিচ্ছি না। অতীতেও আমলে নেইনি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘোষণা আমলে নেবো না।
তিনি বলেন, অনেক ঘোষণাই আমরা অতীতে শুনেছি। যেসব ঘোষণা দেশবিরোধী, জনবিরোধী, সংবিধান বিরোধী তা জনগণ পছন্দ করে না। আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজই হচ্ছে যারা সংবিধান মানে না, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ঢাকার চতুর্দিকে আমাদের নজরদারি আছে। যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালানোর চেষ্টা করছে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব একথা বলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এক সময় বাসে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আমরা সব সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব কিছু করে থাকি। হামলাকারীদের অনেককেই আমরা গ্রেফতার করেছি। পাশাপাশি আমাদের ডিবি ও থানা পুলিশ ঢাকার সরকারি, বেসরকারি ও কেপিআইভুক্ত (রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) রেল ও মেট্রোরেলসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা দিচ্ছে, খেয়াল রাখছে। যাতে করে দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্তায়ন, নাশকতাকারীরা যাতে নাশকতা চালাতে না পারে।
তিনি বলেন, আমি মনে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য যারা নিয়োজিত রয়েছেন, সেটি পর্যাপ্ত নয়। যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে মেট্রোরেলে যাতায়ত করতে পারেন সেজন্য লোকবল আরও বাড়ানো উচিত।
ডিবি’র মহানগর প্রধান বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে সেটা যাতে না হয় সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের সব পুলিশ সদস্য যার যা দায়িত্ব তা পালন করে যাচ্ছি। আশঙ্কা নেই। কিন্তু আশঙ্কা ঘিরেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে করে কিছু না ঘটে। যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালাবে বা চালানোর চেষ্টা করছে, ভাড়াটিয়া ভাড়া করে কারা নাশকতার চেষ্টা করছে, তাদের অনেকের নাম পরিচয় আমরা জেনেছি। অনেককে গ্রেফতার করেছি। আরও যাদের নাম আমরা জেনেছি তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এতো নিরাপত্তার মাঝেও তেজগাঁওয়ে যারা আগুন দিলো তাদের চিহ্নিত করে কেন গ্রেফতার যাচ্ছে না– জানতে চাইলে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা অধিকাংশ ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা করি শনাক্ত করার জন্য। আমরা বেশিরভাগ ঘটনায় শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কিছু কিছু ঘটনায় আমরা নাম ও নম্বর জেনেছি। দেড় মাস আগে ঘটনা জেনেছি। গত রাতে আমরা ‘পিচ্চি মনির’কে গ্রেফতার করেছি। তার মানে হচ্ছে আমরা লেগে আছি বলেই গ্রেফতার করতে পেরেছি।