নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ মার্চ ২০২৩
বাণিজ্যিক সাফল্য ও সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য মালয়েশিয়াতে একসাথে জোড়া সম্মাননা পেলেন ঝাড়খণ্ডের প্রখ্যাত সমাজসেবী লুৎফল হক। তিনি ইতিমধ্যেই খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এবার তার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হল। একসাথে দু-দুটি জোড়া সম্মান পেলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের তরফে তাকে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ইন্দো গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি তাঁকে বাণিজ্যিক সাফল্যের জন্য সম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেন।
কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির তরফে এদিন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এদিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, উদ্যোগপতি জনাব ড: মজলি মালিক। এদিন জনাব লুৎফল হককে কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির তরফে সম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রী ও ইন্দো গ্লোবাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ তুলে দেন মালয়েশিয়ার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ড: মজলি মালিক।
জনাব লুৎফল হক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি পাথর খনিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি দিনমজুর হিসেবে তার কর্ম জীবন শুরু করলেও তার চোখ জুড়ে ছিল বিশাল স্বপ্ন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন জীবনে একদিন সফল হতে হবে। দীর্ঘ কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছেন দেশজুড়ে। তার কঠোর পরিশ্রম এবং পিছনে না তাকানোর অভ্যাসের জোরে, লুৎফল হক শুধু ঝাড়খণ্ডেই নয়, তার বাণিজ্যিক সাফল্য ও মানব সেবার কথা ঝাড়খণ্ডের বাইরেও দেশজুড়ে চর্চা হচ্ছে। এই প্রথম বিদেশের মাটিতে ডঃ মালিক লুৎফল হকের মানবসেবার তুমুল প্রশংসা করেন।
ডক্টর মালিক বলেন, জনাব লুৎফল হক জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। তিনি শৈশবে কৈশোরে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেছেন। বর্তমানে তিনি একজন বড় মাপের সফল ব্যবসায়ী। তিনি কিন্তু শৈশবের দারিদ্রতার কথা ভুলে যাননি। তাই তিনি হাজার হাজার গরীব ও দুস্থ মানুষদের সেবায় আজও নিয়োজিত রয়েছেন।
মালিক আরও বলেন, লুৎফল হকের সমাজসেবা অজস্র মানুষদের অনুপ্রাণিত করবে। এদিন কমনওয়েল ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস চ্যান্সেলর ড: রিপু রঞ্জন সিনহা উপস্থিত ছিলেন। তিনি লুৎফল হকের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরের পাঁচতারা হোটেল সুইস গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া সহ ভারতের বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ইতিপূর্বে লুৎফল হককে মুম্বাইতে অল ইন্ডিয়া জার্নালিস্ট প্রোটেকশন কমিটি কর্তৃক সমাজসেবার ক্ষেত্রে সম্মানিত করা হয়েছিল, যেখানে তাঁর সমাজসেবার কথা মুম্বাইয়ের বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছিল। তাছাড়া গত মাস দুয়েক পূর্বে কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে লুৎফল হককে সমাজসেবার ক্ষেত্রে নিঃস্বার্থ কাজের জন্য বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড সম্মান প্রদান করা হয়। এই মহার্ঘ্য সম্মানটি তুলে দেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।
এ দিন মালেশিয়ার মাটিতে লুৎফল হকের দু’দুটি পুরস্কার প্রাপ্তিতে গোটা ঝাড়খন্ড ও বাংলা জুড়ে প্রশংসার বন্যা বইছে। সমাজের বহু গুণীজন লুৎফল হকের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে লুৎফল হক বলেন, আমি শৈশবে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করেছি, খুব কাছ থেকে দারিদ্রতাকে দেখেছি। আজ আমি ব্যবসায়ী হিসেবে সফল হয়েছি, তাই গরিব মানুষকে আমি ভুলিনি। আমি যতদিন পৃথিবীতে বাঁচবো, ততদিন গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করে যাব।