নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুন ২০২২
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পদ্মা সেতু বিষয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টার যে ব্যখ্যা দিয়েছে তা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।
মন্ত্রী বলেন, ইউনূস সেন্টারের ব্যাখ্যা সত্যের অপলাপ। ড. ইউনূস পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছেন এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এ সময় তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন যে গ্রামীন ব্যাংককে নোবেল দেওয়া হয়েছে , সেখানে কি তিনি টাকা রাখেন?
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, পদ্মা সেতুর বিরোধীতাকারী বিশেষ করে অর্থায়নের বিরোধিতাকারী অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে যারা কুশীলব হিসেবে কাজ করেছিল তাদের মধ্যেও অন্যতম তিনি।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বিশেষ সখ্যতা থাকার সুবাদে হিলারির মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের যে চেষ্টা চালিয়েছেন, বন্ধ করার ক্ষেত্রে যে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আর সে ঘটনা দেশ-বিদেশের সকলেই জানেন।
পদ্মা সেতু ইস্যুতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবস্থান, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের বৈধতা, গ্রামীন ব্যাংকের ক্ষদ্র ঋণ কর্মসূচি ও দেশের বাইরে অর্থপাচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের বিভিন্ন বক্তব্য ও অভিযোগের ব্যখ্যা দিয়ে বুধবার (২৯ জুন) রাতে ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।
সেখানে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. ইউনূস চাপ "প্রয়োগ করেছেন" প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ইউনূস সেন্টার বলেছে ড.ইউনূস পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো অভিযোগ জানায়নি। সুতরাং বিষয়টি নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। এ বিষয় নিয়ে কথা বলতেই তাৎক্ষনিক সংবাদ ব্রিফিং এর আয়োজন করেন তথ্যমন্ত্রী।
সেখানে ওই ব্যাখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ইউনূস সেন্টার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা সত্যের অপলাপ। তবে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতিতে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে অভিনন্দনও জানানো হয়। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা সেদিন করেছিলো, আজ দেশের মানুষ যখন উল্লসিত, তখন তারা (ড.ইউনূস) লজ্জা ঢাকার অপচেষ্টায় অভিনন্দন জানাচ্ছে।