নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ নভেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির যদি প্রকাশ্যে কথা বলতে হয় তাহলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কথা বলতে পারে। নয়াপল্টন ছোট জায়গা। সেখানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলা মানেই তাদের মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আশঙ্কা করছি।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আহমদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার। জনগণের নির্বাচিত সরকার এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এখানে গণতন্ত্র অক্ষুণ্ন আছে। যেকোনো রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে, কারণ দেশে সবার বাক স্বাধীনতা আছে। সেক্ষেত্রে বিএনপিও স্বাধীনভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখে। সেই অধিকারকে সরকার সংরক্ষণ করে। এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা (বিএনপি) যদি শান্তিভঙের কারণ হয়, অশান্তি সৃষ্টি করে, জনজীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে আইনগতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর সাংবিধানিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবে।
তিনি বলেন, আমরা কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাই না। রাজনৈতিকভাবে পাল্টা কোনো কর্মসূচি আমাদের নেই, আমরা দেবও না। আমরা আশা করি বিএনপি তার উগ্রবাদ, মতলবাজ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসবে। বিএনপি সন্ত্রাসের পথে না গিয়ে, জনজীবন বিশৃঙ্খল সৃষ্টি না করে, শান্তির পথে আসবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির চিপাগলি, ফুটপাত, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথার বলার মধ্যে কোনো মতলব থাকতে পারে। যা জনগণের জানমালের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যার কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব তারা সক্রিয়ভাবে পালন করবে এবং তারা সর্তক থাকবে। আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিতে চাই না। তারা যদি মনে করে যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না করে গায়ের জোরে যেখানে ইচ্ছা সেখানে মিটিং করবে, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সাংবিধানিক সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে কোনো দ্বিধা করবে না।