মির্জা ফখরুলের মুক্তির জন্য বুদ্ধিজীবী নামিয়েছে বিএনপি -কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

মির্জা ফখরুলের মুক্তির জন্য বুদ্ধিজীবী নামিয়েছে বিএনপি -কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির জন্য দলটি বুদ্ধিজীবী নামিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আপনারা মির্জা ফখরুলের মুক্তি চান, ভালো কথা। ফখরুল সাহেব আপনাদের বন্ধু, আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু তিনি অসুস্থ এটা আমরা জানি না'।

শুক্রবার (ডিসেম্বর ৩০) রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা হলের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলটির নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেদিন মধ্যরাতে উত্তরার বাসা থেকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। পরের দিন তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২৯ ডিসেম্বর প্রবীণ রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৬০ বিশিষ্ট নাগরিক ফখরুলের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
কাদের বলেন, 'এই বুদ্ধিজীবিরা, এই বিশিষ্টজনেরা এই বাংলায় যখন ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় তখন কোন বিবৃতি দেননি। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? কোথায় ছিল প্রতিবাদ আমি জানতে চাই। জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ?"

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবে। কিন্তু তারা যখন ক্ষমতায় ছিল এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। এই রাষ্ট্রের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে। এই রাষ্ট্রে অর্থপাচার করেছে বিএনপি। পাঁচ বছরে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিএনপি ৷ তারা নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না। ধ্বংস করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে কুকুর থেকে সাবধান। জনগণ বলে তারেক থেকে সাবধান। বিএনপি থেকে সাবধান। খেলা হবে, বাংলাদেশ আর রক্তপাতে ফিরে যাবে না। লন্ডনে বসে বলে ‘টেক ব্যাক’। বাংলাদেশের মানুষ আর হাওয়া ভবনে ফিরে যাবে না।
সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সতর্ক আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, "আমরা কোন ধরনের সহিংসতায় জড়াব না। তবে আঘাত করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।"

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি সাদেক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।