ডব্লিউইউএসটির নতুন ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানালো এসজিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জানুয়ারি ২০২৪

ডব্লিউইউএসটির নতুন ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানালো এসজিএ

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের নতুন ক্যাম্পাসে স্বাগত জানালো স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এসজিএ)।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়ায় দু'শতাধিক এর বেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায় সংগঠনটি।

কেক কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উইন্টার কোয়ার্টারে ভর্তি হওয়া সকলকে স্বাগত জানায় এসজিএ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক এবং এসজিএ'র নেতৃবৃন্দ।

সবাইকে স্বাগত জানিয়ে এসজিএ'র সাথে শিক্ষার্থীদের যুক্ত হবার পরামর্শ দেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ।

আবুবকর হানিপ বলেন, "পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠী, অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি সর্ম্পকে জানার এবং নিজেকে প্রকাশ করার অন্যতম একটি মাধ্যম এই সংগঠন। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, "সকল সুযোগ ও সম্ভাবনার দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তবে সবার আগে সকলের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত যোগ্যতা ও মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করা। "

এসজিএ'র নেতৃত্বে ডব্লিউইউএসটিতে পরিচালিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি ক্লাব। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক পরিবেশ দিতে সংগঠনটি বছরব্যাপী আয়োজন করে থাকে নানা রকম সাংস্কৃতিক, আন্তর্জাতিক, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "ডব্লিউইউএসটির সবচেয়ে বড় শক্তিটিই হচ্ছে এর বহু সংস্কৃতি থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। আর এই সকল শক্তি এক হবার প্লাটফর্মের নাম স্টুডেন্ট গভার্মেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এর সাথে সবাই যুক্ত হলে, জানা ও শেখার পরিধি কয়েকগুন বেড়ে যাবে। তৈরি হবে ক্যারিয়ার গড়ার অসাধারণ নেটওয়ার্ক।"

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ফারহানা হানিপ বলেন, "আমরা যদি সকলে একটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে পারি, সাফল্য আসবেই। যুক্তরাষ্ট্রে একটি সুযোগের দেশ, তবে এখানে মূল লক্ষ্য ভিন্ন পথে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগও কম নেই। সুতারাং কারে কথায় মিসগাইডেড না হয়ে, শিক্ষার্থীরা যেনো তাদের শিক্ষা অর্জনের প্রতি মনোনিবেশ করে এই আহ্বান জানান ফারহানা হানিপ। পরামর্শ রাখেন এসজিএর সাথে যুক্ত হবার।"
এসজিও কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ। বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য একটি কার্যকরী, আনন্দদায়ক পরিবেশ প্রদান করার চেষ্টা করে থাকে এসজিএ।

উল্লেখ্য, এসজিএ ডব্লিউইউএসটির স্টুডেন্ট গর্ভামেন্ট অ্যাসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার একটি সংগঠন। নতুন পরিচয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু করার প্রথম দিন থেকে সক্রিয় এই সংগঠনটি। কাজ করে স্টুডেন্টদের স্বার্থে। কথা বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিকার, প্রয়োজনীয় সহযোগীতা নিয়ে। বছর ব্যাপী আয়োজন করে থাকে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ও খেলাধূলা বিষয়ক নানা কার্যক্রম।

এছাড়াও ক্যাম্পাসে কোন ছাত্রছাত্রী বুলিং, বর্ণবাদ, কালচারাল শক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও সে সকল অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কাজ করে এসজিএ। শুধু তাই নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভলান্টারি কাজও করে থাকে সংগঠনটি। ২০২৩ সালের ফেব্রয়ারিতে তুরস্কে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে ত্রান তহবিল সংগ্রহ করে তা ক্ষতিগ্রস্থ দেশটি পাঠিয়েছিলো এসজিএ।