নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ জুলাই ২০২২
প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি বন্ধ করতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন ইভিএম ব্যবহারে প্রথম দিকে কিছু কিছু ভোটারের অনিচ্ছা থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় প্রমাণিত হয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল বন্ধ করে স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্ভব।
রোববার (৩১ জুলাই) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে বিকেল ৩টায় এ সংলাপ শুরু হয়।
ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি বন্ধ, ভোট জালিয়াতির মতো অপসংস্কৃতি রয়েছে। ভারতের মতো আমরাও মনে করি প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি, কারচুপির বন্ধ করতে ইভিএম এর কোনো বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক পদে দলীয় আনুগত্যের লোক নিয়োগ দিয়েছিলো। সেই সময়ে কর্মকর্তা পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সকল দলীয় ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বাচনকে নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দলীয়করণের অংশ হিসেবে যাদের নিয়োগ দিয়েছিলো তাদের অনেকেই জেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আবার অনেকে দায়িত্ব পাওয়ার জন্য অপেক্ষমান। এ সকল কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদেরকে নির্বাচনের সকল ধরনের কার্যক্রমের বাইরে রাখার দাবি জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১২ জন কেন্দ্রীয় নেতা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার।
এদিকে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ২০২১ পঞ্জিকা বছরের নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদন দাখিল করে আওয়ামী লীগ।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রবিবার (১৭ জুলাই) থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার (৩১ জুলাই) ধারাবাহিক সংলাপের শেষ দিন। সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।