পৃথিবীর কোনো শিশুকে শেখ রাসেল মতো নির্মমতা দেখতে হয়নি : হুইপ স্বপন

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ নভেম্বর ২০২২

পৃথিবীর কোনো শিশুকে শেখ রাসেল মতো নির্মমতা দেখতে হয়নি : হুইপ স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে নির্মমতার শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। এমন নির্মমতা পৃথিবীর আর কোনো শিশুকে দেখতে হয়নি।

তিনি বলেন, ঘাতকরা মুজিব পরিবারকে পরিকল্পিতভাবে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। তারা শিশু রাসেলের সামনেই বাবা-মা ভাই-বোনসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে অপশক্তির বীজ বপন করার চেষ্টা করেছিল।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস- ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হুইপ মাহমুদ স্বপন বলেন, শেখ রাসেলকে হত্যা করার মাধ্যমে ঘাতকরা ঘৃণ্য কাজ করেছে। ছোট রাসেল কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবার যখন গৃহবন্দি ছিল, তখনো তার বাড়ির দিকে কেউ গুলি ছোড়ার সাহস করেনি। কিন্তু স্বাধীনতার পর ঘাতকরা সেই সাহস দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ঘাতকের গুলিতে শহীদ হওয়ার আগে জেনেছেন তার পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালকে হত্যা করা হয়েছে। তবে শেখ রাসেল ও তার স্ত্রীকেও যে হত্যা করা হয়েছে তা দেখেননি। কিন্তু শেখ রাসেল দেখেছেন তার সামনেই পরিবারের সব স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে। এত ছোট শিশুর কাছে এটি কত বড় রক্তক্ষরণ, তা বলে বোঝানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল যখন বলেছেন- আমি মায়ের কাছে যাব, তখনো নির্মম ঘাতকদের মন গলেনি। উপহাস করে তাকে টেনে-হিঁচড়ে দোতলায় নেওয়ার সময় তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলেছে- আয় তোকে তোর মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। মায়ের মৃতদেহের সামনেই তাকে দাঁড় করিয়ে মাথায় রাইফেল তাক করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর চেয়ে নির্মমতা আর কী হতে পারে?

আলোচনা সভায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম ও গোলাম রব্বানী চিনু।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাসসহ অন্য শিক্ষকরা।