০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হয়তো এটাই হতে পারে শেখ হাসিনার শেষ সফর। বরাবরই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের আগ্রহ থাকে।
কিন্তু এবার বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে পশ্চিম দুনিয়া অনেক বেশি সোচ্চার। তাই বিভিন্ন মহলের আলোচনা সমালোচনার মধ্যে জি-২০ সম্মেলনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। ধারণা করা হচ্ছে এবারের বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন এবং রাজনীতি এবং দুই দেশের সংশ্লিষ্ট বিষয় গুরুত্ব পাবে।
এর বাইরেও এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সফরে দুই দেশের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প ও অভিন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। সাধারণত ঢাকা- দিল্লির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর মানেই কোন না কোন অর্জন আসবেই। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় আগামী ৯ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের রেল যোগাযোগের আরও একটি নতুন পথের। আখাউড়া- আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই রেলপথটির উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রেলপথটি চালু হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরসহ ঢাকা কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) থেকে সরাসরি পণ্য নিয়মিত কনটেইনারবাহী ট্রেন আগরতলা হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল সেভেন সিস্টারে যাবে। তবে যাত্রীবাহী ট্রেন আরও পরে চলবে।
জানা গেছে, এই লাইনটির কাজ শেষ হওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরেই আখাউড়া-আগরতলা রেলরুটে ট্র্যাক কার চালানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত বলছে, বাংলাদেশ অংশের পুরোটাতেই সফলভাবে ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী ও আখাউড়া -আগরতলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিঞা বলেন, সীমান্ত পর্যন্ত আখাউড়া -আগরতলা ডুয়েলগেজ রেললাইনের কাজ শেষ । এখন উদ্বোধনের দিনক্ষণ গুনছি। এরমধ্যে ফিটিংস এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন বেলাস্টিং চলছে এবং পেকিং দেওয়া হচ্ছে যাতে লেভেল ঠিক থাকে। আর ট্রায়াল চলবে একদিন। জাফর মিঞা বলেন, ' ইমিগ্রেশন ভবনের কিছু কাজ বাকি আছে। যা ৯ সেপ্টেম্বরের আগে শেষ হবে।'