অর্থনীতি


সেপ্টেম্বরের ১৫ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার

সেপ্টেম্বরের ১৫ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ (১০০৮ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন) ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১০৮ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ১০ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে।সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ১৪ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার।আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২২ কোটি ডলার। এরপর সিটি ব্যাংকে এসেছে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৭ কোটি ৩০ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকে ৬ কোটি ২৩ লাখ এবং ডাচ্–বাংলা ব্যাংক ৫ কোটি ২১ লাখ এবং পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয়।আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও ওরি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন ছাড় ও সুবিধার সুফল দেখা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধ পথে পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। গত আগস্ট মাসের ২০৩ কো‌টি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। তার আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুলাই মাসে ঈদ-উল আজহার কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল। তবে আগস্টে বড় উৎসব ছিল না, তারপরও প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। চলতি বছরের প্রথম আট মাসের মধ্যে যে তিন মাস প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলারের বেশি ছিল।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, হঠাৎ বেসরকারি খাতের অনেক ব্যাংক সরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আনছে। কারণ, এসব ব্যাংক বেশি দামে বিদেশ থেকে ডলার কিনছে। প্রবাসীরাও বেশি দাম পাওয়ায় এসব ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছেন।প্রণোদনা ও ডলারের দাম বাড়ার পরও ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে বড় পতন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাং‌কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।এখন বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগে না। এছাড়া আবার প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২


ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর ৩৭ বছরে সর্বনিম্ন

ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর ৩৭ বছরে সর্বনিম্ন

মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন চলছে। এর মধ্যে ৩৭ বছরে পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। এ হার ১ শতাংশের বেশি।এর আগে আগস্ট মাসে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দরপতন হয়েছে ৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে পাউন্ডের বড় ধরনের পতন হয়েছিল। তারপর এটিই ছিল সর্বোচ্চ দরপতন। এরপর গতকাল ৩৭ বছরের মধ্যে পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন হয়ে গেল।বর্তমানে ১ পাউন্ডে ১ দশমিক ১৩ ডলার মিলছে। এর অর্থ হলো, বিদেশ ভ্রমণে ব্রিটিশ নাগরিকদের ব্যয়ের সক্ষমতা কমে যাওয়া। জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১ শতাংশ, যদিও আগস্ট মাসে তা ৯ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসে। গতকাল বিবিসির সংবাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, মুদ্রার পতনের পেছনে মূল কারণ অর্থনৈতিক স্থবিরতা। যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছেন। সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলেছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি।এদিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, চলতি বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে মন্দা দেখা দেবে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামগ্রিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অক্টোবর মাসে সে দেশের মানুষের অবস্থার আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক গতকাল বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা করছে তারা। সব মিলিয়ে অর্থনীতির অবস্থা ভালো দেখাচ্ছে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


‘শিগগিরই রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে’

‘শিগগিরই রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে’

যে হারে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে এটি অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই আগের মতো রির্জাভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।বুধবার সরকারি ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ প্রতি দু‘ মাস অন্তর কমছে। এটি কি কমতেই থাকবে এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। রফতানি ও রেমিটেন্স বাড়ছে। আমি মনে করি যে হারে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে এটি অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই আমরা আগের মতো রির্জাভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবো।ডলারের মূল্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্ব যেভাবে মুদ্রার হার বাজারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরাও সেদিকে এগুবো। আগে নিজেরাই ডলারে মূল্য নির্ধারন করে দিতাম। সেভাবেই বেচাকেনা হতো। এখন আমরা নিজেরা চিন্তা ভাবনা করছি উন্নত বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে মুদ্রা বাজার চলে আমরা সেভাবে পরিচালনা করবো। ডলার বা অন্য মুদ্রা দিয়ে বিকল্প উপায়ে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক দেশের মুদ্রা আরেক দেশে গ্রহণ করতে হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিশেষ করে ডলার ব্যবহার করতে হয়। আমাদের যেটা করতে হবে কারেন্সি কিছু অফ করে রাশিয়াকে একসেপ্ট করাতে হবে। তারা সেটি গ্রহণ করলে আমরা সেটি কাজে লাগাতে পারবো।বিশ্বের সব দেশই সুদ হার বাড়াচ্ছে, বাংলাদেশে যে অবস্থায় আছে সেটিই কি বহাল রাখতে চাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের ঋণের সুদ হার ৯ এবং আমানতের ৬ শতাংশ কার্যকর করেছি। এটি ভালভাবে চলছে। সুদ হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন কাজ। এখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতি রয়েছে। এ দুটোকে সমন্বয় করে এ কাজটি করছে বাংলাদেশ।অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিয়ষ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিদেশ থেকে সার ও চাল আমদানি এবং স্থানীয় বাজার থেকে টিসিবির জন্য মসুর ডাল ও ভোজ্যতেলসহ ১৪টি প্রস্তুাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২


অনেক তৈরি পোশাক কারখানায় বন্ধ হয়ে যাবে আশঙ্কা বিজিএমইএ সভাপতির

অনেক তৈরি পোশাক কারখানায় বন্ধ হয়ে যাবে আশঙ্কা বিজিএমইএ সভাপতির

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে, বাংলাদেশে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ববাজারে টিকে থাকা আমাদের জন্য কস্টকর হবে। পুরোনো অর্ডারগুলোতেই প্রচুর লস হবে। অনেক কারখানা নতুন অর্ডার নিতে পারবে না। ফলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিণতি কী হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কারখানায় গ্যাংস সংকট, সরকার নির্দেশিত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না ৫-৬ ঘণ্টা। এ কারণে দিনে ৬ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় বেশি জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের হাতে প্রচুর অর্ডার রয়েছে। বড় অংকের লস দিয়ে এসব অর্ডারের পণ্য উৎপাদন করতে হবে।তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, ট্রাক ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। এসবের সাথে শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হবে। লস থেকে বেঁচে থাকতে হলে অনেক কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কেনো উপায় থাকবে না।ফারুক হাসান বলেন, আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে ফরেন এক্সচেঞ্জের ওপর। গত বছর যে রপ্তানি আয় হয়েছে তার ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক খাতের মাধ্যমে। এ কারণে এখনও মুদ্রাস্ফীতি আমাদের সেভাবে বাড়েনি। কিন্তু নতুন করে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। দেশের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম না বাড়ানো উচিৎ ছিল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না। পুরোনো অর্ডারগুলোতেই অনেক লস হবে। নতুন করে প্রোডাকশনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে পিছিয়ে যাব।সুত্রঃ ঢাকাপোস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ আগস্ট ২০২২


বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে।শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা লিটার ও পেট্রল ১৩০ টাকা লিটার হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২২


বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে : ইকোনমিক টাইমস

বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে : ইকোনমিক টাইমস

করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ আর্থিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকলেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল জোরালো। আবার চলতি বছরের শুরু থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ভুগতে শুরু করেছে বিশ্বের বহু দেশ।তবে আঞ্চলিক ভূ-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও নিজেদের অর্থনীতি স্থিতিশীল রেখেছে বাংলাদেশ। সোমবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় পার করে বাংলাদেশ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। উৎপাদন খাতের বিস্তৃত ভিত্তি এবং অবকাঠামো প্রকল্পে উদ্দীপনাসহ এটি এশিয়ার জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনীতি হতে পারে।১৯৭১ সালের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘তলাহীন ঝুড়ি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এরপর সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। সদ্য উদ্বোধন হওয়া পদ্মা সেতুটি সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সেতুর অর্থায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তারাই এখন এটি সম্পূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত সড়ক-রেল সেতু (পদ্মা সেতু) গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। এই সেতুটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এছাড়া এই সেতুর কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তিও হয়েছে অনেক শক্ত।এমনকি আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা মহামারির আগেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ওপরে ছিল। ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮ শতাংশ। একইসময়ে পাকিস্তানের এই হার ছিল ৫.৮ শতাংশ।বাংলাদেশ নিজেই নিজেকে উন্নয়নের একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। ভিশন-২০৪১ নামের এই রোডম্যাপের লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে প্রকট দারিদ্র্যের অবসান এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া। আর এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়াই বাংলাদেশের লক্ষ্য। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রেও অগ্রগতি অর্জন করছে বাংলাদেশ।কৃষি থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং জাহাজ নির্মাণ থেকে গার্মেন্টস পর্যন্ত বাংলাদেশের শিল্প ভিত্তি ক্রমেই বৈচিত্র্যময় হচ্ছে এবং দেশটির রপ্তানি বাড়ছে। আবার বাংলাদেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ দেশটির অর্থনীতিকে সমান গতিতে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে লাগাম, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স নগদ প্রণোদনা এবং বিলাসবহুল পণ্যের ওপর কর আরোপ; এই সবই বাংলাদেশকে তার রিজার্ভ তৈরি করতে সাহায্য করছে, যেন সহজেই আমদানির চাহিদা মেটানো যায়।এছাড়া রপ্তানি বাড়ানো এবং আমদানি কমানোর বিষয়ে সরকারের নেওয়া নীতি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে শুরু করেছে। যদিও অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না।তবে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে বদ্ধপরিকর। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ হলো- গার্মেন্টস এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরণ করা বৈদেশিক মুদ্রা। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।অবশ্য করোনা মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে, অনেকে ধরে নিয়েছিল যে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ হ্রাস পাবে কারণ অনেক প্রবাসী শ্রমিকদের অনেকে চাকরি হারিয়েছিলেন। তবে, সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাফল্যের কারণে, অনেক বাংলাদেশি বিদেশে তাদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে এসেছেন এবং মহামারির পূর্বের হারে দেশে আবারও বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন।বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২২ সালের বসন্তকালীন বৈঠকে করোনা মহামারি মোকাবিলা এবং এর প্রভাব থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য নেওয়া নীতিগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।এছাড়া বাংলাদেশ গত পাঁচ দশকে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থান দখলে নেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১ হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে ২১ শিশুর মৃত্যু হয়।অর্থাৎ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে শিশুমৃত্যুর হার ৮৫ শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশে এই হার ছিল প্রতি হাজারে ১৪১ জন। অন্যদিকে পাকিস্তানে এখন শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫৫ জন। যা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ আগস্ট ২০২২


‘বছরের শেষ দিকে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে’

‘বছরের শেষ দিকে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে’

চলমান সংকট কাটিয়ে চলতি বছরের শেষ দিকে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের শেষ নাগাদ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসবে। স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।’পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বিদেশি সংস্থা ব্লুমবার্গ এলপি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় ব্র্যান্ডিং: বিশ্বব্যাপী নতুন প্রতিভা এবং বিনিয়োগের আকর্ষণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এ রকম অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা আমাদের আর বেশিদিন দেখতে হবে না। বছরের শেষ নাগাদ কমে আসবে জ্বালানি তেলের দাম৷ সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম কমার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও হ্রাস পাবে।’সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) সেলিব্রেটি হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্লুমবার্গের আঞ্চলিক কৌশলের প্রধান অ্যান্ড্রু বগস।এ ছাড়া সরকারি ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুলাই ২০২২


পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো ওপর গুরুত্বারোপ করলেন সালমান এফ রহমান

পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো ওপর গুরুত্বারোপ করলেন সালমান এফ রহমান

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন ডলারের যোগান বাড়াতে পারলে কোনো সংকটের আশঙ্কাই থাকে না। এর জন্য রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। তৈরি পোশাকের মতো অন্যান্য খাতে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না।তিনি আরও বলেন, ডলার মজুদ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য চাহিদার ওপর ভিত্তি করে এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ঔষধ খাতের রপ্তানি : কৌশল নির্ধারণ’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।উপদেষ্টা বলেন, ওষুধ শিল্পে আমাদের অর্জন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং দক্ষ মানব সম্পদের উপস্থিতির কারণে এ সাফল্য এসেছে। তিনি বলেন, এ শিল্পে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই আমাদের আরও বেশি গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী বেশি হারে বায়োলজিক্যাল ড্রাগ উৎপাদনের প্রবণতা আগামীতে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ব্যবহৃত মোট এপিআই’র ১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়ে থাকে। তবে আরও বেশি হারে মূল্য সংযোজনের নিশ্চিত করার বিষয়টি আমাদের জন্য খুব জরুরি।রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধের প্রবেশাধিকারের বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী তিনি এবং একবার এটা করা সম্ভব হলে ওষুধ শিল্পের বৈশ্বিক ইমেজ তৈরিতে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানি সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পরিষেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।“বেসরকারি খাতকে অনুরোধ করব, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যতটা সাশ্রয়ী হওয়া যায়, সেটা করুন। বিলাসী পণ্য আমদানিও কমাতে হবে” তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী যে জ্বালানি সংকট দেখা যাচ্ছে, আমরা মনে করি সেটা সাময়িক। খাদ্য সরবরাহ নিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত রাসায়নিক সার নিয়ে এ ধরনের আরও কিছু হবে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেল ও এলএনজি সরবরাহ নিয়ে ভালো উদ্যোগ দেখতে পাব।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২২


সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি অনেক কম: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি অনেক কম: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্ক এবং আশপাশের দেশসহ সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি অনেক কম।আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তথ্য অধিদপ্তর প্রকাশিত পদ্মা সেতুভিত্তিক সংবাদ সংকলনের সাতটি খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী। প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির দিকে তাঁকে একটু তাকাতে বলব। ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে—সেটি ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ যুক্তরাজ্যে—৯ দশমিক ১ শতাংশ, জার্মানিতে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, রাশিয়ায় ১৭ দশমিক ১ শতাংশ, তুরস্কে ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নেদারল্যান্ডসে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কায় ৩৯ দশমিক শতাংশ, পাকিস্তানে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ, ভারতেও ৭ শতাংশের ওপরে। আমাদের দেশে মে মাস পর্যন্ত সেটি ৬ শতাংশের একটু ওপরে ছিল, সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে, যেটি আজ সব পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দেশে এখনো এই কম মূল্যস্ফীতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। এবং বিশ্ববাজারে ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে, আমরা আশা করছি দু-এক মাসের মধ্যে এর সুফল পাব।’দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গত অর্থবছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যথার্থ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত করোনা, দ্বিতীয়ত ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী মন্দা চলছে। ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ সমগ্র পৃথিবীতে সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে কদিন আগে সব নাগরিকের কাছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য মোবাইলে বার্তা পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে বার্তাটি পড়ে শোনান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জুলাই ২০২২


বাংলাদেশ ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ, দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়

বাংলাদেশ ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ, দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়

আমরা জানি, একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামষ্টিক মূল্যই হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এ উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হচ্ছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি। জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক।আর এই জিডিপির আকার অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।সম্প্রতি কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট আইএমএফের তথ্যের আলোকে পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক জিডিপির ভিত্তিতে ১৯১ দেশের তালিকা প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৩৯৭ বিলিয়ন বা ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারতই বাংলাদেশের উপরে রয়েছে। দেশটির জিডিপির আকার ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বৈশ্বিক তালিকায় ভারতের অবস্থান ষষ্ঠ। জিডিপির ভিত্তিতে শীর্ষ ৫০-এ দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনও দেশ নেই। প্রতিবেদনে মূলত ট্রিলিয়ন ডলারের মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিধি পরিমাপ করা হয়। বিশ্ব অর্থনীতির আকার ২০২০ সালে ছিল ৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, ২০২২ সালেই বিশ্ব অর্থনীতির আকার (জিডিপির ভিত্তিতে) হবে ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলার। নতুন এই মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে করা জরিপের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জিডিপির আকার ২৫ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক মোট জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ। ১৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে এর পরের অবস্থান চীনের। দেশটির দখলে বৈশ্বিক জিডিপির পাঁচ ভাগের এক ভাগ। ৪ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে জাপানের অবস্থান তিন নম্বরে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে সবচেয়ে বেশি জিডিপি জার্মানির। বৈশ্বিক তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে যুক্তরাজ্য বিশ্বে পঞ্চম। ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান সপ্তম। কানাডার জিডিপির আকার ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার, বৈশ্বিক অবস্থান অষ্টম।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জুলাই ২০২২


আর ধনী থাকতে চান না বিল গেটস

আর ধনী থাকতে চান না বিল গেটস

বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় থাকতে চান না প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি আবারও তাঁর সম্পদ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত বুধবার বিল গেটস তাঁর দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে আরও ২ হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার অনুদান দেন। ফাউন্ডেশনের বার্ষিক কার্যক্রমকে আরও বাড়াতে তিনি এ অনুদান দিচ্ছেন বলে ঘোষণা দেন। এরপর তিনি আরও সম্পদ দান করার প্রতিশ্রুতি দেন। খবর বিবিসিরবর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। তিনি বলেন, সমাজে তাঁর সম্পদগুলো দান করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর আগে বিল গেটস ২০১০ সালে তাঁর সব সম্পদ দান করার ঘোষণা দেন। কিন্তু এরপর থেকে তাঁর সম্পদ দ্বিগুণ হয়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গেটসের সম্পদমূল্য ১১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে জুলাই মাসে দান করা সম্পদ ফাউন্ডেশনে চলে গেলে গেটসের মূল সম্পদ অনেক কমে যাবে। ২২ বছর আগে বিল গেটস ও তাঁর সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস মিলে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এটিকে বিশ্বের অন্যতম বড় দাতব্য সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।টুইটারে বিল গেটস বলেছেন, তাঁর ফাউন্ডেশন থেকে বার্ষিক সহায়তার পরিমাণ ২০২৬ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ বেড়ে ৬ বিলিয়ন থেকে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। ফাউন্ডেশনে দান করা অর্থ মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে।বিল গেটস বলেছেন, ‘আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সব ফাউন্ডেশনকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমি বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকা থেকে নিচে চলে যাব এবং ধনীর তালিকায় থাকব না। আমার সম্পদ সমাজকে ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যাতে মানুষের দুঃখকষ্ট কমাতে ও জীবনকে উন্নত করার জন্য প্রভাব ফেলে। আমি আশা করি অন্য ধনকুবেররাও এতে এগিয়ে আসবেন।’বিল গেটসের নতুন এই অনুদানের মধ্য দিয়ে ২২ বছরের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটসের অনুদানসংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে পাওয়া ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অনুদানও রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুলাই ২০২২


টাকায় 'চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে কেন লেখা থাকে

টাকায় 'চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে কেন লেখা থাকে

যে কারণে টাকায় লেখা থাকে ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’টাকার গায়ে লেখা থাকে ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’। কিন্তু কখনো চিন্তা করেছেন কি, কেন টাকার নোটে লেখা থাকে চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে?এই প্রশ্নের উত্তর খুব সোজা। এজন্য আপনাকে অর্থনীতিবিদ হতে হবে না। তবে জানতে হবে এর পেছনের কথা।আমরা জানি, বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কথা হলো এই মুদ্রা আসলে কী? মুদ্রা বলতে কী বোঝায় সেই সম্পর্কে একটু ধারণা রাখা ভালো।‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকা’ কথাটার অর্থ কিছুটা জটিল। ব্যবহারকারী বা বিনিময়ের সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সরকারি মুদ্রা হলো দুটি। এক ও দুই টাকার নোট কিংবা কয়েন হলো সরকারি মুদ্রা। আর বাকিগুলো হলো সমপরিমাণ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো ‘বিল অব এক্সচেঞ্জ’।বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার বিপরীতে নোট ছাপে। তাই এটা বাংলাদেশের জনগণের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জুলাই ২০২২


উৎসে কর ০.৫০% বহাল রাখার দাবি বিজিএমইএ’র

উৎসে কর ০.৫০% বহাল রাখার দাবি বিজিএমইএ’র

পোশাক রপ্তানির ওপর উৎসে কর ০.৫০% বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক রপ্তানির উপর উৎসে কর ০.৫০% থেকে বৃদ্ধি করে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত দুরুহ হবে। যখন কি না এ শিল্প মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তাই কর বাড়ানোর জন্য এটা সঠিক সময় নয়। বর্তমানে অস্থিরতাময় বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি আমাদের পোশাক শিল্পের জন্যও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে এই উৎসে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব পোশাক শিল্পের টিকে থাকার সংগ্রামটি আরও কঠিন করে তুলবে।তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে একদিকে যেমন জ্বালানি তেলসহ খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে ইউরোপসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাও বাড়ছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতিও তীব্র আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশগুলো সুদের হার বাড়াচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের পণ্যের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতা কমেছে এবং সামনে আরও কমে আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।তিনি আরও বলেন, গত ৭ জুন বিশ্ব ব্যাংক তাঁদের সর্বশেষ Global Economic Prospects প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং স্থবির চাহিদার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা তীব্র হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, পোশাক রপ্তানিতে বর্তমানে যেই প্রবৃদ্ধিটি দেখা যাচ্ছে, সেটি আগামীতে চলমান থাকার লক্ষণ আমরা দেখছি না। বরং বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, যেখানে ২০২১ সালে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৩%, সেটা ২০২২ সালে ৪% এ নেমে আসবে।সেই সাথে শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহ, কনটেইনার ভাড়া, ডিজেলে মূল্যসহ সামগ্রিক উৎপাদন খরচ বিগত ৫ বছরে গড়ে প্রায় ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সম্প্রতি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ডলার শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে। ডলারের বিপরীতে ইউরো যেভাবে মান হারাচ্ছে, তাতে করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউরো ও ডলারের মূল্য সমান পর্যায়ে চলে আসতে পারে, অর্থাৎ ১ ইউরো নিয়ে ১ ডলার পাওয়া যাবে। ফলে ইউরোপের বাজারে আমাদের পণ্যের মূল্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়াটা অস্বাভাবিক নয়,’ যোগ করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২২