‘বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে একটি মাত্র পথ হচ্ছে—নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

‘বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে একটি মাত্র পথ হচ্ছে—নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে চিরকালের জন্য সহিংসতা বন্ধ করার একটি মাত্র পথ হচ্ছে— নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবারও চালু করা।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে— তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। আরে সংবিধান পরিবর্তন করেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়েছিল। আমরাই (বিএনপি) সংবিধান বদল করে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) করেছিলাম। এখন আপনাদের (আওয়ামী লীগ) সংসদে মেজরিটি আছে, সুতরাং খুব সহজে সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করুন।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিহাস যেটা বলে, এ ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে এবং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো সরকারই বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী সরকারগুলো দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে। এবার বাংলাদেশে যেটা দেখা যাচ্ছে যে খুন-গুমের মধ্যেই মানুষ জেগে উঠেছে।

তিনি বলেন, ভোলায় গুলি হওয়ার পরও সাধারণ মানুষ ভয় পায়নি। নেতাকর্মীরাও ভয় পাননি। একইভাবে তারপর থেকে সারা দেশে আন্দোলনগুলো চালিয়ে যাচ্ছে তারা। শুধু শহরগুলোতে নয়, গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যন্ত বড়-বড় মিছিল হচ্ছে। আমরা মনে করি, মানুষ জেগে উঠেছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গণতান্ত্রিক দল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের দাবি খুবই সামান্য। নির্বাচনকে নির্বাচনের মতো করে করা। নির্বাচনকে ঠিক করা, সুস্থ করা। নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সুতরাং তাদের পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

রাজনীতি