রাজধানীর মোহাম্মদপুরের যুব ও মহিলালীগের সক্রিয় কর্মী ইয়াসমিন আক্তারের ফ্লাট বাসায় হামলা চালিয়ে দখল করে নেয় দূর্বৃত্তরা, সাথে ভাংচুর ও লুটপাট করে ঐ ফ্লাটের ভারাটিয়াদের বের করে দেওয়া হয় । এছাড়াও গ্রামের বাড়ির জমি ও বসত ভিটা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গেল ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে চলে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রাণভয়ে আত্মগোপনে চলে যান, এই সুযোগে সারাদেশে অরাজকতার সৃষ্টি হয়। সারাদেশে ভাংচুর, লুটপাট চালায় কিছু দূর্বৃত্তরা। ৭ আগষ্ট বুধবার আনুমানিক বিকাল ৩টায় এই ঘটনার শিকার হয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর খিলজি রোডের 'ব্লক বি' এর টিসিএল মাছুদ গার্ডেনের ৬ তলার ইয়াসমিন আক্তারের ফ্লাটে।জানা যায়, জোর জবরদস্তি করে ফ্লাট দখল করে নিয়েছে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এছাড়াও ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার জেলার তিতাস উপজেলার পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখল করে দূর্বৃত্তরা। এলাকার পরিচিত মুখ হওয়ায় এবং রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় ইয়াসমিন আক্তার প্রাণের ভয়ে তার মেয়ের পরিবারের সাথে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে প্রবেশ করলে প্রাণনাশের আশঙ্কা আছে বলে জানান তিনি।এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ঢাকায় থাকা ইয়াসমিন আক্তারের দ্বিতীয় মেয়ের সাথে, তিনি বলেন- আমার মা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আমাদের ঢাকায় ফ্লাট ও গ্রামের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে।আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইয়াসমিন দেশে ফিরতে পারবেন কি না এবিষয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪–দলীয় জোটের শরিকেরা সম্মানজনক আসন প্রত্যাশা করছে। বর্তমান সংসদে শরিকদের ১০ জন (২ জন সংরক্ষিতসহ) সংসদ সদস্য আছেন। এবার শরিকদের প্রত্যাশা ২০টি আসন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসভবনে বৈঠক করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। পরে শরিকদের ওই প্রত্যাশার কথা সাংবাদিকদের জানানো হয়।এর আগে ১৪–দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার বৈঠক করেন। সেখানে জোটের দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের পক্ষ থেকে ছয়টি করে আসন ছাড়ের জন্য তালিকা আমির হোসেন আমুর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, জোটের পক্ষ থেকে একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে, আগের চেয়ে কিছু আসন বেশি চেয়েছে ১৪ দল। তিনি বলেন, জোটের মর্যাদা-সম্মান রক্ষা করে যেন আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।তবে হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, আসন ভাগাভাগি যেন জোটের জন্য সম্মানজনক হয়, সেটাই প্রত্যাশা। জোটের এখন ১০ জন (২ জন সংরক্ষিতসহ) সংসদ সদস্য আছেন, প্রত্যাশা ২০ জনের। জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে জানিয়ে ইনু বলেন, যেখানে জোটের প্রার্থী আসবেন, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবেন। জোটের প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবেন।আমির হোসেন আমু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কিছু আসনে আমরা একসঙ্গে নির্বাচন করব। আর কিছু আসনে শরিক দলগুলো নিজেদের মতো নির্বাচন করবে। একসঙ্গে নির্বাচন করা আসনগুলোয় শরিকেরা নৌকা প্রতীক ব্যবহার করবে। বাকি আসনগুলোয় তাদের নিজেদের প্রতীক ব্যবহার করবে।’১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক বলেন, ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, আগামীকাল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট (শক্তিশালী) প্রার্থী আছে। ১৪ দল আদর্শিক জোট। আসন বিন্যাসের ওপর জোটের সম্পর্ক নির্ভর করে না। অন্যান্য দলের মতো ১৪ দল ভাগাভাগির জোট নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
সারা দেশে ৩০০ আসনেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আজ রোববার বিকেলে তালিকা প্রকাশ করা হবে। আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, আলোচিত অনেকে বাদ পড়তে পারেন। বাদ পড়া সদস্যের সংখ্যা অর্ধশত হতে পারে। এমন অনেকেই মনোনয়ন পেতে পারেন, যাঁরা এই প্রথম দলের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম মাহমুদ, আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। অনেক নতুন মুখ আসতে পারে।তবে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের কেউ বাদ পড়ছেন না বলেও দলটির সূত্রগুলো জানাচ্ছে।গত বৃহস্পতিবার থেকে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে টানা বৈঠক করছে। গতকাল শনিবার রাতে দেশের আট বিভাগের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তবে এবার বোর্ডের বৈঠকের স্থান এবং কারা বাদ পড়ছেন, এই বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়।আজ সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সব মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁদের দিকনির্দেশনা দেবেন। বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে দলীয় ফরম বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলালসহ কমপক্ষে ছয়জন নেতার আসনে বাড়তি কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। বাকি আসনের জন্য ৩ হাজার ৩৫৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৮ জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্য বাদ পড়েছিলেন। ২০১৪ সালের ভোটে বাদ পড়েছিলেন ৬৩ জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্য।ঢাকায় পরিবর্তন অনেক:রাজধানী ঢাকাতেই বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন আনা হতে পারে। দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খানের পরিবর্তে এবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি ২০০৮ সালে এই আসন থেকে জয়ী হয়ে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বাদ পড়তে পারেন বলে জানা গেছে। তাঁর জায়গায় চিত্রনায়ক ফেরদৌস মনোনয়ন পেতে পারেন।আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকা-৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দলটির সূত্র জানায়। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ১৪ দলের শরিক ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বাহাউদ্দিন নাছিম ২০১৪ সালে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি কোথাও সুযোগ পাননি।ঢাকা–৪ আসনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম মনোনয়ন পাচ্ছেন। এখানে বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। ঢাকা-১১ আসনে রহমতুল্লাহর পরিবর্তে ওয়াকিল উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।ঢাকা-৫ আসনে কাজী মনিরুল ইসলামকে বাদ দেওয়ার আলোচনা আছে। এই আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন মশিউর রহমান মোল্লা। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে এবার ঢাকা-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ।ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তবে এবার তিনি এবং তাঁর দুই ছেলে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বড় ছেলে সোলায়মান সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন যুবলীগের নেতা মাইনুল হাসান খান। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আগা খান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলালসহ কমপক্ষে ছয়জন নেতার আসনে বাড়তি কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। বাকি আসনের জন্য ৩ হাজার ৩৫৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি।টাঙ্গাইলের দুটি আসনে পরিবর্তনের কথা শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সদর আসন টাঙ্গাইল-৫–এ যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদের মনোনয়ন পাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সানোয়ার হোসেন। টাঙ্গাইল-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান। তিনি হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের বাবা। এবার এই আসনে পরিবর্তনের কথা এসেছে। নতুন মুখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান সেখানে মনোনয়ন পেতে পারেন।আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ এবার ফরিদপুর-৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। সেখানে মুজিবুর রহমান চৌধুরী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। ফরিদপুর-১ আসনে মঞ্জুর হোসেনের বদলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান মনোনয়ন পাচ্ছেন। ফরিদপুর-৩ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পরিবর্তে জেলা সভাপতি শামীম হক মনোনয়ন পেতে পারেন।বাদ পড়তে পারেন মহীউদ্দীন খান আলমগীরচট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বাদ পড়তে পারেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। চাঁদপুর–২ আসনে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া)। এই আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য রয়েছেন নুরুল আমীন।চট্টগ্রাম–১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন মাহাবুবুর রহমান। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা মোশাররফ হোসেনের ছেলে। মোশাররফ হোসেন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না। চট্টগ্রাম–৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বাদ পড়ছেন। এই আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন এস এম আল মামুন। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কাসেমের ছেলে। চট্টগ্রাম–৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে এম এ সালামকে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।মনোনয়ন পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ও তাঁর সহধর্মিণীরাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর বাদ পড়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তাঁর জায়গায় মনোনয়ন পাচ্ছেন দলের কেন্দ্রের একটি উপকমিটির সদস্য আয়েশা আকতার জাহান। তিনি রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী।মাগুরায় সাকিব, যশোরেও নতুন মুখমাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে রাজনীতিতে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করতে যাচ্ছেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন। তাঁর বাবা মাগুরা-২ আসন থেকে চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।সাকিব আল হাসান মাগুরা-১, মাগুরা-২ ও ঢাকা-১০ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।যশোর-২ আসনে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা পাচ্ছেন তৌহিদুজ্জামান। তিনি একজন চিকিৎসক এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদের জামাতা। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন।দেশের উত্তরে কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরীর মনোনয়ন পাওয়ার কথা জানা গেছে। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর।বাদ পড়ছেন পঙ্কজ, পাচ্ছেন শাম্মীবরিশাল-৪ আসনে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথের জায়গায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। বরিশাল-২ আসনেও পরিবর্তন আসছে। ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ ই আলম বরিশাল-২ আসন পাচ্ছেন না। এই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুসকে বাছাই করা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমুর বোন সুলতানা নাদিরা এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি বরগুনা-২ (বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সবুরের সহধর্মিণী। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান।মনোনয়নের আলোচনায় আইজিপির ভাইজাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেনকে বাদ দেওয়ার আলোচনা চলছে। এই আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জিত সরকার। সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন শফিকুর রহমান। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির খান। সিলেট-৫ আসনে হাফিজ আহম্মেদ মজুমদার বাদ পড়তে পারেন। এই আসনে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন সিলেট মহানগর সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ।সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে দুবারের সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তকে পরিবর্তনের আলোচনা আছে। এই আসনটিতে সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন জয়া সেনের স্বামী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এবার এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি সংসদ সদস্য হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন। তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই।মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। গত নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে এই আসনে সংসদ সদস্য হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।নতুন মুখ সাবেক মুখ্য সচিবজামালপুর-৫ আসনে নতুন মুখ আসছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি দলের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে যে একটি কমিটি কাজ করছে, এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন। জামালপুর-৪ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বাদ পড়ছেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি সেখানে মনোনয়ন পেতে পারেন।নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বাদ পড়তে পারেন বলে আলোচনা আছে। তাঁর জায়গায় মোশতাক আহমেদ রুহীর প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে। এই আসনে তিনি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বাদ পড়তে পারেন। এখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানা গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে আটকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে দুদুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়েছেন তিনি।সোমবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ এখন একাত্তরের দুর্বিষহ দিনগুলোর চেয়েও চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। সেই সময় দেশের মানুষ যেমন হানাদার বাহিনীর ভয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পালিয়ে বেড়াতো, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী কাল পরও তেমনই এদেশের মানুষ এখন আওয়ামী স্বৈরশাসকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।তিনি বলেন, পুলিশ দিনরাত নেতাকর্মীদের ধরতে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। টার্গেট ব্যক্তিকে বাসায় না পেয়ে তাদের বাবা-ভাই কিংবা অন্য সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। আটক নেতাকর্মী কিংবা তাদের আত্মীয়-স্বজনকে থানায় নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করছে। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে দেশে শুরু হয়েছে স্বৈরশাহীর মহাতাণ্ডব। তবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই রয়ে যাবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর পতন ঘটাতে বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশবাসী সব সময় তাঁর দলের পাশে আছে। তাই আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী-অঙ্গসংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এই মতবিনিময় করেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামনে আগামী নির্বাচন। আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, জনগণ তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে সব সময় আমাদের পাশে আছে।’বারবার প্রাণনাশের চেষ্টা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বুলেট ও বোমার মুখোমুখি হয়ে তাঁরা আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।শেখ হাসিনা বলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি কাজ দিয়েছেন এবং কাজটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে রক্ষা করবেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাকে রক্ষা করতে উপরে আল্লাহ আছেন আর মাঠে আমার দলের নেতা-কর্মীরা আছেন। যখনই আমার ওপর কোনো হামলা হয়, আমার দলের লোকেরা সব সময় আমাকে রক্ষা করে।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ নেতা-কর্মী নিহত হন। এ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, দলের লোকেরা তাঁদের জীবনের বিনিময়ে মানবঢাল বানিয়ে তাঁর প্রাণ রক্ষা করেছেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, এটাই বড় কথা।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে উন্নত ও সুন্দর জীবন দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জনগণের কল্যাণে সম্ভাব্য সবকিছু করছি।’বারবার ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁর টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আমার আপনজনদের হারানোর পর দেশের মানুষ এবং আমার দলের নেতা-কর্মীরাই আমার স্বজন।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাছের মানুষগুলো আমার পাশে না থাকলে সফল হওয়া সম্ভব হতো না।’বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা-খাদ্যসংকটের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়াতে বলেন। তিনি বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনুন। আমাদের নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করতে হবে।’প্রধানমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে মহাসমাবেশে ভাষণ দেন। পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া যান। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করেন। আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ অক্টোবর ২০২৩
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্ত ও বিচার পুরোটাই আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সাজানো নাটক’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি অভিযোগ করে তিনি দাবি করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের যাদের সাজা হয়েছে, তারা সবাই নির্দোষ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে সুষ্ঠুভাবে তদন্তের দাবিও জানান তিনি। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে সেখানে দলটির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি নির্ধারণে যৌথ সভা হয়। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে সভায় দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব, যুগ্মমহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিও তুলে ধরা হয়।২১ আগস্টের ঘটনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম জঘন্য ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলে এসেছি-একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত হোক। কিন্তু নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়নি। ২১ আগস্টের ঘটনাকে আমরা নিন্দা করি। এটা নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম জঘন্য একটি ঘটনা ও নিন্দনীয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে অযথা নেতাদের নাম দিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা লোটা হচ্ছে। এটা কেউ সমর্থন করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, পুরো বিষয়টি একটি সাজানো নাটক। কারণ, যেখানে মিটিং (২০০৪ সালের ২১ আগস্ট) হওয়ার কথা ছিল, সেখানে মিটিং না হয়ে অন্য জায়গায় শিফট করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে অবহিত করা হয়নি।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনবার এফআইআর হয়েছে। এফআইআরে একবারও তারেক রহমানের নাম ছিল না। এক ব্যক্তি, যিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন-কাহার আকন্দ, যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তাকে পুনরায় চাকরি দিয়ে আইও করা হয়। সেই লোক তখন তারেক রহমানের নাম সেখানে দিলেন। তারেক রহমানের নাম পুরো তদন্তের কোথাও উচ্চারিত হয়নি।’১৪৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার পর মুফতি হান্নানকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করানো হলো। তবে পরে আবার অ্যাফিডেভিট (হলফনামা) দিয়ে তিনি তা অস্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি।তড়িঘড়ি করে অন্য একটি মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে, তাকে আর আদালতে আসার সুযোগই দেওয়া হয়নি। এটাকে আমরা কী বলব? তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের নাম এখানে জড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমার কাছে রেকর্ড আছে-সময় পেলে আপনাদের দেখাব।আমরা আবারও বলছি, তারেক রহমান, আবদুস সালাম পিন্টু এবং লুৎফুজ্জামান বাবর-কেউই এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের নাম এ মামলায় দেওয়া হয়েছে।মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দেশে ভয়াবহ কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। এ আশঙ্কার কথা বলা দরকার, জাতির জানা উচিত। সরকার দেশে ভয়াবহ কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা করছে-যাতে নির্বাচনে বিরোধী দলকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করা যায়। তারা আরেকটি নির্বাচন করতে চায়, যেমন অতীতে করেছে।রোববার ছাত্রদল নেতাদের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এগুলো (অস্ত্র) তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর) রেখে দেওয়া অস্ত্র। অর্থাৎ, তাদের উদ্দেশ্য হলো-এগুলো করবে, গোলযোগ সৃষ্টি করবে আর বিএনপির ওপর দোষ চাপাবে।মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসেছে, ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে। মেগা প্রকল্প, রেল প্রকল্প, ফ্লাইওভার-এগুলো কার জন্য? জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভরার জন্য। ৮০ পারসেন্ট চুরি করে, ২০ পারসেন্টে কোনো রকমে কাজ করে।আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হইনি। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি। তাদের নিয়েই আমরা আছি। আজ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। সেই বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এ ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমেরিকার কেউ স্বীকার করেননি।ভারতেরও কেউ স্বীকার করেননি।’ তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছরে আমরা সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছি। এ সরকার দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা ধ্বংস করেছে। প্রশাসনসহ সবকিছু ধ্বংস করেছে। একটি কোম্পানি ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ, তাদের নিজেদের লক্ষ্য সেটা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ আগস্ট ২০২৩
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বলেন, ‘সূর্য যদি সত্য হয়, পৃথিবী যদি সত্য হয়, আমাদের দেশপ্রেম যদি সত্য হয় তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’ শনিবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দিনের অবস্থা খারাপ, দেশের অবস্থাও খারাপ। আপনারা একটা বিশ্বাস নিয়ে যেতে পারেন। এই বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।’তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৯৯৪-৯৬ সালে যে দাবি করেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ছিল না। তখন যদি শেখ হাসিনার মাথায় তত্ত্বাবধায়কের ভূত না চাপতো তাহলে এখন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করতাম না। সে সময় শেখ হাসিনা, জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলো মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিল। তিনি (হাসিনা) বলেছিলেন, আমি আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বাসী। আজ তিনি যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখতে চাচ্ছেন না, তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করেছিলেন তার জন্য জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে। আওয়ামী লীগ কি বলল, কি ভাবলো, কি করলো এই নিয়ে দেশবাসীর কোনো চিন্তা করে না।’তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রেখেছে। বিচারের নামে তার ওপর প্রহসন করা হয়েছে। তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান একটি সুনামধন্য পরিবারের সন্তান তিনি কোনো রাজনৈতির সঙ্গে জড়িত নয়। কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না। তার নামেও মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তবে এসব করে লাভ হবে না। কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল জাতীয়তাবাদী দল।’ এ সময় নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং বিএনপি যে কর্মসূচি দেবে তাতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানন তিনি।দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির সহ তত্ত্ব বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষকদলের সাবেক নেতা এস কে সাদি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৩
সরকার পতনের একদফা দাবিতে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফের মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এজন্য আরও সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলন সফল করতে কেন্দ্র থেকে তৃনমূল-সব পর্যায়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে এবার সমন্বয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।নেতাকর্মী ও শরিকদের অন্ধকারে না রেখে সবার মত নিয়ে চূড়ান্ত করা হচ্ছে নতুন কর্মসূচি। আপাতত ঢাকায় টানা আন্দোলনের পরিবর্তে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ, পদযাত্রাসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিতে চায়। সময় ও সুযোগবুঝে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই দাবি আদায়ের পরিকল্পনা দলটির।সম্প্রতি ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি পালনে কী কী দুর্বলতা ছিল, তাও চিহ্নিত করেছে বিএনপি। সে অনুযায়ী আগামী দিনের কর্মসূচি সফলে করণীয় নিয়ে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ নিচ্ছেন দলটির হাইকমান্ড। নতুন কর্মসূচি প্রণয়নে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোট নেতাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে একদফা দাবিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার আবারও একটি একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এবার সেই সুযোগ পাবে না। গণ-আন্দোলনে সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। কারণ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। সরকারের পদত্যাগে একদফা দাবিতে শিগগিরই ঘোষণা করা হবে নতুন কর্মসূচি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হবে এ সরকারের পতন।’শুক্রবার নয়াপল্টনের সমাবেশে সরকার হটানো আন্দোলনে মরণপণ যুদ্ধের সর্বাÍক প্রস্তুতি নেওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারকে আরেক ধাক্কা দিতে হবে। সামনে এর বিকল্প কোনো পথ নেই। আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। জাতির অস্তিত্বের জন্য সরকার পতন আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে-সেটাই হচ্ছে জনগণের একমাত্র চাওয়া।’সূত্র জানায়, দুদিন ধরে গুলশান কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এসব বৈঠকে সমমনা দলের একাধিক নেতার আশঙ্কা-আন্দোলন দমাতে হামলা-মামলা ও দমন-পীড়নের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় হঠাৎ করে কর্মসূচি পরিবর্তন করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনায় একাধিক কর্মসূচি রাখা উচিত। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা যায়।সমমনা দলগুলোর একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, বিএনপির দীর্ঘদিনের জোট শরিক ছিল জামায়াতে ইসলামী। যুগপৎ আন্দোলনে তাদেরও যুক্ত করার প্রয়োজনীতার কথা উঠেছে বিভিন্ন ফোরামের বৈঠকে। জামায়াতকে সঙ্গে নিতে বিএনপিতে পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্র“প থাকলেও আন্দোলন ও ভোটের মাঠে তাদের গুরুত্ব অনুধাবনের কথা বিবেচনায় নেওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে।সম্প্রতি বিএনপির দুজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথাও হয়েছে। যে কারণেই অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে সাজার সমালোচনা করে জামায়াতে ইসলামী বিবৃতি দিয়েছে। জামায়াত এখন পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করলেও সামনে একপর্যায়ে যুগপৎ আন্দোলনেও থাকবে।বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, ঢাকার প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি তাদের সরকার পদত্যাগের চ‚ড়ান্ত কর্মসূচি ছিল না। ঢাকায় মহাসমাবেশ ও প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি জানান দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর পাশাপাশি সরকারের ভ‚মিকাও প্রকাশ্যে আনা সম্ভব হয়েছে। তারা মুখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও বাস্তবে তাদের পরিকল্পনা ভিন্ন। বিরোধী দলকে মাঠ ছাড়া করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আবার যেনতেন একটি নির্বাচন করাই সরকারের মূল লক্ষ্য-সেটাই উšে§াচিত হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে সরকার বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তোয়াক্কা করছে না বলেও প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে।তারা আরও জানান, অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের কিছু দুর্বলতাও চিহ্নিত করা গেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে দলীয় হাইকমান্ডকে কথা দিয়েছিল ওই কর্মসূচিতে থাকবেন। সে অনুযায়ী অনেককে প্রবেশপথের কর্মসূচিতে দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাই কর্মসূচিতে অংশই নেননি। এমনকি আশপাশের জেলার শীর্ষ নেতাদের সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে থাকার কথা থাকলেও সেভাবে যাননি।গাজীপুর জেলা ও মহানগরের উদাহরণ দিয়ে নেতারা জানান, উত্তরার বিএনএস ভবনের সামনে বৃহত্তর উত্তরাসহ পাশের গাজীপুর মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীদেরই বেশি থাকার কথা ছিল। কিন্তু উত্তরার নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও ওই দুই সাংগঠনিক জেলার একবারেই কমসংখ্যক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। আগের দিন মহাসমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় থাকলেও অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সমন্বয় না থাকায় তাদের অর্ধেকও নামানো যায়নি।সূত্রমতে, অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে নেতাদের কার কী ভ‚মিকা ছিল তা ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়েছেন। সমস্যা চিহ্নিতও করা হয়েছে। তাই আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি সফলে সমন্বয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। সেভাবেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। চ‚ড়ান্ত আন্দোলনে সবাইকে মাঠে নামার জন্য যা যা করণীয় তা ঠিক করা হচ্ছে। সব প্রস্তুতি নিয়েই এবার মাঠে নামা হচ্ছে।জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগান্তরকে বলেন, সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ে দেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এ সরকারকে আর এক মুহূর্তও দেখতে চায় না জনগণ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে তা দমন করা যাবে না। রাজনীতি হচ্ছে কৌশলের খেলা। সেই খেলায় বিএনপি আপাতত এগিয়ে রয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একদফা আন্দোলনে আমরাই জয়ী হব।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ আগস্ট ২০২৩
স্বল্প সময়ের নোটিশে দলের নেতা-কর্মীদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজপথে নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মূলত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের আন্দোলন লক্ষ্য রেখেই এই প্রস্তুতি। এ জন্য আগামী ৬ আগস্ট আওয়ামী লীগের সারা দেশের সর্বস্তরের কমিটির শীর্ষ নেতাদের ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। ওই দিন গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৬ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভাকে দল খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। মূলত তৃণমূলের কথা শুনবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। আবার তৃণমূলকে নির্দেশনা দেবেন তিনি। মূল লক্ষ্য আসন্ন নির্বাচন। ভোটে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, বর্ধিত সভার মূল লক্ষ্য হচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আশ্বস্ত করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় প্রধানের বার্তা থাকবে—সংবিধান মেনে সময়মতো। দেশে নির্বাচন হবে। যত বাধা ও চাপ আসুক না কেন, পিছপা হবে না আওয়ামী লীগ। নেতা-কর্মীদের সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে কেউ হারাতে পারবে না—এই বার্তাও দেওয়া হবে। এর বাইরে থাকবে নির্দেশনা। যেমন বিরোধী দল ভোট ঠেকানো ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাবে। তাই নেতা-কর্মীদের স্বল্প সময়ের নোটিশে যেকোনো কর্মসূচি পালন কিংবা রাজপথে অবস্থান নেওয়ার মতো প্রস্তুতি নিতে হবে। আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নির্বাচন কিংবা বিরোধী দলের আন্দোলন—যেকোনো বিষয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দলে ঐক্য দরকার। কিন্তু তৃণমূলে অনেক জায়গায় দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই ধারায় বিভক্ত। সংসদ সদস্যের সঙ্গে দলের দায়িত্বশীল নেতাদের বিভেদ প্রকট। একজনের সঙ্গে অন্যজনের মুখ-দেখাদেখি বন্ধ—এমনও রয়েছে অনেক এলাকায়। বিবদমান সবাইকে এক জায়গায় এনে ঐক্যের ডাক দেওয়া হবে। ওই নেতা আরও বলেন, এবার নির্বাচনে স্লোগান হবে—নৌকা যাঁর, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর। দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষে একযোগে কাজ করার বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিশেষ বর্ধিত সভাকে দল খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। মূলত তৃণমূলের কথা শুনবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। আবার তৃণমূলকে নির্দেশনা দেবেন তিনি। মূল লক্ষ্য আসন্ন নির্বাচন। ভোটে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। দেশে নির্বাচন হবে। যত বাধা ও চাপ আসুক না কেন, পিছপা হবে না আওয়ামী লীগ। নেতা-কর্মীদের সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে কেউ হারাতে পারবে না—এই বার্তাও দেওয়া হবে।আওয়ামী লীগের পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বর্ধিত সভার গুরুত্ব নিয়ে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের মূল কথা হচ্ছে, মার্কিন ভিসা নীতি, নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন কর্মসূচিতে বেশি বেশি লোক জমায়েতের চেষ্টা—এসব বিষয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে। জেলা, উপজেলা, এমনকি অনেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা ‘সামনে কী হবে?’ এমন প্রশ্নে করেন। তাঁদের কণ্ঠে কিছুটা উদ্বেগ আছে।একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। ঢাকায় বর্ধিত সভার মাধ্যমে বিভেদ কমানো এবং আশ্বস্ত করতে পারলে রাজপথে এর ফল পাওয়া যাবে। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির কারণে এবার শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচিতেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে শোকের কর্মসূচি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে সীমাবদ্ধ থাকত। এবার সভা-সমাবেশে জোর দেওয়া হচ্ছে।বর্ধিত সভায় যাঁরা থাকবেনবর্ধিত সভাটি ৩০ জুলাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন। ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রংপুরে সমাবেশ আছে। সব জেলা থেকে প্রতিনিধিদের আসা নিশ্চিত করতেই ৬ আগস্ট বর্ধিত সভার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।সূত্র আরও জানায়, বিশেষ বর্ধিত সভায় তিন হাজারের মতো দলের নেতা অংশ নিতে পারেন। তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে আগামী নির্বাচন ও বিরোধী দলের আন্দোলন সম্পর্কে বক্তব্য শোনা হবে। আর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারের উন্নয়ন-অর্জন প্রচারের জন্য বই, সিডিসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হবে তৃণমূলের নেতাদের। তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে নির্বাচনের আগে এর প্রচার চালাবেন। বর্ধিত সভায় দলের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সবাই অংশ নেবেন। জেলা/মহানগর এবং উপজেলা/থানা/পৌরসভার পর্যায়ের দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইভাবে সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা অংশ নেবেন সভায়। এ ছাড়া দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়রদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জুলাই ২০২৩
জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার সকালে ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ কেন মধ্যস্থতা করতে যাবে— প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকটে সমাধান হলো আমাদের সংবিধান। সংকটে আর কোনো সমাধান নেই। সংবিধানই যদি কোনো দেশের সমাধান না দিতে পারে তা হলে সে দেশে গণতন্ত্র হবে কি করে?তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব। বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহ্বান করেছিলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র হঠাৎ করে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।মন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা, বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। সময় বলে দেবে কখন কী হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজ নালিশের রাজনীতি করছে। কি পেয়েছে? তারা আমেরিকায় নালিশ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে তারা কি পেয়েছে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। এখন তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায়। এই তত্ত্বাবধানে আবার নতুন সূত্র তুলে ধরছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ জুন ২০২৩
সরকারবিরোধী দলগুলোকে সাথে নিয়ে ধীরে ধীরে চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিএনপি। দলটি ঢাকা অভিমুখে চূড়ান্ত এবং শেষ কর্মসূচি পালনের বিষয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা শুরু করেছে। তবে তার আগে এ মাসের শেষে কিংবা জুনের প্রথমার্ধে এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে রোডমার্চের মতো জনসম্পৃক্ততামূলক কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী সপ্তাহে দলটি রোডমার্চ কিংবা এ ধরনের একাধিক কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।বিএনপি নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছে, নতুন কর্মসূচির পথ ধরে বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে চায়। এই জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও বিএনপি সমর্থক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মতামত নিচ্ছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামীকাল ৪ মে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকদের সাথে বৈঠক করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরই মধ্যে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সাথে বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়েছেন দলের লিয়াজোঁ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এসব মতামত নিয়ে স্থায়ী কমিটির পরবর্তী সভায় আলোচনা করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।কর্মসূচি নিয়ে গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় আলোচনা হয়েছে। সেখানে নেতারা দ্রুত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।বৈঠকে নেতাদের কয়েকজন বলেন, গত কয়েক মাসে বিএনপি প্রায় সব ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে। তাই এবার অধিকতর আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কর্মসূচির পথরেখা তৈরি করতে হবে। এমন কর্মসূচি দিতে হবে যাতে আন্দোলনে গতি আসে। স্থায়ী কমিটির বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে নেতাদের অনেকে রোডমার্চের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা উত্থাপন করেন।বিএনপি নেতারা জানান, এসএসসি পরীক্ষার কারণে কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়টি কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে কোনো বড় ধরনের কর্মসূচিতে যেতে চায় না দলটি। পরীক্ষা শেষ হওয়া মাত্রই চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে কর্মসূচি শুরু হতে পারে।বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সে লক্ষ্যে ঈদুল আজহার আগেই আন্দোলনের শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে চায় দলটি। আন্দোলনকে অযথা টেনে দীর্ঘমেয়াদি করতে চান না নীতিনির্ধারকেরা।জানা গেছে, সোমবারের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচি কেন্দ্রিক আলোচনা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর চলমান তিন দেশ সফর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে কোনো অর্জন নেই বলে মনে করছেন। এ সফরকে তারা পিকনিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।গতকাল দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটি নানা কারণে বিতর্কিত, অগণতান্ত্রিক, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের স্বার্থবিরোধী, একতরফা, নিবর্তনমূলক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট বরখেলাপ। এই আইনটি প্রণয়নে কোনো পর্যায়ই অংশীজনের মতামত নেয়া হয়নি। বিএনপি মনে করে, প্রস্তাবিত বিলটি শুধু শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ ও অধিকারকেই ক্ষুণ্ণ করবে না, এটি সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং জনগণের সংবিধানসম্মত প্রতিবাদের অধিকার পরিপন্থী। বিএনপি প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা চূড়ান্ত : বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক আলোচনা করে যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা চূড়ান্ত হয়েছে। এতে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১০ দফা অটুট রেখে অন্যান্য দলের দাবিগুলো সংযুক্ত করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দলগুলো কী করবে তার একটি যৌথ রূপরেখাও তুলে ধরা হবে। বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। এ দফার সাথে অন্যান্য দলের প্রস্তাবগুলো সংযুক্ত করা হচ্ছে।সমমনা দলগুলোর লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে এক মঞ্চ থেকে যৌথ ঘোষণা দেয়া হবে। কবে এই ঘোষণা আসবে, তা আগামী দু’একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।যৌথ ঘোষণার বিভিন্ন দফা নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে বিএনপির কিছুটা মতপার্থক্য ছিল। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দল এ বিষয়ে একমত হয়েছে।বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সব দল মিলে যৌথ ঘোষণা দেয়া হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুত এ ঘোষণা দেয়া হবে।গণতন্ত্র মঞ্চের ও রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা অল্পদিনের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ অন্যান্য দল নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে- সেটার রূপরেখা যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তুলে ধরব। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।সূত্র - নয়া দিগন্ত
Harun Ur Rashid । ০৩ মে ২০২৩
বিএনপির দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিকে বলছেন যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি নেতাকর্মীরা আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। এই দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। একই সঙ্গে তারা নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত থাকে।রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর অ্যাডভোকেট সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? বিএনপির হাত ধরেই এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। তাদের সময়ে অনুষ্ঠিত মিরপুর ও মাগুরা উপ-নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে স্থান পেয়েছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। এই দলের হাত ধরেই এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপির চর্চিত গণতন্ত্রে বিশ্বাস বা আস্থা রাখে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত এদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে; মানুষের ভোটাধিকারকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে জনগণের হৃদয়ের অনুরণন প্রতিফলিত হয় তা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথকে মসৃণ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। সফলরাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকার কারণে বর্তমানে শেখ হাসিনাকে সমীহের দৃষ্টিতে দেখে বিশ্বের সব নেতৃবৃন্দ। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের সব স্তরের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। যা দেখে বিএনপি ও তার দোসরদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তারা এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ এপ্রিল ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল একটি দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। এক সময়কার বাংলাদেশ দারিদ্র্যপীড়িত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলে পরিচিতি পেত। তবে এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, উৎপাদন খাত ছাড়াও এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাফল্যের পেছনে রয়েছে ব্যক্তি খাতে ভোগ বৃদ্ধি, যাকে প্রাথমিকভাবে সহায়তা করেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ, শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থনীতি, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ ও জ্বালানি খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন। দেশের এই অভাবনীয় উন্নতির পেছনে রয়েছে প্রাথমিকভাবে বেসরকারি খাত। মূলত তাদের নেতৃত্বে রপ্তানি আয় ২০০৮ সালের ১৬ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নিত হয়েছিল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতে যদি বেশি গুরুত্ব না দিই, তা হলে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগে বেশি উন্নতি করা সম্ভব না। সে জন্যই এসব খাতের বিকাশে আমি সব কিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছি।শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনীতিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বাণিজ্য সংহিত করণের ওপর ভিত্তি করে আজকের এই অর্থনৈতিক টেকসই ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল একটি দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি। একসময়কার বাংলাদেশ দারিদ্র্যপীড়িত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলে পরিচিতি পেত। তবে এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।তিনি আরও বলেন, অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে সবার সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ গত ১০ বছরে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি অর্জন করেছে। এমনকি যখন কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সারাবিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে, তখনো বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। কোভিডের পূর্বে ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থবছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগে উন্নিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেটি কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। কোভিড মহামারি যদি না আসত, অর্থনৈতিক মন্দা যদি না হতো, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যে অর্থনৈতিক মন্দা যদি না হতো, তা হলে আমরা আরও অন্তত ২-৩ ভাগ দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হতাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ মার্চ ২০২৩
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। রোববার রাজধানীর ডিআরইউতে আয়োজিত পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে শহিদ হওয়া সেনাদের স্মরণে বিএনপির আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের অস্তিত্ব সংকটে, বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এ সরকার। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলেই সরকারের মন্ত্রীরা দায়িত্বহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। জনগণের চোখের ভাষা পড়ুন, তারা এ সরকারের পরিবর্তন চায়। তিনি বলেন, এ সরকারের সঙ্গে রাজপথেই ফায়সালা হবে, আমরা ঐক্যবদ্ধ, ইতোমধ্যে রাজপথে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসবে, ততক্ষণ কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।মির্জা ফখরুল বলেন, যখনই তারা সরকারে এসেছে বেআইনিভাবে আসুক আর যেভাবে আসুক আবার জবরদখলভাবে আসুক, তখনই এ দেশের বড় ক্ষতি হয়েছে। ১৯৭২ সালে এবং ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল; ঠিক তখন একই কায়দায় আওয়ামী লীগ এ দেশের সর্বনাশ করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, অশুভ শক্তির ঠিকানা বিএনপি আবার ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানাবে এবং রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানাবে।শনিবারে গোপালগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এখন কঠিন সময় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডাক দিলে চলে আসবেন, শেখ হাসিনা ডাক দিলে চলে আসবেন। আন্দোলন করতে জনগণ লাগে বিএনপির সাথে জনগণ নেই। তাদের সাথে আছে অগ্নি সন্ত্রাসীরা।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাসায় ঢুকে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শিবপুর থানা সংলগ্ন নিজ বাড়িতে তার ওপর হামলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদশন করেছে।এদিকে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ঘটনার পর থেকে পুরো উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল বলেছেন, দুর্বৃত্তরা উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে তার বাড়ির ভেতরে ড্রয়িং রুমে গুলি করেছে। ভোরে ৩ জন লোক তার বাসায় যায়। সেখানে তার সঙ্গে কথা বলার পর সেখানেই তাকে গুলি করেন। গুলি করার পর তিনি নিজেই অভিযুক্তদের বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন তাকে অপারেশনের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।তবে পুলিশ জানায়, নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান শনিবার ভোর ৫টার দিকে নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে যান।সেখান থেকে নামাজ আদায় করে শিবপুর বাজারস্থ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিলেন। ওই সময় হারুনুর রশিদ খান বাড়ির গেইটে পৌঁছলে মোটরসাইকেলে আগত ৩ মুখোশধারী তাকে পেছন থেকে পরপর ৩টি গুলি করে। এতে তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপেলক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, মুখোশধারী ৩ দুর্বৃত্ত চেয়ারম্যানকে পেছন থেকে গুলি করেছে। তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে এবং ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেধাবীরা রাজনীতিতে না এলে মেধাহীনরা এমপি-মন্ত্রী হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা বেশি দুর্নীতিবাজ তারাই নীতির কথা বেশি বলে। দুর্নীতিবাজদের মুখে গণতন্ত্র, বাইরে স্বৈরাচার।শহিদ মিনারে বিএনপিই প্রথমে রক্ত ঝরিয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এদেশে জন্ম দিয়েছে আগুন সন্ত্রাসের। তারা এখন সন্ত্রাসের কথা বলছে। তারা রেল-বাসে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। সন্ত্রাস কী তা তাদের থেকে বেশি কেউ জানে না। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও জীবন ঝুঁকিতে রয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঝুঁকির মধ্যেও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছেন, কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টুসহ শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ‘আপত্তিকর’ একটি ভিডিও নিয়ে নগরীজুড়ে চলছে তোলপাড়। দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ম্যাসেঞ্জার ও হোওয়াটসঅ্যাপে তা ছড়িয়েছে গত দুদিনে। নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদের নেতার এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন না। যদিও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ডাবলু সরকারের অনুসারীরা নীরব ভূমিকায় রয়েছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই জানিয়েছেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তির প্রশ্ন জড়িত। তাই নিরপেক্ষভাবে এটির সাংগঠনিক ও আইনি তদন্ত হওয়া উচিত।কারসাজির মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ভিডিওটি ছড়ানোর অভিযোগে ডাবলু সরকার শনিবার রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই পরিকল্পিতভাবে ও কারসাজির মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়ানো হচ্ছে।নগর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘ভিডিওটি এডিট করা। ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তার শরীরের ওপরের অংশ আমার। আমি অনেক সময় জিমে খালি শরীরে থাকি। সেখান থেকে ভিডিওটি নিয়ে অন্য ব্যক্তির শরীরের নিচের অংশের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।’মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। ‘নতুন সময়’ নামে একটি অনলাইন পোর্টালের লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে এজাহারে। ১৭ জানুয়ারি বিকালে ডাবলু সরকার থানায় এ সংক্রান্ত এজাহার দাখিল করেন। শনিবার অভিযোগটি মামলা আকারে রেকর্ড করা হয়।ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম ডাবলু সরকারের করা মামলাটি তদন্ত করে জানান, তিনি শিগগির মামলার তদন্ত শুরু করবেন। ভিডিওটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে দলের সাংগঠনিক অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন রোববার বলেন, ‘নিঃসন্দেহে বিষয়টি স্পর্শকাতর। ভিডিওটি দেখিনি। তবে এ বিষয়ে শুনেছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাংলা ভাষার চিন্তা-চেতনা বিকাশের জন্য বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, কি দুর্ভাগ্য, সেই বাংলা একাডেমি আজকে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন বই প্রদর্শনী বন্ধ করে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবারের ২১ ফেব্রুয়ারিতে আমরা নতুন করে শপথ নিতে চাই— দেশে গণতন্ত্রকে পুনঃরুদ্ধার করব। জনগণের কথা বলার অধিকার, মুক্ত চিন্তা করার অধিকার, তার যে স্বাধীনতা সেটা নিশ্চয়ই প্রতিষ্ঠা করব।বর্তমানে দেশে সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র ও পুরানো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্ত চলছে বলেও দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি সেই লক্ষ্যে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছি। সেদিন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা ও শুধু ভাষার স্বাধীনতা নয়, সামগ্রিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করার শপথ গ্রহণ করব।সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৬টায় নিউমার্কেট বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ সহকারে দলীয় নেতাকর্মীরা জমায়েত হবেন। সেখান থেকে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের মাজার জিয়ারত, সেখান থেকে কেন্দ্রীয় মিনারে যাত্রা ও ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।মির্জা ফখরুল বলেন, মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।এই বিএনপি নেতা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য দলের সব জেলা কমিটিকে নির্দেশনা দেন তিনি।এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কোন পরামর্শ অথবা কোন নির্দেশনা আওয়ামী লীগ অনুসরণ করবে না।তিনি বলেন, “নির্বাচন নির্বাচনের গতিতেই যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য সুষ্ঠু হবে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে ভুমিকা পালন করবে। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে।”বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কথা হয়েছে তাদের সাথে। এসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশের প্রতিনিধিরা ঐ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায় বিএনপিসহ সকল দল আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং একটা সুষ্ঠু-সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। তারা ত্রুটিমুক্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়, আমরাও তাদের বলেছি একটি সুষ্ঠু-সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকার যা যা করণীয় তাই করবে।”“আগামী নির্বাচন কেমন হবে, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কথা বলে তা জানা যায়,” যোগ করেন তিনি।বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে দল রাস্ট্রপতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশনের ডায়ালগ প্রত্যাখ্যান করে তারা ডেমোক্রেসি চায়না। বিএনপির মনের দিক থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না কারণ তারা জানে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার আবারও ক্ষমতায় আসবে। হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না।তিনি বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, বিএনপি আবারও ২০১৪-১৫ সালের মত আগুন সন্ত্রাস করে দেশকে অস্থিতিশীল করে ক্ষমতায় যেতে চায়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে, তারা আন্দোলনের নামে স্থিতিশীল দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।”এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩