ট্রেন্ডিং


কুমিল্লা সিটি নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু: ওবায়দুল কাদের

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু: ওবায়দুল কাদের

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি নেতারা কুসিক নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অবাস্তব, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরূপ মন্তব্য করছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, কুসিকসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল। যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।বিএনপি যেমন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, ঠিক তেমনি নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করছে না দলটি- দাবি কাদেরের। তিনি বলেন, একই সঙ্গে দলীয়ভাবে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু তাদের দলের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া কিছু কিছু প্রার্থীকে তারা দল থেকে বহিষ্কার করে। আবার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থে দূরভিসন্ধিমূলক মন্তব্য করে। নির্বাচনের ফলাফল ও নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। যা দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।যেন-তেন প্রকারে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই বিএনপির দলীয় চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে কাদের বলেন, কুসিকে মনিরুল হক সাক্কুসহ আরও দুই জন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদের বিএনপি থেকে বহিষ্কারের নাটক করা হয়। একদিকে নির্বাচনে তারা দলীয় প্রার্থী দেবে না, প্রকাশ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না; অন্যদিকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত হবে। আর তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতার দায় দেশের জনগণ, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপিয়ে দেবে।স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থাকে নস্যাৎ করতে দীর্ঘদিন যাবৎ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, এই চক্রান্তের অংশ হিসেবেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা, অংশগ্রহণ করলেও পরাজয়ের ভয়ে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষোদগার করাসহ গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি বিরোধী আচার-আচরণ করে আসছে।গত বুধবার অনুষ্ঠিত কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৩৪৩ ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত) মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করেন। এ নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত আরেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় ৩০ হাজার ভোট পান।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুন ২০২২


পাকিস্তানে বেড়েই চলেছে গাধার সংখ্যা

পাকিস্তানে বেড়েই চলেছে গাধার সংখ্যা

পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পাকিস্তান অর্থনৈতিক সমীক্ষা (পিইএস) অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটিতে গাধার সংখ্যা ৫৭ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১ লাখ বেশি। খবর ডেইলি টাইমস।সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে গাধার সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গাধার সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ। পরে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ বেড়ে গাধার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬ লাখে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানের গরুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৩৪ লাখ, মহিষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩৭ লাখে। ভেড়া ও ছাগলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৯ লাখ। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ১১ লাখ উট আছে। ঘোড়া আছে চার লাখ। আর খচ্চর আছে দুই লাখ। তবে লক্ষণীয় বিষয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পর এই সংখ্যায় কোনো হেরফের হয়নি।২০২১-২২ নাগাদ কৃষি খাতে পশুপালনের অবদান ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৪ শতাংশ।পশুপালন পাকিস্তানের গ্রামীণ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। গবাদিপশু পালনের সঙ্গে ৮০ লাখ গ্রামীণ পরিবার জড়িত। পশুপালন থেকে তাদের আয়ের ৩৫-৪০ শতাংশ আসে।সর্বশেষ অর্থবছরে অর্থনীতিতে পশুপালনের অবদান ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ২৬৯ বিলিয়ন রুপি থেকে বেড়ে ৫ হাজার ৪৪১ বিলিয়ন রুপিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।বিবৃতি অনুযায়ী, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যনিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে এই খাতে আবার জোর দিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুন ২০২২


‘তাকিয়ে রইলাম একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিরতিহীন অধঃপতন দেখে:  অমিত হাসান

‘তাকিয়ে রইলাম একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিরতিহীন অধঃপতন দেখে: অমিত হাসান

জায়েদ খান ও ওমর সানির ঘটনায় কয়েকদিন ধরে উত্তাল চলচ্চিত্রপাড়া। বাংলাদেশ শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওমর সানি। সেখানে তিনি জায়েদের বিরুদ্ধে সংসার ভাঙা ও তাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ আনেন।এই বিষয়ে ১২ জুন সন্ধ্যায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সানি। ঠিক তার পরদিনই এক অডিও বার্তা দিয়ে বোমা ফাটালেন মৌসুমী। সেখানে তিনি দাবি করেন, জায়েদ খান ভালো ছেলে। তার ছোট ভাইয়ের মতো। ওমর সানি যেসব অভিযোগ করেছেন তা সত্যি নয়।তার অডিও বার্তাটি প্রকাশ হতেই শুরু হয় হইচই। কেউ ওমর সানিকে মিথ্যেবাদী বলছেন তো কেউ মৌসুমীকে বলছিলেন প্রতারক। ১৩ জুন সন্ধ্যায় সানি-মৌসুমীর পুত্র ফারদিন মুখ খুলেন গণমাধ্যমে। তার কথায় স্পষ্ট হয়, ওমর সানির অভিযোগ মিথ্যে নয়। ফারদিনও বলেন, তার মা মৌসুমীকে বিরক্ত করেন জায়েদ খান।শুধু তাই নয়, ফারদিনের ব্যবসায় ও পরিবারের ক্ষতি করারও চেষ্টা করছেন জায়েদ খান; দাবি করেন তিনি। তার এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠে মৌসুমীর অডিও বার্তা নিয়ে। ছেলের কাছে প্রমাণ থাকা সত্বেও মৌসুমী কেন স্বামীর বিপক্ষে গিয়ে জায়েদের সাফাই গাইলেন সেই প্রশ্ন উঠছে।এই ঘটনায় চলচ্চিত্রের মানুষেরা বিরক্ত, বিব্রত। অনেকেই গণমাধ্যমে সরাসরি কথা বলেছেন বিষয়টি নিয়ে। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন। অনেকেই আবার আকার ইঙ্গিতে সানি-মৌসুমীর দীর্ঘদিনের সংসার জীবনে অশান্তির আভাস পেয়ে মন খারাপ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।তেমনি করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেতা অমিত হাসান। সেখানে কারো নাম তিনি উল্লেখ করেননি। তবে তার স্ট্যাটাসটির নিচে বক্তব্যগুলো পড়লেই টের পাওয়া যায় সবাই ধরে নিয়েছেন অমিত সানী-মৌসুমী ও জায়েদ খানের ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।তিনি আজ ১৪ জুন লেখেন, ‘তাকিয়ে রইলাম একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের বিরতিহীন অধঃপতন দেখে। অস্পষ্ট কুয়াশায় ঢেকে গেল। কষ্টে গড়া সম্মান দুমড়েমুচড়ে পড়লো পদতলে।’কার অধঃপতনের কথা বলেছেন ঢাকাই সিনেমার ভার্সেটাইল এই অভিনেতা? সে নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তিনি।সানি-মৌসুমী দম্পতির সঙ্গে অমিত হাসানের পারিবারিক বন্ধুত্বের সঙ্গে। দীর্ঘদিন তারা একসঙ্গে সিনেমায় কাজও করেছেন। অনেক সিনেমায় মৌসুমীর নায়ক হয়েছেন অমিত হাসান। শিল্পী সমিতির রাজনীতিতেও তারা ছিলেন একই মতাদর্শের। তবে সর্বশেষ নির্বাচনে মৌসুমী ও অমিত ভিন্ন দুটি প্যানেলে নির্বাচন করেন। দুজনেই জয়ী হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুন ২০২২


ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ: ২২ দিন চুয়েট বন্ধ, ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ

ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ: ২২ দিন চুয়েট বন্ধ, ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ

ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আজ মঙ্গলবার থেকে ২২ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের সভাপতিত্বে এক সভায় আজ ১৪ জুন থেকে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকবে।ছাত্রদের আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তবে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চলমান সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।সূত্র জানায়, সোমবার রাতে প্রায় ৫০ জনের একটি দল হেলমেট পরে লাঠি, চাপাতি নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়।এর আগে চুয়েট ছাত্রলীগ একটি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শনিবার রাতে চট্টগ্রামে একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষ হতে দেরি হওয়ায় তারা চুয়েটের বাস চালককে নির্ধারিত সময় রাত ৯টা থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে বাস ছাড়তে বলেন। তবে ছাত্রলীগের অপর একটি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা দেরিতে বাস ছাড়ার বিরোধিতা করেন।বাস ছাড়ার ঘটনা নিয়ে ২ গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়। দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শনিবার রাতে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে জড়ো হন। তারা হলে গিয়ে একে অপরের রুমের তালা ভেঙে প্রবেশ করে বিছানা ও জিনিসপত্র ফেলে দেয়।অবশেষে, কর্তৃপক্ষ আজ একটি জরুরি বৈঠকে বসে ৩ সপ্তাহের জন্য চুয়েট বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুন ২০২২


অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম’র অভিনেতা বাংলাদেশের সিনেমায় ভিলেন

অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম’র অভিনেতা বাংলাদেশের সিনেমায় ভিলেন

বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আছে ‘এমআর-নাইন’ সিনেমাটি। প্রয়াত লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই ‘ধ্বংস পাহাড়’ থেকে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। এর শুটিং শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ১৪ মে থেকে।শুরু থেকেই বলা হচ্ছিলো এই সিনেমায় অভিনয় করবেন হলিউডের কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। অবশেষে যুক্ত হলেন ‘অ্যাভেঞ্জার্স এন্ডগেম’র অভিনেতা ফ্র্যাঙ্ক গ্রিলো। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিনোদন সংবাদমাধ্যম ডেডলাইনও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।‘এমআর-নাইন’ শিরোনামের এই ছবিতে ফ্রাঙ্ককে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে। এর আগে তিনি মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সিনেমা ক্যাপ্টেন ‘আমেরিকা: দ্য উইন্টার সোলজার’, ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার’, ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেমে’ অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন।থ্রিলার অ্যাকশন ঘরানার ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে হলিউড থেকে অ্যাভেইল এন্টারটেইনমেন্ট ও বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া। ‘এম আর নাইন’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন যৌথভাবে নাজিম উদ দৌলা, আসিফ আকবর, আবদুল আজিজ ও বিউ ক্লার্ক।বাংলাদেশ থেকে এই ছবিতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, সানজু জন, সাজ্জাদ, জেসিয়া, আলিসা এবং হলিউড থেকে মাইকেল জে হোয়াইট, লুইস ট্যান্ট প্রমুখ। এর পরিচালক আসিফ আকবর।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুন ২০২২


‘এবারের আর্জেন্টিনা গত বিশ্বকাপের চেয়ে শক্তিশালী’

‘এবারের আর্জেন্টিনা গত বিশ্বকাপের চেয়ে শক্তিশালী’

কিছুদিন আগে লাতিন আমেরিকার চেয়ে ইউরোপের ফুটবলকে বেশি কঠিন হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার কাইলিয়ান এমবাপে। তার মতে, ইউরোপিয়ান দলগুলোই লাতিন আমেরিকার দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে থাকবে।তবে ফরাসি তরুণের সঙ্গে একমত নন গত ফুটবল বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ। তার মতে, ইউরোপের মতো লাতিন আমেরিকায়ও কড়া পরীক্ষায় পড়তে হয় দলগুলোকে। পাশাপাশি এবার আর্জেন্টিনার বেশ ভালো সুযোগ দেখছেন মদ্রিচ।সোমবার রাতে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন অধিনায়ক মদ্রিচই। ম্যাচ শেষে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।এমবাপের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মূল্যায়ন জানতে চাওয়া হলে মদ্রিচ বলেন, ‘আমিও জানি এখানে পার্থক্য আছে। একেক মহাদেশে একেক ধরনের ফুটবল খেলা হয়। আমি নিশ্চিত লাতিন আমেরিকায়ও অনেক ভালো দল রয়েছে, দারুণ সব প্রতিভার দেখা মেলে। ইউরোপের মতো সেখানেও সব ম্যাচ কঠিন।’২০১৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল ক্রোয়েশিয়া। গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয় দুই দল। যেখানে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় মদ্রিচের দল। তবে সেই দলের সঙ্গে এবারের দলে বেশ পার্থক্য দেখছেন মদ্রিচ।এ তারকা মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘সবশেষ বিশ্বকাপে আমরা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলেছি। সেই ম্যাচে আমরা জিতেছিলাম। তবে এখন আমি দেখছি তারা খুবই ভালো দল। আমার মনে হয়, গত বিশ্বকাপের চেয়ে এবার তারা অনেক শক্তিশালী।’মদ্রিচ আরও যোগ করেন, ‘(লিওনেল) মেসির নেতৃত্বে তারা দারুণ একটি দল তৈরি করেছে। মেসি খুবই ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়। তারা সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ। তারা খুব বেশি ম্যাচ হারেনি। এটিই অনেক কিছু প্রমাণ করে। মেসি থাকায় তারা সবসময়ই বিশ্বকাপে ফেবারিট।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুন ২০২২


পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে ছবি তুলবেন শেখ হাসিনা

পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে ছবি তুলবেন শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগ্রহ প্রকাশ বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে গ্রুপ ছবি তুলবেন।মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা তুলে ধরে শামসুল আলম বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবার সঙ্গে ছবি তুলবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র-যন্ত্রাংশ দিয়ে ভাঙ্গা অংশে একটি জাদুঘর নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে হাওর অঞ্চলের সব সড়ক এলিভেটেড বা উড়াল সড়ক নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হাওরের সড়কে ছোট কালভার্ট নির্মাণ না করে বড় ব্রিজ করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।তিনি বলেন, হাওর এলাকায় ভবিষ্যতে যে সড়ক হবে সেগুলো উড়াল সড়ক করা হবে। পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে কালভার্টের পরিবর্তে ব্রিজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একনেকের সভায় ১০ হাজার ৮৫৫ কোটি ৬০ লাখ ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ১৪২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জুন ২০২২


আপনারা সবাই ওই দিন বেলা ১১টার মধ্যে প্রস্তুত থাকবেন”

আপনারা সবাই ওই দিন বেলা ১১টার মধ্যে প্রস্তুত থাকবেন”

আগামী ২৫ জুন বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সেতুর দুই পারে জনসংযোগ করবেন তিনি।এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আমার মনে হয়, স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে, যে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”তিনি আরও বলেন, “আজকে এ পদ্মা সেতু যার স্বপ্ন, এই পদ্মা সেতু যার কমিটমেন্ট, এই পদ্মা সেতুর জন্য যিনি পারিবারিকভাবে অপমানিত হয়েছেন, তার সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাঙালির সক্ষমতার পদ্মা সেতু এবং অপমানের প্রতিশোধের এই পদ্মা সেতু।”রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদের সোয়া ৭টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ির ইউনিয়নের বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাট এলাকায় পৌঁছেন। মন্ত্রীর গাড়িবহর নিয়ে মুন্সীগঞ্জ প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতু কাজের অগ্রগতি দেখতে দেখতে মাদারীপুর যান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের এমপি নুর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনসভার সমন্বয়ক মির্জা আজম এমপি, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সেতুমন্ত্রী এ সময় বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা এপারে (মাদারীপুর) ভাষণ দেবেন এবং ওপারে (মুন্সিগঞ্জ) সুধী সমাবেশ করবেন। আপনারা সবাই ওই দিন বেলা ১১টার মধ্যে প্রস্তুত থাকবেন।”

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২২


উৎসে কর ০.৫০% বহাল রাখার দাবি বিজিএমইএ’র

উৎসে কর ০.৫০% বহাল রাখার দাবি বিজিএমইএ’র

পোশাক রপ্তানির ওপর উৎসে কর ০.৫০% বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক রপ্তানির উপর উৎসে কর ০.৫০% থেকে বৃদ্ধি করে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত দুরুহ হবে। যখন কি না এ শিল্প মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তাই কর বাড়ানোর জন্য এটা সঠিক সময় নয়। বর্তমানে অস্থিরতাময় বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি আমাদের পোশাক শিল্পের জন্যও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে এই উৎসে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব পোশাক শিল্পের টিকে থাকার সংগ্রামটি আরও কঠিন করে তুলবে।তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে একদিকে যেমন জ্বালানি তেলসহ খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে ইউরোপসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাও বাড়ছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতিও তীব্র আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশগুলো সুদের হার বাড়াচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের পণ্যের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতা কমেছে এবং সামনে আরও কমে আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।তিনি আরও বলেন, গত ৭ জুন বিশ্ব ব্যাংক তাঁদের সর্বশেষ Global Economic Prospects প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং স্থবির চাহিদার কারণে অর্থনৈতিক মন্দা তীব্র হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, পোশাক রপ্তানিতে বর্তমানে যেই প্রবৃদ্ধিটি দেখা যাচ্ছে, সেটি আগামীতে চলমান থাকার লক্ষণ আমরা দেখছি না। বরং বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, যেখানে ২০২১ সালে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৩%, সেটা ২০২২ সালে ৪% এ নেমে আসবে।সেই সাথে শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহ, কনটেইনার ভাড়া, ডিজেলে মূল্যসহ সামগ্রিক উৎপাদন খরচ বিগত ৫ বছরে গড়ে প্রায় ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সম্প্রতি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ডলার শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে। ডলারের বিপরীতে ইউরো যেভাবে মান হারাচ্ছে, তাতে করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউরো ও ডলারের মূল্য সমান পর্যায়ে চলে আসতে পারে, অর্থাৎ ১ ইউরো নিয়ে ১ ডলার পাওয়া যাবে। ফলে ইউরোপের বাজারে আমাদের পণ্যের মূল্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়াটা অস্বাভাবিক নয়,’ যোগ করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২২


খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: বিএনপি

খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: বিএনপি

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিনা রহমান। তিনি বলেন, আজকে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তার যে রোগ, তা চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। তা না হলে তার চিকিৎসা হবে না। আজকে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সোমবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।খালেদা জিয়া মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে মহিলা দল। অনুষ্ঠান চলাকালে মহিলা দলের একজন নেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।মানববন্ধন শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ থেকে মহিলা দলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধায় তা বেশি দূর এগুতে পারেনি। কেন আজকে খালেদা জিয়ার এই অবস্থা? এমন প্রশ্ন রেখে সেলিমা রহমান বলেন, কারণ বর্তমান অবৈধ সরকার, যারা দিনের ভোট রাতে করে, প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা জানেন, খালেদা জিয়া যদি সুস্থ অবস্থায় বাইরে আসে, তখন কোটি লোকের সমাবেশ তার পেছনে দৌড়াবে। তাই আজকে এই সরকার তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।তিনি আরও বলেন, আমরা সন্দেহ করেছিলাম, যখন খালেদা জিয়া জেলে ছিলেন, তখন বলেছিলাম তাকে সরকার তিলে-তিলে মেরে ফেলবে। আজকে দেখতে পারছি, সেই কথার সত্যতা। তা না হলে একজন প্রধানমন্ত্রী কখন আরেকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সমন্ধে বলতে পারেন না, তাকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেবো। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে। আমরা রাজনৈতিক শিষ্টাচার মানি বলে অনেক কথা বলি না।পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সারা দেশের অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেলিমা রহমান বলেন, কেন আজকে এতো ধুম-ধাম করা হচ্ছে। সীতাকুণ্ডে আগুনে যখন মানুষ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে মারা গেছেন। তাদের জন্য তো কোনো জবাবহিদিতা নেই। তাদের জন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে ধুম-ধাম করছেন। আর সাধারণ জনগণ প্রাণে মারা যাচ্ছেন।তিনি আরও বলেন, আজকে দেশে দুই আইন চলছে। আওয়ামী লীগের নেতা হাজী সেলিম চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আইন মেনে গেছেন। আমি জানতে চাই, কোন আইনের কারণে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না।তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠানো হলে জনগণ মাঠে নামবেন। তখন আপনার পায়ের নিচের মাটি থাকবে না। অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উপলক্ষে ৬৪ জেলায় অনুষ্ঠান করছেন। কার টাকায় এই অনুষ্ঠান করছেন। আপনি উল্লাস করছেন, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। তিনি চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি পায়ে হেঁটে জেলে গেলেন, আর হুইল চেয়ারে করে ফিরলেন। আপনি খাবারের মধ্যে কি বিষ মিষিয়েছেন, এটাই মানুষের মুখে-মুখে প্রশ্ন।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি কারও কাছে মাথা নত করেন না। আমি ছোট একটি কথা বলছি, সেটি হলো ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের দুই জন নেতা আমাদের হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর তো কোনো দলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ার দরকার ছিল না, ভারতের বিরুদ্ধেও না। আপনি শুধু ওই জন নেতা কটূক্তি করেছেন তার নিন্দা করতেন, বিজেপি যে ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন ধন্যবাদও জানাতে পারতেন। কিন্তু ওইটুকু সাহসও আপনার নেই। আপনার মাথা ১৭০ ডিগ্রি নতজানু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জুন ২০২২


খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে: মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা বারবার আবেদন করেছি, অনুরোধ করেছি, কর্মসূচি দিয়েছি, আন্দোলন করেছি। আমরা সোজা কথায় বলতে চাই- গতকাল ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার কোনো দায় নেবে না- সরকারকে দায় নিতে হবে। আজ আল্লাহ না করুক দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার যদি কোনো অঘটন ঘটে, তাহলে এই দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। টেনে-হিঁচড়ে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেবে।আজ (রোববার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার জন্য উন্নত চিকিৎসা, উন্নত মেডিকেল সেন্টার দরকার এবং সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই আমাদের চিকিৎসকরা বলছেন ওনার উন্নত ট্রিটমেন্ট দরকার, উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া দরকার, যা বিদেশে আছে।সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের শেষ কথা- অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। অন্যথায় তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, কারণ আপনারা এদেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধু লুটেপুটে নেওয়ার জন্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।জীবনে কারও কাছে কখনও মাথানত করিনি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ যখন ক্ষমতা দখল করে ৮২ সালে, তখন তিনি বলেছিলেন- ‘উই আর নট আনহ্যাপি’- আমরা অখুশি নই। আবার এক-এগারোর অবৈধ সরকারের সময় যখন ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, তখন বিমানবন্দরে আপনি ঘোষণা দিয়েছিলেন এই সেনা সমর্থিত অবৈধ সরকারের সমস্ত কার্যক্রম আপনি বৈধ করে দেবেন। আমাদের মেমোরি এখনো এত ‘শর্ট’ হয়নি। এজন্য আমরা বলি, আপনি বরাবরই আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছেন, আপনারা বরাবরই ওই শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছেন যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান করে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে।গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে, যেখানে জনগণ তাদের পছন্দমতো মানুষদের নির্বাচিত করবেন। পছন্দমতো পার্টি নির্বাচন করে সংসদ গঠন করবেন। এর বাইরে কোনো কিছুই মেনে নিতে এদেশের মানুষ প্রস্তুত নয়, মানবে না।সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনও সময় আছে, এখনও বাঁচতে পারবেন, সময় আছে কিছুটা রক্ষা পেতে পারেন। এরপর আর পালাবার সময় পাবেন না। পরিষ্কার করে বলতে চাই সমস্ত রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, যে দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হবে তার মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২২


নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দরকার নেই : সিইসি

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দরকার নেই : সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই বলে জানিয়েছেন সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।রোববার (১২ জুন) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিবদের সঙ্গে সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় সংলাপ শুরু হয়।নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা শতভাগ স্বাধীন বলি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের মাধ্যমেই অনেক কিছু করতে হয়। ভোট সুষ্ঠু করতে নির্বাচনে প্রশাসন বা সেনাবাহিনীর দরকার নেই। এটা কোনো দেশে হয় না। তাছাড়া তারা আসলে কোনো কাজেও আসে না। নির্বাচনের ৭৫ শতাংশ টাকা তাদের পেছনে চলে যায়।সাবেক এই সিইসি বলেন, বর্তমানে প্রায় একটা থানার সমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি কেন্দ্রে মোতায়েন থাকে। তাছাড়া ইভিএম এমন একটা পদ্ধতি যেখানে বাক্স ছিনতাই করা যায় না। জাতীয় নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচনে আমাদের জনবল দেওয়া হয়েছিল। যারা যোগ্য তাদের রাখতে হবে। আর কিছু জায়গায় জেলা প্রশাসনকে রাখতে হবে। অনেক অভিযোগ থাকবে। সেগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। অনেক অভিযোগ সত্যও হয় না।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বছরের মার্চ থেকে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন।গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ জুন ২০২২