বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নাটকীয়ভাবে পরিত্যক্ত হওয়া ব্রাজিল-আজেন্টিনার ম্যাচটি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ব্রাজিলের সাও পাওলোর স্টেডিয়াম নিও কুইমিকা অ্যারেনাতে অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: মুন্ডো আলবিসেলেস্তে।এর আগে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাতিল হওয়া ম্যাচটি আয়োজনের নির্দেশনা দিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (সিবিএফ) বুধবারের মধ্যে ভেন্যু চূড়ান্ত করতে বলে। নির্দেশনা পেয়ে খুব বেশি দেরিও করেননি সেলেসাওরা। মঙ্গলবার (২১ জুন) তারা ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যু চূড়ান্ত করে ফেলেন।এর আগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বরে কনমেবল অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। কিন্তু ৫ মিনিট না যেতেই ম্যাচ বন্ধ। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার করোনা প্রটোকল ভেঙে মাঠে নেমেছেন।যে ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে ফুটবল বিশ্বে। স্থগিত হওয়া সেই ম্যাচ অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে। যেহেতু সেই ম্যাচটি ব্রাজিলের মাঠে ছিল, তাই ব্রাজিলকেই বুধবারের মধ্যে ভেন্যু চূড়ান্ত করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ফিফা। অবশ্য ব্রাজিলের কোচ তিতে বাতিল হওয়া ম্যাচটি ইউরোপের কোনো একটি দেশে আয়োজনের পক্ষে ছিলেন।তবে গত এপ্রিলে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে অস্বীকৃতি জানায় আর্জেন্টিনা। অপমানিত হওয়া ম্যাচটি পুনরায় না খেলতে তারা ক্রীড়া আদালতে আবেদনও করেছিল। কিন্তু ফিফা সে সময় আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এএফএ) নির্দেশ দেয়, সেপ্টেম্বরে ম্যাচটি খেলতেই হবে।ম্যাচ মাঠে গড়ালেও জরিমানার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না দুই দলই। যেখানে শাস্তির খড়গ বেশি পড়েছে ব্রাজিলের। করোনা প্রটোকল নিশ্চিত না করতে পারায় সাড়ে ৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাদের। আর নিয়ম ভাঙার দায়ে আর্জেন্টিনার জরিমানা আড়াই লাখ সুইস ফ্রাঁ।ইতোমধ্যে কাতার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে দুই দেশই। এটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে কোনো সমীকরণ প্রয়োজন হয় না। নিঃসন্দেহে ধ্রুপদী এ ম্যাচ থাকবে আলোচনার কেন্দ্রে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জুলাই ২০২২
যে কারণে টাকায় লেখা থাকে ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’টাকার গায়ে লেখা থাকে ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’। কিন্তু কখনো চিন্তা করেছেন কি, কেন টাকার নোটে লেখা থাকে চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে?এই প্রশ্নের উত্তর খুব সোজা। এজন্য আপনাকে অর্থনীতিবিদ হতে হবে না। তবে জানতে হবে এর পেছনের কথা।আমরা জানি, বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কথা হলো এই মুদ্রা আসলে কী? মুদ্রা বলতে কী বোঝায় সেই সম্পর্কে একটু ধারণা রাখা ভালো।‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকা’ কথাটার অর্থ কিছুটা জটিল। ব্যবহারকারী বা বিনিময়ের সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সরকারি মুদ্রা হলো দুটি। এক ও দুই টাকার নোট কিংবা কয়েন হলো সরকারি মুদ্রা। আর বাকিগুলো হলো সমপরিমাণ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো ‘বিল অব এক্সচেঞ্জ’।বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার বিপরীতে নোট ছাপে। তাই এটা বাংলাদেশের জনগণের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ জুলাই ২০২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী তানভীর মাহতাবকে মিডটার্ম পরীক্ষার অতিরিক্ত উত্তরপত্রে ‘স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই’ লেখার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৯ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল।এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর থেকে ওই শিক্ষার্থীর কাছে এই সংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হয়।ওই নোটিশে বলা হয়, পরীক্ষার হল থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ, ইনভিজিলেটর সই জালিয়াতি করে সই দেওয়া এবং প্রথম পৃষ্ঠায় ‘স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই’ লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী তানভীর মাহতাবের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভঙ্গের সামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অমান্য করার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই বিষয়ে বক্তব্য থাকলে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর জমা দিতে হবে। ওই নোটিশে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া না গেলে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে সেই শিক্ষার্থীর আর কিছু বলার নেই বলে গণ্য হবে এবং ওই বিষয়ে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর মাহতাবের মিডটার্ম পরীক্ষার অতিরিক্ত উত্তরপত্রের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তরপত্রে ওই শিক্ষার্থী লেখেন ‘স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই’। মুহূর্তেই সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। গত ২৬ জুন ইংরেজি বিভাগের শৃঙ্খলা কমিটি তানভীরকে তলব করেন। সেদিনই ওই শিক্ষার্থীর অপরাধ ও লিখিত বক্তব্য প্রক্টর দপ্তরে জমা দেওয়া হয় বিভাগ থেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুন ২০২২
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কেন্দ্রীয় শিশুপার্ক আধুনিকায়ন করা হবে। বসানো হবে ১৫টি রাইডস (খেলনা)। এ জন্য ডিএসসিসি খরচ করতে চায় ৪৪১ কোটি টাকা। এসব রাইডস বাচ্চাদের দেখিয়ে আকৃষ্ট করতে ৫ কোটি টাকায় বসানো দরকার চারটি ডিজিটাল ডিসপ্লে। রাইডস চড়তে গেলে তো টিকিট কেটে ঢুকতে হবে, সে জন্য ১০ কোটি টাকা লাগবে টিকিটিং সিস্টেম বসাতে। ঘোরাফেরার সময় প্রকৃতির ডাক পড়লে টয়লেটে যেতে হবে। তাই ছয়টি টয়লেট বানাতে খরচ করতে হবে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। তখন তো আবার পানিও লাগবে, সে জন্য ২ কোটি টাকা লাগবে দুটি নলকূপ বসাতে। এ ধরনের আরও আছে।সব মিলিয়ে পার্কে শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ বাড়াতে ৬১৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল ডিএসসিসি। গত ফেব্রুয়ারিতে এ প্রস্তাব নিয়ে কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অস্বাভাবিক দাম পুনর্নির্ধারণ করে বিস্তারিত তথ্য, ব্যাখ্যাসহ আবার প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রকল্পটি ডিএসসিসিতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখনো ডিএসসিসি সংশোধিত প্রস্তাব কমিশনে পাঠায়নি।পিইসি বৈঠকে উপস্থিত এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ডিএসসিসির প্রস্তাবটি এতটাই অবাস্তব মনে হয়েছে যে, এ জন্য তাদের বাইরেও লোকজনদের দিয়ে একটি কমিটি করে, ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রস্তাবটি আবার পাঠাতে বলা হয়েছে। এতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থাপত্য বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগকে রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ যেমন, বেসিস বা কম্পিউটার কাউন্সিল থেকে প্রযুক্তিবিষয়ক পণ্যের দাম যাচাই করে পাঠাতে হবে।পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন আল রশীদ বলেন, ‘ওরা যে দাম ধরেছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। অস্বাভাবিক বেশি। আমরা কিছু গাইডলাইন দিয়েছি। এগুলোর ডিটেইল দাম দিতে হবে।’জানতে চাইলে প্রকল্প প্রস্তাবটি তৈরিতে সম্পৃক্ত ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো করে কাজ করেছি। পরিকল্পনা কমিশন থেকে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা তা দেখছি। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। যদি যুক্তির ভেতরে থাকে, দাম কমাব। আর যুক্তির ভেতরে না থাকলে দাম বাড়বে। এগুলো নিয়ে আর কথা বলতে পারব না।’প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রস্তাবে ডিএসসিসি বলেছে, শিশু-কিশোরসহ জনগণের উন্নতমানের বিনোদনসেবার সুযোগ সৃষ্টি করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবান্ধব রাইডস বসানো হবে। মোট ১৫টি রাইডস বসাতে খরচ হবে ৪৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রতিটির দাম গড়ে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা।কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবান্ধব খেলনা কেমন জিনিস তা বুঝছে না পরিকল্পনা কমিশন। তাদের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি বলেছে, ‘ডিপিপিতে যেসব রাইডসের ছবি ও ডিজাইন দেওয়া হয়েছে, তাতে এ বিষয়টি পরিলক্ষিত হয় না।’কমিটি আরও বলেছে, ‘প্রস্তাবিত রাইডসসমূহের প্রাক্কলন তিনটি কোম্পানির নিকট হতে সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনটি কোম্পানি আলাদা আলাদা প্রাক্কলন প্রদান করেছে। এখান থেকে গড় মূল্য বের করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ কোম্পানির মূল্যই প্রাক্কলন বলে হিসাব করা হয়েছে। এখানে প্রতিটি রাইডসের ক্ষেত্রে তিনটি কোম্পানির দর থাকা সমীচীন হবে।’প্রকল্প প্রস্তাবে ডিএসসিসি বলেছে, আধুনিকায়নের পরে পার্কটিতে কী কী সুবিধা থাকবে, তা তুলে ধরতে সেখানে বসানো হবে চারটি ১০ ফুট বাই ১৫ ফুট ডিজিটাল ডিসপ্লে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটির জন্য খরচ হবে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ডিজিটাল ডিসপ্লে চোখে পড়ে শহরবাসীর। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই সেগুলো বসিয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ও কয়েকটি ডিসপ্লে স্থাপন করেছে, যেগুলোতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। মন্ত্রীর দপ্তরের সামনে যে ৭ ফুট বাই ৫ ফুটের এলইডি ডিসপ্লে বসানো হয়েছে, তার দাম সাড়ে 8 লাখ টাকা। যে প্রতিষ্ঠান এটি সংযোজন করেছে, তার কর্মকর্তা ওসমান গনি বলেন, ‘বিভিন্ন মানের ডিজিটাল ডিসপ্লে পাওয়া যায়। ১৫ ফুট বাই ১০ ফুট একটি এলইডি ডিসপ্লের দাম পড়তে পারে ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা।’প্রস্তাবের ওপর মতামতে পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, ‘চারটি এলইডি স্ক্রিন বাবদ ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অত্যধিক বলে প্রতীয়মান হয়।’নতুন নতুন রাইডস এলে শিশুরা তো খেলতে যাবে। তার জন্য টিকিট কাটতে হবে। একটি অনলাইন বা অ্যাপসভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হবে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। দেশের আইটি বিশেষজ্ঞরা এমন সফটওয়্যার তৈরি করে থাকেন। তাঁরা বলছেন, এমন একটি সিস্টেম কমবেশি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় করা সম্ভব। অথচ এর প্রায় ১০০ গুণ বেশি ধরা হয়েছে।দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা খাতের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ‘টিকিটের জন্য ভালো সফটওয়্যার এখন বাংলাদেশেই তৈরি হয়। শিশুপার্কের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের ১০-২০টি রাইডের জন্য টিকিট বিক্রি এবং ৫ থেকে ১০টা বুথে টিকিট প্রিন্ট হবে এমন একটা খুব ভালো সফটওয়্যার তৈরিতে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি লাগার কথা নয়।’প্রায় একই কথা জানালেন বাংলাদেশ আইটি প্রফেশনালস ফ্রেন্ডস ক্লাবের সভাপতি সালেহ মোবিন। তিনি বলেন, একটি থিম পার্ক ধরনের প্রতিষ্ঠানের টিকিটিং সফটওয়্যার ও মোবাইল অ্যাপস তৈরিতে সাধারণত ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়। এ প্রকল্পে ওয়েববেইজড সফটওয়্যারের পাশাপাশি ৫০টি প্রিন্টারের কেনার কথাও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে গড়ে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মতো খরচ হওয়ার কথা। এর বেশি নয়।প্রকল্প প্রস্তাবে ছয়টি টয়লেট স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটিতে খরচ হবে ১ কোটি ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সিটি করপোরেশন বলছে, টয়লেট হবে আধুনিক। তবে প্রস্তাবে সাধারণ মানের একতলা টয়লেটের নকশা দেওয়া হয়েছ। কমিশন বলছে, এ দাম অত্যধিক।পার্ক ঘুরে ও ডিসপ্লে দেখে ক্লান্ত দর্শনার্থীদের নিরাপদ পানি খাওয়াতে শিশুপার্কের জন্য একটি গভীর নলকূপ বসাতে চায় ডিএসসিসি। তার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় গভীর নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে খরচ নির্ভর করে এর কার্যক্ষমতার ওপর। সাধারণ ক্ষমতার একটি নলকূপে খরচ পড়ে ১২ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ঢাকা ওয়াসা একটি গভীর নলকূপ দিয়ে কয়েক হাজার পরিবারের জন্য পানি সরবরাহ করে। সেই তুলনায় পার্কের জন্য কতটুকু পানির প্রয়োজন হতে পারে ধারণা করাই যেতে পারে।পরিকল্পনা কমিশনও ওয়াসার খরচের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। বলেছে, ‘একটি গভীর নলকূপ বসানোর জন্য ঢাকা ওয়াসার খরচ পড়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।’পার্ক হবে কিন্তু তাতে বড় বড় ভবন থাকবে না, তা কি হয়? এ জন্য শিশুপার্ক উন্নয়নের নামে ভবন নির্মাণসহ ১৭টি পূর্তকাজ একটি প্যাকেজের মধ্যে রাখা হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৭ কোটি টাকা। পূর্তকাজের মধ্যে আছে গ্যালারি, এম্ফিথিয়েটার, সীমানাপ্রাচীর, ড্রেন, ভবন, দর্শনার্থীদের জন্য শেড ও ইন্টেরিয়র।পূর্তকাজগুলো আলাদাভাবে না দেখিয়ে প্রস্তাবে ১৭টি কাজ একই সঙ্গে দেখানো হয়েছে। এতে কোন কাজে কত টাকা ব্যয় হবে, তা পৃথকভাবে নির্ণয় করা যাচ্ছে না।এ বিষয়ে কমিশনের মত, ‘পূর্তকাজসমূহের কিছু কিছু উপ-অঙ্গে ব্যয় বেশি প্রাক্কলন করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। প্রতিটি কাজের বিস্তারিত ব্যয় প্রাক্কলন পিইসি সভায় উপস্থাপন করতে হবে এবং প্রাক্কলনের ভিত্তি উল্লেখ করতে হবে।’প্রকল্প হলে কর্মকর্তাদের জন্য গাড়িবিলাসের ব্যবস্থা থাকবে না, তা মনে হয় আমাদের এ দেশে আর ভাবা যায় না। এ প্রকল্পেও রয়েছে। ঢাকার মধ্যে এই প্রকল্প হলেও প্রকল্প পরিচালকের জন্য চাই বিলাসবহুল জিপগাড়ি। এর জন্য চাহিদা ৯৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৬৫ লাখ টাকায় বিলাসবহুল ডাবল কেবিন পিকআপ কেনার কথাও বলা হয়েছে।কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ‘প্রকল্প এলাকা ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে, এ ক্ষেত্রে জিপ ও পিকআপ ক্রয় প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া যেতে পারে।’প্রকল্পের ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কথা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সমীক্ষাটি ডিএসসিসি নিজে করেছে নাকি তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে করা হয়েছে, প্রস্তাবে তা উল্লেখ করা হয়নি। কমিশন বলছে, প্রকল্পটি ১০০ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ের। কাজেই সমীক্ষাটি তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করা না হয়ে থাকলে অবশ্যই তৃতীয় কোনো পরামর্শক কর্তৃক সমীক্ষা সম্পাদন করা প্রয়োজন।পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন আল রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সব চাওয়া, সব ব্যাখ্যাসহ আবারও তাদের ডিপিপি (প্রকল্প প্রস্তাব) পাঠাতে হবে। তা নিয়ে আমরা আবারও পিইসি করব। এটা খুব কম প্রকল্পের ক্ষেত্রে হয় যে দুইবার পিইসি করতে হয়। যারা তথ্যে সন্তুষ্ট করতে পারে না, তার ক্ষেত্রেই এমন হয়।’মামুন আল রশীদ আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, তাদের কয়েকজন কর্মকর্তার কমিটি গঠন করতে হবে। তারা কোথা থেকে দাম পেয়েছে তার তথ্যসহ প্রাক্কলন তাদের স্বাক্ষরসহ দিতে বলেছি। দেখা যাক তারা পুনর্গঠিত ডিপিপি কেমন পাঠায়।’সূত্র: আজকের পত্রিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জুন ২০২২
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।বুধবার (২৯ জুন) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহুল প্রতীক্ষিত অনলাইনে বদলির (পাইলটিং) কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের হাতে আগামীর বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশ যাতে মেধা ও জ্ঞাননির্ভর হয়ে গড়ে ওঠে সে জন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।তিনি বলেন, চলমান ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আরও ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে মন্ত্রণালয়।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মহিবুর রহমান, অধিদপ্তরের পরিচালক বদিয়ার রহমান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান প্রমুখ।কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অনলাইনে এ বদলির কার্যক্রম শিক্ষকদের শান্তি ও স্বস্তি দেবে। তারা একাগ্রচিত্তে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারবেন।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সর্বোচ্চ প্রয়াস নেবার পরও শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে কেজি স্কুলে ভর্তি হচ্ছে, যা দুঃখজনক। এ অবস্থার পরিবর্তনে প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিতে হবে।সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান তার বক্তৃতায়, অনলাইন বদলি কার্যক্রম শিক্ষকদের দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে অধিদপ্তরের অন্যান্য পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এ প্রক্রিয়ায় চলে আসবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্য হারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাড়াতে হবে। রাখঢাক করার কিছু নেই। দিস ইজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।মঙ্গলবার (২৮ জুন) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন দলগুলোর সঙ্গে কারিগরি বিষয়ে ভোটদান নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছে। আমাদের আমন্ত্রণ জানানোয় আওয়ামী লীগে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ইসির দায়িত্বশীল নিরপেক্ষ আচরণ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ইভিএমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি বৃদ্ধি করতে হবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বক্তব্য লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার। আগেও আমরা ইসিকে এসে বলেছিলাম। এখানে রাখঢাক করার কিছু নেই। আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্যহারে ইভিএম বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া তিনি বিতর্কিত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগসহ একগুচ্ছ দাবির কথা বলেন।১৩ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করতে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। গত ১৯ ও ২১ জুন ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাই বিষয়ক সভা করেছে সংস্থাটি। তবে এতে বিএনপিসহ আটটি দল সাড়া দেয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২২
পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগের মেলবন্ধন নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের প্রবেশদ্বার। যোগাযোগের দ্বার উন্মুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠার আগ মুহূর্তে সড়কে চুম্বন করেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। সেই চুম্বনের ছবি সোমবার (২৭ জুন) রাত থেকে ফেসবুকে ভাইরাল।ছবিতে এমপি ইকবাল হোসেন অপুর সঙ্গে সড়কে চুম্বন করেন তার কর্মী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মুজাফফর জমাদ্দার ও আরেকজন। এছাড়া পেছনে কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।সোমবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর প্রথম সেতু দিয়ে ঢাকা যাওয়ার সময় শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজায় ঢোকার আগে গাড়ি থেকে নেমে পদ্মা সেতুর সড়কে চুম্বন করেন অপু। পরে কর্মীদের নিয়ে দুই হাত তুলে মোনাজাত করতে দেখা যায় তাকে।ফেসবুকে এম নুর হোসেন নয়ন লিখেছেন,‘আজ জননেতা ইকবাল হোসেন অপু এমপি মহোদয় পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় টোল দেওয়ার আগ মুহূর্তে রাস্তায় নেমে চুমু খেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুমন পাহাড় জানান, ‘আমাদের শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ভাই করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শরীয়তপুরে তার নিজ বাড়িতে ছিলেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনে জনসভায় যোগদানের জন্য করোনা টেস্ট করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এজন্য তিনি উদ্বোধনীর জনসভায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। পরে আবার করোনা টেস্ট করালে গতকাল তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই তিনি স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড় হয়ে ঢাকাতে গেছেন।’এমপি ইকবাল হোসেন অপু বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হতে এসে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই। গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। শত বাধা, ষড়যন্ত্র আর দুষ্কৃতকারীদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। এ যে কী গর্বের, কী আনন্দের ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তাই আমি সেতুতে ওঠার আগেই সড়কে চুম্বন করেছি এবং মহান আল্লাহতালার কাছে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ তার পরিবার এবং সকল শহীদদের জন্য দোয়া করেছি। আমি কৃতজ্ঞতার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না, কী করবো, কী করলে এই ঋণ শোধ হবে আমাদের। আসলে এই ঋণ কখনো শোধ হওয়ার নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২২
অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তার আগে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য একটি টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দেশটি।বাংলাদেশ আগেই সিরিজ খেলতে নিজেদের সম্মতি দিয়েছিল, তবে পাকিস্তান সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজের সূচি নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। সেটা হয়ে যাওয়ার পরই গত ২৬ জুন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান রমিজ রাজা ত্রিদেশীয় সিরিজে দেশটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন।ত্রিদেশীয় সিরিজের সব পক্ষের সম্মতি পাওয়ার পর এবার সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। সিরিজের ফরম্যাট হবে ডাবল হেডার, তথা প্রথম পর্বে তিন দেশই একে অন্যের বিপক্ষে দুইবার করে খেলবে। এরপর সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে।৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় সকাল ৯ টায় পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। ১০ অক্টোবর স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এরপর ১৩ ও ১৪ অক্টোবর যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম পর্বের বাকি দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ফাইনাল হবে ১৫ অক্টোবর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে।ত্রিদেশীয় সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচিবাংলাদেশ - পাকিস্তান (৮ অক্টোবর, সকাল ৯টা)নিউজিল্যান্ড - পাকিস্তান (৯ অক্টোবর, দুপুর ১টা)নিউজিল্যান্ড - বাংলাদেশ (১০ অক্টোবর, দুপুর ১টা)নিউজিল্যান্ড - পাকিস্তান (১২ অক্টোবর, সকাল ৯টা)নিউজিল্যান্ড - বাংলাদেশ (১৩ অক্টোবর, সকাল ৯টা)বাংলাদেশ - পাকিস্তান (১৪ অক্টোবর, সকাল ৯টা)ফাইনাল (১৫ অক্টোবর, সকাল ৯টা)* বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুন ২০২২
পৃথিবীর ঠিক উল্টো পীঠে বসে আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি একটি সেতুর রূপ। কি অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে এই সেতু। মিডিয়ার কল্যাণে কত ছবি, ভিডিও চোখে পড়ছে। আর মুগ্ধ হচ্ছি। তবে শুধু রূপে নয়, এমন এক শক্ত কাঠামো দেওয়া হয়েছে এই সেতুতে যা শতবর্ষের জন্য সকল ধকল নিতে প্রস্তুত। যার মধ্য দিয়ে দেখছি ১০০ বছর পরের বাংলাদেশকেও।আমরা জানি, উন্নয়নের আরেক নাম গতি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দ্রুততম গতির সংযোজন ঘটিয়ে চলছে নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। ফলে আমরা দূর পরবাস থেকেও দেখতে পাই একটি গতিময় সময়ে গতিময় বাংলাদেশকে। যার সর্বশ্রেষ্ঠ সংযোজন এই পদ্মাসেতু। গত ২৫ শে জুন সেতুটি উদ্বোধন হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে পা ফেলেছে ।আমি মনে করি এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে।যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতার সঙ্গে যদি মিলিয়ে দেখি, এই দেশে আমরা কী দেখতে পাই? এই দেশে একটি রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যের কানেক্টিভিটির দিকে যদি তাকাই আমরা দেখি অত্যন্ত সুচারূরূপে রচনা করা হয়েছে সেই কানেক্টিভিটি। কোথাও পাহাড়ের খাঁজ কেটে, কোথাও নদীর উপর সেতু রচনা করে। মূলতঃ যোগাযোগটাই উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। সেই হিসেবে এখানে রাজ্যগুলো একে অন্যের সাথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযুক্ত। আর সে কারণে এই দেশে মানুষগুলো যার যে রাজ্যে মন চায় গিয়ে বসতি গাড়ে। কারণ রাজ্যে রাজ্যে দ্রব্যমূল্যে নেই বড় কোনো ফারাক। ফারাক নেই জীবন ব্যবস্থায়। জীবনাচারে প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণে।একটি উদাহরণ দেই- এই দেশে ফ্লোরিডার আবহাওয়া অনেকটা গ্রীস্মমণ্ডলীয় দেশগুলোর মতো। ফলে সেখানে ফলে আম, জাম, লিচুর মতো রসালো ফলগুলো। কিন্তু সেই ফল আমরা ভার্জিনিয়াতে বসেও কিংবা নিউইয়র্কে বসে কিনে খেতে পারি অনেকটা সমমূল্যে। কারণ অতি সহজেই সেইসব ফল যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলোতে পৌঁছে যায়। কারণ একটাই সহজ ও সাবলীল যোগাযোগ ব্যবস্থা।আমি মনে করি পদ্মাসেতু বাংলাদেশের জন্য সেই সুযোগটিই সবচেয়ে বড় করে আনবে। সবচেয়ে বড় কথা কাছাকাছি টেনে আনবে মানুষগুলোকে। এখন আর দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের মানুষকে দূরের মনে হবে না। কিংবা রাজধানী ঢাকাকেও দূরের কোনো নগরী মনে হবে না সেই অঞ্চলের মানুষগুলোর কাছে। এই কাছাকাছি করে আনার মধ্য দিয়ে যে কাজের একটি শক্ত ভিত রচিত হবে যা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।গত কয়েকটি বছর পদ্মাসেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়া দৃষ্টি কেড়েছে সকলের। আমরাও অবাক হয়ে দেখেছি কতটা আত্মনিয়োজনে তৈরি হয়েছে এই সেতু। সেতুর উপকরণ হিসেবে বিশ্বের যেখানে যেটি শ্রেষ্ঠ সেই উপকরণটিই সেই দেশ থেকে আনা হয়েছে। ফলে গুণগত মানে এতটুকু ছাড় না দিয়ে তৈরি হওয়া সেতুকে স্রেফ স্বপ্নের সেতু না বলে একটি ভিশনারি সেতুও বলা চলে। যাতে নিশ্চিত করা হয়েছে শতবর্ষের ভিত।সোয়া ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে উপরের তলায় প্রস্তুত হয়েছে চার-লেনের হাইওয়ে, আর নিচের তলায় সিঙ্গেল ট্র্যাক রেলওয়ে। সাড়ে সাত বছর ধরে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার খরচে বানানো হয়েছে এই সেতু। বিশ্বের ২০ টি দেশের প্রকৌশলীদের প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে এই সেতুতে। ১০টি দেশ থেকে এসেছে এই সেতুর প্রধান উপকরণগুলো। আর বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ থেকে আসা কোনো না কোনো উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে এই সেতুতে।এই যে আমরা আমাদের উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রক্রিয়া অনেকটা দূর পর্যন্ত দেখতে শিখলাম। শ্রেষ্ঠত্বের প্রয়োগ ঘটাতে শিখলাম। এই চর্চা আমাদের শুরু হলো। এটাই আমাদের সময়ের তরফ থেকে হয়ে থাকবে ভবিষ্যত সময়ের জন্য এক উপহার। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যা গর্বের প্রতীক হয়ে থাকবে।আমি ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপুল এক গতির সঞ্চার করবে এই সেতু। কাচামালের দ্রুত যোগান মানেই শিল্পের উৎপাদন তরান্বিত হওয়া সেতো আছেই কিন্তু যে কৃষক ফসল ফলায় মাঠে, তার উৎপাদিত পণ্যও এখন স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে যাবে ক্রেতা কিংবা ভোক্তার কাছে ফলে কৃষি-বাণিজ্য তরান্বিত হবে। যে মানুষটি রাজধানী শহরে যেতে চায় কাজের খোঁজে তার জন্য শহরটি কাছাকাছি হবে, ফলে তার বেকারত্ব ঘুচবে। কিন্তু সেতুপথ তো একদিকে ধাবিত নয়, এর সমান দুটি লেন দুই দিকে ধাবিত, অর্থাৎ রাজধানীমুখি যেমন মানুষ হতে পারবে, তেমনি রাজধানির সুবিধাগুলো পৌঁছে যাবে সেই মানুষের কাছে। উভয়পথেই একটি নতুন দিনের সূচনা হবে। ফলে, যেমনটা বলছিলাম, যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ যেমন যে কোনো রাজ্যে গড়তে পারে তার স্বস্তির, সম্মৃদ্ধির নিবাস, তেমনি বাংলাদেশেও মানুষগুলো তাদের ইচ্ছে মতো থাকতে পারবে সেতুর মাধ্যমে সংযুক্ত যে কোনো জেলায়, একই সুযোগ সুবিধা নিয়ে।আর কেবলতো সড়কপথই নয়, সেতুতে রেলপথও রয়েছে। ফলে দ্রুতগতির ট্রেন এখন গোটা বাংলাদেশে তার রুটগুলো তৈরি করে নিতে পারবে। এখানেও একটু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চাই। এখানেও অধিকাংশ স্টেট সড়কপথের পাশাপাশি ট্রেন লাইনেও সংযুক্ত। যা যোগাযোগের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করেই উন্নয়নে গতি দেয়। আর নিশ্চিত করে বিকেন্দ্রীকরণ। আমরা এখন স্পষ্ট করেই ধারনা করতে পারছি এক উন্নত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল যা হয়তো আগামী ৫-৭ বছরেরই চাক্ষুস করতে পারবো।এই সেতু এইসব অঞ্চলের দারিদ্র বিমোচন করবে। অর্থনীতিকে করে তুলবে অন্তর্ভূক্তিমূলক আর অংশগ্রহণমূলক। সড়ক ও রেলপথে নতুন যে নেটওয়ার্ক তৈরি হবে তাতেই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এসব অঞ্চলে। নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে। কমবে মানুষের যাতায়াত খরচ, পণ্য পরিবহণ খরচ ও সময়। এতে অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ থেকে এখনই স্পষ্ট হচ্ছে, স্রেফ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর অতিরিক্ত সক্রিয়তায় আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের সার্বিক জিডিপি ২ শতাংশ বেড়ে যাবে।এই সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করলো। বিশ্বকে দেখালো যে, বাংলাদেশ পারে। বস্তুত মানুষ চাইলেই পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা আর বাংলাদেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনই এই সেতু তৈরির প্রধান ভিত। এর মধ্য দিয়েই আপাত অসম্ভব মনে হওয়া একটি কাজ সম্ভব করে তুললো বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ সেটা করলো স্রেফ নিজস্ব অর্থায়নে।দূর প্রবাসে বসে সেই গর্বে গর্বিত আমি ও আমরা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর মধ্যদিয়ে একজন বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে আমরা এদেশেও গর্ব করতে পারবো। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে কতবড় ভুল ছিলো তার এক জাজ্বল্যমান প্রমাণ এই পদ্মাসেতু। সে কথা আমরা বলতে পারবো জনে জনে। বুক ফুলিয়ে বলতে পাবরো, আমরাও পারি। আমাদের সকলের গর্বের প্রতীক এই পদ্মাসেতু। পদ্মাসেতুকে ঘিরে আমাদের আগামী দিনের গল্পগুলো হোক কেবলই সাফল্যের আর এগিয়ে চলার।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুন ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির রাজনীতি ভুলের চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছে, তবুও বিএনপি আত্নবিশ্বাসী ও অপরিণামদর্শী রাজনীতি চর্চা করে যাচ্ছে।বিএনপি দেশবিরোধী ও উন্নয়ন বিরোধী প্রচার - প্রচারণা এবং গুজবে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ষড়যন্ত্রপ্রিয় জনবিরোধী অপশক্তি। তিনি আজ এক বিবৃতিতে একথা বলেন।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির কারণে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি এখন পদ্মার গহীন অতলে নিমজ্জিত।সরকার নাকি অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন, - বিএনপি মহাসচিবের এমন কাল্পনিক ও অসার বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন এমন বক্তব্য বিএনপির হতাশা এবং রাজনৈতিক দীনতা উন্মোচিত হয়েছে।শেখ হাসিনা সরকারের সাথে জনগণ রয়েছে, আছে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস, তাই সরকারের কোন উদ্বেগ নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আর বিএনপি নেতারা এখন নির্বাচন আতঙ্কে ভুগছেন এবং প্রবল জনরোষের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। বিএনপি পদ্মাসেতুর বিরোধিতা করেছিলো কিন্তু শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে পদ্মাসেতু নির্মিত হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন বিএনপির ষড়যন্ত্র আর পদে পদে বাধা শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে একটুও বাধাগ্রস্ত করতে পারে নি। মন্ত্রী বলেন এ থেকেই বিএনপি নেতারা দিন দিন গভীর থেকে গভীরতর হতাশায় আক্রান্ত। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন গনতন্ত্রের বিকাশে শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বিএনপির দায়িত্বহীনতা, দ্বিচারিতা গণতন্ত্রের বিকাশের পথে অন্তহীন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিএনপি কখনো বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না দাবি ওবায়দুল কাদেরের, বলেন বানভাসী মানুষের পাশে যখন সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাজ করছে তখন বিএনপি নেতারা লোকদেখানো ফটোসেশনে ব্যস্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সেই দুই যুবক মারা গেছেন। তারা হলেন- মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)।রোববার (২৬ জুন) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার পর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারাত্মক আহত হয়ে দুজন পদ্মা সেতুর ওপর পড়ে আছেন। পাশে রক্তের ছোপ।ওই সময় পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন) সুপার সুমন দেব জাগো নিউজকে জানান, সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বরে পিলারের মাঝখানে এ ঘটনা ঘটে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সোমবার সকাল ছয়টা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন রোববার সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। সেতু বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কী কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে এর কোনো কারণও জানা যায়নি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। রোববার ভোর থেকে সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়।রোববার সকালে যখন পদ্মা সেতুর দুই প্রান্ত থেকে যানবাহন ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন টোল দিয়ে হুড়োহুড়ি করে সেতুতে উঠে পড়েন মোটরসাইকেল আরোহীরা। সারা দিনই মোটরসাইকেলে সেতু পার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বিকেল চারটার পর থেকে জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোল প্লাজার সামনে কয়েক হাজার মোটরসাইকেল দেখা যায়।মোটরসাইকেল আরোহীরা টোল প্লাজার ছয়টি বুথের সামনে ঢুকে পড়েন। এতে অন্যান্য যানবাহন সেতুতে উঠতে সমস্যা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পাঁচটি বুথ দিয়ে মোটরসাইকেল ও একটি বুথ দিয়ে অন্যান্য যানবাহন সেতুতে ওঠে। এতে টোল প্লাজার সামনে থেকে সংযোগ সড়কে অন্তত দুই কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটক করা সেই টিকটকার যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে আটক করে। তবে সে এটি মজা করে করছে নাকি কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে করছে তা যাচাই-বাছাই করতে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করছে।রবিবার (২৬ জুন) বিকালে সিআইডির সাইবার ক্রাইমের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাকে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তার নাম আলমগীর।সূত্র জানায়, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা তার উদ্দেশ্য যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি যদি কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এটি করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যদি কেবল না বুঝে মজা করে থাকে তাহলে মুচলেকা নেওয়া হতে পারে।এর আগে রবিবার সকাল থেকে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় এক যুবক টিকটকে ভিডিও বানাতে গিয়ে খুলে নিয়েছেন পদ্মা সেতুর দুটি নাট-বল্টু। এই নাট দুটি দিয়ে লোহার রেলিংটি আটকানো রয়েছে কংক্রিটের রেলিংয়ের সঙ্গে। এরপর সেই যুবক নাট দুটি বাঁহাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খুলে ডানহাতে নেন এবং আবার বাঁহাতের ওপর রাখেন। এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। ওই যুবকের এমন কাণ্ড দেখে অনেকেই তার শাস্তি দাবি করেছেন।
Harun Ur Rashid । ২৬ জুন ২০২২
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সোনার ছেলে-মেয়েরা, আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তোমরা তৈরি হও। তোমরা তোমাদের মেধা বিকাশ করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশ যেন আর পিছিয়ে না থাকে, এগিয়ে যায়।রোববার (২৬ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২২-এ সেরা মেধাবীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান চর্চা ও প্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।তিনি বলেন, মেধা অন্বেষণ একটি চমৎকার ব্যবস্থা। এর মধ্য থেকে অনেক সুপ্ত জ্ঞান বেরিয়ে আসবে, যা আমাদের দেশের আগামী দিনের উন্নয়নে কাজে লাগবে।সরকার প্রধান বলেন, মনে রাখতে হবে দেশ এখানেই থেমে থাকবে না। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে দিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর প্রায় ২১ বছর কোনো অগ্রগতি সাধিত হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের অগ্রগতি সাধিত হয়।তিনি বলেন, ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে বঙ্গবন্ধু একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। সেই কমিশন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছিল। সেটা জাতির পিতার হাতেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নির্মমভাবে হত্যার পর সেই কমিশনের নীতিমালা আর কখনো আলোর মুখ দেখেনি। আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ, তখন ‘মার্শাল ল’ জারি করা হয়। ‘মার্শাল ল’ দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হয়েছিল। এটাই হলো সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়।শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে মিলিটারি ডিকটেটররা মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র-অর্থ-মাদক তুলে দিয়ে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে। এই বাহিনীর মাধ্যমে তারা ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার চেষ্টা করে। এ কারণে বছরের পর বছর সেশন জট হয়। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ অনেকটা সীমিত হয়ে পড়ে।তিনি বলেন, ২১ বছর পর ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা। গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে আসা, শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা। আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেই। পাশাপাশি গবেষণার ওপর আমি গুরুত্ব দেই। যেটা আমি লক্ষ্য করেছিলাম, গবেষণার জন্য বাজেটে আলাদা কোনো অর্থ দেওয়া হতো না। গবেষণার উৎসাহ দেওয়া হতো না। শুধু নিয়ম মাফিক যেটুকু গবেষণা শুধু সেটুকুই হতো।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে যখন আমি সরকার গঠন করি, প্রথম পর্যায়ে আমি ১২ কোটি টাকা দিয়েছিলাম গবেষণায়। বিশেষ করে তখন খাদ্যের জন্য আমরা যে পরনির্ভরশীল ছিলাম, ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল, সেখানে আমি কৃষি গবেষণাকে গুরুত্ব দেই। যাতে করে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে।তিনি বলেন, আমি একটি কথা বলব, আমাদের ছেলে-মেয়েদের অনেক মেধা আছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম প্রযুক্তির যুগে জন্মগ্রহণ করছে। তাদের ভেতরে অনেক মেধা। তাদের সেই সুপ্ত মেধাগুলো অন্বেষণ করতে হবে। সেই মেধা আগামী দিনের বাংলাদেশকে উন্নত করার কাজে ব্যবহার করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুন ২০২২
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যেন স্বপ্নজয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে মানুষ। রোববার (২৬ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা চালু হবার পর সেতু পাড়ি দেয়ার উৎসবে মেতেছে সবাই। এদিন প্রথম যে বাহনটি টোল দিয়ে পার হয়, সেটি মোটরসাইকেল। অন্যান্য গাড়ির তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যায় বেশি।এদিকে প্রথম লেডি বাইকার হিসেবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন রোবায়েত রুবা নামে এক নারী। রাজধানী মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে গিয়ে সকালে সেতুতে ওঠেন। সে হিসেবে রোবায়েতই পদ্মা সেতুর প্রথম লেডি বাইকার।পেশায় ইউটিউবার রোবায়েত রোবা জানান, আমি পদ্মা সেতু পাড়ি দেবার পাশাপাশি ইউটিবের জন্য কন্টেন্ট বানাতে এসেছি। এখান শ্যুট করে ঢাকায় ফিরে কন্টেন্ট বানাব।টোলপ্লাজা পার হয়ে সেতুতে ওঠার আগে তিনি একটি ফাঁকা জায়গায় এসে দাড়ান। এরপর তার সঙ্গে অন্যান্য বাইকারদের ফ্রেমবন্দি হন। তখন সময় সংবাদের সঙ্গে কথা হয় তার।তিনি জানান, এ অনভূতি প্রকাশ করার মতো না। সকালে মিরপুরের শেওড়া পাড়া থেকে বাইক চালিয়ে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি। যাব পদ্মা সেতুর অপরপ্রান্তে।সঠিক ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে রোবায়েত আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেতুতে নিয়ম অনুয়ায়ী গাড়ি চালানো উচিত। লিখে দিয়েছে ৮০কিলোমিটার। আমি আইন মান্য করে বাইক চালিয়ে এসেছি। সবাইকেই একই অনুরোধ করব।শনিবার (২৫ জুন) স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মুহূর্তেই অবসান হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি আর যানজটের। প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দেশের বৃহত্তম এবং পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ এই সেতুটি।অনেক মূল্যে পাওয়া পদ্মা সেতু এখনও উৎসবমুখর। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টায় যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। এর আগে গাড়িগুলো ভোর রাত থেকেই জমা হতে থাকে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ জুন ২০২২