আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না, ওরা আওয়ামী লীগকে ভয় পায় এবং আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে ভয় পায়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় তাদের, সেই কারণে ভয়ে ভয়ে পথ হারিয়ে তারা এখন পদযাত্রায় মিলেছে।মঙ্গলবার সকালে নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে না, আন্দোলনে মানুষ লাগে, তারা সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে আনতে পারেনি। কারণ মানুষ জানে— শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় জেনে গেছে। তাই সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে সাড়া দিয়ে তাদের আন্দোলনে যায়নি। শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটায় মানুষের জন্য, দেশের জন্য।এ সময় তিনি আরও বলেন, রাজনীতির অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন মানেই রাজনীতি নয়। রাজনীতি এখন ভালো মানুষের জন্য আদর্শ নয়। ভালো ও সৎ মানুষের রাজনীতিতে আনতে হবে।মন্ত্রী বলেন, নতুন করে আর নির্বাচনি ওয়াদা করতে চাই না। পূর্বের কাজগুলো শেষ করতে চাই। নতুন কাজ হাতে নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে চাই না।কাদের বলেন, একজন দক্ষ, সৎ ও গুণী-জ্ঞানী সিনিয়র দায়রা জজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে অবাক করে দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ রাহ্বার হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলসহ অনেকে। এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনার উত্তাপ ছড়িয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, আগামীতেও সংসদ নির্বাচন করতে চান তিনি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিরো আলমের অনুসারীদের অনেকের মধ্যেই আবার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আগামীতে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কি-না।জবাবে হিরো আলম জানান, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান নয়, ভবিষ্যতে নিজেই নতুন দল গঠনের ইচ্ছা রয়েছে তার। এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলছেন, নতুন দল করলে সেখানে পরিবর্তন আনতে চান তিনি। দিতে চান নতুন কিছু।জার্মানিভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এক টকশোতে অংশ নিয়ে শুক্রবার রাতে তিনি এসব কথা বলেন।রাজনীতির সংস্কৃতি ও হিরো আলম শিরোনামের টকশোতে উপস্থাপক ডয়েচে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন হিরো আলমের কাছে জানতে চান, হিরো আলমের রাজনৈতিক লক্ষ্য কী? কোনো জোটে বা রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন কি-না? সরকার বা বিরোধী দলে যোগ দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে কেউ কোনো যোগাযোগ করেছেন কিনা?জবাবে হিরো আলম বলেন, আমি সব সময় জনসেবা করা পছন্দ করি। সেই উদ্দেশ্য থেকেই রাজনীতি করা। ভোটের আগে বা পরে বড় কোনো রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। কোনো দলে যোগ দিব কি-না, এখন পর্যন্ত ঠিক করিনি।নিজের কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, সবারই স্বপ্ন থাকে দল করার। আমারও নতুন দল করার ইচ্ছা আছে। আমি দল করলে নতুন কিছু নিয়ে আসব। কোনো হিংসা থাকবে না, বিবাদ থাকবে না, সুষ্ঠুমতো ভোট হবে। যার যাকে ভালো লাগবে, তাঁকে ভোট দিবেন। সমাজের জন্য কাজ করবেন।তিনি বলেন, নতুন দল করলে পরিবর্তন কিছু নিয়ে আসব। রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সমাজ পাল্টাতে হবে। দলের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একই রকমভাবে চলছে। যারা চালাচ্ছেন, একই রকমভাবে চালাচ্ছেন। যিনি ক্ষমতায় আছেন, তার বাবাও আছে, বাবা গেলে ছেলে আছে। তারা কিন্তু দলে আসন ছাড়ছেন না। এতে দলে এবং দেশে কোনো পরিবর্তন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের পরিবর্তন করতে গেলে নতুনদের পদ ছেড়ে দিতে হবে। পরিবর্তন আনার জন্য নতুনদের সুযোগ দিতে হবে।আপনার মধ্যে কী এমন গুণ আছে যে মানুষ অন্যদের বাদ দিয়ে আপনাকে বেছে নেবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ পথে চলি, মানুষের পাশে দাঁড়াই, সহযোগিতা করি। মানুষ এখন ক্যাডার চায় না, সুখে–দুঃখে মানুষের পাশে থাকবেন, এমন মানুষ চায়।অনুষ্ঠানের অপর আলোচক ছিলেন ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন, বগুড়া-৪ উপ-নির্বাচনে বিএনপি কূটচালে হিরো আলমকে ভোট দিয়ে জেতানোর চেষ্টা করেছে। বিএনপির নির্দেশে নেতা-কর্মীরা হিরো আলমের পক্ষে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, “বিএনপির একজন নেতা-কর্মী তাকে সহযোগিতা করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারলে আর কোনো দিন ভোট করব না। আওয়ামী লীগ-বিএনপি সব দলের লোকজনই আমাকে ভোট দিয়েছে।”এজে/
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের স্লোগান হলো- আমার ভোট আমি দেবো তোমার ভোটও আমি দেবো। উন্নয়নের কথা বলে ফ্যাসিস্ট এই সরকার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গরিব আরও গরিব হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের নেতারা ফুলে ফেঁপে বড়লোক হচ্ছে।তিনি বলেন, জনগণকে নিয়ে এসব ফাজলামি আর চলবে না, জনগণকে নিয়ে মশকরা করা চলবে না, বিএনপি ভোট চায় তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তা-না হলে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করবেই, এটা তাদের স্বভাব।বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, সব দলকে নিয়ে যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করা হয়েছে সেই আন্দোলনে জয়লাভ করলে বিএনপি একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে। সে জাতীয় সরকারে সব দলের নেতারা প্রতিনিধিত্ব করবেন।শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জানুয়ারি ২০২৩
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে খালেদা জিয়া যদি গণভবনে সংলাপে যেতেন তাহলে গণতন্ত্রের পথে নতুন দুয়ার খুলে যেতে পারত। আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে বিষোদ্গার, পাল্টাপাল্টি চায়না। সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চায় সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।’ আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শুধু দেয়াল তুলেছে, সেতু তৈরির চেষ্টা করেনি।সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। তারপরও খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা তার বাড়িতে গেছেন। ঘরের দরজা, বাইরের গেট সব বন্ধ করে দিয়েছে। ইস ইট ডেমোক্রেসি? (এটা কি গণতন্ত্র)। অপমান করে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দোষটা কোথায়?’নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে গত বৃহস্পতিবার এমপিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশ আমরা পালন করছি। একইসঙ্গে আমরা বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি। জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলেও জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমদের পাঁচ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা আছে। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি ৯-এর ওপর চলে গিয়েছিল। এখন ৮ এর নিচে নেমে গেছে। আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ।’এসময় চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রায় শেষ বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।সভায় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
টানা দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হয়ে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত বিপ্লব বড়ুয়া।বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।অনুষ্ঠানে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমাকে সম্মান, ভালোবাসা দেখিয়ে তিনি চট্টগ্রামের মানুষের প্রতিও সন্মান দেখিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বে আমার মতো একজন নগণ্য মানুষকে তিনি দ্বিতীয়বার দপ্তর সম্পাদক করেছেন।"আপনাদের (চট্টগ্রামের নেতাকর্মী) ভালোবাসায় আমি অভিভূত, আনন্দিত, আমার মত একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে চট্টগ্রাম শহরে বরণ করেছেন। আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।"চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতৃত্বসহ প্রয়াত নেতাদের স্মরণ করে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, "আওয়ামী লীগে চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচজনকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে রেখে চট্টগ্রামবাসীকে সম্মানিত করেছেন।"দায়িত্ব পাওয়া মানে সংবর্ধনা নেয়া নয়, দায়িত্ব পাওয়া মানে দায়িত্ব পালন করার একটি দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ।"দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বলেন, "আজকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারিরা শুধু দেশে নয়, দেশের বাহিরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ব্যহত করতে চায়। আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তির অপব্যবহার না করে আমরা যুদ্ধাপরাধি, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্টির বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক শক্তি ব্যয় করি।"চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হক চৌধুরী বাবুল, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাইদী, বাঁশখালি উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালীব, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য রাশেদুল মাহমুদ রাসেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপরকমিটির সদস্য জিয়াউদ্দিন শিপু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় পানি সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক রাহুল বড়ুয়াসহ চট্রগামের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশের অনেক 'বুদ্ধিজীবী' সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে নেতা মেনে তাদের সঙ্গে জড়ো হয়ে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, 'আমাদের অনেক জ্ঞানীগুণী বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তত্ত্ব কথা শুনায়, গণতন্ত্রের সবক দেয়, গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। আবার সেই আমাদের বুদ্ধিজীবী, এরা বুদ্ধিজীবী নিজেদের অনেকে বলে। আমি বলি বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী। তারা আসলে বুদ্ধিজীবী না, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীজীবী। তারা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে নেতা মেনে তাদের সঙ্গে জড়ো হয় সরকার উৎখাতের জন্য।'তিনি আরও বলেন, 'হ্যাঁ, খালেদা জিয়াকে আমরা উৎখাত করেছি, এরশাদকে উৎখাত করেছি, জিয়াকেও আমরা উৎখাত করতে পারতাম। কিন্তু আগেই মরে গেছে। ওখানে একটি দুঃখ যে ওর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আগেই অক্কা পেলো। নিজের লোকদের হাতেই মারা গেল।'তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'এই সমস্ত দুর্বৃত্তায়ন যারা করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা কেন? আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী?'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছে। আমি ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল, স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৩ থেকে ৪৫ ভাগ। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশন জট, অস্ত্রের ঝনঝনানি, অস্ত্র আর গোলাবারুদের গন্ধ। দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ রসাতলে, রিজার্ভ মাত্র ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ এ এসে রিজার্ভ পেলাম মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার। ৯৬ সালে খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।'তিনি বলেন, '২০০১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। ২০০১ সালে আমাদের ৫ বছর যখন সম্পন্ন হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। এ ছাড়া আর কোনোদিন কি বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে? হয়নি।'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৪ জাতীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও নির্যাতিতদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শুরু করেন।তিনি বলেন, 'বিজয়ের মাসে ছাত্রলীগের সম্মেলন হচ্ছে। ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীকে বিজয়ের মাসের অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ, এ দেশের প্রতিটি সংগ্রামেই ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে।''প্রতিটি আন্দোলনে শহীদের তালিকা যদি দেখি, সেখানে ছাত্রলীগের শহীদের তালিকাই বড়। ৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে, তার প্রতিবাদকারী হাজারো সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে জিয়াউর রহমান যেমন হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে ছাত্রলীগের নেতা সেই বাবুসহ অনেককে গুম করে নিয়ে গেছে। তাদের পরিবার লাশও পায়নি। এভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে', বলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ডিসেম্বর ২০২২
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশ ছাড়ার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার বিদেশে অর্থ পাচার করছে।তিনি বলেন, 'এটা খুব দুঃখজনক যে সরকার দেশের কথা একেবারেই মনে না রেখে সবকিছু বিদেশে পাচার করছে। দেখে মনে হচ্ছে দেশের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। তারা নিজেরাও বাইরে চলে যাবে এবং সেটার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে টাকা পাচার করছে।'দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যপদ নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করে ড. কামাল হোসেন আজ এসব কথা বলেন। ঢাকার মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।গণফোরাম সভাপতি বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সবক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা, দলীয়করণ ও দুর্নীতি ফলে দেশ আজ ভয়াবহ সংকটের দিকে যাচ্ছে।'মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও অর্জনগুলি দেশের কিছু দুর্নীতিবাজ ও স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য আজ বিসর্জন হতে চলেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয়করণের সুযোগ নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আর্থিক খাতে এসব দুর্নীতিগ্রস্তদের বিচারহীনতা, ক্রমাগত অর্থপাচার, লুটপাট আজ মহামারি আকার ধারণ করছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যেখানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে সেখানে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটপাট জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।'গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, 'পত্র-পত্রিকাগুলোতে দেখবেন এসব ব্যাপারে একেবারে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে ধ্বংস হয়ে গেছে। পত্রিকার তথ্যগুলোকে গুরুত্ব না দিলে অর্থনীতি ভেঙে পড়বে এবং ফল হিসেবে বেকারত্ব বাড়বে, আয় কমে যাবে, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'তিনি বলেন, 'সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধ করতে হবে।'
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ডিসেম্বর ২০২২
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রোকসানা খানম (৫২) নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের হাউজিং ডি ব্লকের সাততলা বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাট থেকে তাঁর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাঁকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।নিঃসন্তান রোকসানা খানম সাত তলাবিশিষ্ট নিজ বাড়ির দোতলায় একাই বসবাস করতেন। বাকি ফ্ল্যাটগুলোয় ভাড়াটেরা থাকেন। রোকসানা খানম কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের দিবা শাখায় ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর স্বামী খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান যশোরের চৌগাছা উপজেলায় এলজিইডিতে কমিউনিটি অর্গানাইজার পদে কর্মরত।খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোকসানা খানম চৌগাছায় ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার দিকে তিনি তাঁকে কুষ্টিয়ায় আসার জন্য বাসে তুলে দেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসায় পৌঁছেছেন বলে তাঁকে ফোন করে জানান। সকালে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পান।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধারালো অস্ত্র বা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাতে শিক্ষক রোকসানাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মাথায় আঘাত ছাড়াও দুর্বৃত্তরা থেঁতলে দেয় তাঁর মুখমণ্ডল। এ হত্যাকাণ্ডের পর দুর্বৃত্তরা বাসার আলমারির তালা ভেঙে কাপড়চোপড়সহ মালামাল তছনছ করে। এ ছাড়া আসবাবপত্র ও কম্পিউটার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। স্বর্ণালংকার কিংবা টাকাপয়সা খোয়া গেছে কি না, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পুলিশ। সুরক্ষিত ফ্ল্যাট বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হাউজিং ডি ব্লক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।খবর পেয়ে পুলিশ আজ সকালে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পুলিশ, র্যাব ও পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খবর পেয়ে শিক্ষকের সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী ছুটে আসেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।সঠিক কারণ জানা না গেলেও পূর্বপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী চক্র এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে পুলিশ, পিবিআই ও গোয়েন্দা টিম সমন্বিতভাবে তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা চলছে। সুত্র-প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা তো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবেন, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবেন।রোববার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, এখন জেলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন কেন? আপনি কেন বলেন- পালাবো না, আমরা জেলে যাবো। এগুলো আরও আগে ভাবা উচিত ছিল।দলের বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে, মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে চলে আসছেন। বরিশালের সমাবেশের দুদিন আগে লঞ্চ, যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া। এমনকি খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরে পর্যন্ত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।সমাবেশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যখন বলেন চেষ্টা করতে হবে, এটা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই সমাবেশগুলো থেকে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। আমরা যে যেখানেই ছিলাম, অনেক বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত আমাদের দল।ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা হবে।সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলনকে কীভাবে দমননীতি এবং মামলা দিয়ে বন্ধ করা যায় সেই প্রচেষ্টা তারা শুরু করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনো হবে না। গত ১৫ বছর ধরে এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে তো দমিয়ে রাখতে পারেননি।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মন্ত্রী বানাতে হবে না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন, দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন।তিনি বলেন, বিশ্বাস করি, যদি আমরা একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাই, তাহলে অবশ্যই জয়ী হবো।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সংকটে বিএনপি একা না। তাদের সঙ্গে সবাই আছে। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় সরকার।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে আপনাকে ক্ষমতা ছেড়েই নির্বাচন দিতে হবে, সেক্ষেত্রে কোন হুমকী ধামকী দিয়ে লাভ হবেনা।শুক্রবার ( ৪ নভেম্বর) সকালে অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র ও অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।সরকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে জনগণকে নাজেহাল করছে উল্লেখ করে আব্দুস সালাম বলেন, "জগণকে দেখভালের মুরদ নেই অথচ ক্ষমতা আকড়ে ধরে আছেন"। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আবারো জেলে পাঠানোর হুমকী প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন," এবার বেগম খালেদা জিয়া আর জেলে ঢুকবেন না, এবার খালেদা জিয়াই জেল থেকে থেকে বের হয়ে আসবেন আর আপনি (শেখ হাসিনা) জেলে ঢুকবেন"। বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন আব্দুস সালাম।অনুষ্ঠানে সাদেক হোসেন খোকার জৈষ্ঠ্য সন্তান বিএনপি নেতা ইঞ্জিয়ার ইশরাক হোসেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবারা দেশের আজকের এই অবস্থা দেখার জন্য যুদ্ধ করেননি। এ সরকার জনগণের সাথেই শুধু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণ যে স্পিরিট নিয়ে দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল, আবারও সেই স্পিরিট নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার সময় এসেছে। এর আগে সাদেক হোসেন খোকার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুরাইনে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। অপর দিকে বিকেলে, সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে মিলাদ ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে, প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার মাগফেরাত কামণা করে দোওয়া করা হয়। এসময়, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি খোকার শুভানূধ্যায়ী বিভিন্ন সংগঠন এবং স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে।আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে একটি সমাবেশ হচ্ছে। রংপুরে রঙ-বেরঙের নাটক হচ্ছে। ৩ দিন আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সবাইকে এনেছে। মঞ্চের সামনে শুয়ে আছে, মঞ্চের ওপর শুয়ে আছে। বাড়ির ছাদের ওপর শুয়ে আছে। ফখরুলের খবর কী? ফখরুল শুয়ে আছে টাকার বস্তার ওপর। টাকারে টাকা, দুবাইয়ের টাকা। ফখরুল মহাখুশি। টাকা পেলেই বিএনপি খুশি। টাকার বস্তার বিছানার ওপর ফখরুল শুয়ে আছে।'তিনি বলেন, 'রংপুরে সমাবেশ করবে। ফখরুল সাহেব কত বলবেন, লাখের কমতো দেখেন না! চট্টগ্রামে লাখের কাছাকাছি, ময়মনসিংহে ৩০, খুলনায় ৩০, রংপুর কত করলেন? ৫০, ৬০ হাজার? আর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কত লোক হয়েছে খবর নিন। ঢাকার ছবিও দেখুন, রংপুরের ছবিও দেখুন। আপনারটা দেখুন, আমাদেরটাও দেখুন। এখানে তো শেখ হাসিনা নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে পলো গ্রাউন্ডে দেখাব- ৪ ভাগের ২ ভাগও পোরেনি। পোলো গ্রাউন্ড, ৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা যাবেন। ১০ লাখ লোক সেদিন দেখাব। আপনারা ১০ লাখ মুখে বলবেন, আমরা বাস্তবে দেখাব।তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২
জ্বালানির অপ্রাপ্যতা ও বিদ্যুৎ সরবরাহে চরম বিপর্যয়ের সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণের ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ দাবি জানানো হয়।বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।এতে বলা হয়, সরকারের মদদপুষ্ট গুটি কয়েক কোম্পানিকে সুবিধা প্রদান, ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন, দেশে গ্যাস উত্তোলনে অনীহা, উচ্চমূল্যে এলএনজি ক্রয় এবং অর্থ লুঠ করে বিদেশে পাচারের কারণে রিজার্ভের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।অনির্বাচিত সরকারের কোথাও জবাবদিহিতা না থাকায় নজিরবিহীন দুর্নীতি দেশকে চরম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টার মন্তব্য বিএনপির কয়েকটি প্রেস কনফারেন্স ও সেমিনারের বক্তব্যকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে।সভা মনে করে, অনির্বাচিত সরকারের নেওয়া তথাকথিত মেগা প্রকল্প এবং প্রয়োজন নয় এমন সব প্রকল্প গ্রহণ, সুষ্ঠু নীতি ব্যতিরেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, আন্তর্জাতিক ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থে ঋণ গ্রহণ অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। তার দায়ভার নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।বরাদ্দ না থাকায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যক্রম বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নিগৃহীত নারী ভাতার জন্য নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করায় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি।মির্জা ফখরুল বলেন, সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে অসহায় অংশ বয়স্ক ও বিধবা, স্বামী নিগৃহীত নারীরা। বর্তমান মূল্যস্ফীতির সময়ে এ কর্মসূচিতে নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করা অমানবিক।অবিলম্বে নতুন তালিকাভুক্তি শুরু করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ অক্টোবর ২০২২
বাংলাদেশের অগ্রগতি,সাফল্য, উন্নয়ন ও অর্জন যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত তখন বিএনপি মহাসচিবের পাকিস্তান আমলের প্রশংসা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিবের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন। এখনকার তুলনায় পাকিস্তান আমল নাকি ভালো ছিল, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির চিরাচরিত বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান ও স্বাধীনতা বিরোধী অপরাজনীতির গোপন অভিসন্ধির আবারও বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে আরও বলেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতি ও দেশপ্রেম বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি কিংবা সংগঠন এ ধরনের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী মন্তব্য করতে পারে না। বিএনপি নেতাদের এধরণের পাকিস্তান প্রীতি বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তারা এখনও বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চায় বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন পাকিস্তান পার্লামেন্ট ও গণমাধ্যমে যখন বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির উচ্চশিত প্রশংসা করা হচ্ছে, তখন বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছে।বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন স্বাধীন বাংলাদেশে যারা রাজনৈতিক ভাবে এবং পারিবারিক ভাবে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতিকে লালন করে তারা স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এখনও "পেয়ারে পাকিস্তান" মন্ত্র জপছে।বিএনপি মহাসচিবের এ ধরনের বক্তব্য শুধু রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিলই নয়,৩০ লাখ শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর মিরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।বিএনপি নেতাদের দাবি, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুরে তিনটি স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপুর ১টার দিকে মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারের সামনে মঞ্চ তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চারদিক থেকে হামলা শুরু করে। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ থাকলেও তারা আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির সমাবেশের জন্য অস্থায়ী মঞ্চ তৈরিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ ঘটনায় মিরপুর-৬ সড়কে ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে আমিনুল হক বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও গুলি নিক্ষেপ করেছে।ঘটনার বিষয়ে জানাতে ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা ডিএমপি কমিশনারের অফিসে যাচ্ছেন বলেও জানান আমিনুল হক।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দিতে চায় না। আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচনে অংশ নেয়া সব দলের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে আক্রান্ত, তাই নির্বাচনে আসতে চায় না।সরকার জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়। বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত।বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।বর্তমানে খালেদা জিয়া, তার অবর্তমানে তারেক রহমান বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি।কাদের বলেন, রাজনীতি না করার শর্তে যিনি (তারেক রহমান) মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, দলের বিপদ দেখেও এমন পলায়নপ্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়?আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসী দল, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং জনগণের আস্থার ঠিকানা, এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। জনকল্যাণে যাদের কোনো ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না তারাই সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতার যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। বিএনপিও তাই করছে।নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায়। নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায় বিএনপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির আন্দোলনেরও নেতা নেই, নির্বাচনেও নেতা নেই।বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আগামী জাতীয় নির্বাচন পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত বাংলাদেশেও যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।তত্তাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে কিন্তু ঐ সরকারের নেতা কে তা কেউ জানে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিএনপির সকল বিষোদগার আর অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের মাধ্যমে।বিএনপি যদি আবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন আওয়ামী লীগ কখনো আক্রমণ করবে না কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত আক্রান্ত হই,আক্রান্ত হলে এর জবাব দিতে প্রস্তুত।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন দলের মধ্যে অন্তঃকলহ দুর করতে হবে, দলের দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।তিনি আরো আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলদের নেতা বানানো যাবে না।দলের দ্বন্দ্ব চিরতরে পরিহার করতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন দল যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে তাহলে নির্বাচনে সফলতা আসবে না, তাই অবশ্যই দলের ভিতরে দ্বন্দ্ব দুর করতে হবে।আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথে আসে - যতই দুঃসময় আসুক রাজপথে থাকবে এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন কাজেই আওয়ামী লীগকে রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২