আন্তর্জাতিক


দিল্লিতে চলছে হাসিনা-মোদি বৈঠক

দিল্লিতে চলছে হাসিনা-মোদি বৈঠক

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উষ্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের রাজধানীতে অবস্থিত হায়দরাবাদ হাউসে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন।এর আগে, তাদের মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উষ্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য লাল গালিচা বিছানো হয় এবং বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।সকাল ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মোদি।রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের একটি ঘোড়ায় চালিত দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে সামনের দিকে তার মোটরযান নিয়ে যায়।ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ৩ বাহিনীর চৌকস একটি দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ জুন ২০২৪


উজবেকিস্তানে পালিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩১

উজবেকিস্তানে পালিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩১

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দময় পরিবেশে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাস উদযাপিত হয়ে গেলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩১। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দূতাবাস প্রাঙ্গনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকসহ উজবেকিস্তানের রাজনৈতিক, একাডেমিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক, পর্যটন ও মিডিয়া অঙ্গনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশীবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর স্বাগত বক্তব্যে পহেলা বৈশাখকে বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বর্ণনা করে এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রাকে’ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি ঘোষণা পহেলা বৈশাখের অর্থ ও তাৎপর্যকে বিশ্বজনীন করেছে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন। যুদ্ধ-বিগ্রহ,অত্যাচার, নিপীড়নসহ বিশ্ব এখন নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, এ সময় পহেলা বৈশাখের চেতনা ও অন্তর্নিহিত অর্থ যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। পহেলা বৈশাখের চেতনাকে ধারণ ও লালন করে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী পৃথিবী গঠনে অবদান রাখতে সকলকে রাষ্ট্রদূত আহবান করেন। তিনি আশা করেন আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্ক আরো গভীর ও ফলপ্রসূ হবে।আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। আয়োজনে উপস্থিত হবার জন্য ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ নিজেদের মধ্যে আনন্দ ও অনুভূতি ভাগাভাগি করেন এবং অনুষ্ঠান আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও বোঝাপোড়া আরো সুসংহত ও শক্তিশালী হবে। অতিথিগণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে দেশ-বিদেশে তুলে ধরতে কাজ করে যাওয়ার জন্য একে অপরের প্রতি আহ্বান জানান। উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণ বিভিন্ন ধরনের রঙিন আলপনা, ব্যানার, ফুল, বেলুন প্রভৃতি দিয়ে সাজানো হয়। পরে দূতাবাস প্রাঙ্গনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের শিল্পীরা বাংলাদেশের দেশত্ববোধক, লোকজ ও জনপ্রিয় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দ্বারা অতিথিদের কে আপ্যায়ন করা হয়, যা অনুষ্ঠানের আনন্দে এক নতুন মাত্রা যোগ করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ এপ্রিল ২০২৪


পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা, যে দল এগিয়ে

পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা, যে দল এগিয়ে

পাকিস্তানে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সব আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার তিনদিন পর এই ফল ঘোষণা করা হলো। গত বৃহস্পতিবারের এই নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।তবে অন্য সব রাজনৈতিক দলের চেয়ে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুসারে, বৃহস্পতিবারের এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জিতেছে। যার মধ্যে ৯৬টি আসনে জিতেছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে।এছাড়া প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টিও ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭টি আসন জিতেছে।পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য কোন দল বা জোটকে ১৩৪টি আসন পেতে হবে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের একটি আসনের ভোট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঞ্জাবের অন্য একটি আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।এদিকে বেশ কিছু বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী নওয়াজের পিএমএলএন-এ যোগদান করছে বলে জানা গেছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদ এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের বেশ কিছু বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা পিএমএলএন-এ যোগ দেবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজার প্রায় সব শিশু মানসিক সমস্যায় ভুগছে

ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজার প্রায় সব শিশু মানসিক সমস্যায় ভুগছে

দখলদার ইসরায়েলের হামলায় প্রতিদিন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আহত ও নিহত হচ্ছেন শত শত মানুষ। সেখানে প্রতি মুহূর্তে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। একটু পরপরই বোমা ফেলছে তারা। আর তাদের এসব বর্বরতার কারণে গাজার প্রায় সব শিশু মানসিক সমস্যায় ভুগছে। যাদের সবার মানসিক সহায়তা প্রয়োজন।শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা জোনাথান ক্রিকস।তিনি বলেছেন, “তাদের মধ্যে মানসিক সমস্যার লক্ষণ— ক্রমাগত উদ্বিগ্নতা, ক্ষুধামন্দা দেখা দিয়েছে। তারা ঘুমাতে পারে না। তারা আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ে অথবা যখনই বোমা হামলা হয় তখন তাদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়।’জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা আরও বলেছেন, “এই যুদ্ধের আগে জাতিসংঘ নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, গাজার ৫ লাখ শিশুর মানসিক সহায়তা প্রয়োজন। আজ আমরা বলছি, গাজার সব শিশুর এই সহায়তা প্রয়োজন। বর্তমানে এই উপত্যকায় ১০ লাখেরও বেশি শিশু রয়েছে।”ফিলিস্তিনভিত্তিক জাতিসংঘের এই সংস্থার কর্মকর্তা জোনাথান ক্রিকস আরও একটি ভয়াবহ তথ্য সামনে নিয়ে এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত চার মাসের যুদ্ধে গাজার প্রায় ১৭ হাজার শিশু তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অর্থাৎ তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাচ্ছে না অথবা তাদের পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন।ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন আরও সাত থেকে আট হাজার ফিলিস্তিনি। যাদের সবাই নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত, ৬৫ জনের মৃত্যু

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার বিমান বিধ্বস্ত, ৬৫ জনের মৃত্যু

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার একটি ইউশিন আইএল-৭৬ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আরআইএ। এতে বিমানের ভেতর থাকা ৬৫ জন যাত্রীর সবার মৃত্যু হয়েছে।বার্তাসংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, বিমানটিতে রুশ বাহিনীর হাতে বন্দি ইউক্রেনীয় সেনারা ছিল।বেলগোরোদের আঞ্চলিক গভর্নর ভায়াচেসলাভ গ্লাদকোভ জানিয়েছেন, তিনি বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কোনো কিছু জানাননি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ইয়াবলোনোভো গ্রামে একটি বিমান খাড়াভাবে আছড়ে পড়ছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৪


শেখ হাসিনাকে ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন

শেখ হাসিনাকে ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের (ইসি) প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্প্রতি আপনি পুনঃনিয়োগ পাওয়ায় আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সাথে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং অন্যান্য সকল অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’মিশেল বলেন, ‘আমাদের সহযোগিতাকে বিস্তৃত এবং আধুনিকীকরণের উদ্দেশে একটি অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনা শিগগির শুরু হবে। এই চুক্তি আগামী বছরগুলোতে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি শক্ত কাঠামো তৈরি করবে।’তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের কাঠামোর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের অংশীদারিত্বকে সমুন্নত রাখতে এবং অগ্রসর করতে এই সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করে যাবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৪


আ'লীগ সরকারকে সমর্থন দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন যুক্তরাষ্ট্র

আ'লীগ সরকারকে সমর্থন দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র আবার বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।ব্রিফিংয়ে করা এক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করে, বিরোধী দলের হাজারো নেতা-কর্মীকে কারারুদ্ধ করে ভুয়া নির্বাচনের খবরের জেরে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে যুক্তরাষ্ট্র তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।জবাবে মিলার বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক হাজারো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে তাঁরা এখনো উদ্বিগ্ন। তাঁরা অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এই মত পোষণ করেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় তাঁরা দুঃখিত। নির্বাচনের সময় ও পরবর্তী সময়ে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানান তাঁরা। সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁরা সব পক্ষকে রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছেন।ব্রিফিংয়ে আরেক প্রশ্নে বলা হয়, ‘আপনি যখন বলেন যে বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি, তার মানে কি যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদকে স্বীকৃতি দেবে না?’জবাবে মিলার কেবল ‘না, না’ বলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৪


জাপানে ৯০ মিনিটে ২১ বার ভূমিকম্প, নিহত ২৪

জাপানে ৯০ মিনিটে ২১ বার ভূমিকম্প, নিহত ২৪

জাপানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মাত্র ৯০ মিনিটে আরও ২১ বার ভূমিকম্প (আফটার শক) হয়েছে। অধিকাংশ আফটার শকের মাত্রা চার বা তার ওপরে ছিল। এ ছাড়া আগামী তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত শক্তিশালী আফটার শক অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাপানি আবহাওয়া সংস্থা। খবর আলজাজিরা ও সিএননের।সোমবার জাপানের উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর পর উপকূলীয় অঞ্চল ইশিকাওয়া, নিগাতা ও তোয়ামায় সুনামি সতর্কতা জারি করে জাপানের আবহাওয়া বিভাগ। এমন সতর্কবার্তার ঘণ্টাখানেক পরই স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের উপকূলে ৩ দশমিক ৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। তবে এখানো ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তোয়ামা শহর, কাশিওয়াজাকি, কানাজাওয়া বন্দর, টোবিশিমা দ্বীপ, সাদো দ্বীপসহ জাপানের পশ্চিম উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় এক মিটারের কম উচ্চতার সুনামির খবর পাওয়া গেছে।অন্যদিকে এখনো বড় ধরনের সুনামির ঝুঁকিতে রয়েছে ইশিকাওয়ার নোটো শহর। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই শহরে ৫ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।শুধু জাপান নয়, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ায় সুনামি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ায় দেড় ফুট উচ্চতার সুনামি আঘাত হানার খবর দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ জানুয়ারি ২০২৪


সর্বাধিক পঠিত

১০ প্রতিষ্ঠান ও ৪ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

১০ প্রতিষ্ঠান ও ৪ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরানকে ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহ করায় ১০ প্রতিষ্ঠান ও ৪ ব্যক্তির একটি চক্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার প্রতিবেদনে এখবর দেওয়া হয়েছে।মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের তৈরি চালকহীন বিমান (ইউএভি) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ বলছে, তেহরানকে সংবেদনশীল সরঞ্জাম সরবরাহ করায় বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে— ইরান, মালয়েশিয়া, হংকং এবং ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক এজেন্ট, ফ্রন্ট কোম্পানি এবং লজিস্টিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই চক্র সাইবার যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং অস্ত্র তৈরির ইরানভিত্তিক গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের জন্য কয়েক হাজার ডলার মূল্যের বিদেশি সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে। ইরান মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়ায় তাঁর সন্ত্রাসী মিত্রদের ইউএভি সরবরাহ করছে বলে মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ।চক্রটির কথিত নেতা ইরানের হোসেন হাতেফি আরদাকানির বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার একটি অভিযোগপত্র প্রকাশ করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। আরদাকানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স অবৈধভাবে কেনা ও ইরানে রপ্তানি করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগপত্র অনুসারে, আরদাকানি ও তাঁর সঙ্গীরা সংবেদনশীল সরঞ্জাম রপ্তানিতে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ এড়াতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছিল। তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে চীনা নাগরিক গ্যারি লামও রয়েছেন। ওয়াশিংটন দীর্ঘকাল ধরেই তেহরানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ করে আসছে। গত ২২ ধরেই রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তবে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের শহর ও অবকাঠামোতে ইউএভি ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনে রাতারাতি হামলা চালানো ১৯টি ড্রোনের মধ্যে ১৮টিই ধ্বংস করেছে তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২৩


হামাসের হাতে জিম্মিদের হত্যা করে চাপের মুখে ইসরায়েল

হামাসের হাতে জিম্মিদের হত্যা করে চাপের মুখে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের হাতে থাকা তিনজন জিম্মিকে ‘ভুল করে’ নিজেরাই হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিষয়টি স্বীকার করেছে তারা। এ ঘটনায় দেশটিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় জিম্মি মুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ইসরায়েল।নিহত তিন ইসরায়েলি জিম্মি হলেন ইয়োতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) ও অ্যালন শামরিজ (২৬)। তাঁদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে শেজাইয়া এলাকায় শুক্রবার অভিযানের সময় তাদের গুলিতে ওই তিনজন নিহত হন।এ ঘটনাকে ‘অবর্ণনীয় দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক ভুল।’গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা। মাঝে যুদ্ধবিরতি চলার সময় বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এখনো হামাসের কাছে ১৪০ জনের মতো জিম্মি থাকতে পারে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। শনিবার ইসরায়েলের একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ভুল করে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যার সময় তাঁদের হাতে সাদা পতাকা ছিল। প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।এই কর্মকর্তা বলেন, একজন সেনা শুক্রবার শেজাইয়া এলাকায় স্বল্প দূরত্ব থেকে ওই জিম্মিদের বেরিয়ে আসতে দেখেন। তাঁদের হাতে থাকা একটি লাঠিতে সাদা কাপড় বাঁধা ছিল।সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, সংশ্লিষ্ট একজন সেনা তাঁদের (জিম্মি) হুমকি মনে করেন ও গুলি চালান। ওই সেনাসদস্য তাঁদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিলে অন্য সেনারা তখন গুলি চালান। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক দুই জিম্মি নিহত হন।তৃতীয়জন আহত হন। তাঁকে কাছাকাছি একটি ভবনে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় হিব্রু ভাষায় সাহায্য চান তিনি। পরে তিনিও মারা যান।বড় ধরনের বিক্ষোভজিম্মি হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতেই তেলআবিবে বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় অনেকে নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বক্তব্য দেন।জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগে থেকেই ইসরায়েলের ভেতর থেকে চাপ ছিল দেশটির সরকারের ওপর। তিন জিম্মি হত্যার ঘটনার পর এ চাপ আরও বেড়েছে।আহত সেই দাহদুহসংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার বৈঠক করার কথা। বৈঠকে জিম্মি মুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর কথা ছিল।উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময়ে মধ্যস্থতা করে আসছে কাতার ও মিসর। নতুন করে আলোচনা শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতার।এদিকে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলা অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিন দিন ধরে গাজায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা অচল রয়েছে। এতে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি হতাহতের হালনাগাদ তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩


গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে

গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত দেড় মাসের অভিযানে নিহত শিশুদের সংখ্যা ৬ হাজার এবং নারীদের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪ হাজার ৫৩২ জনে।এই নিহতদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই আহতদের মধ্যেও নারী ও শিশুদের হার ৭৫ শতাংশের ঊর্ধ্বে।সাধারণ ফিরিস্তিনিরা ছাড়াও গত দেড় মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ২০৫ জন ডাক্তার-নার্স-চিকিৎক, ২৫ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং ৬৪ জন সাংবাদিক।বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে গাজার প্রশাসনিক কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত দেড় মাসের গোলা বর্ষণে উপত্যকার ৪৫টি বাসভবন ১০২টি সরকারি ভবন, ২৬৬টি স্কুল এবং ৮৫টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার বাসভবন, ১৭৪টি মসজিদ এবং ৩টি গির্জা।এছাড়া গাজার ২৬টি হাসাপাতাল এবং ৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে প্রশাসনিক কার্যালয়।গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।হামাসের এই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের সরকার। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে এই যুদ্ধবিরতি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ নভেম্বর ২০২৩


হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল

হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল

গত দেড় মাস ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।সোমবার ইসরায়েলভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূলত হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতেই ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠী এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী।চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যদি তার হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটির সরকার। এখন অপেক্ষা কেবল হামাসের জবাবের।জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারটি ইসরায়েল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে দাবি করে নিজেদের প্রতিবেদনে কান জানিয়েছে, ‘বল এখন হামাসের কোর্টে। হামাস যদি ইতিবাচক সাড়া দেয়, সেক্ষেত্রে সহজেই একটি সমঝোতা হতে পারে।’এর আগে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকেও এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।‘দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশা করছি এটি হবে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে,’ হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন কিরবি।গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ নভেম্বর ২০২৩


৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ বললেন বাইডেন

৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ বললেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে দ্বিপক্ষীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠকে বিশ্বের এ দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্কের পারদ গলে কি না সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। কিন্তু সুদীর্ঘ বৈঠক যে সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি, তা স্পষ্ট হয়ে গেলো বাইডেনের কথায়। জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তাকে আবারও ‘স্বৈরাচার’ বলে কটাক্ষ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।বুধবার (১৫ নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোর প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগানবাড়িতে বৈঠকে বসেন বাইডেন ও জিনপিং। প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে জিনপিংকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে বেইজিংয়ের তোপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। বুধবার বৈঠক শেষে তাই এক সাংবাদিক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি এখনো চীনা প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ বলে মনে করেন কি না?উত্তরে বাইডেন বলেন, ওনাকে দেখে তাই মনে হয়। মানে, যেভাবে তিনি দেশশাসন করছেন, চীনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ, যার সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, সেসব বিবেচনায় জিনপিং একজন স্বৈরশাসক।এদিনের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রেকে খোঁচা দিতে পিছপা হননি চীনের প্রেসিডেন্টও। তাইওয়ান প্রসঙ্গ তুলে কড়া বার্তা দেন জিনপিং।চীনা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, জিনপিং বাইডেনকে বলেছেন, স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন আপনারাই। এবার তা প্রমাণ করুন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২৩


রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এই বক্তব্যকে তারা খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী গত সোমবার এক সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। তিনি তাঁর বক্তব্য নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে মুজিবুলের দেওয়া হুমকির বিষয়টি গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ওঠে। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা।বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মীদের পাওয়া হুমকির মাত্রা ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? বাংলাদেশে কূটনীতিক মিশন ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন?জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বিষয়টিকে তিনি বড় পরিসরে বলতে চান। সেটি হচ্ছে, মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, এই ধরনের সহিংস বক্তব্য খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।তাঁরা আশা করেন, যেকোনো স্বাগতিক দেশের সরকার মার্কিন কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ প্রসঙ্গ ভিয়েনা কনভেনশনের বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন বেদান্ত প্যাটেল।একই সাংবাদিক ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ক্ষমতাসীন দলের ‘একতরফা’ নির্বাচনের চেষ্টা এবং বিরোধীদের গ্রেপ্তার নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন করেন। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলবেন না। তবে তাঁরা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করেন না। তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা হলো, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সে জন্য তাঁরা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ নভেম্বর ২০২৩


গাজা নগরীর কেন্দ্রস্থলে আছেন ইসরায়েলি সেনারা- ইয়োভ গ্যালান্ট

গাজা নগরীর কেন্দ্রস্থলে আছেন ইসরায়েলি সেনারা- ইয়োভ গ্যালান্ট

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, তাঁর দেশের সেনারা এখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার গাজা নগরীর কেন্দ্রস্থলে আছেন।গতকাল মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়োভ গ্যালান্ট এ কথা বলেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থল, বিমান, নৌসেনাদের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে গাজা নগরীতে হানা দিয়েছে বলে জানান ইয়োভ গ্যালান্ট।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরে গাজা নগরীর অবস্থান। গাজা নগরী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যে বলেছেন, তাঁর দেশের সেনারা গাজা নগরী ঘেরাও করছেন। তাঁরা গাজা নগরীর ভেতরে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। তিনি বেসামরিক লোকজনকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণে চলে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন।নেতানিয়াহু গত সোমবার বলেছিলেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল। গতকাল নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দেন তাঁর মন্ত্রিসভার এক সদস্য।ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ের মন্ত্রী রন ডার্মার বলেন, নেতানিয়াহু বলতে চেয়েছেন, গাজা উপত্যকাকে একটি নিরস্ত্রীকরণ এলাকা হিসেবে বহাল রাখার বিষয়টি ইসরায়েল নিশ্চিত করবে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সেখানে ‘নতুন কোনো সন্ত্রাসী হুমকির’ বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। তবে এলাকাটি পুনর্দখল বা শাসন করবে না ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েল বলছে, এ হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ব্যক্তি নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তারা গাজায় স্থল অভিযানও চালাচ্ছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ১০০ জনের বেশি শিশু রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২৩


গাজায় আর কোনো জায়গাই এখন নিরাপদ নেই - জাতিসংঘ

গাজায় আর কোনো জায়গাই এখন নিরাপদ নেই - জাতিসংঘ

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে আর কোনো জায়গাই এখন নিরাপদ নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পরিচালক টমাস হোয়াইট জানিয়েছেন যে, সেখানকার বাসিন্দাদের বাঁচাতে জাতিসংঘের কোনো কিছুই করার নেই।গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।সর্বশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার হয়েছে মধ্য গাজার আল শিফা হাসপাতাল থেকে রাফাহ ক্রসিংয়ে যেতে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের বহর। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলায় অন্তত ১৩ জন মারা গেছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে আহতদের নিয়ে রাফাহ সীমান্ত পার করছিল অ্যাম্বুলেন্সের বহরটি। হামাস দাবি করেছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী ওই হামলা চালিয়েছে।ইসরায়েলি বাহিনীও নিশ্চিত করেছে যে, তারা একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা বলছে, ওই অ্যাম্বুলেন্সে হামাসের সদস্যরা ছিল।একটি ভিডিওতে দেখা যায় হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় রক্তের মধ্যে কয়েকজন মানুষ পড়ে আছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিথর হয়ে পড়ে আছে আবার কেউ আহত হয়ে ছটফট করছেন। কয়েকটি ভিডিও যাচাই করে দেখা গেছে, ওই ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত বা নিহত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২৩


নেপালে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮

নেপালে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮

গত রাতের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ১২৮ জনে এবং বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে এখন পর্যন্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১৪০ জনকে। পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট।শুক্রবার রাত ১১ টা ৪৭ মিনিটের দিকে হওয়া এই ভূমিকম্পের কম্পণ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও অনুভূত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি। নেপালের সীমান্ত থেকে নয়াদিল্লির দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার।নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৫০ মাইল উত্তরপূর্বে অবস্থিত জাজারকোট জেলা ছিল এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ব জরিপ সংস্থা তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে— ভূপৃষ্ঠের ১১ মাইল গভীরে উৎপত্তি হয়েছে এ ভূমিকম্পের।ভূমিকম্পে নেপালের হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু অঞ্চল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুর্গম পার্বত্য অনেক এলাকায় এখনও পৌঁছাতে পারেননি সরকারি দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মী ও পুলিশ।সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল জাজারকোট জেলার। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৪৫ মাইল উত্তরপূর্বে অবস্থিত এই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাজারকোট পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সন্তোষ রোকা।জাজারকোটের নালগাড় শহরের ডেপুটি মেয়র সরিতা সিংও এই মৃতদের তালিকায় রয়েছেন বলে কাঠমান্ডু পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন রোকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৫৫ জনেরও বেশি মানুষকে।এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের পশ্চিামঞ্চলীয় পার্বত্য জেলা পশ্চিম রুকুম। জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপারিটেনডেন্ট নমরাজ ভট্টরাই জানিয়েছেন, পশ্চিম রুকুমের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ এবং আহত অবস্থায় ৮৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুমের পাশাপাশি নেপালের ভেরি, নালগাড়, কুশে, বেরেকোট ও চেদাগড়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে বলে কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ নভেম্বর ২০২৩


বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ইউরেনিয়াম ব্যবহারের হুমকি নিয়ে প্রশ্ন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ইউরেনিয়াম ব্যবহারের হুমকি নিয়ে প্রশ্ন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে

আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, বিরোধী দলের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার তৎপর। সরকারের তৎপরতার মধ্যে রয়েছে গ্রেপ্তার, অভিযোগ গঠন, এমনকি রাতের বেলায় আদালত বসিয়ে বিচার।মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীনরা সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ব্যবহারের হুমকি। এই অভিযোগগুলো কীভাবে দেখছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর? বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে?জবাবে মিলার বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট এই অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার আছে বলে মনে হয় না। নির্বাচন সামনে রেখে আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’মিলার আরও বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব অংশীদারদের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে আছে সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম ও অবশ্যই ভোটারেরা। তাঁরা সব অংশীদারদের আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার পাশাপাশি সহিংসতা, হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে যাবেন।আরেক প্রশ্নে বলা হয়, সম্প্রতি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কথা বলেছেন। তাঁর ভাষ্যমতে, তিনি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বলেছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কেন তার দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে চাইছে?আর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস শুধু তাঁর নিজের নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেননি, তিনি দূতাবাসের অন্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি (মুখপাত্র মিলার) নিজে এখানে দাঁড়িয়ে বারবার ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন। তাই এই বিষয়ে মুখপাত্রের মন্তব্য কী, তা জানতে চান প্রশ্নকারী।জবাবে মিলার বলেন, তিনি আবার বলবেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, কূটনৈতিক অঙ্গন ও কর্মীদের সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তাঁরা আশা করবেন, যুক্তরাষ্ট্রের সব মিশনসহ কূটনীতিকদের সুরক্ষা-নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ অক্টোবর ২০২৩


গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিচ্ছে মিশর

গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিচ্ছে মিশর

গাজায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিশরের প্রেসিডেন্ট সেখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে একটি সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছেন। এতে ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।এদিকে ইসরায়েলের মানুষের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশে ফিরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের পথে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বৃহস্পতিবার সকালেই ইসরায়েলে পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে।গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিচ্ছে মিশর। এই ক্রসিং দিয়ে ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠানো যাবে। একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর মিশরের দিক থেকেও এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হলো।মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাফাহ টার্মিনাল ব্যবহার করে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আহমেদ ফাহমি এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।তবে তিনি কোনো সময়সীমার কথা উল্লেখ করেননি। রাফাহ ক্রসিং মিশরের সিনাই মরুভূমি সংলগ্ন একটি সীমান্তপথ যেটি গাজার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে যেগুলো পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং দুটিই এখন বন্ধ আছে।ফলে মিশরের এই সীমান্তপথটিই এখন গাজার অসহায় মানুষদের একমাত্র ভরসা। তবে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই সীমান্তটি মিশর বন্ধ করে দেওয়ায় সেটা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলের ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার পর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।ফলে রাফাহ সীমান্ত এখন বেসামরিক নাগরিকদের জন্য গাজা ত্যাগ করার একমাত্র স্থলপথ। গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রেও রাফাহ এখন গুরুত্বপূর্ণ। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে ইতোমধ্যেই একটি বিমান উত্তর সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২৩


ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগ

ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগ

টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। চলমান এই সংঘাতে সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় আগ্রাসন চালাতে ইসরায়েলে দ্রুত অস্ত্র সরবরাহ করার পাশাপাশি দেশটি বিমানবাহী রণতরীও পাঠিয়েছে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে।আর এরইমধ্যে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের যে বিভাগটি বিদেশে অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে কাজ করে, পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তা সেই বিভাগেই কাজ করতেন।বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি শক্তির কাছে অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে কাজ করা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা ইসরায়েল ও গাজায় চলমান সংঘাতে বাইডেন প্রশাসনের নীতিতে আপত্তি জানিয়ে বুধবার পদত্যাগ করেছেন।পদত্যাগকৃত ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলকে আরও মার্কিন সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি তিনি সমর্থন করতে পারবেন না। এছাড়া চলমান গাজা সংঘাতে বাইডেন প্রশাসন যেভাবে এগিয়ে গেছে সেটিকে ‘বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ব’-এর ওপর ভিত্তি করে ‘আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার পদত্যাগ করা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই কর্মকর্তার নাম জোশ পল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোতে কংগ্রেসনাল এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ছিলেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বিভাগটি বিদেশে অস্ত্র স্থানান্তর ও সরবরাহের কাজ পরিচালনা করে থাকে।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের জোরালো সমর্থনের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ যে অস্বস্তি রয়েছে, জোশ পলের এই পদত্যাগ আসলে সেটিকেই সামনে এনেছে। যদিও এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল।জোশ পল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোতে কংগ্রেসনাল এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক হিসেবে ১১ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। তিনি বলছেন, তিনি এমন একটি চাকরি চালিয়ে যেতে পারছেন না যা ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের প্রাণহানির জন্য অবদান রাখছে।এক সাক্ষাৎকারে জোশ পল বলেন, ‘নজিরবিহীন হামলায় হামাস যা করেছে তার ভয়াবহতা অনেক বেশি। তাই আমি সম্ভাব্য ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া বা চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের মাত্রাকে ভয় করি। আমি ইসরায়েলি সরকারের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকার করি। তবে সেই অধিকারকে স্বীকার করতে গিয়ে কত ফিলিস্তিনি শিশুকে মারা যেতে হবে তা নিয়েই আমার প্রশ্ন।’পল বলেন, ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিপুল সামরিক সহায়তা আসলে কার্যকরভাবে তেল আবিবকে সেই গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে যে, তারা গাজায় যা ইচ্ছা সেটাই করতে পারে। আর সেই কাজে বিপুল পরিমাণ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারালেও সে বিষয়ে ইসরায়েলের কোনও চিন্তা নেই। ইসরায়েলি সরকার বলেছে, তারা হামাসকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে এবং গাজা শহর ও উত্তর গাজার বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। যদিও এটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা।ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, জোশ পলের পদত্যাগের বিষয়ে কোনও ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। অবশ্য ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারের’ জন্য আঞ্চলিক সমর্থন জোগাড়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কার্যত চষে বেড়িয়েছেন।পল বলেছেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টে সামরিক সহায়তা নিয়ে কাজ করার সময় তিনি অন্যান্য কিছু বিষয়ে বেশ দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সম্মুখীন হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সর্বদা মনে করতেন- তিনি ‘বিষয়গুলোকে সঠিক দিকে নিয়ে যেতে পারবেন’।তবে গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা পাঠানো নিয়ে এবার তিনি আর সেটি পারেননি। আর এটিই তার পদত্যাগের সবচেয়ে বড় কারণ ছিল বলে জানান জোশ পল।উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭৮ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং স্কুল ও হাসপাতালের মতো স্থানেও হামলার ঘটনা ঘটছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা বলেছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৭৮ জন মারা গেছেন এবং বিভিন্ন মাত্রার আঘাতে ১২ হাজার ৬৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ।এছাড়া হামলার শিকার শত শত ফিলিস্তিনি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলেও জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ অক্টোবর ২০২৩