আন্তর্জাতিক


যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি : একে অন্যকে ভয় দেখাচ্ছে আ.লীগ-বিএনপি

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি : একে অন্যকে ভয় দেখাচ্ছে আ.লীগ-বিএনপি

‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের ভিসা না দেওয়ার নতুন নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথে আন্দোলনরত দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এসেছে।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আন্দোলনের নামে যারা আগুন দিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করবে তাদের খবর আছে।’অন্যদিকে একই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নয়, খবর আছে আওয়ামী লীগ সরকারের।’বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তারা একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বুধবার বলেছেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবেন তাদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্যে নতুন এ ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।এর আওতায় বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে, সরকারও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আপনি যখন বলছেন বাধার প্রশ্ন, আমাদেরও একটা কথা, নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদেরকে আমরা অবশ্যই প্রতিহত করব। বাধা প্রদানকারীর বিরুদ্ধে এখানে বক্তব্য আছে। আমরা এখানে বলতে চাই, যারা নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলনের নামে বাসে আগুন দেয়, বাস ভাঙচুর করে, এরাই একটা পলিটিক্যাল ভায়োলেন্সে আছে। কাজেই ওদের খবর আছে।পরে একই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘আমাদের খবর নয়, খবর আছে আওয়ামী লীগ সরকারের। কারণ জনগণ ফুঁসে উঠেছে। জনগণ এবার দিনের ভোট রাতে করতে দেবে না ।’বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে না দিয়ে তাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হওয়া উচিত। বাংলাদেশ কি পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ও এক ঘরে হয়ে যাবে? পুরো পৃথিবী বয়কট করবে বাংলাদেশকে?’এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, বাংলাদেশের জন্য যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, গণতন্ত্রের জন্য যে বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না হয় এবং তারা যে কর্মকাণ্ডগুলো করেছে, নিষেধাজ্ঞার যে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, আমি মনে করি এটা যথার্থই করেছে।’বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। যেটা ইতোমধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক।’

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৫ মে ২০২৩


ইমরান খান গ্রেপ্তার

ইমরান খান গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী পাক রেঞ্জার্স।ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক আকবর নাসির খান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। পুলিশের শীর্ষ ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইমরান খানকে কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সহিংসতা চালানোর চেষ্টা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।এদিকে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের এই ঘটনার পরপরই ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে তলব করেছেন।সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পেছনে কারা আছেন এবং কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা অবিলম্বে হাইকোর্টকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আমির ফারুক বলেছেন, এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি সেটা যদি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও হয়।দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে পাক রেঞ্জার্স।দেশটির বহুল আলোচিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে পিটিআই চেয়ারম্যানকে হেফাজতে নিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত একাধিক এফআইআরে জামিন চাওয়ার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন তিনি।জিও নিউজ বলেছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কালো ভিগো গাড়িতে করে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ মে ২০২৩


২০২৩ সাল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন জলবায়ুবিদরা

২০২৩ সাল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন জলবায়ুবিদরা

বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়ার বিভিন্ন অংশে যেভাবে ফোস্কাপড়া তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে, তাতে চলতি ২০২৩ সাল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন জলবায়ুবিদরা।এল নিনো ধরনের আবহাওয়ার প্রভাবে ২০২৩ সালের শীত শেষ হতে না হতেই তাপমাত্রার পারদ যেভাবে চড়ছে, তা বিশ্বের উত্তর গোলার্ধের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর জন্য রীতিমতো অশনি সংকেত বলে মত বিশ্বের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের।রোববার ভিয়েতনামের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তাপমাত্রার প্রভাবে বিদ্যুতের চাহিদায় আকস্মিক উল্লম্ফন এবং তার জেরে ভিয়েতনামে প্রায় ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। প্রতিবেশী দেশ লাওসেও এ দিন রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা ছিল। দক্ষিণপূর্ব এয়িশার অপর দেশ ফিলিপাইনে প্রায় প্রতিদিন তাপমাত্রার সূচক ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে থাকায় স্কুলের সময়ঘণ্টা কমাতে বাধ্য হয়েছে সরকার।তাপপ্রবাহ থেকে থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা ফিলিপাইনের দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়াও। গত সপ্তাহে প্রতিদিনই থাইল্যান্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চালে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। তাপপ্রবাহের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। থাই জলবায়ুবিদরা সরকারের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, সামনের তিন বছর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে খরা দেখা দিতে পারে; সরকারের উচিত আসন্ন এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।খরার আশঙ্কায় আছে মালয়েশিয়াও। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছর মালয়েশিয়ায় বৃষ্টিপাত কমে যেতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। যদি সত্যিই এমন হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাম ওয়েল উৎপাদনকারী এই দেশটির ভোজ্যতেলের মূল কাঁচামাল পামের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে যাওয়া এল নিনো আবাহাওগত প্যাটার্ন এই দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রাবাহের জন্য মূলত দায়ী এবং একে আরও অসহনীয় করে তুলছে মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ব্যাপারটি।স্প্যানিশ ভাষার দুই শব্দ ‘এল নিনো’ এবং ‘লা নিনা’র আক্ষরিক বাংলা অর্থছোটো খোকা ও ছোটো খুকী। তবে গত কয়েকশ’ বছর ধরে এই শব্দ দু’টি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলের জলবায়ুগত অবস্থা বা চক্রকে বোঝানো হয়। এই চক্রের একটি অংশের নাম ‘এল নিনো’ অপরটির নাম ‘লা নিনা’।কোনো কোনো বছর প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। গড়ে প্রতি ৬ থেকে ৭ বছর অন্তর অন্তর বিশেষ এই ব্যাপারটি ঘটে।এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়ে।এল নিনোর প্রভাবে প্রশাসন্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে।সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো। তারপরই আসে ‘লা নিনা’। সে সময় এল নিনোর বিপরীত অবস্থা দেখে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জলবায়ু মডেলগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছর প্রশান্ত মহাসাগরে লা নিনা আবহাওয়া প্যাটার্ন ছিল। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ থাকা সত্ত্বেও খানিকটা কম ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা; কিন্তু চলতি বছরের মাঝামাঝি বা তার কিছু পর থেকে লা নিনা শেষ হবে, শুরু হবে এল নিনো প্যাটার্ন।গত প্রায় তিন বছর ধরে খরা চলছে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশভুক্ত আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাংশে। বৈশ্বিক জলবায়ুবিদদের মতে, এল নিনো’র প্রভাবে হয়ত চলতি বছরই এই খরার অবসান হবে, কিন্তু একই সময়ে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়তে থাকবে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল।আর এসব জায়গায় টানা ও দীর্ঘমেয়াদী তাপপ্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কফি, চিনি,পাম তেল ও কোকোয়ার মতো কৃষিপণ্যের উৎপাদন।সূত্র : ব্লুমবার্গ

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ মে ২০২৩


যুক্তরাষ্ট্রকে ধূলিসাৎ করে দেওয়ার হুমকি রাশিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রকে ধূলিসাৎ করে দেওয়ার হুমকি রাশিয়ার

রাশিয়ার কাছে যু্ক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার মতো অস্ত্র মজুদ আছে- এমন হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রী নিকোলাই প্যাটরুশেভ। খবর আলজাজিরার। তিনি বলেন, যে কোনো শত্রুর মোকাবিলা করার মতো সামর্থ্য রাশিয়ার আছে। যদি রাশিয়ার অস্তিত্ব সংকটে পড়ে তবে যুক্তরাষ্ট্র হলেও তাকে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হবে। রুশ গণমাধ্যম রোশিকায়া গ্যাজেটায় এসব কথা বলেন তিনি। নিকোলাই প্যাটরুশেভ আরও বলেন, আমেরিকানরা অন্যের জন্য পাতা ফাঁদে নিজেরাই পড়ে গেছে। এর আগে পুতিনকে গ্রেফতার করা হলে জার্মানিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পরোক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে চীন-রাশিয়া ও পশ্চিমা জোট। সম্প্রতি কথার লড়াই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। একদিকে মস্কো সফর করে মাঠ গরম করেছেন শি জিনপিং। অন্যদিকে চীনের ওপর রাশিয়াকে সহায়তার অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া-চীন সম্পর্ক নিয়ে পুতিন বলেন, চীন ও রাশিয়া কোনো ধরনের সামরিক জোট গড়ছে না, তবে আমরা একে অপরকে সামরিক সহযোগিতা করছি। এদিকে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছে বেলারুশে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা। এ বিষয়ে পুতিন বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কাজ করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ মার্চ ২০২৩


যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়তে উত্তর কোরিয়ার আট লাখ নাগরিকের সেনাবাহিনীতে যোগদান

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়তে উত্তর কোরিয়ার আট লাখ নাগরিকের সেনাবাহিনীতে যোগদান

উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দেশটির অন্তত আট লাখ নাগরিক স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে স্বাক্ষর করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রডং সিনমুন এ খবর দিয়েছে।তুর্কি সংবাদমাধ্যম আরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমটি শনিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশটির প্রায় আট লাখ মানুষ প্রস্তুত রয়েছে। এ লক্ষ্যে শুধু শুক্রবার সারা দেশে প্রায় আট লাখ ছাত্র ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অথবা পুনরায় তালিকাভুক্ত হতে স্বেচ্ছাসেবক হয়েছেন।চলমান যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া যখন একের এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে, তখন এমন খবর দিল পিয়ংইয়ং। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া তার হোয়াসং-১৭ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিক্ষেপ করে।এদিন কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া, যা ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের জাপান সফরে যাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। যদিও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের অধীনে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।এর আগে গত ১৩ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ মহড়া শুরু করে। কোরীয় উপদ্বীপে চলমান ১০ দিনব্যাপী মহড়াকে আগ্রাসনের প্রস্তুতি বলে উল্লেখ করেছে পিয়ংইয়ং। দুই দেশের ওই মহড়া শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ মার্চ ২০২৩


যুক্তরাজ্যে বিক্রি হচ্ছে পবিত্র কাবা শরিফের আদলে সোনার বার

যুক্তরাজ্যে বিক্রি হচ্ছে পবিত্র কাবা শরিফের আদলে সোনার বার

যুক্তরাজ্যের বাজারে ছাড়া হয়েছে পবিত্র কাবা শরিফের আদলে নির্মাণ করা সোনার বার। মূলত রোজার মাস সামনে রেখে মুসলিম সম্প্রদায়ের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ এই সোনার বার বাজারে এসেছে। পবিত্র কাবার আদলে সোনার এই বার বানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পুরোনো মুদ্রা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েল মিন্ট লিমিটেড।গতকাল বুধবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবার আদলে বানানো একেকটি সোনার বারের ওজন ২০ গ্রাম। মুসলিম কাউন্সিল অব ওয়েলসের পরামর্শ নেওয়ার পর এই সোনার বার বানিয়েছে রয়েল মিন্ট।এই বিষয়ে মুসলিম কাউন্সিল অব ওয়েলসের আবদুল–আজিম আহমেদ বলেন, পবিত্র কাবাঘরের আদলে সোনার বার বানিয়েছে রয়েল মিন্ট। কাজটি নিখুঁত ও দুর্দান্ত হয়েছে। এই সোনার বার শুধু যুক্তরাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নয় বরং বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পাবে।পবিত্র কাবার আদলে নির্মিত সোনার বার নিলামে তুলতে গত ফেব্রুয়ারিতে লন্ডন, ম্যানচেস্টার ও গ্লাসগোয় তিনটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই সময় রয়েল মিন্টের পক্ষ থেকে দান করা সোনার বার নিলামে তুলে দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফ। পরে নিলামে সোনার বার বিক্রি করে পাওয়া ১০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়।এই বিষয়ে রয়েল মিন্টের মূল্যবান ধাতব বিভাগের পরিচালক অ্যান্ড্রু ডিকে বলেন, প্রথমবারের মতো পবিত্র কাবা ঘরের আদলে ২০ গ্রামের সোনার বার বানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।বর্তমানে পবিত্র কাবার আদরে বানানো একেকটি সোনার বার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৫৬ পাউন্ড বা ১ হাজার ৩৯৩ মার্কিন ডলারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ মার্চ ২০২৩


ভালোবাসা দিবসে গরুকে জড়িয়ে ধরতে বলল ভারত

ভালোবাসা দিবসে গরুকে জড়িয়ে ধরতে বলল ভারত

ফেব্রুয়ারি বলতেই বেশিরভাগ মানুষ বোঝেন ভালোবাসার মাস। বিশেষত ১৪ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই কমবেশি 'ভ্যালেন্টাইন্স ডে' বা ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তবে ভারতে এ দিবসটি ভিন্নভাবে পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।ভারতের পশু কল্যাণ বোর্ডের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এখন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি 'গরুকে জড়িয়ে ধরার দিন' হিসেবে পালন করা হবে, যাতে 'ইতিবাচক শক্তি' ছড়িয়ে দেওয়া যায় এবং 'সমষ্টিগত সুখ'র ধারণাকে অনুপ্রাণিত করা যায়।ভারতের মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এই বোর্ড এক নোটিশে জানায়, 'যারা গরুকে ভালোবাসেন, তারা তাদের জীবনে গো-মাতার ভূমিকা এবং জীবনকে সুখী ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরে তোলার বিষয়গুলো মাথায় রেখে ১৪ ফেব্রুয়ারি গরুকে জড়িয়ে ধরার দিন হিসেবে পালন করতে পারেন।'কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, 'পশ্চিমা সংস্কৃতির উন্নয়নে' প্রাচীন ভারতের বৈদিক ঐতিহ্য প্রায় 'বিলুপ্তির মুখে' পড়েছে এবং সবাই 'পশ্চিমা সভ্যতার আগ্রাসনে আমাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস' ভুলে যাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭৮০০ ছাড়িয়ে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭৮০০ ছাড়িয়ে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৮৯৪ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন তুরস্কতে এবং সিরিয়াতে ১ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।আজ বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছে। তুরস্কে প্রায় ৬ হাজার ভবন ধসে পড়েছে।ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ১০টি প্রদেশে গতকাল মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে ধসে পড়া স্তূপের নিচে আরও অনেক মানুষের মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে হাজারো শিশুর মৃত্যু হতে পারে এই ভূমিকম্পে।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটকে পড়া ব্যক্তিদের আত্মীয়রা ধ্বংসস্তূপের পাশে অপেক্ষা করছেন। তাদের আশা, স্বজনদের হয়তো জীবিত খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু, তীব্র শীতের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে উঠেছে। গৃহহীনদের দুর্দশা বেড়েছে। এছাড়া, কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নেই। ফলে, উদ্ধারকারীরা হিমশিম খাচ্ছেন।সিরিয়ার হামা শহরের আবদুল্লাহ আল দাহন রয়টার্সকে বলেন, 'মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি পরিবারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব দিকেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আমাদের সঙ্গে অনেক কিছু ঘটেছে, কিন্তু এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি কখনো দেখিনি।'সিরিয়ায় যেসব পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

তুরস্কে ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে

তুরস্কে ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে

তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডির কর্মকর্তা অরহান তাতার জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৩৮১ হয়েছে। এছাড়াও ২০ হাজার ৫২৬ ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং মোট ৫ হাজার ৭৭৫ ভবন ধসে পড়েছে। সিরিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ৫৩১ জন। ফলে ২ দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল সোমবার মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিআন্তাপ প্রদেশের নুরদাগি জেলার ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।আজ সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ঘণ্টা খানেক পর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। এরপর আরও কয়েকটি কম্পন অনুভূত হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


ভূমিকম্পে তুরস্ক সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ১৩০০ ছাড়াল

ভূমিকম্পে তুরস্ক সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ১৩০০ ছাড়াল

কয়েক দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৩০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। কেবল তুরস্কেই ৯০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বাকিরা সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন।দুই দেশের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভোররাতে আঘাত হানা ৭ দমমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে ৯১২ জন নিহত ও আরও ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা কতটা বাড়তে পারে সেবিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫টি দেশ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান।সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গজিয়ানতেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় প্রতিবেশী সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও।সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৩২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।গত ৮ দশকের বেশি সময় পর রেকর্ড সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কে। প্রতিবেশী সিরিয়াতেও প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২৮৪ এবং সিরিয়ায় ৩৮৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬শ।কেবল তুরস্কেই প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।সংস্থাটি বলেছে, সোমবার ভোরে দক্ষিণ তুরস্কে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং এটি এক লাখে পৌঁছারও কিছুটা আশঙ্কা আছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে প্রাণহানি ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে প্রাণহানি ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে

তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে হু হু করে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর রাতের দিকের এই ভূমিকম্পে উভয় দেশে প্রাণহানি ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে।ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, গত ৮০ বছরের ইতিহাসে সোমবার সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক ও সিরিয়া। ভূমিকম্পে হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এখন পর্যন্ত উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ ৬৪১ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে শত শত মানুষ আটকা পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন দেশ দুটির কর্মকর্তারা।সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গজিয়ানতেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় প্রতিবেশী সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও।মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি বলেছে, তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, তুরস্কের সাতটি প্রদেশে অন্তত ২৮৪ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও ৪৪০ জন।সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মৃতের সংখ্যা ২৪৫ জনে পৌঁছেছে এবং ৬৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হোয়াইট হেলমেটস বলছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে ১৪৭ জন মারা গেছেন।সিরিয়ার আলেপ্পো এবং হামা শহর থেকে তুরস্কের দিয়ারবাকির পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৩৩০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত আন্তঃসীমান্ত এলাকায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।তুরস্কের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে বলেছেন, তুরস্কের গজিয়ানতেপ এবং কাহরামানমারাস প্রদেশে প্রায় ৯০০টি ভবন ধ্বংস হয়েছে। তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর ইস্কান্দারউনে একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। তবে এই হাসপাতালে হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।‘দুর্ভাগ্যবশত, একই সময়ে আমরা অত্যন্ত কঠিন আবহাওয়ার সাথেও লড়াই করছি,’ সাংবাদিকদের বলেছেন ওকতে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩


কোটিপতি নারী ভিক্ষা করতেন ফুটপাতে, অতঃপর...

কোটিপতি নারী ভিক্ষা করতেন ফুটপাতে, অতঃপর...

নিজের দামি গাড়ি দূরে পার্ক করে হেঁটে এসে বিভিন্ন মসজিদের সামনে ফুটপাতে বসে যেতেন এক নারী। হাত পাততেন ভিক্ষার জন্য। আয়ও ছিল ভালো। ওই নারী ভিক্ষুককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি আসলে কোটিপতি। ঘটনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের।খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ বলছে, গত বছরের ৬ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৫৯ জন ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৫৯ জনের মধ্য ওই নারীও ছিলেন।পুলিশ জানায়, ওই নারীর ভিক্ষা করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকেই। তারাই পুলিশকে ওই নারীর ব্যাপারে জানান। পরে তাঁকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় তিনি বিভিন্ন মসজিদের সামনে ভিক্ষা করেন।বিলাসবহুল গাড়িতে করে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর কোনো গাড়ি পার্ক করে মসজিদের সামনে বসে ভিক্ষা করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি কোটিপতি। তবে অর্থের পরিমাণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় ওই নারীর নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে ও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।কর্তৃপক্ষের মতে, ভিক্ষা করা একটি সামাজিক অভিশাপ, যা যেকোনো সমাজের সভ্য ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।দেশটির আইনবিশেষজ্ঞরা জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিক্ষার শাস্তি তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার দিরহাম জরিমানার আইন আছে। দুটি দণ্ডের মধ্যে যেকোনো একটি প্রয়োগ করা হয়। সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তির শাস্তি হলো ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা।পুলিশ বলছে, ভিক্ষুকদের জন্য অনেকের প্রতারণা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাঁরা মানুষকে ঠকান। এ জন্য রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে একটি বিশেষ দল কাজ করে।পুলিশ বলছে, ইউএই সরকারে একটি সংস্থা দাতব্যর জন্য কাজ করে। কারও কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে সেখানে নিবন্ধন করতে হয়। নিবন্ধনের পরেই পৌঁছে যায় পণ্য বা প্রয়োজনীয় জিনিস।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩


চীনে করোনায় এক সপ্তাহে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের  মৃত্যু

চীনে করোনায় এক সপ্তাহে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু

চীনে ব্যাপকভাবে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। মূলত জিরো কোভিড পলিসি বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। আর এর জেরেই চীনে এক সপ্তাহে প্রায় ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর সামনে এসেছে।বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে চীনের হাসপাতালগুলোতে প্রায় ১৩ হাজার কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির জনসংখ্যার বিশাল অংশ ইতোমধ্যে ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন বলে চীনের একজন শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানানোর পর এই তথ্য সামনে এলো।এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে চীন জানিয়েছিল, জিরো কোভিড নীতি বাতিলের পর গত এক মাসে চীনে অন্তত ৬০ হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছেন। বিতর্কিত কোভিড নীতি বাতিলের পর সেবারই প্রথম চীনের সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা করোনায় প্রাণহানির এই তথ্য প্রকাশ করে।চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) গত শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, গত ১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৮১ রোগী করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর শ্বাসকষ্টের কারণে মারা গেছেন এবং আরও ১১ হাজার ৯৭৭ জন এই সময়ের মধ্যে সংক্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগে মারা গেছেন।অবশ্য এই পরিসংখ্যানে বাড়িতে মারা যাওয়া কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।যুক্তরাজ্যভিত্তিক বৈজ্ঞানিক তথ্য ও পর্যালোচনা বিষয়ক সংস্থা এয়ারফিনিটি’র ধারণা, চন্দ্র নববর্ষের ছুটিতে চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দৈনিক প্রাণহানি প্রায় ৩৬ হাজার পর্যন্ত উঠতে পারে। সংস্থাটির অনুমান, গত ডিসেম্বরে চীন তার জিরো কোভিড পলিসি বাতিল করার পর থেকে এই রোগে ৬ লাখেরও বেশি লোক মারা গেছে।গত বৃহস্পতিবার জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তা গুও ইয়ানহং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, করোনার ঢেউয়ের সর্বোচ্চ সীমা চীন অতিক্রম করেছে। তবে রোববারের চন্দ্র নববর্ষ উপলক্ষে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কয়েক মিলিয়ন মানুষ দেশজুড়ে ভ্রমণ করছে। যা নতুন করে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত বুধবার দেশটির গ্রামীণ অঞ্চলে ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চীনের প্রত্যন্ত এলাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা সম্পদের অভাব রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিন বছরের বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও চীন শুরু থেকেই এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সামাজিক বিধি-নিষেধ আরোপ করে।যা নিয়ে দেশটিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। করোনা বিধিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বিতর্কিত জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা দেয়।আর এরপরই থেকেই দেশটিতে ভাইরাসটির ব্যাপক প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আর এর জেরেই দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের উপচে পড়া ভিড় এবং শেষকৃত্য অনুষ্ঠান স্থলে লাশের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩


গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা ১০০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে পড়েছে

গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা ১০০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে পড়েছে

বিশ্বের সামনে এখন যেসব হুমকি রয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন সেগুলোর একটি। বিশ্বে ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটি মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এখনও খুব বেশি ফল মেলেনি।এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে নতুন তথ্য। এতে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা ১০০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন এক গবেষণায় এই তথ্য সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা ১০০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে পড়ার এই খবর প্রাকৃতিক বিশ্বে মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে তুলে ধরছে।আল জাজিরা বলছে, বুধবার বৈজ্ঞানিক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ শতকের গড় তাপমাত্রার তুলনায় ১৯৯৫ সাল থেকে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেড়েছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বরফের শীট এবং হিমবাহের গভীর থেকে নেওয়া নমুনাগুলোসহ গ্রিনল্যান্ডের বরফ যথেষ্ট উষ্ণ হয়েছে।এই গবেষণার প্রধান লেখক ছিলেন জার্মানির আলফ্রেড ওয়েজেনার ইনস্টিটিউটের গ্লাসিওলোজিস্ট মারিয়া হোরহোল্ড। তিনি বলছেন, ‘আমরা ১৯৯০ এর দশক এবং ২০১১ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে দেখছি। আমাদের কাছে এখন বিশ্ব উষ্ণায়নের স্পষ্ট দৃশ্যও রয়েছে।’যেহেতু জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন নির্গমণ হয় এবং গ্রহকে আরও উষ্ণ করে, তাই বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, দেশগুলো এখনও বিশ্ব উষ্ণায়নের সবচেয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়া এড়াতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো (বাস্তবায়ন) করতে পারেনি।গত নভেম্বরে জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে বিশ্বের অনেক বিখ্যাত হিমবাহ ২০৫০ সালের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। সংস্থাটি বিশ্বের ১৮ হাজার ৬০০টিরও বেশি হিমবাহ পর্যবেক্ষণ করে থাকে এবং চলতি শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ সেগুলোর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অদৃশ্য হবে বা গলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, আগামী ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহ অদৃশ্য বা গলে যাবে বলে শঙ্কা রয়েছে।আল জাজিরা বলছে, গ্রিনল্যান্ডের বরফ কোর দীর্ঘমেয়াদী তাপমাত্রার পরিবর্তন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে, যেটির বিশ্লেষণ করতেও সময় লাগে। কোর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য ১৯৯৫ সালে আপডেট করা হয়েছিল এবং পূর্বে সেটি ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, গ্রিনল্যান্ড আর্কটিক অঞ্চল বাকি অংশের মতো দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে না।তবে ২০১১ সালে নেওয়া তথ্যের নতুন বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত ১৫ বছরে উষ্ণায়ন ব্যাপকভাবে বেড়েছে।ডেনিশ মেটেরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের জলবায়ু বিজ্ঞানী মার্টিন স্টেন্ডেল এই গবেষণা সম্পর্কে বলছেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান। তিনি বলছেন, গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে যাওয়ার ফলে সমুদ্রে পানি বাড়ছে। এতে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে।এছাড়া উত্তর গ্রিনল্যান্ডের উষ্ণতা সম্পর্কে সবার খুব উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ডেনিশ মেটেরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের বরফ বিজ্ঞানী জেসন বক্স।এর আগে বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে ২০২০ সালে এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছিল, এই শতকে ২০১২ সালে সব চেয়ে বেশি বরফ গলেছিল গ্রিনল্যান্ডে। ২০১৯ সালে সেই রেকর্ডও ভেঙে যায়।কেবল ২০১৯ সালেই ৫৩২ গিগাটন বরফ গলে গেছে গ্রিনল্যান্ডে। এই হারে বরফ গলতে থাকলে গোটা বিশ্ব ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।তবে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, প্রতি বছর একই হারে বরফ গলছে না। ২০১৬ সালে যে হারে বরফ গলেছিল, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে সেই হারে বরফ গলেনি। বরং ওই দুই বছরে গরমকালেও যথেষ্ট ঠান্ডা ছিল মেরু অঞ্চল। ২০১৮ সালে গরমে বরফও পড়েছে সেখানে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক বছর, দুই বছর পর পর একবার করে উষ্ণপ্রবাহ আসে গ্রিনল্যান্ডে। সে সময় বায়ুর চাপও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তারই জেরে এই পরিমাণ বরফ গলতে থাকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩


হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৬ জন নিহত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৬ জন নিহত

রাজধানী কিয়েভের কাছে ব্রোভারি শহরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেনিস মোনাসতিরস্কি এবং বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাসহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন।আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।কিয়েভ অঞ্চলের গভর্নর বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, হেলিকপ্টারটি এক নার্সারি স্কুল ও আবাসিক ভবনের কাছে বিধ্বস্ত হয়।নিহতদের মধ্যে ২ শিশুও আছে বলে জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩


ইউরোপীয়  ইউনিয়নের ১১ প্রতিনিধির সঙ্গে ইসির বৈঠক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১ প্রতিনিধির সঙ্গে ইসির বৈঠক

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ১১টি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দুপুর সাড়ে ১২টায় বৈঠকটি শুরু হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান উপস্থিত রয়েছেন। তবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব ও রাশেদা সুলতানা বৈঠকে অংশ নেননি। এছাড়া ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন। বৈঠকে আলোচ্যসূচি জানা না গেলেও দ্বাদশ সংসদ ভোটই মূল আলোচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা। পাশাপাশি বৈঠক চলাকালীন সময়ে আউয়াল কমিশনের দ্বাদশ ভোটের কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে প্রকাশিত পুস্তক নিয়ে কর্মকর্তাদের প্রবেশ করতে দেখা যায়। এছাড়াও বৈঠকে আরও যেসব দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছে তারা হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ইউনি স্ট্র্যাপ পিটারসন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ বন। রয়েছেন জার্মানির অ্যাম্বাসেডর আচিম টোস্টার, কিংডম অব নেদ্যারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর এনি গিরার্ড ভ্যান লুইন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গিলিয়াম এড্রেন ডে কের্ডেল, ইতালির ডেপুটি হেড অব মিশন মাটিয়া ভেনচুরা, স্পেনের হেড অব মিশন ইগনাসিয়ো সাইলস ফার্নান্দেজ, সুইজারল্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর নাথালি চুয়ার্ড, নরওয়ের অ্যাম্বাসেডর এস্পেন রিক্টার সেভেন্ডসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩


ফাইভ স্টার হোটেলে ৩০ লাখ টাকার বিল রেখে পালিয়ে গেলেন প্রতারক

ফাইভ স্টার হোটেলে ৩০ লাখ টাকার বিল রেখে পালিয়ে গেলেন প্রতারক

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির একটি ফাইট স্টার হোটেলে ২৩ লাখ রুপি বিল বকেয়া রেখে পালিয়ে গেছেন এক প্রতারক। বাংলাদেশি অর্থে যা প্রায় ৩০ লাখ টাকার সমান।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।জানা গেছে, ওই প্রতারক নিজেকে মোহাম্মদ শরীফ নামে পরিচয় দিয়ে দিল্লির লীলা প্যালেস হোটেলে ২০২২ সালের আগস্টে ওঠেছিলেন। তিনি আরও পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনি আরব আমিরাতের রাজপরিবারের কাছের লোক। তার সঙ্গে শেখ ফালাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ভারতে ব্যবসায়িক কাজে এসেছেন।প্রতারক মোহাম্মদ শরীফ হোটেলটিতে ১ আগস্ট থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় চার মাস অবস্থান করেন। এই সময় পর্যন্ত ৩৫ লাখ রুপির সেবা গ্রহণ করেন। এরমধ্যে পরিশোধ করেন ১১ লাখ রুপি। আর বাকি রাখেন ২৩ লাখ রুপি। এই বিপুল অর্থ বকেয়া রেখেই পালান তিনি।এনডিটিভি আরও জানিয়েছে, কথিত মোহাম্মদ শরীফ হোটেলটির ৪২৭ নাম্বার রুমে ওঠেন। প্রায় চার মাস পর হঠাৎ একদিন পালিয়ে যান তিনি। শুধু তাই নয় রুম থেকে দামি রুপা ও মুক্তাখচিত পাত্র চুরি করে নিয়ে যান। এছাড়া যাওয়ার আগে দিয়ে যান ২০ লাখ রুপির একটি ভুয়া চেক।দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদ শরীফ হোটেলে তার একটি বিজনেজ কার্ড এবং আরব আমিরাতে থাকার কার্ড প্রদর্শন করেছিলেন। এছাড়া বিশ্বস্ততা অর্জনে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে আমিরাতের বিভিন্ন গল্প বলতেন তিনি।পুলিশ এখন বিষয়টি তদন্ত করছে। তাদের ধারণা, মোহাম্মদ শরীফ যেসব পরিচয় দিয়েছেন এগুলোর সব ভুয়া।এখন সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তিকে শনাক্তের চেষ্টা করছেন তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জানুয়ারি ২০২৩


চীনকে মোকাবিলায় পরাশক্তিদের এক হতে হবে : জাপানি প্রধানমন্ত্রী

চীনকে মোকাবিলায় পরাশক্তিদের এক হতে হবে : জাপানি প্রধানমন্ত্রী

চীনকে মোকাবিলায় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের পরাশক্তি দেশগুলোকে ঐকবধ্য হয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেছেন তিনি।চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় এক হয়ে কাজ না করে কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ফুমিও কিশিদা। তিনি বলেছেন, ‘চীনের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক নিয়ে অবশ্যই জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপকে এক হতে হবে।’এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন কিশিদা। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর স্নায়ু যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের স্থিতিশীলতা ‘পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।’ এখন ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার আগ্রাসনকে যদি ‘বাধা না দেওয়া হয়’ তাহলে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ থেকে এশিয়াও বাদ যাবে না।এ ব্যাপারে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কঠিন মুহূর্তে আছে। যে মুক্ত, স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য আমরা সর্বোচ্চটা দিচ্ছি সেটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা কখনো বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হতে দেব না। আমরা এর বিরুদ্ধে আরও শক্ত অবস্থান নেব।’বিরোধপূর্ণ পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জে চীনের নৌবাহিনীর গতিবিধি নিয়েও কথা বলেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এগুলো সহ্য করা হবে না। এছাড়া গত বছর চীনের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাপান সাগরে পড়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩


নেপালে ৭২ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

নেপালে ৭২ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিমানবন্দরের রানওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।এনডিটিভি অনলাইন ও ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সকালে পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি রানওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ৭২ আরোহীর মধ্যে ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু আছেন।ইয়েতি এয়ারলাইনসের মুখপাত্র সুদর্শন বর্তাউলা জানান, উড়োজাহাজটি ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাচ্ছিল। এ সময় পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি জায়গায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে আছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আপাতত পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ জানুয়ারি ২০২৩


গত ৯ বছরে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৬৭ জনের

গত ৯ বছরে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৬৭ জনের

২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গত ৯ বছরে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৬৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর। এই মৃতদের অধিকাংশই সাগরে ডুবে মারা যাওয়ায় অনেকের লাশও পাওয়া যায়নি।গত বছর ২০২২ সালে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮৯৭ জনের; আর চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ২৮ জন।নিখোঁজ ও মৃত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে আন্তর্জাতিক অভিাবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) একটি প্রকল্প আছে। চলতি সপ্তাহে মিসিং মাইগ্র্যান্টস প্রোজেক্ট নামের সেই প্রকল্পের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইএমও। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ৫২ হাজার ৬৭ জন অভিবাসীর মধ্যে ২৫ হাজার ৩৮৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ভৌগলিকভাবে এশিয়া ও ইউরোপকে বিচ্ছিন্ন করা ভূমধ্যসাগরে ডুবে। তাদের অনেকের মরদেহও পাওয়া যায়নি।এছাড়া ঠান্ডা, খাবার-পানি ও আশ্রয়ের অভাব, শারীরিক অসুস্থতা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হয়েছে বাকিদের। এমনকি ইউরোপে প্রবেশের পরও অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ হাজার মানুষের।আইওএমের প্রতিবেদন বলছে, এক বছরের হিসেবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ২০১৬ সালে। ওই বছর ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৪ জনের। তার আগের বছর, ২০১৫ সালে মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৭১৪টি। এটি এক বছরের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা।প্রথমদিকে আফ্রিকা ও এশীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য একমাত্র রুট ছিল তুরস্ক। তুরস্কের ভূমধ্যসাগর উপকূল থেকে গ্রিস বা ইতালিতে উদ্দেশে রওনা হতেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।গত কয়েক বছর ধরে তুরস্ক রুটের পাশাপাশি লিবিয়া ও তিউনিশিয়া রুটও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দুই রুটে গত কয়েক মাসে নিহত হয়েছেন কয়েক শত অভিবাসনপ্রত্যাশী।শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় বাংলাদেশঅবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে প্রবেশ করার প্রবণতা অনেক বেশি— এমন ১০টি দেশের তালিকা প্রস্তুত করেছে আইওএম। সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও আছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নামও আছে এ তালিকায়।এছাড়া বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের হিসেবে শীর্ষে থাকা দেশের নাম ভারত, তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ অবস্থান। পাকিস্তান অবস্থান করছে তৃতীয় স্থানে।আইওএমের হিসেব অনুযায়ী, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়র সংংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ৭৯ লাখ; আর প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা ৭৪ লাখ এবং প্রবাসী পাকিস্তানির সংখ্যা ৬৩ লাখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩