মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রঘোষিত নতুন ভিসা নীতির উদ্দেশ্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে কারও পক্ষ নেওয়া নয়। এই ভিসা নীতির উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা।বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ঘোষণায় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না দেশটি। এই ঘোষণার প্রায় চার মাস পর ২২ সেপ্টেম্বর এই ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরুর কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে প্রশ্ন করা হয়, গত সপ্তাহে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের কোনো পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা এই ধরনের উদ্যোগ নেবে, তাদের ওপর বাংলাদেশের জনগণ নিষেধাজ্ঞা দেবে। পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এ কথা কি সত্য? এ বিষয়ে মিলারের প্রতিক্রিয়া কী?জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি বলব, যেমনটা আমরা আগেও বলেছি, যেমনটা গত মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন, তখনো আমরা বলেছিলাম, এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে নির্বাচনে কারও পক্ষ নেওয়া নয়। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা। আমি বলব, গত শুক্রবার যখন আমরা এই নতুন ভিসা বিধিনিষেধ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন আমরা উল্লেখ করেছি, এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’আরেক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল তাদের চেয়ারপারসনকে মুক্তি দিতে, তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। কারণ, তাঁর স্বাস্থ্যগত অবস্থা গুরুতর। তিনি বন্দী, তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর বয়স ৭৮ বছর। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলারের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।ব্রিফিংয়ে আরেকজন মিলারের কাছে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন ভিসা নীতিতে গণমাধ্যম ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে উল্লেখ করেন, যা ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা গণমাধ্যমে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন সাবেক সম্পাদক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পরিপন্থী।প্রশ্নকারী মিলারের কাছে জানতে চান, এই নিষেধাজ্ঞা যদি গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তা মানবাধিকার, বাক্স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের গুরুত্বকে ক্ষুণ্ন করবে বলে তিনি মনে করেন কি না।জবাবে মিলার বলেন, ভিসা-সংক্রান্ত রেকর্ড গোপনীয় হওয়ায় সুনির্দিষ্ট সদস্য বা ব্যক্তি—কার জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে, তার ঘোষণা তাঁরা দেননি। তবে তাঁরা এই বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এই নীতি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডেটিং অ্যাপে খুঁজতে খুঁজতে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে গেছেন। কোনোভাবেই মনের মানুষ পাচ্ছেন না, যাকে স্বামী বানাতে পারেন। এ কারণে শেষমেষ প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন মার্কিন তরুণী। তাতে লেখা, ‘স্বামী খুঁজছি’। এমন অদ্ভুত উপায়ে তার জীবনসঙ্গী খোঁজার চেষ্টা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নাম ক্যারোলিনা গেইতস। বয়স ২৯। তিনিই নিউইয়র্কের রাস্তায় রাস্তায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্বামী খুঁজে বেড়াচ্ছেন।কারণ সম্পর্কে ক্যারোলিনা বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল যে, ডেটিং অ্যাপে কাজ হচ্ছে না। কারণ এতে চ্যাট করতে অনেক সময় লাগে।এ কারণে স্বামী খুঁজতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হয়তো রাস্তায়ই নেমে যাবেন- এ কথা মজার ছলে বলেছিলেন বন্ধুদের সামনে। তবে শেষপর্যন্ত সত্যিই যে সেই কাজ করবেন, তা তখন বুঝতে পারেননি এ তরুণী। ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় ‘স্বামী খুঁজছি’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ক্যারোলিনা। আর তা নজরেও পড়ছে অনেকের।মার্কিন এ তরুণী বলেন, মানুষের প্রতিক্রিয়া সবসময় ইতিবাচক। এটি আমাকে অনেক শক্তি দেয়। আমার ভালোই লাগছে।তিনি বলেন, আমি আমার স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এটি করি। মানুষ সবসময় বলে, ‘যাও মেয়ে, তোমার স্বামী খুঁজে নাও’। মজার বিষয় হলো, আমি সত্যিই এটি করছি।একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এক যুবক এসে ক্যারোলিনাকে কোলে তুলে নেন। পরে তরুণী জানান, শেষমেষ এক ব্যক্তি চিহ্ন দেখে আমাকে কোলে তুলে নেয়। তার সঙ্গে এখন আমার যোগাযোগ চলছে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়। এই মুহূর্তে আমরা কেবল কথাই বলছি।।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে তাঁর দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হত্যা করেছেন।গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক সম্মেলনে হাজির হন জেলেনস্কি। এ সময় তাঁর কাছে রুশ প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।গত মাসের শেষ দিকে রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোশিন ও তাঁর বাহিনীর কয়েক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন।জেলেনস্কি বলেন, সত্য হলো, তিনি (পুতিন) প্রিগোশিনকে হত্যা করেছেন। অন্তত তাঁদের কাছে এ তথ্যই আছে। অন্য কোনো তথ্য নেই। আর বাস্তব বিষয় হলো তিনি দুর্বল।প্রিগোশিনের মৃত্যুর পেছনে পুতিনের হাত রয়েছে, জেলেনস্কি এমন দাবি করলেও তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি।ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখবে।ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে গ্রে জোন নামের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলপ্রিগোশিনকে হত্যার নির্দেশ পুতিন দিয়েছিলেন বলে যে কথা বলা হচ্ছে, তাকে ডাহা মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করেছে ক্রেমলিন।রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনারের সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন। এই অসন্তুষ্টি থেকে তিনি গত জুনের শেষ দিকে বিদ্রোহ করেছিলেন। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কো অভিমুখে ভাগনার সেনাসহ যাত্রা করেছিলেন তিনি।প্রিগোশিনের এ বিদ্রোহকে বিশ্বাসঘাতকতা ও পিঠে ছুরি মারার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন পুতিন। বিদ্রোহে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।একপর্যায়ে বেলারুশের মধ্যস্থতায় মস্কোমুখী অভিযাত্রা বন্ধ করেন প্রিগোশিন।সমঝোতায় বলা হয়েছিল, প্রিগোশিন তাঁর অনুগত যোদ্ধাদের নিয়ে বেলারুশে চলে যাবেন। মৃত্যুর কদিন আগে এক ভিডিওতে প্রিগোশিন তাঁর জীবন নিয়ে আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন বলে সম্প্রতি খবর বের হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি বলেছেন, বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি।বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশি জনগণকে সমর্থন করি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমাদের এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র বলে তিনি জানান।বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন- গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানবাধিকারের নামে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তারা এটি করতে চায় অন্য দেশগুলোতে হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? জানতে চার সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি। এছাড়াও আরও জানতে চান, আপনার কাছে আমার আর একটি প্রশ্ন আছে, নিউইয়র্ক টাইমসে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বিস্তারিত রিপোর্টের বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।যার শিরোনাম ‘নীরবে গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে: বাংলাদেশে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বিচারের মুখে’। এর মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূস বিচার বিভাগীয় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে শতাধিক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীসহ ১৮০ জনের বেশি বিশ্বনেতা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। প্রফেসর ইউনূস সম্পর্কে আপনার অবস্থান কি? এ প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি ওইসব মন্তব্য করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাশিয়ায় একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মস্কোর উত্তরের একটি এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত ওই উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকায় ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিনের নাম রয়েছে।রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, উড়োজাহাজটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিল। তাতে ৩ জন ক্রুসহ ১০ আরোহী ছিলেন। প্রাথমিক তথ্যমতে, আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।তাৎক্ষণিকভাবে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি। তবে গত জুনে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভাগনার বাহিনীর সশস্ত্র বিদ্রোহ প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে মস্কোর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। ভাগনার গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন খবর দিয়েছে, মস্কোর উত্তরের টিভিয়ের এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।ভাগনার গ্রুপের বিদ্রোহের পরপর এই উড়োজাহাজে করে প্রিগোশিন বেলারুশে গিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই উড়োজাহাজে করে তিনি মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে বেশ কয়েকবার যাওয়া–আসা করেছেন। প্রিগোশিন সম্পৃক্ততার কারণে ২০১৯ সালে উড়োজাহাজটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।ভাগনারপ্রধান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের। সেই অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে ২৩ জুন। বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন ভাগনারের যোদ্ধারা। ভাগনারের নিয়ন্ত্রণে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটি।প্রিগোশিনের বিদ্রোহের জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। পরবর্তী সময়ে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেন প্রিগোশিন। সমঝোতায় বলা হয়, প্রিগোশিনসহ ভাগনার সেনারা রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন।বিদ্রোহের পর ভাগনার সেনারা বেলারুশে চলে যান। তবে ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিনের অবস্থান নিয়ে জল্পনাকল্পনা রয়ে যায়। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, তিনি বেলারুশে আছেন। এমনকি তাঁর রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে দেখা করার খবরও জানা যায়। কিন্তু কখনোই প্রকাশ্যে আসেননি তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ আগস্ট ২০২৩
মালয়েশিয়ার পশ্চিম উপকূলীয় প্রদেশ সেলানগরের এলমিনা শহরে যাত্রীবাহী ছোট একটি বিমান বিধ্বস্তে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সেলানগর পুলিশের প্রধান দাতুক হোসেন ওমর খান এই তথ্য জানিয়েছেন।মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএএম) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরজামান মাহমুদ দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমসকে বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানটি বিচক্রাফট মডেল-৩৯০ এর। যার নিবন্ধন নম্বর এন২৮জেভি।দেশটির পরিবহন সংস্থা জেটভ্যালেট এসডিএন বিএইচডির পরিচালিত বিমানটি দুপুর ২টা ৮ মিনিটে ল্যাংকাউই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। সুবাংয়ের সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে অবতরণের কথা ছিল ছোট এই বিমানের।সংস্থাটি বলেছে, সুবাংয়ের সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে বিমানটির প্রথম যোগাযোগ হয়েছিল দুপুর ২টা ৪৭ মিনিটে। আর বিমানটিকে অবতরণের ছাড়পত্র দেওয়া হয় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে। সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিল।দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেন। বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও পাইলট কোনও জরুরি কল করেননি।মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার বলছে, বিমানটি এলমিনা শহরের একটি সড়কে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সেখানকার একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।সেলানগর পুলিশের প্রধান দাতুক হোসেন ওমর খান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় ফ্লাইটের ভেতরে কমপক্ষে দুজন ক্রু ও ছয়জন যাত্রী পেয়েছি। যাদের সবাই ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।তিনি বলেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে সড়কে একটি গাড়ির চালক ও একজন মোটরসাইকেল আরোহীও মারা গেছেন। তবে গাড়ির ভেতরে আরও লোকজন ছিল কি না আমরা এখনও তা নিশ্চিত হতে পারিনি। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য ক্লাংয়ের টেংকু আম্পুয়ান রহিমাহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।সূত্র: দ্য স্টার, নিউ স্ট্রেইটস টাইমস, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২৩
আফগানিস্তানের তালেবান শাসকগোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এই তথ্য জানিয়েছে।ন্যায়বিচার বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীনমন্ত্রী শাইখ মৌলবি আবদুল হাকিম শারি কাবুলে তার মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় বলেন, 'দেশে "রাজনৈতিক দলের" কর্মকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে কারণ শরিয়াহ আইন অনুযায়ী তাদের কোনো অবস্থান নেই, এসব দলের সঙ্গে কোনো জাতীয় স্বার্থও জড়িত নয় এবং জাতি তাদেরকে পছন্দও করে না।'গতকাল বুধবার আফগান তালেবানের গণমাধ্যম সংস্থার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।বিশ্লেষকদের মতে, এই বিবৃতিতে প্রমাণ হয়েছে, তালেবান শাসকগোষ্ঠী একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দিকে আগাচ্ছে।কবে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে, তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি।তালেবান শাসক গোষ্ঠী পশ্চিমের কাছ থেকে আসা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের চাপকে দীর্ঘ দিন ধরে উপেক্ষা করে আসছে। তালেবানের মতে, তাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে দেশের সব সম্প্রদায় ও গোত্রের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তালেবান সরকার রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখলেও এ বিষয়ে এটাই তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২৩
নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় একটি মসজিদের একাংশের ছাদধসে যায়। এ ঘটনায় অন্তত সাত মুসল্লি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেক মুসল্লি। দেশটির উত্তরাঞ্চলের কাদুনা রাজ্যের জারিয়া শহরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সেখানে কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।শুক্রবার নাইজেরিয়ার জারিয়া এমিরেট কাউন্সিলের মুখপাত্র আবদুল্লাহি কোয়ারবাই এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর আলজাজিরার।তিনি বলেন, শুক্রবার আসরের নামাজের সময় শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে অসংখ্য মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে চার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে উদ্ধারকারী দল ধসেপড়া মসজিদে অনুসন্ধান করার পর আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মসজিদটি ১৮৩০ সালে নির্মাণ করা হয়।সেখানকার জরুরি ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, এ ঘটনায় আহত ২৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মসজিদের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে।কাদুনা রাজ্যের গভর্নর উবা সানি দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের সহযোগিতারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৩
ক্রিমিয়া উপদ্বীপ লক্ষ্য করে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যাপক ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত পর্যন্ত ক্রিমিয়ায় ৩৩ টি বিস্ফোরকবাহী ইউক্রেনীয় ড্রোন রুশ বাহিনী ভূপাতিত করেছ বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ক্রিমিয়ায় অবস্থানরত রুশ সেনারা শুক্রবার শেষ রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ২০টি এবং তার আগে শুক্রবার সারা দিনে ১৩টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এসব ড্রোনের মধ্যে ২৪টি ইউএভি (উড়োজাহাজ আকৃতির) ড্রোন এবং বাকিগুলো অন্যান্য নকশার।’‘২৭টি ড্রোন গুলি করে এবং বাকি ৬টি বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়েছে। প্রতিটি ড্রোনই বিস্ফোরকভর্তি ছিল। ক্রিমিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনীয় বাহিনী পাঠিয়েছিল এসব ড্রোন।’মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম পোস্টে আরও বলা হয়, ড্রোনগুলো ভূপাতিত করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।ক্রিমিয়ার গভর্নরের উপদেষ্টা সের্গেই ক্রুশ্চভ শনিবার রয়টার্সকে জানান, উপদ্বীপটির বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে আসা ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী।এছাড়া ক্রিমিয়ার পরিবহন কর্তৃপক্ষ এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছে, ড্রোন হামলার কারণে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ক্রিমিয়া। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে উপদ্বীপটি দখল করে রাশিয়া। তারপর সেখানে গণভোটের আয়োজন করা হয়। সেই ভোটে ক্রিমিয়ার জনগণ রাশিয়ার সঙ্গে থাকার পক্ষে অবস্থান নেয়।ক্রিমিয়াকে অধিভুক্ত করার পর উপদ্বীপটিকে সাংবিধানিকভাবে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ইউক্রেনের প্রতি দাবি জানিয়েছিল মস্কো। কিন্তু সেই স্বীকৃতি এখনও দেয়নি কিয়েভ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ আগস্ট ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শের ভিত্তিতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ (পার্লামেন্ট) ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে শেহবাজ সরকারের শাসনের অবসান এবং দেশটিতে নতুন নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হয়েছে।প্রেসিডেন্টের দপ্তর আইওয়ান-ই-সদর এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৫৮ ধারা অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার (৯ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট আলভির কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে চিঠি পাঠান। শেহবাজ শরিফ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১২ আগস্ট। এর তিনদিন আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বুধবার মধ্যরাতে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।গত বছরের এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরিফ। এরপর নানান সমস্যায় জর্জরিত ছিল তার সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো ইমরানকে দমনেও ব্যস্ত ছিল শেহবাজ শরিফের সরকার।অনেকের ধারণা, ইমরান খান যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন— পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে সেই ব্যবস্থা করেছে শেহবাজের জোট সরকার। ইমরানকে প্রথমে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড এরপর তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছে তারা।মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ায় এখন নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যদি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পার্লামেন্ট ভাঙা হতো তাহলে তাদের ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হতো।প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদি ১২ আগস্ট মেয়াদ পূর্ণ করে শেহবাজ পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানাতেন তাহলে তিনি তা বিলম্ব করতে পারতেন। আর বিলম্ব হলে নির্বাচন কমিশনকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হতো। এই আশঙ্কা থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেহবাজ শরিফ সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।তবে পাকিস্তানে আগামী ৯০ দিনের মধ্যেও নির্বাচন হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।সূত্র: দ্য ডন
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ আগস্ট ২০২৩
পাকিস্তানে, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পন্ন হয়েছে।শনিবার পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পিডিএম জোটের অন্যান্য শরিকদের নাম চূড়ান্ত করেছে। এই ৫ জনের মধ্যে।”সংক্ষিপ্ত তালিকায় কার নাম রয়েছে সে বিষয়ে সাক্ষাৎকারে কিছু বলেননি মন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত তালিকায় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের নাম নেই।প্রসঙ্গত, ১৩ জুলাই রাজধানী ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তার সরকারের মেয়াদের শেষ দিন ঘোষণা করেন এবং বলেন যে তার নেতৃত্বাধীন পিডিএম জোট সরকার ১৪ আগস্ট নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। .তিনি এই ঘোষণা দেওয়ার পর পাকিস্তানে গুঞ্জন ওঠে যে বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে যাচ্ছেন। এই গুজবের পক্ষে যুক্তি ছিল আইএমএফের সঙ্গে ঋণ আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ইসহাক দারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হবে।এখনও পর্যন্ত এই গুজবের বিষয়ে ইসহাক দার বা তার দল পিএমএলএনের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি আসেনি। ইসহাক দার অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন তিনি।শনিবার একটি সাক্ষাত্কারে, খাজা আসিফ কার্যত গুজবের উপর জল ঢেলে বলেছিলেন, “ইসহাককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে পিএমএলএন ফোরামে কোনও আলোচনা হয়নি।” তিনি নিজেও এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জুলাই ২০২৩
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ১৪ সদস্য। একই সঙ্গে তাঁরা জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ডকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠি পাঠানোর পর গতকাল বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য বব গুড এক টুইট বার্তায় (বর্তমান এক্স) বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর বাংলাদেশ সরকারের সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে আমি ও আমার ১৩ সহকর্মী জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছি।’লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ডকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের সন্ত্রাস, নির্যাতন, এমনকি বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ জানাতে তাঁরা এ চিঠি লিখেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউস, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসসহ অনেক মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য নথিভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভয়ভীতি, হামলা, মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড, নির্যাতন, গুম, এমনকি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।এ ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ‘সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষাকারীদের বিলম্বিত বিচারের জন্য’ দায়ী। বিশেষ করে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে আছে নির্যাতন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, যা নিন্দাযোগ্য।২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের বর্তমান-সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ। তবে এ নিষেধাজ্ঞা হাসিনা সরকারের ভীতির রাজত্বকে মন্থর করেনি; বরং সরকারের দিক থেকে ভয়ভীতি ও সহিংসতা বেড়েছে।দেশটিতে গত ছয় থেকে আট মাসে হাজারো শান্তিপূর্ণ ও সাহসী বিক্ষোভকারী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এসব বিক্ষোভ প্রায়ই সহিংসতা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, পুলিশসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা ও শেখ হাসিনার সমর্থকদের নির্মম হামলার শিকার হয়েছে।চিঠিতে কংগ্রেস সদস্যরা বলেন, ‘নির্বাচনে জালিয়াতি, সহিংসতা, ভয়ভীতির অতীত ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা সরকার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন হতে দেবে—এমন বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সন্দিহান। এসব কারণ ছাড়াও দুর্নীতি, অত্যাচার, সহিংসতা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অন্য অনেক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিচে উল্লেখিত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি—* জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ অবিলম্বে স্থগিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের সহিংস কর্মকাণ্ডের যে অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করা।* মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে পূর্ণ ও স্বচ্ছ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত র্যাবের কোনো সদস্যকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করার বিষয়টি সাময়িকভাবে বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ।* বিশ্বের নিরপেক্ষ সরকারগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে জাতিসংঘ বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় অংশ নেবে। এতে ভোটারদের ভয়ভীতি, হয়রানি বা তাঁদের ওপর হামলা রোধে শান্তিরক্ষী বাহিনী রাখার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’চিঠির শেষাংশে বলা হয়, তাঁরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছেন, যাঁরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের সহিংসতার অবসান চান।চিঠিতে স্বাক্ষরদাতা অন্য ১৩ কংগ্রেস সদস্য হলেন—স্কট পেরি, অ্যানা পলিনা-লুনা, যশ ব্রেচিন, র্যালফ নরম্যান, অ্যান্ড্রু ক্লাইড, এলি ক্রেইন, কোরি মিলস, পল এ গোসার, ডগ লামালফা, রনি এল জ্যাকসন, র্যান্ডি ওয়েবার, ব্রায়ান বাবিন ও গ্লেন গ্রোথম্যান। স্বাক্ষরকারী বব গুডসহ ১৪ জনই রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ জুলাই ২০২৩
কম্বোডিয়ায় কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বিদেশি কিছু সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে। গত রোববার নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) নিরঙ্কুশ বিজয় ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিল।যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের মর্যাদা নষ্ট করার মতো পরিস্থিতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি দলের কোনো শক্ত বিরোধী দল নির্বাচনে ছিল না।মিলার আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে হুমকি দিয়েছে ও হয়রানি করেছে। দেশটির সংবিধানের মর্যাদা এতে ক্ষুণ্ন হয়েছে। কম্বোডিয়ার নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়নি।মিলার আরও বলেন, যাঁরা গণতন্ত্রের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে, তাঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি সহায়তাও স্থগিত করেছে দেশটি। ৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন হুন সেন। এবারের নির্বাচনেও সিপিপির জয়ে হুন সেনের ছেলে হুন মানেটের ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হুন মানেট এখন কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে আছেন।সিপিপি ও হুন সেনের শাসন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, এমন একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে কম্বোডিয়ায়। দলটির নাম ক্যান্ডেললাইট পার্টি। তবে এবারের নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারেনি। নিবন্ধন–সংক্রান্ত ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে চলতি বছরের মে মাসে এই দলকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুলাই ২০২৩
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি জরুরি হটলাইন নম্বরকে ব্যস্ত করে রাখার অপরাধে হিরোকো হাতগামী (৫১) এক নারীকে আটক করেছে জাপান কর্তৃপক্ষ। তিনি জাপানের চিবাপ্রদেশের একটি শহর মাতসুডোর বাসিন্দা। নিঃসঙ্গতা কাটাতে তিনি গত ২ বছরে ২৭৬১ বার ফোন করেছেন ইমার্জেন্সি নাম্বারে।আটক করার পর হাতগামী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, আমি একাকী ছিলাম এবং চেয়েছিলাম কেউ আমার কথা শুনুক এবং আমার প্রতি মনোযোগ দিক। চিবা প্রিফেকচারাল পুলিশ বৃহস্পতিবার হাতগামীকে আটক করেছে যিনি ফায়ার ডিপার্টমেন্টে ২৭০০ বারেরও বেশি ভুয়া কল করে গুরুত্বপূর্ণ নম্বরটিকে ব্যস্ত করে রেখেছিলেন। ১৫ আগস্ট, ২০২০ থেকে ২৫ মে ২০২৩ এর মধ্যে তিনি এই কলগুলি করেন। এই নম্বরে সাধারণত মানুষ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পেতে যেমন পেটব্যথা, পায়ে ব্যথা বা ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা প্রয়োগে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে ফোন করেন। তবে হাতগামির ফোন পেয়ে পুলিশ তাঁর বাসায় পৌঁছালেই তিনি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রত্যাখ্যান করতেন। অপরাধ স্বীকারের পর গত সপ্তাহে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি অপরাধ স্বীকার করে জানিয়েছেন, পুলিশকে সত্যিই প্রায় ৩,০০০ বার ফোন করেছিলেন তিনি। জাপানে এই ঘটনা প্রথমবার নয়। ২০১৩ সালে, একজন ৪৪ বছর বয়সী সাকাই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, ছয় মাসে ১৫,০০০ বার পুলিশকে কল করার অভিযোগ।ওসাকা পুলিশ এএফপিকে জানিয়েছে, তিনি একদিনে ৯২৭টি জরুরি কল করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ জুলাই ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া তাঁর সফরে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।মুখপাত্র বলেন, দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থে ‘অগ্রাধিকারভিত্তিক’ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে।প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরের পর দেশটিতে অধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের ওপর হামলা অনেক বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে মুখপাত্রের মন্তব্য কী?জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও অন্য কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। উজরা জেয়া তাঁর সফরে শ্রম অধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের নেতা ও মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রম অধিকারকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলেছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পাশাপাশি তিনি সেখানে মানবিক কার্যক্রমের অংশীদার ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রচেষ্টার সমর্থনে তিনি অতিরিক্ত ৭ কোটি ৪০ লাখ (৭৪ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।ম্যাথু মিলার বলেন, তিনি সবশেষ বলবেন, যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে মানব পাচারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ও সুশীল সমাজের সঙ্গে অংশীদারত্বের ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।আরেকটি প্রশ্ন ছিল এ রকম—সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ককে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?জবাবে মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করেন, তাতে ওয়াশিংটনের কাছে দেশটির গুরুত্ব থাকার বিষয়টি বোঝা যায়। আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া তাঁর সফরে বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি তিনি সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রম অধিকার কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির কথা বলেছেন।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব কারণেই তাঁরা বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন। এগুলোই দুই দেশের স্বার্থের অগ্রাধিকারের বিষয় হওয়া উচিত বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন। এ জন্যই তাঁরা এ নিয়ে এখান থেকে কথা বলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২৩
ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকায় ১১টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস।আজ বুধবার তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহির দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।’বিবৃতিদাতা দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো হলো কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।১২ দূতাবাস ও হাইকমিশনের এই বিবৃতি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।ঢাকা-১৭ আসনের ভোট গ্রহণ চলাকালে গত সোমবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম। সেখানে তাঁকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। হামলাকারীরা ছিলেন নৌকার ব্যাজধারী।হামলার ঘটনার পর হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান ওরফে শুভ বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মামলা করেন। মামলায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনাকে মঙ্গলবার ‘নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস’ হিসেবে বর্ণনা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এ ঘটনায় একই দিন উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।এর আগে সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার টুইট করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে একটি ভুট্টাখেতের মাটির নিচে সাত শতাধিক স্বর্ণমুদ্রার মজুত পাওয়া গেছে। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের (১৮৬১-১৮৬৫) সময়কার। উদ্ধার হওয়া এসব স্বর্ণমুদ্রা এখন বিক্রির জন্য তোলা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো লাখ লাখ ডলার মূল্যে বিক্রি হবে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্লুগ্রাস স্টেটের একটি খামারে স্বর্ণমুদ্রাগুলো পাওয়া গেছে। ওই খামারের কর্তৃপক্ষ এবং স্বর্ণমুদ্রাগুলো বিক্রির দায়িত্ব পাওয়া কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণমুদ্রার ওই মজুতকে গ্রেট কেন্টাকি হোর্ড নামে ডাকা হচ্ছে।তবে ঠিক কোন জায়গা থেকে এ স্বর্ণমুদ্রাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে এবং যে ব্যক্তি এগুলোর সন্ধান পেয়েছেন, তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।উদ্ধার স্বর্ণমুদ্রাগুলো বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছে গভমিন্ট ডটকম। ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি মাটি খুঁড়ে স্বর্ণমুদ্রাগুলো বের করছেন।স্বর্ণমুদ্রাগুলো ১৮৪০ ও ১৮৬৩ সালের মাঝামাঝি সময়কার। এর মধ্যে আছে ১ ডলার গোল্ড ইন্ডিয়ানস, ১০ ডলার গোল্ড লিবার্টিস ও ২০ ডলার গোল্ড লিবার্টিস।এর মধ্যে ১৮টি অত্যন্ত বিরল ধরনের ২০ ডলার গোল্ড লিবার্টিস আছে। এগুলো ১৮৬৩ সালে ফিলাডেলফিয়াতে তৈরি করা।কয়েক মাস আগে ওই ব্যক্তি ভুট্টাখেতে স্বর্ণমুদ্রাগুলোর সন্ধান পাওয়ার পর বিরল মুদ্রা সংগ্রহকারী জেফ গ্যারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।এক বিবৃতিতে গারেট বলেন, উদ্ধার হওয়া সাত শতাধিক স্বর্ণমুদ্রা গৃহযুদ্ধের সময়কার প্রতিনিধিত্ব করছে।১৮৬১-১৮৬৫ সাল পর্যন্ত দাসপ্রথাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ হয়। তবে এটি কখনো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়নি। এ গৃহযুদ্ধে কেন্টাকি নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল।সন্ধান পাওয়া স্বর্ণমুদ্রাগুলো পরীক্ষা করে এরই মধ্যে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে নুমিসম্যাটিক গ্যারান্টি কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মুদ্রা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে থাকে।নুমিসম্যাটিক গ্যারান্টি কোম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেট কেন্টাকি হোর্ড ওই সংঘাতেরই (যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ) ফলাফল। ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এ মুদ্রাগুলো আড়ালে ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জুলাই ২০২৩
রাশিয়ার ‘প্রাইভেট আর্মি’ ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাত করে তবেই তিনি মরবেন।এর কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়া তার বিরুদ্ধে সামরিক বিদ্রোহের অভিযোগ আনে।ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেন, ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা ইউক্রেনের সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন শহরে প্রবেশ করেছে। এদিকে রাশিয়া থেকে আসা খবর অনুযায়ী, ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রোস্তোভ-অন-দন শহরে রুশ সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।একটি ভিডিওতে ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে সদর দপ্তরে প্রবেশ করতে এবং সেখানে অবস্থানরত সামরিক কমান্ডারদের সাথে হাত মেলাতে দেখা যায়।এক ভিডিওতে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভক যদি তার সঙ্গে দেখা করতে না আসেন, তাহলে তিনি মস্কোর দিকে রওনা হবেন।প্রিগোজিন বলেন, আমরা এখানে সেনাপ্রধান ও শোইগুর সঙ্গে দেখা করতে চাই। তারা না আসা পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকব, রোস্তভ শহর অবরোধ করব এবং তারপর মস্কোর দিকে অগ্রসর হবো।এদিকে মস্কোর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর সংযোগকারী প্রধান মহাসড়ক এম ফোর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লিপেটস্ক প্রদেশের গভর্নর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এম ফোর হাইওয়ে রোস্তভ এবং মস্কোকে সংযুক্ত করে।প্রাদেশিক গভর্নর নাগরিকদের শান্ত থাকতে এবং ঘরের ভেতরে থাকতে বলেছেন। রয়টার্স রোস্তভের রাস্তায় অবস্থানরত ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের ছবি প্রকাশ করেছে।এদিকে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন দাবি করেছেন, তার যোদ্ধারা একটি রুশ হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে।তবে তিনি ঘটনার স্থান নির্দিষ্ট করেননি এবং তাৎক্ষণিকভাবে তার দাবি যাচাই করা কঠিন।ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করা বেসরকারি যোদ্ধাদের একটি সেনাবাহিনী। যুদ্ধে লড়াইয়ের পদ্ধতি নিয়ে ওয়াগনার গ্রুপ এবং রুশ সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ক্রমশই রাশিয়ার সামরিক কমান্ডারদের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছিলেন। শুক্রবার ৬২ বছর বয়সী ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ করেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।রুশ কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের উচিত অবিলম্বে অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের ওপর আধিপত্য বিস্তারকারী অশুভ শক্তি দমন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য তিনি এগিয়ে যাবেন।প্রিগোজিন বলেন, যে কেউ আমাদের বিরোধিতা করবে তাকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং ধ্বংস করা হবে। পথে আসা সব চেকপয়েন্ট ও বিমানের ক্ষেত্রেও একই বার্তা। প্রিগোজিন আরও বলেছেন, এটি কোনো সামরিক অভ্যুত্থান নয়, এটি ন্যায়বিচারের লড়াই। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, সরকার, পুলিশ ও রুশ রক্ষীরা আগের মতোই কাজ করে যাবে। এটা সামরিক অভ্যুত্থান নয়, ন্যায়বিচারের লড়াই। আমাদের কার্যকলাপ সৈন্যদের পথে হস্তক্ষেপ করবে না।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রতি মুহূর্তে ঘটনাবলী সম্পর্কে তথ্য নিচ্ছেন।এদিকে শুক্রবার রাত থেকে রাজধানী মস্কোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সরকারি ভবন ও ট্রাফিক হাবগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।একই সঙ্গে লিপেৎস্ক প্রদেশের গভর্নর নাগরিকদের দক্ষিণে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।লিপেৎস্ক ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার এবং রোস্তভ থেকে ৫০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।শুক্রবার রাতে এক টুইটবার্তায় রুশ সামরিক বাহিনী বলেছে, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবে।এদিকে, জেনারেল সুরোভিচিন এক বার্তায় প্রিগোজিনকে তার গাড়িবহর থামিয়ে ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জেনারেল সুরোভিচিন ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর উপপ্রধান এবং অতীতে প্রিগোজিনের প্রশংসা করেছেন।জেনারেল সুরোভিচিন বলেন, আমাদের রক্ত একই, আমরা যোদ্ধা। আমাদের কঠিন সময়ে শত্রুর হাতের পুতুল হওয়া উচিত নয়।রাশিয়ার বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের আহ্বান জানানোর অভিযোগে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাশিয়ার ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফএসবি)। প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থান চালানোর অভিযোগও রয়েছে।এফএসবি ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের প্রিগোজিনের আদেশ না মানতে এবং তাদের ধরার পদক্ষেপ নিতে বলেছে।রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের ওপর রাশিয়ার হামলা নিয়ে প্রিগোজিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন ছড়িয়েছেন তা ভুয়া।মে মাসের শুরুতে প্রিগোজিন যোদ্ধাদের মৃতদেহের মধ্যে দাঁড়িয়ে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের পর্যাপ্ত অস্ত্র না দেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক কমান্ডারদের সমালোচনা করার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন।বিশ্বাস করা হয় যে হাজার হাজার ভাড়াটে সৈন্য ওয়াগনার গ্রুপের সাথে ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করছে।সম্প্রতি ওয়াগনার গ্রুপের সৈন্যরা ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে বাখমুত শহরটি দখল করার জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।ওয়াগনার গ্রুপ নিজেকে একটি ‘বেসরকারি সামরিক সংস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করে। তবে এখন রুশ সরকার এই গোষ্ঠীকে দমন করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, কারণ এর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার দাবি করেছেন।ওয়াগনার গ্রুপটি ২০১৪ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল, যখন তারা ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে সমর্থন করেছিল।সে সময় এটি একটি গোপন দল ছিল, যার বেশিরভাগ সদস্য আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় ছিল এবং এটি বিশ্বাস করা হয় যে সেই সময়ে এই গ্রুপটি মাত্র পাঁচ হাজার যোদ্ধা নিয়ে গঠিত ছিল, তবে তাদের বেশিরভাগই রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীর সৈন্য ছিল।ওয়াগনার গ্রুপের একজন যোদ্ধা কত টাকা পায়?ধীরে ধীরে দলে যোদ্ধার সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত জানুয়ারিতে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে ওয়াগনার গ্রুপের প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে।সংস্থাটি ২০২২ সালে গণনিয়োগ করেছিল কারণ রাশিয়া তার সেনাবাহিনীতে লোক নিয়োগে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল।চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধরত ওয়াগনার গ্রুপের প্রায় ৮০ শতাংশ যোদ্ধাকে কারাগার থেকে বের করে আনা হয়েছে। ওয়াগনার গ্রুপের একজন সাবেক সৈনিক বিবিসিকে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আগে যারা এই গ্রুপে যোগ দিয়েছিল তারা ছোট ছোট গ্রাম থেকে এসেছিল। এই গ্রামগুলোতে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া কঠিন ছিল। এ কারণে তারা এই গ্রুপে যোগ দেন। ওয়াগনার গ্রুপে যারা কাজ করেন তারা ১৫০০ ডলার (দেড় লাখার টাকার বেশি) বেতন পান। যদি কোনো সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে যান তবে তিনি আরও বেশি (দুই লাখ টাকার বেশি) পান। তবে রাশিয়ায় ভাড়াটে সৈন্য নিষিদ্ধ। ওয়াগনার গ্রুপ ২০২২ সালে একটি সংস্থা হিসেবে নিজেকে নিবন্ধিত করে এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি নতুন অফিস খোলে।রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের ড. স্যামুয়েল রামানি বলছেন, ওয়াগনার গ্রুপ রাশিয়ার শহরগুলোতে বিলবোর্ড লাগিয়ে প্রকাশ্যে যোদ্ধা নিয়োগ করছে এবং একটি দেশপ্রেমিক সংগঠন দেখিয়ে রাশিয়ার গণমাধ্যমে তাদের নিয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছে। রাশিয়া যখন পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখল করে, তখন ওয়াগনার গ্রুপ এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।ইউক্রেনের সৈন্যরা বলছে, ওয়াগনার গ্রুপের বিপুল সংখ্যক যোদ্ধাকে উন্মুক্ত মাঠে পাঠানো হয়েছিল, এতে তাদের অনেক লোক নিহত হয়।রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমে যুদ্ধে ওয়াগনার গ্রুপের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও পরে সাহসী ও নিঃস্বার্থ ভূমিকা পালনের জন্য ভাড়াটে সৈন্যদের প্রশংসা করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুন ২০২৩
বাংলাদেশ নিয়ে ১২ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রত্যাখ্যান করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ৫ শতাধিক বাংলাদেশি-আমেরিকান।নিউইয়র্কে দুই প্রবাসী সাখাওয়াত আলী ও জেড এ জয় ক্ষুব্ধ প্রবাসীদের কাছ থেকে এ স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন। এতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫০৯ জন স্বাক্ষর করেছেন। এতে দাবি করা হয়েছে, ১২ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের সংখ্যালঘু নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও অপরাধমূলক কোনো তথ্য না থাকায় তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং অগ্রহণযোগ্য। হঠাৎ করে ১২ কংগ্রেসম্যানের বাংলাদেশ নিয়ে অতি আগ্রহের কারণ অনেকটা রহস্যময় এবং অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করা হয়েছে স্বাক্ষর সংগ্রহের এ আবেদনে।স্বাক্ষর সংগ্রহের পর তা শিগগিরই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে লিখিত আকারে দাখিল করা হবে বলে জানান সাখাওয়াত আলী ও জেড এ জয়। একই সঙ্গে তা সংশ্লিষ্ট কংগ্রেসম্যানদেরও দেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জুন ২০২৩
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দ আয়োজনে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউইউএসটি) সমাবর্তন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি দ্বিতীয় সমাবর্তন। এইবার ৭৬ জন শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের গ্রাজুয়েশন সনদ ও সম্মাননা।গত শনিবার (১৮ জুন) ভার্জিনিয়ার জর্জ সি. মার্শাল হাইস্কুল মিলনায়তনে সম্পন্ন হয় এই গ্রাজুয়েশন সেরিমনি। কালো গাউন মাথায় গ্রাজুয়েশন হ্যাট পরে সেরিমনির মূল আকর্ষণ হয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সনদ নেন, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলেন দিনটিকে।বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ বিতরণের পাশাপাশি তাদের বক্তৃতায় তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার কথা।অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে স্বীয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অন্য আরো অনেক বাংলাদেশি-আমেরিকান। যারা এই গ্রাজুয়েশন-কনভোকেশনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ তাঁর বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এখন যারা গ্রাজুয়েটেড হলেন তারা সবাই গত বছরগুলোতে একটি কঠিন ও অনিশ্চিত সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমি দেখেছি শিক্ষার্থীদের অসীম শক্তি ও আত্মপ্রত্যয়। আর সে কারণেই তারা সফল হতে পেরেছেন। আর তারই পথ ধরে তাদের সেই সাফল্যই আজ উদযাপিত হচ্ছে।ড. হাসান কারাবার্ক বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাশাপাশি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেটিই সবচেয়ে বড় কথা। অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প কিছু নেই।দিনের পরের ভাগে সন্ধ্যায় অতিথিরা যোগ দেন কনভোকেশন ডিনারে। স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এই ডিনারে অতিথিরা একজন বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আবুবকর হানিপকে অভিনন্দন জানান।২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সফল বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ইঞ্জি. আবুবকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাংলাদেশি আমেরিকানের হাতে পরিচালিত প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ- বিবিএ কোর্সে বর্তমানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ জুন ২০২৩