আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে সময়ের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। এবার তাকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ সম্মান। আর্জেন্টিনার ব্যাংক নোটে জায়গা পেতে যাচ্ছেন এ ফুটবল তারকা।এল ফিয়ানসিয়েরোর বরাত দিয়ে ব্রিটেনের দ্য সান প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশটির ১০০০ পেসোর নোটে থাকবে মেসির ছবি।মূলত দেশটির ফাইন্যান্সিয়াল গভর্নিং বডি বিশ্বকাপ জয়ের মতো বড় জাতীয় অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। আর সে জন্যই ব্যাংক নোটে রাখতে চাচ্ছে মেসির ছবি।জানা গেছে, ১০০০ পেসোর নোটের এক পাশে থাকবে মেসির ১০ নম্বর জার্সি পরা একটি ছবি। সেখানে থাকবে মেসির স্বাক্ষরও। তার নিচে লেখা থাকবে ‘কাতার-২০২২’ এবং লিওনেল মেসির নাম। অন্য পাশে থাকবে ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ের পর উল্লাস করা দলগত ছবি।প্রসঙ্গত, আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার পালা ঘুচিয়েছেন লিওনেল মেসি। তার জাদুকরী পায়ের ছোঁয়ায় তিন যুগ পর আর্জেন্টিনা জিতেছে বিশ্বকাপ। সোমবার রাতে দেশে ফিরে মেসি-ডি মারিয়ারা পেয়েছেন রাজকীয় বরণ। আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ ডিসেম্বর ২০২২
বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে গেলেও নিজ দেশে বীরের সম্মান পাচ্ছেন এমবাপ্পেরা। তাদের এ হারকে ‘বীরত্বপূর্ণ পরাজয়’ আখ্যা দিচ্ছেন ফরাসিরা। তাই তো তাদেরকে বীরের বেশেই বরণ করে নিয়েছে তারা।ফ্রান্স ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছে— জাতীয় বীরদের বরণ করছি। ২০১৮ সালে এই মঞ্চে তাদের সঙ্গে ছিল বিশ্বকাপের ট্রফি, এবার নেই। তাতে কষ্ট থাকলেও নেই আক্ষেপ। কারণ মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিয়েছেন ফরাসি ফুটবলাররা। আর তাদের প্রচেষ্টা মন ছুঁয়েছে ফ্রান্সবাসীর।এজন্য বীরদের ঠিক বীরের বেশেই বরণ করে নিয়েছে ফ্রান্স। সঙ্গে প্যারিসের রাস্তায় ছিল ৫০ হাজার সমর্থক। সোমবার রাতে ফ্রান্সে পা রাখেন দিদিয়ের দেশম, হুগো লরিসরা। তখন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড শীতেও সমর্থকদের ছিল বাঁধভাঙা উল্লাস।প্যারিসের ডি লা কনকর্ডে খেলোয়াড়দের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। যেখানে উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত হন এমবাপ্পেরা। গ্রিজম্যান, কোম্যান, কামাভিঙ্গেসহ প্রায় সব খেলোয়াড়ের মুখেই হাসি ছিল। সমর্থকদের ভালোবাসায় হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মুকুটের কথা। হাত নেড়ে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেন তারাও।কিন্তু এখানেও বিমর্ষ ছিলেন এমবাপ্পে। মুখে এক চিলতে হাসি ছিল না। গোল্ডেন বুট পেলেও এমবাপ্পের নজরে ছিল টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২৩ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড সেভাবেই পারফরম করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পাওয়া হয়নি তরুণ সুপারস্টারের।হাত নেড়ে, চুমু উড়িয়ে সমর্থকদের ভালোবাসার জবাব দিলেও তাকে এক মুহূর্তের জন্যও হাসিমুখে দেখা যায়নি। শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার কষ্টটা এখনো রয়ে গেছে এমবাপ্পের মনে।উল্লেখ্য, রোববার রাতে বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় ফ্রান্সের। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। পরবর্তী ৩০ মিনিটেও খেলা ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হয়। এর পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে যায় ফ্রান্স। সূত্র: বিবিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ ডিসেম্বর ২০২২
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ফ্রান্স। এমবাপ্পের অসাধারণ নৈপূন্যও কাপ ঘরে তোলার জন্য যথেষ্ট ছিল না। শিরোপার লড়াইয়ে হেরে গিয়ে ফ্রান্সের কয়েকটি শহরে দাঙ্গা বেধে গেছে। প্যারিসের সড়কে হাজার হাজার ফুটবল ভক্ত বিক্ষোভ করেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।ফরাসিরা এই পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। বিক্ষোভের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।দাঙ্গা থাকাতে বিভিন্ন শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভিডিওগুলো দেখা গেছে, সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকলেও বিশৃঙ্খলা করছেন নগরবাসী। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ছে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, লিয়নে একজন নারী গাড়ি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছেন। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন বলছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্যারিসের সড়কে টিয়ার গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয়।গতরাতে কাতার বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে যায় ফ্রান্স। এরপরই হাজারো ফুটবল ভক্ত সড়কে নেমে আসে। ভক্তরা সেখানে আগুন জ্বালায় এবং আকাশের দিকে আতশবাজি নিক্ষেপ করে।নেক্সটা টিভির প্রতিবেদন বলছে, কাতারে পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-২ গোলে হেরে যাওয়ার পর ফ্রান্সের হাজার হাজার ফুটবল ভক্ত প্যারিস, নিস এবং লিয়ন শহরের রাস্তায় নেমে আসেন। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে ফ্রান্সের রাস্তায় বিশাল হট্টগোল এবং বিশৃঙ্খলার দৃশ্য উঠে এসেছে। অবশ্য পুলিশ সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার চেষ্টা করার পরও উত্তেজনা চলছিল।এছাড়া দাঙ্গার সময় পুলিশ অফিসারদের ওপর ঢিল ও আতশবাজি দিয়ে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, লিয়ন শহরে সহিংসতা শুরু হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ফুটবল ভক্তদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্রান্সজুড়ে প্রায় ১৪ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছিল বলে কর্মকর্তারা ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২২
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে আজ শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই মন্তব্য অত্যন্ত নিম্নমানের এবং তা পাকিস্তানের সঙ্গেও যায় না।’ খবর এনডিটিভির।বিলাওয়ালের মন্তব্যকে ‘জঘন্য ও লজ্জাজনক’ আখ্যায়িত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘মনে হয় এখনো ১৯৭১ সালের কষ্ট ভুলতে পারেনি। ওই দিন (১৬ ডিসেম্বর) ৯৩ হাজারের বেশি পাকিস্তানি সেনা ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এই পরাজয়ের পর তাঁর নানা (পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো) কেঁদেছিলেন।গত বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদিকে ইঙ্গিত করে বিলাওয়াল ভুট্টো জাতিসংঘে বলেছিলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন মারা গেছেন, তবে গুজরাটের কসাই জীবিত; আর তিনি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।’ এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস। দিনটির দিকে ইঙ্গিত করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্যই ১৯৭১ সালে আজকের দিনটির কথা ভুলে গেছেন। বাঙালি ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তার ফলেই ১৬ ডিসেম্বর এসেছিল। নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে পাকিস্তানের আচরণ এখনো বদলায়নি বলে মনে হচ্ছে।’বিলাওয়াল ভু্ট্টোর মন্তব্যে চটেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে তিনি শুধু একটি দেউলিয়া দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন না; বরং মানসিকভাবেও তিনি দেউলিয়া।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোতে তাঁর সরকারি বাসভবনে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। এরপর তিনি সেখানেই মলত্যাগ করেছেন। পুতিনের নিরাপত্তা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।ওই খবরে বলা হয়, ৭০ বছর বয়সী পুতিন সিঁড়ি থেকে পাঁচ ধাপ নিচে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে আঘাত পান। টেলিগ্রাম চ্যানেল সূত্র বলছে, পুতিনের পাকস্থলী ও অন্ত্র ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার পরে তিনি মলত্যাগ করে ফেলেন।যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসের খবর বলছে, গত মাসে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে পুতিনের হাত কাঁপছিল ও ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই সংবাদমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার নেতাকে ওই বৈঠক চলাকালে অস্বস্তিকরভাবে পা নাড়াতে দেখা গেছে।নিউইয়র্ক পোস্টের খবর বলছে, পুতিনের পড়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁর অসুস্থতা নিয়ে যে গুজব রটেছে, তার সত্যতা আবার প্রমাণিত হলো। সাবেক এক ব্রিটিশ গুপ্তচর বলেছেন, ৭০ বছর বয়সী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘গুরুতর অসুস্থ।’ ইউক্রেনে যা ঘটছে, তাতে পুতিনের অসুস্থতা প্রভাব ফেলছে।পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে ‘পুতিন ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ও খুব অসুস্থ।’পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে প্রথমবারের মতো খবর প্রকাশ হচ্ছে, তা নয়। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো প্রায়ই পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত বলে খবর প্রকাশ করে। ২০১৪ সালে পুতিনের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরের উপহাস করেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ৯ মাস পার হয়েছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করায় তাঁর কোনো অনুতাপ নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙছে সৌদি আরব। দামামে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়েও বড় আরেকটি বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন সৌদি প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।রাজধানী রিয়াদের ২২ বর্গমাইলজুড়ে নির্মিত হবে কিং সালমান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরে ছয়টি সমান্তরাল রানওয়ে থাকবে।সৌদি আরবের তেলবহির্ভূত মোট দেশজ উৎপাদনে বার্ষিক ৭.১৮ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে এই প্রকল্প বলে আশা করা হচ্ছে।স্থাপত্যশৈলী জগতের খ্যাতিসম্পন্ন ‘ফস্টার + পার্টনারস’ খ্যাত ব্রিটিশ স্থাপত্য, প্রকৌশল দ্বারা নকশা করা হয়েছে। ‘স্টুডিওর ফস্টার + পার্টনার্সের’ প্রধান লুক ফক্স বলেন, ‘বিমানবন্দরটি ঐতিহ্যবাহী টার্মিনালকে একটি একক ‘কনকোর্স লুপ’ হিসাবে পুনরায় কল্পনা করবে, যা পরিবেশিত হবে একাধিক প্রবেশদ্বারে মধ্য দিয়ে।’ ৪.৫ বর্গমাইলের বেশি ছোট আউটলেট, আবাসিক এবং বিনোদনমূলক সুবিধা এবং লজিস্টিক স্পেস থাকবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিমানবন্দরটি বছরে ১২০ মিলিয়ন যাত্রী বহন করার জন্য প্রস্তুত হবে।পরবর্তী দুই দশকে যার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ৫০% শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৩.৫ মিলিয়ন টন কার্গো পরিচালনা করার পরিকল্পনাও রয়েছে।‘ফস্টার + পার্টনারসের’ একজন সিনিয়র অংশীদার সেফ এ বাহা এলদিন একটি বিবৃতিতে বলেন, বিমানবন্দরের লক্ষ্য হলো রিয়াদকে ‘সৃজনশীলতা এবং উদ্বাবনের গ্লোবাল হাব’ হয়ে উঠতে সহায়তা করা।পর্যটন খাতে ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রেখে যাচ্ছে সৌদি আরব। সেসব বৃহৎ প্রকল্পেরই একটি এই বিমানবন্দর। সিএনএন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
ফ্রান্সে ৩৫টি দেশ মিলে একটি ‘কৃত্রিম সূর্য’ তৈরির কাজ করছে। ‘কৃত্রিম সূর্যের’ নাম ইন্টারন্যাশনাল থার্মোনিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর বা আইটিইআর। একে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘কৃত্রিম সূর্য’ বলা হচ্ছে। এ কাজে বড় অগ্রগতি হয়েছে। চীন বলেছে, তারা আইটিইআরের প্রধান একটি উপাদান তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছে। খবর এনডিটিভির।আইটিইআর নিউক্লিয়ার ফিউশন নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মেগা প্রকল্প। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ইইউয়ের ২৭টি দেশ এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। দেশগুলোর আশা, সূর্যের শক্তি উৎপন্নের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব বিপুল শক্তি উৎপাদন সম্ভব।বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা মূলত নিউক্লিয়ার ফিউশন ব্যবহার করে এ কাজ করছেন। এ প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয় বিক্রিয়া ঘটিয়ে একাধিক হালকা নিউক্লিয়াই সংযোজন করে তুলনামূলক ভারী নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। পাশাপাশি এ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় বিপুল শক্তি। মূলত সূর্যের নিউক্লিয়ার ফিউশনের প্রক্রিয়া অনুকরণ করছেন ওই বিজ্ঞানীরা।কৃত্রিম এ সূর্য তৈরির খরচের প্রায় ৪৫ শতাংশ বহন করছে ইউরোপ। আর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্য দেশগুলোর প্রতিটি ৯ শতাংশ করে ব্যয় নির্বাহ করছে। এ ছাড়া প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি দেশ আইটিইআর প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন উপাদান, পদ্ধতি ও অবকাঠামো নির্মাণ করার মাধ্যমে একটি ‘কৃত্রিম সূর্য’ অবদান রেখে চলেছে।গত মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, কৃত্রিম সূর্যের জন্য একটি প্রধান উপাদান ‘এনহ্যান্সড হিট ফ্লাক্স’-এর একটি পূর্ণাঙ্গ ‘প্রোটোটাইপ’ তৈরির কাজ শেষ করেছে চীন। এর নকশার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা যে চাহিদা দিয়েছিলেন, সেটা মেনে প্রোটোটাইপটি তৈরি করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২
চীনে করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্লোগানে স্লোগানে বলছেন, তাঁরা স্বাধীনতা চাইছেন। তাঁরা আজীবনের শাসক চান না। বিক্ষোভের মধ্যে গতকাল রোববার রাতে দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর সাংহাইয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছে। খবর রয়টার্সের।চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেওয়া ‘শূন্য করোনা নীতি’র বিরুদ্ধে দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশের উরুমকি শহরের একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যু হয়।বাসিন্দাদের ভবনে আটকে পড়া ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হওয়ার জন্য করোনার বিধিনিষেধকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর উরুমকির বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবি জানান। ইতিমধ্যে চীনের বড় শহরগুলোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।সাংহাইয়ে শন জিয়াও নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমি দেশকে ভালোবাসি। এ কারণে এখানে এসেছি। কিন্তু আমি সরকারকে পছন্দ করি না। আমি মুক্তভাবে চলাচল করতে চাই, কিন্তু পারি না। আমাদের করোনা নীতি একটি খেলা। এই নীতি বিজ্ঞান বা বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়নি।’উহান ও চেংদু শহরেও গতকাল বিক্ষোভ হয়। এ ছাড়া চীনজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের জন্য জড়ো হয়েছিলেন।আজ সোমবার ভোরে বেইজিংয়ের লিয়াংমা নদীর কাছের থার্ড রিং রোড এলাকায় বিক্ষোভকারীদের দুটি দল জড়ো হয়। এই দুই দলে এক হাজারের মতো বিক্ষোভকারী ছিলেন।বিক্ষোভকারীদের একটি দল থেকে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘আমরা মাস্ক চাই না, স্বাধীনতা চাই’, ‘আমরা করোনা পরীক্ষা চাই না, স্বাধীনতা চাই’। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ কয়েক শ বিক্ষোভকারী সাংহাইয়ের রাস্তায় জড়ো হন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন বলেন, বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে একটি বাসে তুলে নেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ভিড়ের মধ্য দিয়ে পরে বাসটি চলে যায়। সাংহাইয়ে ২৬ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের মৌলিক মানবাধিকার চাই। পরীক্ষা ছাড়া আমরা আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। জিনজিয়াংয়ের দুর্ঘটনা মানুষকে সড়কে নামতে বাধ্য করেছে।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এখানে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সহিংস নন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করছে। তারা আমাকে ধরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চারপাশে থাকা মানুষ আমার হাত শক্ত করে আঁকড়ে ধরে ছিল। তাঁরা আমাকে টেনে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ায় আমি পালাতে পেরেছি।’সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল চেংদু শহরে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছিলেন। তাঁরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁরা বলছিলেন, ‘আমরা আজীবনের শাসক চাই না। আমরা সম্রাট চাই না।’করোনার সূত্রপাত ঘটেছিল চীনের উহানে। সেখানেও গতকাল শত শত মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁরা ব্যারিকেড ভাঙছেন, করোনা পরীক্ষার জন্য তৈরি তাঁবু উল্টো ফেলে দিচ্ছেন, লকডাউন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে করোনার অধিকাংশ বিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রম। দেশটিতে এখনো ‘শূন্য করোনা নীতি’ বজায় রয়েছে।বৈশ্বিকভাবে করোনার সংক্রমণ এখন কম। কিন্তু কিছুদিন ধরে চীনে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। শুধু শনিবারই দেশটিতে নতুন করে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এমন অবস্থায় দেশটির কয়েকটি শহরে নতুন করে লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২
ইতালিতে ভয়াবহ ভূমিধসে ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও নবজাতকও রয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় আরও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। প্রবল বৃষ্টির কারণে দেশটিতে এই ভূমিধস দেখা দেয়।এই পরিস্থিতিতে ইতালিজুড়ে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম দ্য লোকাল।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে দক্ষিণ ইতালির ইসচিয়া দ্বীপে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন বলে রোববার দেশটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নবজাতক এবং দুই শিশুও রয়েছে।ক্লাউদিও পালোম্বা নামের ওই কর্মকর্তা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ভূমিধসের ঘটনায় পাঁচজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।শনিবার ভোরের দিকে ইউরোপের এই দেশটির নেপলসের কাছে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাদা এবং ধ্বংসাবশেষের স্রোতে গাছপালা, ভবন ও গাড়ি ভেসে যায়। এরপর থেকেই অন্তত ১৩ জন নিখোঁজ ছিলেন। রোববার সেই নিখোঁজদের মধ্যে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিধসের ফলে অনেক ভবন ভেঙে গেছে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভেসে সমুদ্রের দিকে চলে যাচ্ছে। একজন বাসিন্দা এই ভূমিধসকে ‘পানি ও কাদার জলপ্রপাত’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।এদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম দ্য লোকাল জানিয়েছে, ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ইসচিয়ায় প্রাণঘাতী ভূমিধসের পর রোববার ইতালির সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।ইতালির বেসামরিক সুরক্ষা মন্ত্রী নেলো মুসুমেসি বলেছেন, মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক শেষে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং ২০ লাখ ইউরোর ত্রাণ তহবিলের প্রথম কিস্তি ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়।এছাড়া ২০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকারী এখনও নিখোঁজ থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে এবং শত শত স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্যরা তাদের হাঁটু পর্যন্ত কাদায় নেমে শহরের রাস্তা পরিষ্কার করতে ব্যস্ত রয়েছেন।স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযানে যেকোনো ধরনের বাধা-বিঘ্ন এড়াতে ইসচিয়ার বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে দ্য লোকাল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, তিনি তাঁর ইউনিভার্সিটি কে মানি মেকিং মেশিন বানাতে চান না, তিনি চান তাঁর এই ইউনিভার্সিটি একদিন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুনাম অর্জন করবে এবং একদিন এই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রোল মডেল হবে ।“বর্তমানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি তে প্রায় পাঁচশত বাংলাদেশিরা পড়াশোনা করছেন। আমি আশা করছি তারা তাদের গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে একটা উন্নত জীবন শুরু করতে পারবে কারণ আমার ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি উভয় জ্ঞানই অর্জন করছে, এর ফলে তারা দক্ষ হয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশ করবে,” তিনি বলেন।তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মানবসম্পদ হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ, আমাদের সেটা আছে, এটা কে কাজে লাগাতে হবে। ‘আমরা প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশিকে আমেরিকার মূলধারায় চাকরি দিয়েছি। কাজে দক্ষতা অর্জন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই’। তিনি বলেন, ‘আমেরিকাতে যেসব লোক যায় তারা সাধারণত এন্ট্রি লেভেল জব খোঁজে কিন্তু আমরা তাদের মাত্র চার মাসের আইটি ট্রেইনিং দিয়ে আমেরিকার মূল ধারায় প্রায় ১০০ হাজার ডলারের জব দিচ্ছি’।তিনি বলেন, এই গ্লোবাল মার্কেটে যেকোনো জায়গায় থেকে কাজ করা যায়, সেটার জন্য দরকার দক্ষতা ও ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা। একজন শিক্ষার্থীকে সব বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে না তাকে যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলেই হবে।‘আমরা বাংলাদেশে ২০১৪ সালে পিপলএনটেক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান ট্রেনিং এর মাধ্যমে প্রায় এ পর্যন্ত ৫০০০ শিক্ষার্থীকে দক্ষভাবে করে তুলে তাদের চাকরি দিয়েছি। তারা বাংলাদেশে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করে দেশে রেমিট্যান্স নিয়ে আসছে’।তিনি বলেন, বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে তিনটি অর্থনৈতিক স্তম্ভের ওপরে। সেগুলো হচ্ছে—কৃষি, তৈরি পোশাক ও রেমিট্যান্স। যদি আইটি চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে দাঁড় করানো যায় তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। গত করোনার মধ্যে অনেকে তাদের চাকরি হারিয়েছে কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা মাসে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেছে।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির যুগ্ম সচিব, পরিচালক ফাইন্যান্স ও এডমিন এ এন এম শাফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তপন ক্রান্তি সরকার, প্রিমেসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মাছুদ খান, পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, নেটওয়ার্কিং হেড অফ ফ্যাকল্টি কাজী মাহমুদুল হক সহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ নভেম্বর ২০২২
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কিশোরের ছুরিকাঘাতে ৩ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরের অবৈধ এক ইসরায়েলি বসতির ভেতরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান তারা। এই ঘটনায় ওই ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে এক ইসরায়েলি সেনা।এদিকে হামলাকারী ওই ফিলিস্তিনি কিশোরকে নায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। বুধবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।মূলত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে অবৈধ বসতি স্থাপন বাড়িয়েই চলেছে ইসরায়েল। আর পশ্চিম তীরের তেমনই এক অবৈধ ইসরায়েলি বসতিতে ফিলিস্তিনি কিশোরের ছুরিকাঘাতে প্রাণহানির এই ঘটে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি ইহুদি বসতির কাছে এক ফিলিস্তিনি কিশোর তিনজন ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ওই ফিলিস্তিনি কিশোরকে নায়ক হিসাবে আখ্যা দিয়ে তার কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছে।ইসরায়েলে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কট্টর-ডানপন্থি জোটের ক্ষমতায় ফিরে আসার অংশ হিসেবে আইন প্রণেতাদের শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে হামলার এই ঘটনা ঘটে।সংবাদমাধ্যম বলছে, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের এরিয়েল সেটেলমেন্ট নামে একটি ইহুদি বসতির শিল্প অঞ্চলে ৩ ইসরায়েলিকে হত্যার এই ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ছুরি হাতে থাকা এক ব্যক্তি এই হামলা চালান এবং পরে তাকে একজন সৈন্য গুলি করে হত্যা করেন।চলতি বছরের মার্চ মাসে পশ্চিম তীরে অভিযান জোরদার করার পর থেকে সর্বশেষ এই হামলা ও প্রাণহানি ছিল ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী। মূলত গত মার্চ মাস থেকে পশ্চিম তীরে বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বন্দুকধারী এবং বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিতে হামলার পর গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর বলে শনাক্ত করেছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওই কিশোর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা বলেও জানিয়েছে তারা।ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনি ওই কিশোর পশ্চিম তীরের এরিয়েল সেটেলমেন্ট নামে ওই ইহুদি বসতির শিল্প অঞ্চলে প্রবেশ করার পরে লোকেদের ছুরিকাঘাত শুরু করেন এবং পরে গাড়িতে পালানোর চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে একজনকে ধাক্কা দেন।ইহুদি এই বসতিতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ই কাজ করে জানিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, অভিযুক্ত ওই ফিলিস্তিনি কিশোর এই শিল্পাঞ্চলে কাজ করার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছিলেন এবং আগে থেকে কোনও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য ছিল না।এদিকে পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টায় নিহত হওয়া ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২২
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনসংখ্যার দেশ হচ্ছে চীন। একইসঙ্গে সারা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক শক্তিও বেইজিং। আর তাই এশিয়ার পরাশক্তি এই দেশটির রাজনৈতিক ব্যবস্থা তথা গণতন্ত্র নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদদের আগ্রহ রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে সমালোচনা ও নানা বিতর্কও।তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলছেন, চীনে চাইনিজ-স্টাইলের গণতন্ত্র চলে, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আমেরিকান স্টাইলের। গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে জিনপিং এই মন্তব্য করেন।মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রায়শই বৈশ্বিক রাজনীতির বর্তমান অবস্থাকে একটি ‘ইনফ্লেকশন পয়েন্ট’ হিসাবে উল্লেখ করে থাকেন। এর অর্থ, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে এখন এমন এক মুহূর্ত চলছে যখন জনগণকে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা এবং একনায়কতন্ত্রের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে।এমন অবস্থায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্প্রতি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন শি জিনপিং। সম্ভব হলে তিনি হয়তো সারাজীবনই এই পদে থাকতে চান। চীনে ক্ষমতা কুক্ষিগত এবং জিনপিংয়ের আজীবন শাসক হওয়ার পরিকল্পনা (গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের) উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট।আর এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে সোমবার বৈঠক করেন শি জিনপিং ও জো বাইডেন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দুই দেশের নেতার বৈঠক সম্পর্কে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথাকথিত ‘গণতন্ত্র বনাম কর্তৃত্ববাদ’ আখ্যানটি আজকের বিশ্বকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য নয়, এমনকি এটি বর্তমান সময়কে অতটা প্রতিনিধিত্বও করে না বলে বাইডেনকে জানিয়েছেন জিনপিং।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকে শি জিনপিং উল্লেখ করেছেন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার মানবজাতি সাধারণভাবে অনুসরণ করে থাকে এবং এই বিষয়গুলোও চীনা কমিউনিস্ট পার্টি অবিরামভাবে অনুসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকান ধাঁচের গণতন্ত্র আছে। আর চীনে আছে চীনা ধাঁচের গণতন্ত্র।’চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি একদলীয় ব্যবস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করেন যেটিকে অনেক মানবাধিকার গোষ্ঠী, পশ্চিমা নেতা এবং শিক্ষাবিদরা স্বৈরাচার বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। কারণ যেকোনো একদলীয় ব্যবস্থায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, মুক্ত গণমাধ্যম বা জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে সর্বজনীন ভোটাধিকারের অভাব রয়েছে।এছাড়া শি জিনপিং এবং তার দলের বিরুদ্ধে সমালোচনাকারীরা অনলাইনে সেন্সর এবং অফলাইনে আটকের ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত বছর বিশ্বের শতাধিক দেশকে নিয়ে ভার্চ্যুয়ালি গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।তবে সেই সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং সেই সময় চীনা কর্মকর্তারা এই সম্মেলনকে ‘বিভাজনকারী’ বলে অভিহিত করেছিলেন।এছাড়া ২০২১ সালের শেষের দিকে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিসট্যান্স বলেছে, বিশ্বের অনেক দেশে প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে এবং এই সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২২
ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সরকার গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়লাভের পর রোববার (১৩ নভেম্বর) নেতানিয়াহুকে এই দায়িত্ব দেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজোগ।রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ নির্বাচনে জয় পাওয়া জোটটি ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থি জোট বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে। আর সম্ভাব্য সেই ডানপন্থি জোটেরই প্রধান হিসেবে ফের মসনদে ফিরতে চলেছেন নেতানিয়াহু।অবশ্য কট্টর ডানপন্থি জোট হলেও ৭৩ বছর বয়সী প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ সকল ইসরায়েলিকে সেবা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন এবং যারা দেননি - এটি (সবার সেবা করা) আমার দায়িত্ব।’সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রোববার নেতানিয়াহুকে পরবর্তী সরকার গঠনের অনুমতি দিয়েছেন। গত ১ নভেম্বরের নির্বাচনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি স্থিতিশীল ডানপন্থি কোয়ালিশন গঠনের সুযোগ পান।রোববার ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজোগ জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে বলেন, তিনি নেতানিয়াহুকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। নেতানিয়াহু গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্বপালন করা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।হারজোগ বলেন, ‘(নির্বাচনের) ফলাফল স্পষ্ট, সরকার গঠনের দায়িত্ব অবশ্যই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে অর্পণ করতে হবে।’এদিন অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর চলমান বিচারের কথাও উল্লেখ করেন হারজোগ। যদিও ডানপন্থি এই ইসরায়েলি সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে থাকেন।আইজাক হারজোগ উল্লেখ করেন, নেতানিয়াহু অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ করতে পারেন।উল্লেখ্য, গত চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে সম্প্রতি পঞ্চমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেন ইসরায়েলিরা। আর এই নির্বাচনের মাধ্যমেই ফের ক্ষমতায় ফিরছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।অবশ্য ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এখন দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের অধীনে আছেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নেতানিয়াহু।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ নভেম্বর ২০২২
সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থাপনা এবং ইরাকের ইরবিলে ইরান হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছে রিয়াদ। সৌদি আরবের এই হামলার আশঙ্কার পর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সৌদি, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ।বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানজুড়ে হিজাববিরোধী যে বিক্ষোভ চলছে, তা থেকে মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরবে হামলা চালাতে পারে তেহরান।হিজাব পরার বিধান লঙ্ঘনের দায়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নৈতিকতা পুলিশ ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশি হেফাজত থেকে কোমায় নেওয়া হয় এই তরুণীকে। এর তিনদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহসা আমিনি।কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলের এই তরুণীর মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে হিজাববিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ে। তখন থেকে প্রায় প্রত্যেক দিন দেশটির হাজার হাজার নারী ইরানের ক্ষমতাসীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাস্তায় নেমে হিজাববিহীন অবস্থায় বিক্ষোভ করছেন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হুমকির মাত্রা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন এবং মার্কিন কর্মকর্তারা সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।তবে সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের পাঠানো গোয়েন্দা তথ্যের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য সরবরাহ করেননি হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা। গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে অব্স্থানরত সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনী উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এদিকে, দেশজুড়ে হিজাববিরোধী আন্দোলনে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং ইসরায়েল ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইরান। গত মাসে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার দেশটিতে চলমান বিক্ষোভের সংবাদ পরিবেশনের লাগাম টানতে প্রকাশ্যে সৌদি আরবকে সতর্ক করে দেন।১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর গত ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইরানে নজিরবিহীন বিক্ষোভ চলছে। সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর হাজার হাজার মানুষের এই বিক্ষোভে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।দেশটির কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের সড়ক থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও বিক্ষোভ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইরানের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, প্রধান প্রধান সড়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় এই বিক্ষোভের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া দেশটির বিচার বিভাগ ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ নভেম্বর ২০২২
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সদস্যরা সোমবার থেকে ২০০টি বিমান নিয়ে তাদের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। এ মহড়া শুরুর পর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় এগুলো উস্কানিমূলক, এসব কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে উত্তর কোরিয়া।যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই বুধবার নতুন করে আরও ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। এর জবাবে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও। সব মিলিয়ে দুই দেশ এক সকালেই ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলীয় জলসীমার কাছে।এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে উত্তর কোরিয়ার এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল এ ঘটনাকে আঞ্চলিক আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি কার্যকরীভাবে একটি আঞ্চলিক আক্রমণ।দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়াকে জবাব দিতে এনএলএল সীমারেখার কাছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান তিনটি এয়ার টু গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট ইওনের দপ্তর থেকে হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয় ‘দৃঢ় ও কঠোর’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে যেন ‘উত্তর কোরিয়া উস্কানির মূল্য দেয়’। এমন হুশিয়ারি দেওয়ার পরই পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে দেশটি।দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, উত্তর কোরিয়ার উপকূলীয় এলাকা ওনসান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল তিন ধরনের স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি। পরবর্তীতে জেসিএস জানায়, সবমিলিয়ে কয়েক ধরনের ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।জেসিএস বলেছে অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র এনএলএল সীমারেখার ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওলেউং দ্বীপ থেকে ১৬৭ কিলোমিটার দূরে আছড়ে পড়ে। এসব জায়গায় কয়েকবার সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়।ওলেউং দ্বীপের একজন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে প্রথম সাইরেনের শব্দ শুনতে পাই। আমরা সবাই বেজমেন্টের ভেতর আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাই। আমরা সকাল ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত উপরের দিকে ওঠে আসা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করি নিক্ষিপ্ত বস্তুটি সমুদ্রে আছড়ে পড়ার পর।দ্বীপটির দক্ষিণ দিকের একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন তারা সাইরেনের কোনো ধরনের শব্দ শুনতে পাননি।এদিকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বুধবার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়ার জবাবে।উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি পাক জং চং বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভিজিলেন্ট স্ট্রম নামের যৌথ মহড়ায় যত বিমান ব্যবহার করা হয়েছে এটি প্রমাণ করে তাদের মহড়া ‘আক্রমণাত্মক ও উস্কানিমূলক’ এবং উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এমনকি এই মহড়ার নাম নেওয়া হয়েছে ১৯৯০ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ডিজার্ট স্ট্রম অভিযান থেকে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য শহরে ব্যাপক বিদ্যুৎ ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। খোদ রাজধানী কিয়েভে পানির সংকট এতোটাই চরম আকার ধারণ করে যে, শহরের বাসিন্দারা পানির জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হন।কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, শহরের ৪০ শতাংশ গ্রাহক পানিবিহীন অবস্থায় রয়েছে এবং ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের বাড়িতে কোনও বিদ্যুৎ নেই। মঙ্গলবার (১ নভেস্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। মূলত, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।এর মধ্যে সম্প্রতি অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর সোমবার ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়া কার্যত ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি চালায়।এতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য শহরে ব্যাপক বিদ্যুৎ ও পানির সংকট দেখা দেয়। সোমবারের এই হামলার পর দেশটির বিভিন্ন শহরের লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুবিহীন এবং তাৎক্ষণিকভাবে কিয়েভের প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দা পানির সংকটে পড়েন। ইউক্রেন জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছেন।রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের সামরিক নিয়ন্ত্রণ এবং জ্বালানি ব্যবস্থা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল লক্ষ্যবস্তুতেই আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া ক্রিমিয়ায় মস্কোর নৌবহরে ড্রোন হামলার জবাবে ইউক্রেনের অবকাঠামোর ওপর এই হামলা চালানো হয় বলে জানান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বিবিসি বলছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে রাশিয়ার বিমান হামলায় ইউক্রেনের অবকাঠামো ধ্বংসের তথ্য বহির্বিশ্বকে খুব কমই দেখানো হয়। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ভবিষ্যতের সম্ভাব্য আক্রমণে ব্যবহার করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেক তথ্য প্রকাশ করা হয় না।কিন্তু সোমবারের রুশ হামলার ফল সর্বত্রই দেখা যাচ্ছিল। বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে লোডশেডিং শুরু হয়। রুশ হামলার পর কিয়েভে রাস্তার আলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ট্রলিবাসগুলো বাদ দিয়ে রাজধানীর রাস্তায় প্রচলিত বাস নামানো হয়।এছাড়া নিজস্ব সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কিয়েভের বিভিন্ন পাম্পের সামনে শহরের বাসিন্দাদের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। বোতলসহ বিভিন্ন পাত্র সঙ্গে নিয়ে পানি সংগ্রহের জন্য তারা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনকি হামলার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে কিয়েভের ৮০ শতাংশ গ্রাহকের পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বলেও জানা যায়।পরে সন্ধ্যায় দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বাসা-বাড়িতে জরুরি পরিষেবা পুনরায় চালুর কাজ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মস্কো হামলা চালালেও ‘ইউক্রেনীয়দের বাঁচার ইচ্ছা’ ধ্বংস করার মতো কোনও ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার কাছে নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০২ নভেম্বর ২০২২
পদত্যাগ করেছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। দেশকে বড় ধরনের সংকটের মধ্যে ফেলে রোববার (৩০ অক্টোবর) পদত্যাগ করেন ৮৯ বছর বয়সী সদ্য সাবেক এই খিস্টান প্রেসিডেন্ট। পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট প্যালেসও ছেড়েছেন তিনি।রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের চলমান বিপর্যয়মূলক আর্থিক মন্দা এবং বৈরুত বন্দরে মারাত্মক বিস্ফোরণের পর দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ৮৯ বছর বয়সী মিশেল আউন। তবে চলমান এসব সংকটের মধ্যেই পদ ছাড়লেন তিনি।রয়টার্স বলছে, মিশেল আউনের পদত্যাগের পর দায়িত্বপালনের জন্য এখনও পর্যন্ত উত্তরসূরির বিষয়ে একমত হতে পারেনি লেবাননের পার্লামেন্ট। সাংবিধানিকভাবে লেবাননের প্রেসিডেন্টের কোনো বিলে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার এবং কোনো দলকে সরকার গঠনের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।প্রেসিডেন্ট হিসেবে আউনের দায়িত্বপালনের অর্ধেকেরও বেশি সময়ের মতো লেবাননে বর্তমানে একটি তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা শাসন করছে। এই মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী-মনোনীত গত ছয় মাস ধরে দেশটিতে সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন।রয়টার্স বলছে, লেবাননে মিশেল আউন একজন গভীরভাবে বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব। অনেক খ্রিস্টান তাকে পছন্দ করেন। খিস্টানরা মূলত আউনকে লেবাননের সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থায় তাদের রক্ষক হিসাবে দেখে থাকেন। কিন্তু সমালোচকদের কাছে তিনি দুর্নীতিকে আরও বাড়িয়ে তোলা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে প্রভাব অর্জনে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত।২০১৬ সালে লেবাননের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মিশেল আউন। সেসময় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যারোনাইট খ্রিস্টান রাজনীতিবিদ সামির গেগা উভয়ের মধ্যকার একটি চুক্তিতে তাকে এই পদে সমর্থন করা হয়েছিল। আর সেই চুক্তির ফলে তৎকালীন নেতৃস্থানীয় সুন্নি রাজনীতিবিদ সাদ আল-হারিরি লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদে এসেছিলেন।পরবর্তী ছয় বছরের মেয়াদের সময় লেবাননের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর সহায়তায় ২০১৭ সালে সিরিয়ার সীমান্তে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, ২০১৮ সালে একটি নতুন নির্বাচনী আইন পাস হয় এবং শীর্ষস্থানীয় জ্বালানি কোম্পানিগুলো ২০২০ সালে অফশোর ব্লকগুলোতে অনুসন্ধানমূলক খনন শুরু করে।মেয়াদের শেষ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি স্বাক্ষর করে লেবানন। ইসরায়েলের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ এবং লেবাননের পক্ষে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। এর ফলে দুই দেশের জন্যই সমুদ্রের বিরোধপূর্ণ গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস আহরণের পথ খুলে যায়।আউনের ৩২ বছর বয়সী লামা নোহরা বলছেন, ‘আউনের মেয়াদ লেবাননের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী যুগ ছিল। তার এই সকল কৃতিত্বের পরে, আমরা কীভাবে তাকে ভালোবাসতে পারি না?’তবে অন্যদের জন্য ২০১৯ সালের আর্থিক মন্দার তুলনায় এই সাফল্যগুলো খুবই ফ্যাকাশে। ওই মন্দা লেবাননের জনসংখ্যার ৮৯ শতাংশেরও বেশিকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে প্ররোচিত করেছে।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের মে মাসে লেবাননের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিশেল সুলাইমান মেয়াদ শেষে পদত্যাগ করেন। এরপর টানা ২৯ মাস রাষ্ট্রপ্রধানহীন অবস্থায় ছিল মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরের শেষে লেবাননের সাবেক সেনাপ্রধান মিশেল আউন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।আর এর মধ্য দিয়েই সেসময়কার দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট পদের শূন্যতা পূরণ হয়েছিল।প্রঙ্গত, লেবাননে প্রেসিডেন্ট পদটি খ্রিষ্টানদের জন্য সংরক্ষিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩১ অক্টোবর ২০২২
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, রাশিয়া বর্তমানে যে কঠিন সময় পার করছে, এতে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে সমর্থন অব্যাহত থাকবে।রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার ফোনালাপের সময় এই সমর্থনের ঘোষণা দেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর তাসের।চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন করে আরও পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনা পররাষ্ট্রীকে টেলিফোন করেন।ফোনলাপে ওয়াং ই বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সম্মিলিত যে চাপের মুখে রয়েছে রাশিয়া তা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় সমর্থন দেবে চীন।ওয়াং ই আরও বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে যে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করছেন তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে রাশিয়ার মর্যাদা জোরদার করছে।চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে হয়েছে, নিজেদের উন্নয়ন বোঝার অধিকার রয়েছে চীন এবং রাশিয়ার। চীন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন ঠেকানোর জন্য কোন রকমের বাধা সৃষ্টির প্রচেষ্টা সফল হবে না।দুদেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি আরো উচ্চতর পর্যায়ে নেয়ার জন্য পারস্পরিক আস্থা এবং সমর্থন অব্যাহত থাকবে এবং দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে। টালমাটাল বিশ্বকে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনার জন্য দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ অক্টোবর ২০২২
সন্ধ্যাটি ছিলো পিপলএনটেকের প্রাক্তনদের। তারা সকলে এসেছিলেন তাদের এগিয়ে চলার ও সাফল্যের গল্প শোনাতে। শুনিয়েছেন মাত্র চার মাসের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কিভাবে তাদের জীবনকে বদলে দিয়েছে। তারা বলেছেন তাদের নিজেদের কেবল নয়, বদলে গেছে তাদের পরিবারের চালচিত্র। আর সর্বোপরি তারা গড়ে তুলতে পারছেন একটি যোগ্য ভবিষ্যত প্রজন্ম। যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় তারা একেকজন এখন দক্ষ আইটি প্রফেশনালস। তাদের কেউ আইটি প্রজেক্ট ম্যানেজার কেউ বা প্রজেক্ট লিড। আবার কেউ কেউ নিজেই এখন প্রশিক্ষক-শিক্ষক। আয়োজনটি ছিলো পিপলএনটেকের অ্যালামনাই সামিট ২০২২। নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি পার্টি হলে মিলনমেলা বসেছিলো এই অ্যালামদের । আয়োজনের মধ্যমনি হয়ে ছিলেন পিপলএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং বর্তমানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান আবুবকর হানিপ। ছিলেন পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ। আর তাদের ঘিরে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, নিউজার্সি কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা। তবে আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন সেইসব অ্যালাম যাদের গল্পগুলো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছেন উপস্থিত সকলে।নিউইয়র্কের বিশিষ্টজনেরা এতে নিমন্ত্রিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে আরটিভি'র সিইও সৈয়দ আশিকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রধানরা। সফল অ্যালামরা তাদের গল্প শোনালেন। এর একেকটি গল্পই ছিলো ইউনিক। তারা যেমন নিজেদের এগিয়ে চলার কথা শুনিয়েছেন তেমনি শুনিয়েছেন, পিপলএনটেক তাদের জীবন গড়ে দিতে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।পিপলএনটেক-কে তারা উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের সিঁড়ি হিসেবে। আর প্রত্যেকের মুখেই বারবার উচ্চারিত হচ্ছিলো এই ভাগ্য পরিবর্তনের কারিগর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের কথা। তারা বলছিলেন প্রশিক্ষকদের কথা। যাদের প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নিজেরাই এখন একেকজন প্রশিক্ষক। তারা বলছিলেন পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপের কথা। যিনি সকল প্রচেষ্টায় পিপলএনটেককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।আর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তাদের শোনান তার নিজের জীবনের গল্পটিও। দেশে স্বনামধন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে এদেশে পড়তে এসে কিভাবে একটি সংগ্রামময় সময় পার করে নিজেকে এই আইটি খাতে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন।আবুবকর হানিপের সে গল্প সকলের জন্যই অনুপ্রেরণার।আবুবকর হানিপ বলেন, নিজে টু হান্ড্রেড থাউজেন্ড প্লাস মাইনের চাকরি করতেন যুক্তরাষ্ট্রে তথা বিশ্বে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে কিন্তু ভেবেছিলেন একার উন্নতি শুধু নয়, আরও মানুষ যাতে এই ভাবে তাদের জীবনটিকে পাল্টে দিতে পারে সেই প্রচেষ্টাই তাকে নিতে হবে। আর সেই ভাবনা থেকেই পিপলএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।তিনি জানান, বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষগুলোকে এদেশে সংগ্রামের জীবন থেকে বের করে এনে সুন্দর জীবন দেওয়ার ব্রত তিনি নিয়েছিলেন আজ থেকে ১৮ বছর আগে ২০০৪ সালে। গড়ে তুলেছিলেন পিপলএনটেক। শুরুটা হয় মাত্র একজন ছাত্রকে দিয়ে। তিনি যখন পেয়ে গেলেন মূলধারায় বড় মাইনের চাকরি... এরপর আরও ছাত্র আসতে থাকে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে ৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে আইটি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারায় কাজ পাইয়ে দিয়েছে পিপলএনটেক। যারা এখন স্বাচ্ছন্দের জীবন যাপন করছেন। আর গড়ে তুলছেন নিজেদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ভূমিকা রাখতে পারছেন বাংলাদেশের অগ্রগতিতেও।বক্তৃতায় আবুবকর হানিপ বর্তমানে তার পরিচালিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কথা তুলে ধরে বলেন, এটি পিপলএনটেকেরই একটি ধারাবাহিকতা এবং তার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নপূরণ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে মূলধারায় এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একটি দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিচালিত। এখানকার শিক্ষকরা একাধারে স্কলার ও ইন্ডাস্ট্রি থেকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাদের লব্দ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তারা নিয়ে আসেন শ্রেণিকক্ষে। এবং তার মাধ্যমে শিক্ষাদানের কারণে শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়েই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মজগতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীরাও পিপলএনটেকের প্রশিক্ষণার্থীদের মতো মূলধারায় বড় বড় কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। একসময় ডব্লিউইউএসটির অ্যালামরা এদেশের ফরচুন হান্ড্রেড কোম্পানির উচ্চপদে আসীন হবে এই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। এবং বলেন, এটাই তার লক্ষ্য।পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ বলেন, আজ আমরা আমাদের এলামদের সাফল্যকেই উদযাপন করতে চাই। অ্যালামরা এখন আর ক্যাম্পাসে নেই কিন্তু তারা সকলেই আমাদের অন্তরে রয়েছেন। কেউ কেউ এখন উচ্চ পর্যায়ে উঠেছেন, তাদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিকে সফল করে তুলতে পিপলএনটেকের অ্যালামদের পাশে থাকার আহবান জানান তিনি। কমিউনিটির পক্ষ থেকে পাওয়া অব্যহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান ফারহানা হানিপ। পিপলএনটেকের সফল অ্যালামদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথি ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের সাফল্য আমাদের মুগ্ধ করে এবং একজন বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করে।আবুবকর হানিপ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি মানুষকে দিতে পছন্দ করেন। তিনি মানুষকের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, শিক্ষাদান করছেন এবং একই সঙ্গে তাদের কাজ দিতে সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। অপরকে দেওয়ার এই মানসিকতাই তাকে এমন একটি উচ্চতায় নিয়ে গেছে যে সকলেই তার জন্য গৌরব বোধ করে। বাংলাদেশি ডায়াসপোরার অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পদচিহ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আবুবকর হানিপ তাদের অন্যতমদের একজন, বলেন ড. মনিরুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি সৈয়দ আশিকুর রহমান পিপলএনটকের এই সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিকে সামনে এগিয়ে নিতে আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপ যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা অনুসরনীয়। অতিথিদের মধ্যে এটর্নি এন মজুমদারসহ অন্যরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। আর ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে সফল অ্যালামদের সাফল্যের গল্প। বক্তব্য রাখেন পিপলএনটেকের কর্তা ব্যক্তিরাও।পরে সফল অ্যালামদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া উপহার দেওয়া হয়। এরপর পিপলএনটেকের সকল কর্মকর্তাকেও তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া। আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপকেও জানানো হয় বিশেষ সম্মাননা। আর সবশেষে বিশেষ অতিথি ও প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। এরপর গ্রুপ ছবি তোলা হয়। আর সবশেষে মজাদার নৈশভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পিপলএনটেকের ২০২২ সালের অ্যালামনাই সামিট।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ অক্টোবর ২০২২
যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন ঋষি সুনাক। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর মঙ্গলবার সুনাককে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস।তবে গত ২০০ বছরের ইতিহাসে ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম অশেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ‘শিকড়’ নিয়ে এ বার দ্বৈরথে ভারত ও পাকিস্তান। প্রথমে ভারতীয় বলা হলেও সুনাকের পূর্বপুরুষরা ছিলেন মূলত পাকিস্তানের বাসিন্দা। এমন দাবিই উঠে আসছে নানা দিক থেকে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, ব্রিটেনের প্রথম অশেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ‘শিকড়’ নিয়ে দ্বৈরথে নেমেছে ভারত ও পাকিস্তান। সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থনে ঋষি ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হওয়ার পরই তার পরিবারের ‘ভারত-সংশ্লিষ্টতা’ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন অনেকে।তবে সুনাকের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার দিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার উঠে এসেছে পাল্টা দাবি। ঋষি সুনাকের পিতামহ অর্থাৎ দাদা যে আসলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন, সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের অনেক আগেই এই অঞ্চল ছেড়েছিলেন ঋষির দাদা রামদাস সুনাক। তিনি ছিলেন পাঞ্জাবি ক্ষত্রি সম্প্রদায়ের মানুষ এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা শহরের বাসিন্দা।তবে দেশভাগের বহু আগে ১৯৩৫ সালে চাকরি নিয়ে রামদাস চলে গিয়েছিলেন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে। রামদাসের স্ত্রী সুহাগ রানী অবশ্য সেই সময় দিল্লিতে যান। পরে ১৯৩৭ সালে তিনিও কেনিয়ায় পাড়ি জমান। পরবর্তীকালে সেখান থেকে তারা দু’জনেই চলে যান ব্রিটেনে।অবশ্য ঋষি সুনাকের বাবা যশবীরের জন্ম হয়েছিল কেনিয়াতেই। তিনি ব্রিটেনে চিকিৎসক ছিলেন। মা উষা ছিলেন ফার্মাসিস্ট। তার পরিবারও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ব্রিটেনে এসে বসবাস শুরু করেছিল। আর ঋষির জন্মও হয় ব্রিটেনে।পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ৪২ বছর বয়সী ঋষি সুনাক ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে হিন্দু-পাঞ্জাবি বাবা-মায়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার দাদা-দাদি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই তারা বেড়ে ওঠেন। ঋষির দাদা রামদাস সুনাক ১৯৩৫ সালে নাইরোবিতে কেরানি হিসাবে কাজ করার জন্য গুজরানওয়ালা ছেড়ে চলে যান। এসময় তার স্ত্রী সুহাগ রানী সুনাক তার শাশুড়ির সাথে দিল্লিতে যান এবং সেখান থেকে ১৯৩৭ সালে কেনিয়ায় নিজের স্বামীর কাছে চলে যান। রামদাস ও সুহাগ রানীর ছয় সন্তান ছিল। যাদের মধ্যে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে।আর ঋষি সুনাকের বাবা যশবীর সুনাক ১৯৪৯ সালে নাইরোবিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের লিভারপুলে আসেন এবং লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিনে অধ্যয়ন শুরু করেন।যশবীর ১৯৭৭ সালে লিসেস্টারে উষাকে বিয়ে করেন। এর তিন বছর পর ১৯৮০ সালে সাউদাম্পটনে ঋষির জন্ম হয়। ঋষির বাবা-মা অবসর গ্রহণ করার আগ পর্যন্ত ফার্মেসি ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ অক্টোবর ২০২২