আন্তর্জাতিক


বাইডেনের সঙ্গে জর্ডান, মিশর ও ফিলিস্তিনের নেতাদের বৈঠক বাতিল

বাইডেনের সঙ্গে জর্ডান, মিশর ও ফিলিস্তিনের নেতাদের বৈঠক বাতিল

অবরুদ্ধ গাজার আল আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আরব নেতাদের বৈঠক বাতিল হয়ে গেছে।আজ বুধবার সৌদি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল আম্মানের এক শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন যে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জর্ডান, মিশর ও ফিলিস্তিনের নেতাদের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে।গাজার হাসপাতালে হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে এমন সংবাদের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।সেই হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। হামলার পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে রামাল্লায় ফিরে যেতে হয়েছে।জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আম্মান সফর স্থগিত করায় বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে।তিনি আল জাজিরাকে বলেন, 'এখন যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো বিষয়ে কথা বলার নেই।'হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেনের ইসরায়েল সফর চলমান আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে বাইডেন তার সফর স্থগিতের কথা বাদশাহকে জানিয়েছেন।হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আজ প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দেশটির প্রতি তার সমর্থনের কথা জানাবেন। আশা করা হচ্ছে তিনি গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৮ অক্টোবর ২০২৩


ক্ষমতায় এলে হামাসকে সমর্থনকারীদের ধরে ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিব : ট্রাম্প

ক্ষমতায় এলে হামাসকে সমর্থনকারীদের ধরে ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিব : ট্রাম্প

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে সমর্থনকারী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়ার চেষ্টায় বাধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যদি আবার ক্ষমতায় যেতে পারেন, তবে হামাস সমর্থনকারীদের অভিবাসী হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন তিনি।ট্রাম্প আরও বলেন, হামাসের সমর্থনে কোনো বিক্ষোভ হলে তা দমন করতে পুলিশ পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে হামাসকে সমর্থন জোগানো অভিবাসীদের ধরে ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হবে।রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনেও লড়তে চান তিনি। এ জন্য ইতিমধ্যে প্রচারণায় নেমেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার আইওয়াতে প্রচারণায় অংশ নিয়ে ট্রাম্প এসব কথা বলেন।এ সময় ট্রাম্প বলেন, যাঁরা ইসরায়েলের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, তিনি আবারও ক্ষমতায় গেলে তাঁদের আমেরিকায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া এমন ‘বিদ্বেষী’ বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া হবে না।ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত দেশগুলোর মানুষের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাঁর প্রশাসন। তবে কী উপায়ে এসব প্রতিবন্ধকতা কার্যকর করা হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি ট্রাম্প।ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের এমন নীতি আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কেননা, প্রেসিডেন্ট থাকাকালেও ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বাস্তবায়ন আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।ট্রাম্পের আমলে কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল। তবে আদালত এ পদক্ষেপে বাধা দেন। পরবর্তীকালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে ট্রাম্পের ওই নীতি বাতিল করে দেন।এদিকে ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও শান্তি ফেরেনি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় কেঁপে উঠছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড। এ সংঘাতের সূচনা ৭ অক্টোবর। ওই দিন ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।এর পর থেকে গাজায় টানা বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। দুই পক্ষে প্রাণ গেছে চার হাজারের বেশি মানুষের। অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। এ পরিস্থিতিতে আগামীকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ অক্টোবর ২০২৩


বুধবার ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন বাইডেন

বুধবার ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন বাইডেন

ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের মধ্যেই বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তেল আবিব থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন।ব্লিনকেন বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ডের এই সফর ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এসেছে।ইসরায়েল ও হামাসের স্বাধীনতাকামীদের মধ্যে যুদ্ধের ১১ দিন চলছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪০০ ইসরায়েলি এবং ২৭৫০ জন ফিলিস্তিনি রয়েছে।অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত চার দিন ধরে মধ্যপ্রাচ্য চষে বেড়াচ্ছেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর তিনি আরব বিশ্বের ছয় দেশ জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিসর সফর করেছেন। এই সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেছেন তিনি।তার এই সফরের উদ্দেশ্য গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কীভাবে সর্বোত্তম মানবিক সহায়তা এবং বিদেশি নাগরিকদের চলে যেতে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আরব বিশ্বের চিন্তা-ভাবনা শোনা, জানা এবং আলোচনা করা।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি এই অঞ্চলকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বার্তা জানিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সাজানো হয়। সেই বার্তাটি হল, হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থনে বাধা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন ধরে ইরান অর্থ এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র্র ইরানের এই সহায়তা ঠেকাতে চায়।সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন ব্লিনকেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি, নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা বোঝে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল এই কাজে সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাবে।হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন হামাসের ‘সন্ত্রাসবাদ থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য ইসরায়েলের অধিকারের’ প্রতি তার দৃঢ় সমর্থনের ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন ইসরায়েলি সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র তা দেবে বলে ওয়াশিংটনের অঙ্গীকারের পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ অক্টোবর ২০২৩


যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে ৬ বছরের ফিলিস্তিনি শিশু নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে ৬ বছরের ফিলিস্তিনি শিশু নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে ৬ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি মুসলিম শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার মা আহত হয়েছেন। গত শনিবার শিকাগো থেকে প্রায় ৪০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমের প্লেনফিল্ড শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করেন, এমন ধরনের একটি ছুরি দিয়ে শিশুটিকে ২৬ বার আঘাত করা হয়েছে। অধিকারকর্মীরা একে ‘বিদ্বেষমূলক হামলা’ অভিহিত করেছেন।এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ইলিনয়ের ৭১ বছর বয়সী এক বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে।মুসলিমদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকা কর্মীরা বলছেন, ফিলিস্তিন–ইসরায়েল চলমান সংঘাতের জেরে ওই শিশু ও তার মায়ের ওপর ‘বিদ্বেষমূলক হামলা’ চালানো হয়েছে।শিশুটির মায়ের (৩২) শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আশা করা হচ্ছে, তিনি প্রাণে বেঁচে যাবেন।দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) তথ্য অনুযায়ী, শিশুটির নাম ওয়াদিয়া আল-ফাইয়োমে, আর তার মায়ের নাম হান্নান শাহিন।উইল কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ৭১ বছর বয়সী সন্দেহভাজন জোসেফ সুবার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক অপরাধ সংঘটন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে ক্ষতিসাধনের চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে।শেরিফের কার্যালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এ নৃশংস হামলার শিকার দুজনই মুসলিম হওয়ায় তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নিহত শিশুটি ফিলিস্তিনের একটি মুসলিম পরিবারের সদস্য। শান্তিতে বসবাস, জ্ঞান অর্জন এবং প্রার্থনা করতে পারার আশা নিয়ে পরিবারটি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিল।এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমন ভয়ংকর বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের কোনো জায়গা নেই।আটক জোসেফ সুবার পক্ষে কোনো আইনজীবী ঠিক করা হয়েছে কি না, তা রয়টার্স নিশ্চিত হতে পারেনি। শেরিফের কার্যালয় বলছে, সুবাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২৩


গাজা দখলের কোনো আগ্রহ নেই : জাতিসংঘে ইসরাইল

গাজা দখলের কোনো আগ্রহ নেই : জাতিসংঘে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের গাজা দখলের কোনো আগ্রহ নেই ইসরাইলের। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান এ মন্তব্য করেছেন। ইসরাইল যখন গাজায় পুরোদমে স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এমন মন্তব্য করলেন তিনি।স্থল হামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি ইসরাইল সমুদ্রপথে হামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া আকাশপথে যুদ্ধবিমান থেকে গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে তারা।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে গিলাদ এরদান বলেন, তারা বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছেন। এর একমাত্র উপায় হলো— হামাসকে নির্মূল করা। এ জন্য তাদের যা করা দরকার, তা-ই করবেন।গিলাদ এরদানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ইসরাইল যদি হামাসকে নির্মূল করে, তা হলে গাজা উপত্যকা কার শাসন করা উচিত।জবাবে গিলাদ এরদান বলেন, যুদ্ধের একদিন পর কী ঘটবে, তা নিয়ে ভাবছে না ইসরাইল।অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক সাক্ষাৎকারে গাজা দখলের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন।মার্কিন টেলিভিশন সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ নামের অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি গাজায় ইসরাইলের দখলদারিকে সমর্থন করবেন কিনা।জবাবে বাইডেন বলেন, গাজা দখল করাটা হবে ইসরাইলের জন্য একটি বড় ভুল। তবে তিনি হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার পক্ষে মত দেন।বাইডেনের এই বক্তব্যের পর গাজা দখলের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানালেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ অক্টোবর ২০২৩


অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অর্থবহ সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অর্থবহ সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল

বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন প্রতিনিধিদলটি গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে। পাঁচ দিনের মিশন শেষে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনদের কাছে পাঁচটি সুপারিশ রেখেছে।১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর বিষয়টি মূল্যায়ন করতে ৭ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিল মার্কিন প্রতিনিধিদলটি।ঢাকা সফরকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিনিধিদলটি। এ ছাড়া তারা নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে।বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ অক্টোবর ২০২৩


ফিলিস্তিনে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল

টানা এক সপ্তাহ ধরে বিমান হামলার পর এখন ফিলিস্তিনের বিভিন্ন জায়গায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরের দুটি শরণার্থী শিবিরে এসব অভিযান চালানো হয়েছে।আল–জাজিরা আরবির পক্ষ থেকে এক এক্স বার্তায় (টুইটার) বলা হয়েছে, আজ শনিবার জেরুজালেমের পাশে কালান্দিয়া শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে প্রাথমিকভাবে এ অভিযানে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।এর আগে এদিনই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন ও জেরিচোতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের খবর পাওয়া যায়। এসব অভিযানে দুজন আহত হয়েছেন।গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের উত্তর গাজা (গাজা সিটি) খালি করতে বলা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেসামরিক বাসিন্দাদের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে যেতে সময় বেঁধে দেয় ইসরায়েল। এর পর থেকে উত্তর গাজা ছেড়ে হাজার দশেক মানুষ পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।যদিও গাজা খালি করার এ আদেশ প্রত্যাহার করে নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সংস্থাটি বলছে, এটা অবাস্তব আদেশ।এর মধ্যে গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামাস জানিয়েছে, এতে অন্তত ৭০ জনের প্রাণ গেছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে গাজায় টানা বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৯০০ মানুষ। আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮৮ জন।জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ অক্টোবর ২০২৩


স্থল হামলার প্রস্তুতি ইসরাইলের, সতর্কবার্তা দিয়ে রাখল হামাস

স্থল হামলার প্রস্তুতি ইসরাইলের, সতর্কবার্তা দিয়ে রাখল হামাস

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। সেখানে খাবার, পানি এমনকি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এরইমধ্যে স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। ইঙ্গিত দিয়েছে গাজার অভ্যন্তরে ইসরায়েলি সেনা মোতায়েনের। তবে স্থল হামলার বিষয়ে আগেই সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে হামাস।বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কড়া বার্তা দেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য গাজি হামাদ। খবর আলজাজিরার।তিনি বলেন, আমরা ভয় পাই না। আমরা একটি শক্তিশালী জাতি, ইসরাইলের হুমকি আমরা ভয় পাই না। আমাদের অনেক যোদ্ধা এবং বহু লোক আছেন যারা আমাদের সমর্থন করতে চায়।ইসরাইলকে সতর্ক করে হামাদ বলেন, এমনকি জর্ডান, লেবানন সীমান্তের মানুষেরা এখানে এসে আমাদের জন্য যুদ্ধ করতে চায়। গাজা একটি বাগান নয় যে, এখানে সহজে ইসরাইল জয় পাবে। এখানে যুদ্ধ করতে তাদের অনেক মূল্য দিতে হবে।তিনি আরও বলেন, ইসরাইলে অপারেশ শুরু করতে আমরা মাত্র এক হাজার ২০০ যোদ্ধা পাঠিয়েছি, যারা ইসরাইলের ভাবমূর্তি, নিরাপত্তা, গোয়েন্দা এবং ইসরাইলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করতে সফল হয়েছে।শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এখন পর্যন্ত হামাসের অভিযানে ১২০০ জনেরও বেশি ইসরাইলি নিহত হয়েছে। অপরদিকে গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েক ৩০০ নারী ও ২৬০ শিশু রয়েছে। ইসরাইলের নির্বিচার বিমান হামলায় ধ্বসংস্তূপে পরিণত হয়েছে হামাস-শাসিত অবরুদ্ধ গাজা।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ অক্টোবর ২০২৩


সর্বাধিক পঠিত

হামাসের হামলা দেখে ইরান নিজেই হতবাক

হামাসের হামলা দেখে ইরান নিজেই হতবাক

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলে নজিরবিহীন আক্রমণ শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গাজা উপত্যকা থেকে চালানো হামাসের এই হামলা ছিল ইসরায়েলের কাছে রীতিমতো বিস্ময়কর।হামলার পরপরই নানা দিক থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করে, হামাসের এই হামলায় সহায়তা করেছে ইরান। তবে আসলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের হামলা দেখে ইরান নিজেই হতবাক হয়ে গেছে।যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ করা গোয়েন্দা তথ্যে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বুধবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলা দেখে ইরানের প্রধান প্রধান নেতারা বিস্মিত হয়ে গেছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ করা গোয়েন্দা তথ্যে প্রকাশ পেয়েছে। আর মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার এই তথ্য সামনে এনেছে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।যদিও এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অবশ্য হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান গত মঙ্গলবার বলেন, হামাসের এই হামলার সাথে ইরানের যোগসূত্রের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনও নিশ্চিত নয়।তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই প্রশ্নটি নিয়ে প্রতিদিন কথা বলছি। আমরা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করছি যে, আমাদের কাছে এই বিষয়ে আরও কোনও তথ্য আছে কিনা’।এছাড়া ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ নিজেও অস্বীকার করেছে ইরান।প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত শনিবার ইসরায়েলে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।এরপর থেকে টানা ছয়দিনের এই সংঘাতে নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে বহু সেনাসদস্য, নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও হাজারও ইসরায়েলি। এছাড়া আরও বহু মানুষকে বন্দি করেছে হামাস।এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গত শনিবার থেকে ইসরায়েলে ১৫৫ সেনাসহ ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।পরে গত শনিবার থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলা গাজার পুরো আশপাশের এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং কমপক্ষে ১২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও হাজার হাজার আহত হয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ অক্টোবর ২০২৩


ইসরায়েলি নারী–শিশুকে ফিরিয়ে দিল হামাস

ইসরায়েলি নারী–শিশুকে ফিরিয়ে দিল হামাস

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এক ইসরায়েলি নারী ও দুই শিশুকে মুক্ত করে দিতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার ইসরায়েলে হামাসের ব্যাপক হামলার পর কোনো এক সময় তাঁদের আটক করা হয়েছিল।হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা ইসরায়েলি নারী–শিশুদের নির্বিচার আটক করেছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ‘অপরাধ সংঘটনের’ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে হামাস ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।আল–জাজিরার হাতে আসা ভিডিওটি দূর থেকে ধারণ করা। এতে অজ্ঞাত এক নারী ও দুই শিশুকে একটি বেড়ার পাশে রেখে আসেন এক ব্যক্তি। সম্ভবত তিনি হামাসের সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, জায়গাটি গাজা ও ইসরায়েলের সীমান্ত বেড়া। দূরে আর পেছন থেকে ভিডিও করায় নারী ও শিশুদের মুখ দেখা যায়নি।গতকাল বুধবার রাতে আল–জাজিরা ভিডিওটি সম্প্রচার করেছে। তবে ভিডিওটি কবে ও কোথায় ধারণ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষও এ ভিডিও নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।তবে কাসেম ব্রিগেডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই নারী ইসরায়েলের নাগরিক। সেই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারী। সংঘাতের সময় দুই শিশু সন্তানসহ তাঁকে আটক করা হলেও এখন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের শুরু ৭ অক্টোবর। ওই দিন ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় হামাস। মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের মতো রকেট ছুড়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় সংগঠনটি। ভেদ করে ইসরায়েলের গর্ব করার মতো নিরাপত্তাব্যবস্থাকে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ অক্টোবর ২০২৩


'ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস'

'ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস'

হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তাছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলসহ বিদেশে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য গাজায় জিম্মি করে রাখা জিম্মিদের ব্যবহার করবে। আসোসিয়েট প্রেসের (এপি) সঙ্গে কথা বলার সময় হামাসের নির্বাসিত নেতা আলী বারাকেহ এমন দাবি করেন।গাজায় হামাসের হাতে বন্দী ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ার মুহূর্তেই এমন মন্তব্য করলেন বারাকেহ। তিনি আরও বলেন, হামাসের কাছে বিপুল পরিমাণ রকেটের সংগ্রহ রয়েছে, যা দিয়ে লম্বা সময়ের জন্য যুদ্ধ চালানো যাবে। আমরা এই যুদ্ধের জন্য ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত রয়েছি।এদিকে, সোমবার (৯ অক্টোবর) হামাস হুমকি দিয়েছে যে, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বিমান হামলা চালায়, তাহলে তাদের জিম্মিদের মেরে ফেলা হবে।শনিবার (৭ অক্টোবর) আচমকা ইসরায়েল আক্রমণ করে বসে ফিলিস্তিনি হামাস। সেদিন ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে তারা। একই সময় সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে পড়ে শত শত সশস্ত্র যোদ্ধা। হামাসের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৯০০ এরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি।এসময় ইসরায়েলের বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিককে অপহরণ করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে গেছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। তবে কতজনকে জিম্মি করা হয়েছে, সেটি বলেনি তারা।কিন্তু, হামাস অন্তত ১০০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে অপহরণ করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোস্টে তারা জানিয়েছে, অপহৃতদের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক উভয় ধরনের নাগরিকই রয়েছেন।সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ অক্টোবর ২০২৩


আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৪০০ ছাড়িয়েছে

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৪০০ ছাড়িয়েছে

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল রোববার দেশটির তালেবান সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। আহত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আগের দেওয়া সংখ্যা কমিয়ে সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জে সায়িক রয়টার্সের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৪৫-এ দাঁড়িয়েছে। আহত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আগের দেওয়া সংখ্যা থেকে সরে এসে তিনি বলেন, ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এর আগে আহত ব্যক্তি সংখ্যা ৯ হাজার ২৪০ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সায়িক আরও বলেন, ভূমিকম্পের আঘাতে ১ হাজার ৩২০টি ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।পৃথক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ১০টি উদ্ধারকারী দল ইরানের সীমান্তসংলগ্ন ওই এলাকায় কাজ করছে বলে জানান।ড্যানিশ নামে হেরাতের স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে দুই শতাধিক মরদেহ নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।ড্যানিশ বলেন, সামরিক ঘাঁটি, হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় মরদেহগুলো নেওয়া হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, হেরাতের প্রধান হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের ভিড়। হাসপাতালের বাইরেও শয্যা স্থাপন করা হয়েছে।কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান সুহাইল শাহিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে জরুরি ভিত্তিতে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, কাপড় ও তাঁবু প্রয়োজন।হেরাতের বাসিন্দা নাসিমা গত শনিবার রয়টার্সকে এক খুদে বার্তায় বলেন, শহরটিতে ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন (আফটার শকস) অনুভূত হচ্ছে। এতে হেরাতের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন। তিনি আরও বলেন, ‘লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা সবাই রাস্তায় আছি।’গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেরাত প্রদেশে ২০২টি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে শুধু একটি বড় আঞ্চলিক হাসপাতালেই পাঁচ শতাধিক হতাহত মানুষকে নেওয়া হয়েছে।শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে আরও কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২৩


ইসরায়েলের একটি উৎসবস্থল থেকে ২৬০টি মরদেহ উদ্ধার

ইসরায়েলের একটি উৎসবস্থল থেকে ২৬০টি মরদেহ উদ্ধার

ইহুদি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব সুক্কোত উপলক্ষ্যে দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি মরুভূমিতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশ মানুষ। শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতের বেলা উন্মুক্ত ও খোলা মরুভূমিতে ‘নাচ-গান ও আনন্দে’ মেতে থাকার কথা ছিল সেখানে জড়ো হওয়া তরুণ-তরুণীদের।তবে এই গানের উৎসবটি রূপ নিয়েছে বিষাদে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সদস্যরা গানের উৎসবে ওইদিন সকালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছেন। উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা জানিয়েছে, উৎসবস্থল থেকে অন্তত ২৬০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।শনিবার ভোরে হামাসের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা গাজা উপত্যকা থেকে লোহার সীমান্ত প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন। আর সে সময়ই গাজার পার্শ্ববর্তী মরুভূমিতে চলছিল এই উৎসব।গানের উৎসবে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, প্রথমে রকেট হামলার একটি শব্দ শুনতে পান তারা। এরপর হঠাৎ করে চোখের পলকে সেখানে উপস্থিত হন হামাসের সদস্যরা। তারা এসেই এলোপাতারি গুলি শুরু করেন। এরপর সেখানে জড়ো হওয়া তরুণ-তরুণীরা প্রাণ ভয়ে পালানো শুরু করেন।সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রাণ বাঁচাতে কিভাবে দৌঁড়াচ্ছেন মানুষ। এছাড়া হামাসের যোদ্ধারা যে অনবরত গুলি ছুড়ে যাচ্ছিলেন সেটিও ভিডিওতে স্পষ্টভাবে শোনা গেছে।মরুভূমি হওয়ায় সাধারণ মানুষ যে কোথাও পালিয়ে আশ্রয় নেবেন সেই উপায়ও ছিল না। ফলে উৎসবে অংশ নিতে যাওয়ারা সামনের দিকে শুধু দৌঁড়াতে থাকেন। আবার অনেকে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। আর যাদের কপাল খারাপ ছিল— তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।এদিকে হামাসের ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামের এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ১০০ জনকে আটক করে গাজায় নিয়ে গেছে তারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।সূত্র: বিবিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২৩


ইসরায়েলের জন্য 'অতিরিক্ত সহায়তার' নির্দেশ বাইডেনের

ইসরায়েলের জন্য 'অতিরিক্ত সহায়তার' নির্দেশ বাইডেনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের জন্য 'অতিরিক্ত সহায়তার' নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিবিসি জানিয়েছে, রোববার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানায়।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা দল রোববার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ইসরায়েলে চলমান সংঘর্ষ সম্পর্কে অবহিত করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা আমাদের ইসরায়েলি অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবেন। 'ন্যাশনাল সিকিউরিটি টিমগুলো' ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের সঙ্গে নিযুক্ত রয়েছে।এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বিভিন্ন টক-শোতে অংশ নিয়ে যুদ্ধ এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেন।বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএসের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্লিঙ্কেন জানান, তাদের কর্মকর্তারা হামাস যোদ্ধাদের কাছে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা এবং বন্দিদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছে।তিনি বলেন, 'আমরা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে যে প্রতিবেদনগুলো পেয়েছি, সেটা নিশ্চিত কি না তা দেখার জন্য আমরা খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।'মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে গুলিতে দুই ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হওয়ার পর সেখানকার মার্কিন দূতাবাস আমেরিকানদের 'নিরাপত্তা এবং সতর্কতা বৃদ্ধির' বিষয়ে সতর্ক করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২৩


গাজা উপত্যকায় বৃষ্টির মতো বোমা ছুড়ছে ইসরায়েল

গাজা উপত্যকায় বৃষ্টির মতো বোমা ছুড়ছে ইসরায়েল

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহতভাবে বৃষ্টির মতো বোমা ছুড়ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। এছাড়া সঙ্গে ড্রোন ব্যবহার করেও সেখানে হামলা চালানো হচ্ছে।শনিবার (৭ অক্টোবর) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর— প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল।কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সোমবার (৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় বোমা হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।গাজায় অবস্থানরত আল জাজিরার সাংবাদিক তারিক আবু আজম অব্যাহত হামলার ব্যাপারে বলেছেন, ‘গাজার আকাশ এখন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন দিয়ে পূর্ণ। গাজা উপত্যকার কিছু শহর— বিশেষ করে বেইত হানোনে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অব্যাহতভাবে বোমা ছোড়া হচ্ছে।’আল জাজিরার এ সাংবাদিক জানিয়েছেন, ইসরায়েলিদের বোমা হামলায় ঠিক কতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন সেটি নিশ্চিত নয়। কারণ স্বাস্থ্যকর্মীরা আহতদের কাছে যেতে পারছেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েল গাজায় সম্ভবত ‘স্ক্রোচড আর্থ’ কৌশল অবলম্বন করছে। এরমাধ্যমে অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে নির্দিষ্ট স্থানের সবকিছু ধসিয়ে দেওয়া হয়। মূলত স্থল হামলার জন্য সেনাদের রাস্তা পরিস্কার করার জন্যই ইসরায়েল এ কৌশল অবলম্বন করছে।এছাড়া হামাসও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আরও রকেট ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।এদিকে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে কোনো সময় স্থল হামলা শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ গাজার কাছে ইতিমধ্যে তারা ১ লাখ রিজার্ভ সেনা জড়ো করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২৩


হামাসের হামলায় ইসরায়েলের মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে

হামাসের হামলায় ইসরায়েলের মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত মানুষের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে একটি সংগীত উৎসবে অংশ নেওয়া আড়াই শতাধিক মানুষ রয়েছেন।ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ইসরায়েলের সুপারনোভা সংগীত উৎসবস্থলে আড়াই শতাধিক মানুষের মরদেহ পেয়েছেন। গত শনিবার সকালে হামাস প্রথম যে কয়টা স্থানে হামলা করে, তার মধ্যে এটি অন্যতম।একজন জার্মান নারী দাবি করেছেন, তাঁর ধারণা, সুপারনোভা উৎসবে যোগ দেওয়া তাঁর মেয়েকে হামাস যোদ্ধারা অপহরণ করে নিয়ে গেছেন। আরও কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের বেশ কয়েকজন নাগরিক হামলার শিকার হয়েছেন।এদিকে ইসরায়েলের হামলার পর থেকে আহত মানুষের চিকিৎসা দিতে গিয়ে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজার হাসপাতালগুলো। এমন দৃশ্যই উঠে এসেছে বিবিসির পর্যবেক্ষণে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ অক্টোবর ২০২৩


গাজায় নিহত বেড়ে ৩১৩, আহত প্রায় ২ হাজার

গাজায় নিহত বেড়ে ৩১৩, আহত প্রায় ২ হাজার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৩ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি।এছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৩০০ ইসরায়েলি। রোববার (৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গাজা ভূখণ্ডে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ২ হাজার জন আহত হয়েছেন বলে গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণে রাফাহ থেকে উত্তরে বেইট হানুন (ইসরাইলিদের কাছে এরেজ নামে পরিচিত) এলাকা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শহরে বাড়িঘর ভেঙে গেছে।অন্যদিকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে ২০ শিশু রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় নিহতদের মধ্যে ২০ শিশু এবং কমপক্ষে আরও ১২০ জন নাবালক আহত হয়েছে।মূলত অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের শিশুরা প্রায়শই লড়াইয়ের সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।ইসরায়েল বলেছে, তাদের বাহিনী গাজা উপত্যকায় হামাসের গোয়েন্দা প্রধানের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, হামাসের গোয়েন্দা প্রধানের ওই বাড়িটি সামরিক অবকাঠামো হিসাবে ব্যবহার তরা হচ্ছিল।এছাড়া সেনাবাহিনী গাজা ভূখণ্ডজুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী।ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধে শত শত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক ডজন যোদ্ধাকে বন্দি করা হয়েছে।হাগারি তেল আবিবে সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা হামাস নেতাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করছি।হাগারি আরও বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে হামলার সময় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তাদের সবচেয়ে উন্নত অস্ত্র ব্যবহার করবে এবং আমরা সেই অনুযায়ী হামলার ফলাফল প্রকাশ করব। তার দাবি, নিরাপত্তা বাহিনী ‘তাদের সক্ষমতার পুরোটা দিয়ে হামলা করছে এবং সামনেও তারা সেটাই করবেন।’এর আগে ইসরায়েলিদের তৈরি অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে আকস্মিক ও অতর্কিত হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শনিবার সকাল থেকে চালানো এই হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০০।এছাড়া অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পরিচালনাকারী গোষ্ঠী হামাসের ভয়াবহ এই হামলায় আহত হয়েছে আরও প্রায় ১৬০০ ইসরায়েলি। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। আর তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।এদিকে হামাসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ইসরায়েলি বন্দিদের গাজা উপত্যকায় জীবিত অবস্থায় ধরে আনার বহু ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছে। হামাস বলেছে, আটক ইসরায়েলিদের সংখ্যা ইসরায়েল যা জানে তার চেয়েও অনেক বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ অক্টোবর ২০২৩


আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে একের পর এক ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ৯ হাজারের বেশি। রয়টার্সের খবরে তালেবান সরকারের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হেরাতের প্রাদেশিক সরকারের উপমুখপাত্র বিলাল করিমি আজ সকালের দিকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজারের বেশি। চূড়ান্ত সংখ্যা কত হবে, তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’ তালেবান সরকারের দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোল্লা জানান সায়েক রয়টার্সকে বলেছেন, ভূমিকম্পে ২ হাজার ৫৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে ৯ হাজার ২৪০ জন। আর ১ হাজার ৩২৯ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।কয়েক বছরের মধ্যে এই ভূমিকম্পকে ভয়ঙ্কর হিসেবে ধরা হচ্ছে। এএফপির খবর বলছে, ভূমিকম্পে অনেক গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটকে থাকা লোকজনকে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে আরও আটটি শক্তিশালী পরাঘাত (আফটার শক) হয়।এএফপির খবর বলছে, ভূমিকম্পে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার বাড়িঘর ধসে পড়ে। শহুরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। আতঙ্কিত লোকজন সড়কে নেমে আসেন।এএফপির একজন প্রতিবেদক ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অনেক ঘরবাড়ি দেখেছেন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, হেরাত প্রদেশের অন্তত ১২ গ্রামে ৬০০টির বেশি বাড়ি ধ্বংস বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ২০০ জন।গতকাল গভীর রাতে ডব্লিউএইচও অবশ্য বলেছিল, তল্লাশি-উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।স্থানীয় ৪২ বছর বয়সী বশির আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনিতেই সব ঘরবাড়ি ধসে যায়। যাঁরা ঘরের ভেতরে ছিলেন, তাঁরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই।নেক মোহাম্মদ নামের এক যুবক এএফপিকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সে সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। পরে তিনি বাড়িতে ফেরেন। দেখতে পান, ঘরবাড়ির কিছুই আর টিকে নেই। সবকিছু বালির সঙ্গে মিশে গেছে। তাঁর বাড়ি যে এলাকায়, সেখান থেকে প্রায় ৩০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হলে হেরাত শহরের অনেক বাসিন্দা বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। স্কুল, হাসপাতাল ও অফিস খালি হয়ে যায়। ভূমিকম্পে মেট্রোপলিটন এলাকায় হতাহতের কিছু খবর পাওয়া গেছে।২০২১ সালে তালেবান দেশটির ক্ষমতায় ফেরে। তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার পর দেশটিতে বিদেশি সাহায্য ব্যাপকভাবে প্রত্যাহার করা হয়। এতে আফগানিস্তান একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়ে। এর মধ্যে এখন দেশটিতে ভূমিকম্পে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হলো।ইরানের সীমান্তবর্তী হেরাত প্রদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ। এলাকাটি এমনিতেই খরার শিকার। এই খরা ইতিমধ্যে প্রদেশটির কৃষিনির্ভর সম্প্রদায়কে পঙ্গু করে দিয়েছে।আফগানিস্তানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। গত বছরের জুনে দেশটিতে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এতে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ অক্টোবর ২০২৩


২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

অত্যন্ত আসক্তিযুক্ত মাদক ফেনটানিলের রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চীনের ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।বুধবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।ফেনটানিল শক্তিশালী ওপিওড জাতীয় ওষুধ। এটি ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের যে সমস্যা চলছে— সেটিতে বড় ভূমিকা রাখছে এ ওষুধটি।যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন এ মাদকটির উৎপাদন শুরু হয় মূলত ‘চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে।’নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ওয়াশিংটনস্থ চীনের দূতাবাসে যোগাযোগ করেছিল বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।গত এপ্রিলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যে ‘ফেনটানিলের অবৈধ পাচার বলতে কোনো কিছুই নেই।’মে মাসে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, ফেনটানিলের অবৈধ পাচার ঠেকাতে যেন তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। এরপরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বক্তব্য দিয়েছিল।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মেক্সিকোতে পাচার হওয়া এই মাদক মেক্সিকান মাদক চোরকারবারীরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়।চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ডাক্তাররা রোগীদের ফেনটানিল খেতে বলতে পারেন। তবে ওপিওডের প্রতি সাধারণ মানুষের আসক্তি বেড়ে যাওয়ার কারণে এ ওষুধটির অবৈধ উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।২০২২ সালেই এ মাদক গ্রহণ করে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৮০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের এসব কোম্পানি এই মাদক পাচারের জন্য ভুয়া ঠিকানা ও লেবেল ব্যবহার করে থাকে।যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের ১২ প্রতিষ্ঠান, ১৩ ব্যক্তি ছাড়াও কানাডার দুটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৪ অক্টোবর ২০২৩


সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১১ হাজারেরও বেশি অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১১ হাজারেরও বেশি অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

অবৈধ প্রবাসীদের ধরতে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে ১১ হাজারেরও বেশি অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে হাজারও প্রবাসীকে অবৈধভাবে বসবাস এবং দেশের আবাসিক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে আবাসিক, শ্রম আইন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা প্রবিধান লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১ হাজার ৪৬৫ জনকে গ্রেপ্তারের খবর দিয়েছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।খালিজ টাইমস বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৭ হাজার ১৯৯ জনকে অবৈধভাবে বসবাস এবং দেশের আবাসিক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের জন্য ২ হাজার ৮৮২ জনকে এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ১ হাজার ৩৮৪ জনকে।সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিস্তারিত তথ্য অনুযায়ী, সৌদি সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় অতিরিক্ত ৭১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫২ শতাংশ ইয়েমেনি, ৪৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৩ শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী আরও ১৪ জনকে আটক করেছে যারা সৌদি আরবের সীমান্ত দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছিল।এছাড়া বাসস্থান এবং কাজের নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন ও আশ্রয় সুবিধা দেওয়ার সাথে জড়িত ১৫ জন ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।খালিজ টাইমস বলছে, আইন লঙ্ঘনের অপরাধে বর্তমানে ৪৩ হাজার ৭৭২ অবৈধ প্রবাসী আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৪০৪ জন পুরুষ এবং ৭ হাজার ৩৬৮ জন নারী। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ৩৭৯ জনকে প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নথি পেতে তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে রেফার করা হয়েছে।সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছে, যদি কোনও ব্যক্তি অন্যকে সৌদিতে অবৈধভাবে প্রবেশ, অবস্থান ও পরিবহনে সহায়তা করেন তাহলে উক্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। একইসঙ্গে দণ্ডের সঙ্গে ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা এবং গাড়ি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।উল্লেখ্য, সৌদি আরবে যেন অবৈধভাবে কেউ থাকতে না পারেন সেটি নিশ্চিতে গত কয়েক বছরে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে কয়েকদিন পরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান পরিচালনা করছে তারা।এসব অভিযানে অনেকেই আটক হচ্ছেন এবং পরবর্তীতে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ অক্টোবর ২০২৩