অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার। আর ক্যারিয়ারের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সানিয়া । তবে, শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলার আগে আরও একবার স্মৃতিচারণ করলেন টেনিস যাত্রার। টুইটারে দিলেন আবেগঘন বার্তা।সানিয়া জানিয়েছেন, ৬ বছর বয়স থেকে তার লড়াই শুরু হয়েছিল। কঠিন পরিস্থিতিতে তার পরিবার সবসময় পাশে থেকেছে। তাকে স্বপ্ন দেখার সাহস দিয়েছেন। তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সানিয়া। গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার স্বপ্ন দেখেছিলেন হায়দ্রাবাদের ছোট্ট মেয়েটি। অনেক বাধা, প্রতিকূলতা পেরিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যামের যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১৮ বছর পর সেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে নামবেন সানিয়া। আর তাকে শেষ টেনিস খেলতে দেখা যাবে ফেব্রুয়ারি মাসে দুবাইয়ে। টুইটারে সানিয়া লেখেন, যখন আমি আমার ক্যারিয়ারের দিকে ফিরে তাকাই, অনুভব করি যে আমি শুধু গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে হাফ সেঞ্চুরিই করিনি, এর মধ্যে কয়েকটি জিততেও সক্ষম হয়েছি। দেশের হয়ে পদক জেতা আমার জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তেরঙ্গাকে সারা বিশ্বে সম্মানিত হতে দেখা আমার জন্য সম্মানের।এখন ম্যাচের প্রস্তুতি চলছে। আর এ সময় তার ক্যারিয়ারের স্মৃতি রোমন্থন করে আবেগে ভাসছেন সানিয়া।সানিয়া লেখেন, যখন আমি ১৮ বছর পর আমার শেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং তারপর ফেব্রুয়ারিতে দুবাই ওপেনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন আমার হৃদয় আবেগে পূর্ণ। আমি গর্ববোধ করছি। আমি যা কিছু অর্জন করেছি এবং আমার ২০ বছরের পেশাগত জীবনে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত হলো আমি যখনই জিতেছি তখনই আমার দেশবাসীর হৃদয়ে আনন্দ দেখেছি।তবে, সানিয়া মনে করছেন, এখানেই শেষ নয়। তার কথায় জীবনে চলতে হবে। নতুন ও অন্য স্মৃতি তৈরির সময় এসেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
ফুটবলের রাজা ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে আর নেই। ৮২ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন।বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টায় আন্তার্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেন পেলে। ১৯৫৮ সালে যখন ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয় করে, তখন পেলের বয়স ছিল কেবল ১৭ বছর। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও বিশ্বকাপ জয় করেন তিনি। তিনি ২০০০ সালে ফিফার শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন পেলে। তার একুশ বছরের ক্যারিয়ারে ১ হাজার ৩৬৩টি ম্যাচে ১ হাজার ২৮১টি গোল করেছেন। এর মধ্যে ব্রাজিলের হয়ে ৯১ ম্যাচে করেন ৭৭টি গোল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
বিশ্বকাপ ফাইনালের পর লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সম্পর্ক নাকি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আগামী দিনে তারা দুজন পিএসজিতে একসঙ্গে নাও খেলতে পারেন— এমনটিই জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে সেই জল্পনাকে উড়িয়ে দিলেন পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালটিয়ে। তিনি জানান, তার দলে কোনো সমস্যা নেই। গোটা পরিস্থিতির জন্য গালটিয়ে দায়ী করেছেন আর্জেন্টিনার বিতর্কিত গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে। কোচ জানান, বিশ্বকাপ শেষে এমবাপ্পে ক্লাবের অনুশীলনে যোগ দিলেও এখনো আর্জেন্টিনাতেই রয়েছেন মেসি। বড়দিন এবং নতুন বছরের ছুটি কাটিয়ে তিনি ৩ জানুয়ারি প্যারিসে যাবেন। জানা গেছে, বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনায় ফিরে বিজয় উৎসবে মার্তিনেস নানাভাবে এমবাপ্পেকে নিয়ে বিদ্রূপ করেন। একটি পুতুলের মুখে এমবাপ্পের ছবি লাগিয়ে রসিকতা করেন তিনি। সে সময় মেসি তার পাশেই ছিলেন। অথচ তিনি মার্তিনেসকে বাধা দেননি বলে অভিযোগ। তা থেকেই মনে করা হচ্ছিল মেসির সমর্থন রয়েছে মার্তিনেসের ওই কাজে। আর তাতেই জল্পনা তৈরি হয় ভবিষ্যতে পিএসজিতে এমবাপ্পে-মেসির পাশাপাশি খেলা নিয়েও।গালটিয়ে বলেন, আমার দুই ফুটবলারের মধ্যে সম্পর্ক ঠিকই আছে। আমি ওদের বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখব। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর যা দেখেছি, তাতে কখনই মনে হয়নি মেসি কাউকে বিদ্রূপ করার চেষ্টা করেছেন। তবে এ রকম মনে হওয়ার কারণ একজনের ব্যবহারে, সে হলো আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক।তিনি বলেন, আমার কাছে খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমবাপ্পে হেরে গেলেও দারুণ খেলেছে ফাইনালে। এ রকম একটা ম্যাচে হারলে হতাশ তো হবেই। তাও খেলার শেষে ও মেসিকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। মেসির আচরণও ছিল সহজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ ক্রিকেটে রাসেল ডমিঙ্গো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। তিনি আর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ পদে থাকছেন না। গতকাল রাতে তিনি বিসিবি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ‘ডমিঙ্গো পদত্যাগ করেছে। কাল রাতেই তিনি আমাদের মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে।’২০১৯ সালের আগস্টে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। ২০২১ সালে সে চুক্তি বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার আগেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন ডমিঙ্গো।জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ভারত সিরিজের পর বিসিবিই মূলত ডমিঙ্গোকে প্রধান কোচ হিসেবে না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। এই বার্তাটা ডমিঙ্গোর কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে সম্মানজনক বিদায়ের পথই বেছে নিয়েছেন ডমিঙ্গো। এর মধ্যে বিসিবি নতুন কোচের খোঁজ শুরু করে দিয়েছে। গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশ দলের সাবেক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও ফিরে আসতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কিছু জানা যায়নি।বাংলাদেশ দল আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে আগামী বছরের মার্চে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে সেই সিরিজে। তার আগেই নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা বিসিবির। শুধু কোচই নয়, তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় দল ও নারী দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতে একজন পারফরম্যান্স ম্যানেজার নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
সদ্য শেষ হয়েছে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজ। যেখানে ভারতের কাছে ০-২ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজ ঠিকই ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। আর সিরিজ জুড়েই ব্যাট-বল হাতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ওয়ানডেতে খাদের কিনারা থেকে দলকে ১ উইকেটের জয় এনে দেন মিরাজ। এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। সিরিজ জুড়ে দুই ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে মিরাজ রান করেছেন ১৫৩ সঙ্গে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অবশ্য টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে না পারলেও বল হাতে নিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটারদের ১১ উইকেট। চলতি বছরের এই শেষ সময়ে বাংলাদেশ দলের কোনো খেলা না থাকায় মেহেদী মিরাজ এখন সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গেই। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার শীতের সকালে মুঠোফোনে পাওয়া গেল মিরাজকে। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে সবশেষ ভারত সিরিজ ও আগামী বছর অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেছেন টাইগারদের তারকা এই অলরাউন্ডার।শুরুতেই মিরাজ বললেন, ‘অবশ্যই আমার কাছে খুব ভালো লাগছে, ভারতের সাথে এরকম একটা সিরিজ গেছে আমার কাছে তো অনেক বড় একটা পাওয়া এটা। বিশেষ করে যে ওয়ানডে সিরিজটা গেছে। এরপর শেষ টেস্টে জিততে জিততে তো হেরে গেলাম। অবশ্যই এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারদের তালিকায় নাম্বার তিনে অবস্থান করছেন মিরাজ। একইসঙ্গে শীর্ষে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। একই সময়ে টাইগারদের দুই ক্রিকেটার সেরা তিনে থাকার আনন্দ নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘এটা অবশ্যই ভালো লাগার একটা বিষয়। বড় পাওয়া বলতে পারেন। তবে এখানে থেমে থাকলে চলবে না, এটাকে আরো ভালো করতে হবে, ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। এটা জাস্ট শুরু এখান থেকেই এগিয়ে যেতে হবে এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’মেহেদী মিরাজ ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। যদিও এমন ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে মানসিক শক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে মিরাজ জানালেন, ‘সবকিছুর জন্য মানসিক কাজটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মানসিকের সাথে স্কিল তো অবশ্যই আমার আছে আমি বিশ্বাস করি। ওটা নিয়েও কাজ করেছি। কিন্তু মানসিক কাজটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড় কথা টি-টোয়েন্টিতে আমাকে যখন উপরে ব্যাটিং করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তখন পরিশ্রম করেছি, অনুশীলন করেছি, দেশে এবং দেশের বাইরে। তখন ওটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে এবং কাজে লেগেছে।’এমন ব্যাটিং উন্নতির জন্য আলাদা করে কারোর সাথে কাজ করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য মিরাজ বললেন, ‘অবশ্য জাতীয় দলের যে ব্যাটিং কোচ রয়েছেন জেমি সিডন্স সে আমার সাথে কাজ করেছে।’২০২২ সালের শেষ দিকে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এখন, চলছে ডিসেম্বর মাস। তবে নতুন বছরে কি পরিকল্পনা থাকছে মিরাজের, ‘নতুন বছরে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই আমার কাছে। যে জিনিসটা রয়েছে সেটা উন্নতি করতে হবে। সামনে বিশ্বকাপ রয়েছে, বিশ্বকাপের মঞ্চে ভালো খেলতে হবে। তার জন্য এখন থেকেই ভালো খেলতে হবে।’যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সবকিছুই চেনা-জানা কন্ডিশন সেক্ষেত্রে প্রথম লক্ষ্য কি থাকছে আপনার কাছে? মিরাজ বললেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্যই থাকবে টপ ফোরে থাকা।’ ফাইনালের স্বপ্ন আছে কিনা এমন প্রশ্নেরও উত্তর দিয়ে মিরাজ বললেন, ‘আমরা যদি ইনশাআল্লাহ টপ ফোরে থাকি অবশ্যই তখন আমাদের...আমরা ফাইনাল খেলতে পারব। আমরা ক্যাপাবল, আমরা ফাইনাল খেলার মতোই দল।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
শেষ কিছু দিনে ইংলিশ বয়সভিত্তিক ফুটবলে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন ফেলিপে রদ্রিগেজ-জেন্তিলে ‘ফেলিপিনিও’। প্রিস্টন নর্থ এন্ডের হয়ে খেলা ১৬ বছর বয়সী এই বিস্ময় বালক রীতিমতো গোলমেশিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। তাকে পেতে এখন মরিয়া হয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইউনাইটেড, সঙ্গে এই দৌড়ে আছে লিভারপুলও। ব্রাজিলে জন্ম হওয়া স্বত্বেও তাকে পেতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা, জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।ফেলিপিনিওর জন্ম ২০০৬ সালের ৪ অক্টোবর। তার জন্মভূমি ব্রাজিলে। তবে তার বাবা-মা দুজনই আর্জেন্টাইন। সে কারণে ফেলিপিনিওর কাছে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা দুই দেশের নাগরিকত্বই আছে। সেই ফেলিপিনিও শেষ কিছু দিনে ইংলিশ বয়সভিত্তিক ফুটবলে আগুন ঝরাচ্ছেন রীতিমতো। গত ৯ ডিসেম্বর প্রিস্টন ইউনাইটেডের হয়ে রদারহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে খেলেছিলেন তিনি। সে ম্যাচে একাই তিনি করেছিলেন ৫ গোল। সব মিলিয়ে শেষ ১০ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৮ গোল। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ক্লাবটিতে যোগ দেওয়া এই বিস্ময়বালক এমন পারফর্ম্যান্স দিয়ে আকর্ষণে চলে এসেছেন ইংল্যান্ডের শীর্ষ ক্লাবগুলোর। তাকে পেতে চাইছে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি ও ইউনাইডেড। সঙ্গে টটেনহ্যাম আর নিউক্যাসল ইউনাইটেডও তাকে দলে ভেড়াতে চাইছে। শেষমেশ হয়তো তিনি ইউরোপের শীর্ষ কোনো ক্লাবে খেলবেনও। তখন জাতীয় দলের দরজাও খুলে যাবে তার সামনে। তবে তখন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনটাকে বেছে নেবেন তিনি? এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানাচ্ছে, তিনি জাতীয় পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বেছে না নিয়ে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিতে পারেন। তার আভাস দিয়েছেন ফেলিপিনিও নিজেই। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যাতে মিলেছে এই আভাস। সুদানানালিটিক্সের তাকে নিয়ে করা একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে, সেখানে জুড়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার পতাকার দুটো ইমোজি। আর তাতেই ধারণা করা হচ্ছে, ব্রাজিলকে নয়, আর্জেন্টিনাকেই বেছে নিতে চলেছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনা। এরপর দিয়েগো ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতে আর্জেন্টাইনরা। এরপর ১৯৯০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও শিরোপাবঞ্চিত হয়। ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ উপহার দিয়ে যাওয়ার পর ৩৬ বছরে কেটে যায়। শিরোপার এই খরা কাটালেন লিওনেল মেসি। তার পায়ের জাদুতে কাতার বিশ্বকাপে জিতে তৃতীয়বার শিরোপা ঘরে তুলে নেয় আর্জেন্টাইনরা। লিওনেল মেসি ফুটবল ক্যারিয়ারে সবকিছুই পেয়েছিলেন। বাকি ছিল বিশ্বকাপ। রোববার ফ্রান্সকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে সেই অপূর্ণতা সারলেন মেসি। এদিন শিরোপা জয়ে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে কিংবদন্তিদের তালিকায় নিজের নাম লেখান লিও।বিশ্বকাপের ফাইনাল ফাইনালের মতোই হলো। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে অবশেষে জয় পেল আর্জেন্টিনা। ২৩ ও ৩৬ মিনিটে মেসি ও ডি মারিয়ার গোলে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত (২-০) গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টাইনরা।এরপর মাত্র দুই মিনিটে ২ গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ২-২ ব্যবধানে ড্র হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।অতিরিক্ত সময়ে প্রথমে গোল করে (১০৮ মিনিটে) আর্জেন্টিনাকে ফের এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এরপর মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে (১১৮ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করার মধ্য দিয়ে ফ্রান্সকে ফের সমতায় (৩-৩) ফেরান এমবাপ্পে। ১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জিতে তৃতীয় শিরোপা নিশ্চিত করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ শেষে টিওয়াইসি স্পোর্টসের সঙ্গে তাৎক্ষণিক সাক্ষাৎকারে ম্যাজিকম্যান মেসি বলেন, ‘অবশ্যই আমি চেয়েছিলাম আমার ক্যারিয়ার এখানেই শেষ করতে। আমি এর থেকে আর বেশি কিছু চাইতে পারি না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, তিনি সব দিয়েছেন আমাকে। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে এমন অর্জন সত্যিই ঈর্ষণীয়।’মেসি এরপরই ঘোষণা দিলেন জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।বললেন, ‘আমি ফুটবলকে ভালোবাসি। আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলা উপভোগ করি। চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে আমি খেলা চালিয়ে যাব।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২২
আর্জেন্টিনার টানা তিন যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটালেন লিওনেল মেসি। বিজয়ের পর মেসির ঠোঁটের স্পর্শ পেল সোনালি কাপ। শিরোপা হাতে বিজয়োল্লাসের সময় মেসি দাবি করলেন, জয়ের ব্যাপারে আগে থেকেই জানতেন তিনি। খবর মার্কার। কাপ হাতে উল্লসিত আর্জেন্টাইনরা। এমন সময় মেসির অনুভূতি জানতে চান এক সাংবাদিক। মেসি বলেন, 'আমার কাছে আগে থেকেই মনে হতো আমি জিতব। কেন এমন মনে হতো তা বলতে পারি না। ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।'৩৫ বছরে মোট পাঁচবার বিশ্বকাপ খেলেছেন লিওনেল মেসি। ফুটবলে অনেক অর্জন থাকলেও বিশ্বকাপ নেওয়া হয়নি তার। ২০১৪-এর বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠে জার্মানির সঙ্গে হারে আর্জেন্টিনা। সে বছরও স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবার শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি শূন্যতা পূরণ হলো লিওনেল মেসির।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২০ ডিসেম্বর ২০২২
যে ফুটবলার নিজের দেশকে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে গেছেন, যে ফুটবলার দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, অভিষেকে তিনিই মাঠে ৪০ সেকেন্ডের বেশি থাকতে পারেননি।লিওনেল মেসির কথাই বলা হচ্ছে। ২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। মাঠে নেমেই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের কড়া ট্যাকলের শিকার হন তিনি। ১৮ বছর বয়সী মেসি মেজাজ হারিয়ে ওই হাঙ্গেরিয়ান খেলোয়াড়ের জার্সি টেনে ধরেন। রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখান। আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির আন্তর্জাতিক অভিষেকই হয়েছিল চোখের পানি ফেলে।হঠাৎ এ প্রসঙ্গ কেন? কারণ আছে, মেসির আন্তর্জাতিক অভিষেক ম্যাচটিতে আর্জেন্টাইন দলে ছিলেন আরেক ‘লিওনেল’। হ্যাঁ, লিওনেল স্কালোনি, আর্জেন্টিনার এখনকার কোচ। ছিলেন এখনকার সহকারী কোচ পাবলো আইমারও। মেসি লাল কার্ড খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ দুজন রেফারিকে ঘিরে ধরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। মেসিকে দিয়েছিলেন সান্ত্বনা। মেসি ওই মুহূর্তটি কখনোই ভুলতে পারেননি।সেই স্কালোনি আর আইমারের হাতে ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো। আর্জেন্টাইন ফুটবলের তখন দুঃসময়। ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতেই ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেও গ্রুপ পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে আর্জেন্টিনা (নাইজেরিয়ার বিপক্ষে)। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করে বিশ্বকাপ শুরু করা মেসির দল দ্বিতীয় ম্যাচে ৩–০ গোলে পর্যুদস্ত ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। দ্বিতীয় রাউন্ডে কিলিয়ান এমবাপ্পে ‘খুন’ করেছেন আর্জেন্টিনা দলকে। যদিও ম্যাচটি ৪–৩ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের আগেও ব্যর্থতার মিছিলেই ছিল আর্জেন্টিনা দল। কোপা আমেরিকায় দুটি ফাইনাল হেরেছে। মেসিকে নিয়ে তখন সমালোচনার ঢেউ। মেসি মুক্তির উপায় খুঁজছিলেন। সিদ্ধান্তটা প্রায় নিয়েই ফেলেছেন—আর্জেন্টিনার জার্সিতে আর নয়। নিন্দুকেরা তখন যে ঠোঁট উল্টে মেসির নিবেদন নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।এরপর আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নেন স্কালোনি। কিন্তু হোর্হে সাম্পাওলির পর আর্জেন্টিনার ফুটবল অনুরাগীরা চাচ্ছিলেন একজন ‘তারকা কোচ’। স্কালোনি কোনো বিচারেই তারকা কোচ ছিলেন না। আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ‘যুব কার্যক্রম’ দেখভাল করা সাধারণ একজন কোচ তখন তিনি। দায়িত্ব নিয়েই মেসিকে হোয়াটসঅ্যাপে একটা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। খুব আবেগঘন কিছু ছিল না। লিখেছিলেন, ‘লিও! কেমন আছ? তোমার সঙ্গে কি আমি আর আইমার একটু দেখা করতে পারি?’জাতীয় দল নিয়ে চরম হতাশার মধ্যেও স্কালোনির সেই বার্তায় সাড়া না দিয়ে পারেননি মেসি। কীভাবে পারবেন! স্কালোনি আর আইমারের প্রতি তাঁর যে অন্য রকম অনুরাগ। স্কালোনি মানুষ হিসেবে তাঁর প্রিয় ছিলেন সব সময়ই। আইমার তো ছিলেন মেসির আইডলই! মেসি নিজেই অনেকবার বলেছেন, আইমারকে দেখেই বড় হয়েছেন। পরে দুজনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপে মেসি আর্জেন্টিনাকে নিয়ে আবার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। এরপরের ইতিহাস তো সবার সামনেই। মেসি–স্কালোনি জুটি বেঁধে আর্জেন্টিনাকে ২৮ বছর পর এনে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক শিরোপা। টানা ৩৬ ম্যাচে অজেয় থেকেছেন। ব্যর্থতার চোরাবালিতে ঘুরপাক খেতে থাকা দলকে বানিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ের উপযোগী। কাতারে দলকে তুলেছেন ফাইনালে।নতুন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মেসির নিশ্চয়ই মনে পড়ছে সেই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার কথা!
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ ডিসেম্বর ২০২২
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। অথচ প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে মিশন শুরু হয় দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।মঙ্গলবার ম্যাচ জয়ের পর সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন লিওনেল মেসি। খবর ইএসপিএনের।মেসি বলেন, প্রথম ম্যাচে হারই ২০২২ আসরে ফাইনালের লড়াইয়ে নাম লেখাতে সাহায্য করেছে তাদের। তিনি বলেন, সৌদি আরবের কাছে পরাজয় আমাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল। কারণ এর আগে টানা ৩৬ ম্যাচ হারের স্বাদ নিয়ে কাতারে এসেছিলাম আমরা। বিশ্বকাপে এভাবে শুরু করাটা বড় ধাক্কাই ছিল। আমরা কল্পনা করতে পারিনি, সৌদি আরবের কাছে হারতে পারি। সাতবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী ফুটবলার বলেন, পরের ম্যাচগুলো আমাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা ছিল। তবে সময় যত গড়িয়েছে, প্রমাণ করতে পেরেছি আমরা কতটা শক্তিশালী দল। পরবর্তী প্রত্যেকটা ম্যাচ আমরা ফাইনাল মনে করেছিলাম। কারণ জানতাম হেরে গেলে পরিস্থিতি আমাদের জন্য জটিল হবে।৩৫ বছর বয়সি ম্যাজিশিয়ান বলেন, আমাদের ওপর এক ধরনের মানসিক চাপ ছিল। তবে সেটি আমরা কাটিয়ে উঠেছি। পরের পাঁচ ফাইনালেই (ম্যাচ) আমরা জিতেছি। আশা করি, চূড়ান্ত খেলায়ও তা-ই হবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও জয় পাব।মঙ্গলবার লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলার ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। হাফটাইমের আগে একক নৈপুণ্যে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুলিয়ান আলভারেজ। আর শেষ দিকে মেসির জাদুকরী অ্যাসিস্ট নিশানাভেদ করেন তিনি। এতে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন আলবিসেলেস্তেরা। এতে লুকা মদরিচদের উড়িয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে তারা।প্রসঙ্গত সি গ্রুপে আর্জেন্টিনার সূচনাটা মোটেও ভালো ছিল না। তুলনামূলক খর্বাশক্তির সৌদির কাছে ২-১ গোলে হেরে অভিযান শুরু হয় আলবিসেলেস্তেদের। তবে একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মেসি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
আজ (মঙ্গলবার) রাতে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল, মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া।গত বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া যখন ফাইনালে উঠেছিল, অনেকের মতেই সেটা ছিল অপ্রত্যাশিত এবং অনন্য।এবার ক্রোয়েশিয়া আবারও ফাইনালের পথে।অন্যদিকে আর্জেন্টিনা সৌদি আরবের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত এক হারের পর আরও ক্ষুরধার, আর ও শক্তিশালী।টুর্নামেন্টের আগে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ফেভারিট ধরা হয়েছিল। লিওনেল মেসিরা তার প্রমাণ দিয়েছেন।সেমিফাইনালের আগে আলোচনায় আছেন মেসি ও মদ্রিচ।লিওনেল মেসি ও লুকা মদ্রিচ - দুজন এলএম টেন, পড়েন দশ নম্বর জার্সি, দুজনই ব্যালন ডি অর জয়ী, দুজনেরই আগে বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলে হারার অভিজ্ঞতা আছে, দুজনই নিজেদের দলের মূল ফুটবলার এবং অধিনায়ক।দুজনের সামনেই সুযোগ আরও একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা এবং এবার না পাওয়া সোনালি শিরোপা নিজেদের করে নেয়ার।আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ দুজন নিজ নিজ দলের পার্থক্য গড়ে দেয়া সুপারস্টার।মেসি এবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। গোল করছেন এবং করাচ্ছেন। প্রতিপক্ষের ফুটবলার, কোচকে সুযোগ পেলে এক হাত দেখে নিচ্ছেন। রেফারির সাথে তর্কে জড়াচ্ছেন।মদ্রিচ একটু নিচে নেমে খেলছেন।তার খেলা ক্রোয়েশিয়ার ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছে।মদ্রিচ ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায়ই রক্ষণভাগে নেমে খেলেছেন।যে গোলে ক্রোয়েশিয়া সমতায় ফিরেছিল সেই গোলেও মদ্রিচের লম্বা পাসের অবদান ছিল।মেসির বয়স ৩৫, মদ্রিচের ৩৭। কাতারের এই বিশ্বকাপেই তারা সম্ভবত ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ফেলবেন।মেসির দলে থাকাটাই সুবিধা, এমনটা মনে করেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস ট্যাগ্লিয়াফিকো।আর্জেন্টিনা চলতি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে মোট নয় গোল করেছে, যার মধ্যে ছয়টিতে লিওনেল মেসির প্রত্যক্ষ অবদান আছে। চারটি নিজে করেছেন, দুটি করিয়েছেন। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মলিনাকে দিয়ে যে গোল করালেন মেসি, বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা এসিস্ট ছিল এটা।ট্যাগ্লিয়াফিকো মনে করেন, মেসি দলের নেতা এবং তিনিই গোটা দলের জন্য অনুপ্রেরণা।মেসির পঞ্চম বিশ্বকাপ এটি, এবারে মেসি চাইবেন তার দেশের ফুটবল ইতিহাসে নায়ক হয়ে থাকতে।ডিয়েগো ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা আর জেতেনি। মেসির জন্য এটাই শেষ সুযোগ সম্ভবত। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের তালিকায় ১০ গোল নিয়ে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্ততার সাথে আছেন যৌথভাবে শীর্ষে মেসি।মেসির জন্য এবার বাড়তি পাওনা আর্জেন্টিনা দারুণ একটি দল নিয়ে এবার বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে, যারা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে।মিডফিল্ডে আছেন রদ্রিগো ডি পল, দুই ধারে মলিনা ও একুনিয়া, ডিফেন্সে লিজান্দ্রো মার্টিনেজ ও পোস্টে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।লুকা মদ্রিচের দল অবশ্য বিশ্বকাপ না জিতলেও এই প্রজন্মের ফুটবলারদের দেশটি মনে রাখবে বহুদিন।পরপর দুই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া ফাইনালের পথে।চল্লিশ লাখেরও কম মানুষ বাস করেন ক্রোয়েশিয়ায়, তারা এখন দ্বিতীয় দেশ হিসেবে একই বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় পেতে পারে।এর আগে জার্মানি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ২০১৪ সালে।কোচ জলাটকো ডালিচ মনে করেন, ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের চেয়েও বিশেষ ছিল ২০১৮ সালের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়।তবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় পেলে সেটা হবে সবচেয়ে সেরা, বলছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ।"আমরা বিশ্বের সেরা চারটি দলের একটি এখন। টানা দুই বিশ্বকাপে আমরা এখানে এসেছি, এটা ক্রোয়েশিয়ার জন্য দুর্দান্ত সাফল্য"।এই কোচের মতে লিওনেল মেসির দলের ওপর চাপ থাকবে বেশি।আর্জেন্টিনা কখনোই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারেনিআর্জেন্টিনার একুনিয়া ও গঞ্জালো মন্টিল সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন না টুর্নামেন্টে দুটি হলুদ কার্ডের জন্য। আনহেল ডি মারিয়া ফিরেছেন চোট কাটিয়ে।ক্রোয়েশিয়ার কোনও চোট বা সাসপেনশন নেই। আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে এটি তৃতীয় ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচ হতে যাচ্ছে।এর আগে ১৯৯৮ সালে আর্জেন্টিনা এক গোলের জয় পেয়েছিল, ২০১৮ তে ক্রোয়েশিয়া ৩-০ গোলের জয় পেয়েছিল।তবে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের জন্য সুখকর বিষয় হতে পারে এই পরিসংখ্যান বা ইতিহাস, আর্জেন্টিনা কখনোই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
পুরো কাতার বিশ্বকাপে নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে রেফারি। কোয়ার্টার ফাইনালের দুই ম্যাচে রেফারিং নিয়ে ফুটবলাররা নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা অকপটে জানিয়েছেন।সেজন্য সাবধানতা অবলম্বন করে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার ১ম সেমিফাইনালে এবার ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইতালিয়ান রেফারি দানিয়েল ওরসাতোকে।আজকে এক বিবৃতিতে ফিফা এটি নিশ্চিত করে যে ওরসাতোই মূল রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করবেন। ভালো রেফারি হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে তার। এবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য রেফারির তালিকাতেও তার নাম রয়েছে। যদিও কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনালের কোন ম্যাচেই তাকে দেখা যায়নি।তবে বিশ্বকাপের কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচে তিনি রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচেও রেফারি হিসেবে ছিলেন তিনি।আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার অনেক ফুটবলার ইতালিয়ান লিগে খেলার কারণে তাকে বেশ ভালোভাবেই জানা আছে ফুটবলারদের। এছাড়া তার ক্যারিয়ারে তিনি ৩ বার ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে রেফারি ছিলেন। যেখানে মদ্রিচরা দুইবার জয় লাভ করেছে এবং আরেকটি ম্যচে ইউরো ২০২০ এ ইংল্যান্ডের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ ডিসেম্বর ২০২২
কাতার বিশ্বকাপে স্বল্পবসনা উপস্থিতি দিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন সাবেক ‘মিস ক্রোয়েশিয়া’ ইভানা নল। মুসলিমপ্রধান দেশ কাতারের নীতি-নৈতিকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোলামেলা পোশাক পরে নিয়মিত স্টেডিয়ামে হাজির হচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে।শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচেও একইভাবে গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছিলেন ইভানা। এদিন যথারীতি দলকে উৎসহ জুগিয়েছেন, দেখেছেন পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ক্রোয়েট দল সেমিফাইনালের ওঠার দৃশ্য।তবে ম্যাচ শেষে ৩০ বছর বয়সী এ মডেল অভিযোগ করেছেন, গ্যালারিতে কাতারের ‘রূঢ়’ নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে অন্য দর্শকদের সঙ্গে ছবি তুলতে বাধা দিয়েছেন।ক্রোয়েশিয়ার আগের ম্যাচের দিনগুলোতে লাল-সাদা বিকিনি ও আঁটসাঁট লেগিন্স বা শর্টস পরা ইভানাকে কাতারি দর্শকদের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গেছে। দর্শকরাও তার ছবি তুলছেন, এমন দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।অবশ্য মোহাম্মদ হাসান আল-জেফাইরি নামে কাতারের এক খ্যাতনামা উদ্যোক্তা পরে দাবি করেন, কেবল ওই নারীর পোশাক নিয়ে আপত্তি জানানোর জন্যই পুরুষেরা দূরে সরে যাচ্ছিলেন।তবে ইভানা নল অভিযোগ করেছেন, কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলতে নিষেধ করেন।তিনি জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ডকে বলেছেন, তারা আমার সঙ্গে ভক্তদের ছবি তুলতে বা আমাকে রেলিংয়ের নিচে ছবির জন্য পোজ দিতে বাধা দেয়। তখন আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, তারা এত রূঢ় কেন?ইনস্টাগ্রামে প্রায় ১৮ লাখ অনুসারী রয়েছে ইভানা নলের। সেখানে নিয়মিত স্বল্পবসনা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। তবে এ ধরনের পোশাক কাতারের প্রচলিত শালীনতা আইনের বিরোধী। এ আইনে নারীদের কাঁধ ঢেকে রাখতে এবং ছোট স্কার্ট পরিহার করতে অনুরোধ করা হয়েছে।যদিও ইভানা গত সপ্তাহে দাবি করেছেন, কাতারের পরিবেশ-পরিস্থিতি দারুণ লাগছে তার কাছে। কেউ তাকে পর্দা করতে বলেনি। শুধু টুইটারে একজন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।তবে ক্রোয়েট মডেলের দাবি, ওই ব্যক্তি কেবল মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই তার পোশাকের সমালোচনা করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ডিসেম্বর ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর কাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ দেখতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত দর্শকদের না আসার অনুরোধ জানিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ভেন্যুতে এবারের বিশ্বকাপের খেলা দেখাচ্ছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ। অনিবার্য কারণে কোয়ার্টার ফাইনালের ৪টি ম্যাচ দেখানো হবে না। খবরটি নিশ্চিত করেছেন নগদ-এর হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স জাহিদুল ইসলাম সজল।কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আজ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। রাত ১টায় নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালের অপর দুটি ম্যাচ হবে আগামীকাল। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মরক্কোর মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। রাত ১টায় ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়বে ইংল্যান্ড। আজ ও কাল কোয়ার্টার ফাইনালের এই চারটি ম্যাচ দেখানো হবে না। সেমিফাইনাল থেকে আবার যথারীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের তিন ভেন্যুতেই ম্যাচগুলো দেখানো হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ ডিসেম্বর ২০২২
মরুর বুকে বিশ্বকাপের আয়োজন প্রথমবারের মতো। কাতারের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ পাড়ি দিয়ে ফেলেছে অর্ধেকেরও বেশি পথ। আগামীকাল শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপের সোনার ট্রফি কার হাতে উঠছে তা দেখতে আর মাত্র ৭ ম্যাচের অপেক্ষা। নক-আউট শেষে কোয়ার্টারের টিকিট নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের মতো হট ফেভারিট দলগুলো। আবার তাদের সঙ্গী হয়ে চমক দেখানো মরক্কোও রয়েছে শেষ আটের লড়াইয়ে। ক্রিশিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালও জায়গা করে নিয়েছে সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে। গতবারের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়া আর এক আসর বাদে বিশ্বকাপে ফেরা নেদারল্যান্ডও রয়েছে কোয়ার্টারের যুদ্ধে।বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রাত ৯টায় কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে হট ফেভারিট ব্রাজিল। একইদিনে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে রাত ১টায় মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ড। পরেরদিন কোয়ার্টার ফাইনালের বাকী দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল-মরক্কো এবং ইংল্যান্ড-ফ্রান্স।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার দৌড়ে আজ মুখোমুঝি ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। খেলতে নামার আগে জোড়া সুসংবাদ পেলেন তিতের শিষ্যরা। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দুঃসংবাদ ভর করছিল ব্রাজিল শিবিরে। দলের নিউক্লিয়াস নেইমার প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। চোট এতটাই গভীরে ছিল যে, তার বিশ্বকাপ খেলাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।ক্যামেরুনের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারের দগদগে ক্ষতও বহন করতে হচ্ছিল তিতে শিষ্যদের। ‘বি’ টিম নিয়ে মাঠে নেমে দর্শকদের হতাশ করেছিলেন আলভেজরা।এদিকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন ফুটবলের রাজা পেলে। তার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার অপেক্ষায়।শঙ্কাগুলো অবশেষে দূরীভূত হতে চলেছে। ব্রাজিল থেকে সুসংবাদ এসেছে পেলের শারীরিক অবস্থার। পেলে জানিয়েছেন তিনি দলের খেলা দেখছেন। ব্রাজিলের খেলা তাকে শক্তি জুগিয়েছে। আবার এদিকে টিম ডাক্তার জানাচ্ছেন, নেইমার সুস্থ হয়ে উঠেছেন, অনুশীলন করছেন। নেইমারও বলছেন, ভালো আছি। কোচ তিতে বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই নেইমারকে বিবেচনার কথা।আজ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবেন নেইমার।রোববার ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বারবার এসেছে নেইমার প্রসঙ্গ। এসেছে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হারের প্রসঙ্গ, এসেছে ফুটবল সম্রাট পেলের প্রসঙ্গও। উত্তর দিয়েছেন অধিনায়ক থিয়েগো সিলভা।গ্রুপপর্বে কী হয়েছে সেটি আমরা ভুলে গেছি, আপনারাও ভুলে যান। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এটি আমাদের নতুন ম্যাচ। ব্রাজিল দল তাদের সেরাটা দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাবে; আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন অধিনায়ক। তবে তিনি প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এও বলেছেন, কোরিয়ানদের গতি আছে, বল পাসিং ক্ষমতা আছে, ডিফেন্স আছে। তবে তাদের দুর্বলতা আমাদের জানা আছে।দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে নেইমারের সুস্থতার খবরের পাশাপাশি পেলের শারীরিক অবস্থাবিষয়ক সুসংবাদ ব্রাজিল দলকে উজ্জীবিত করছে। ফুটবল কিংবদন্তি পেলে ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি ভালো আছেন। বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের ফুটবল খেলা দেখছেন তিনি। মাতৃভূমির ফুটবল দলের খেলাই তাকে শক্তি জুগিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
অনবদ্য, অসাধারণ কিংবা অবিশ্বাস্য। ত্রাতা, কাণ্ডারী কিংবা নেতা। কোনো শব্দই কি তার জন্য যথেষ্ট? তাহলে মিরাকল? মেহেদী হাসান মিরাজের নামের পাশে হয়তো এই শব্দটাই কেবল যথার্থ হবে। বর্ণনায় বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে, এবং সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরাজের কীর্তি দেখলে এসব বর্ণনা যে কারও কাছে তুচ্ছ মনে হতে বাধ্য। ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখি হয়ে উড়াল দিয়ে বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দিলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।বিস্তারিত আসছে…
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
ভারতীয় ব্যাটারদের রীতিমতো নাচিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচের একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে ভারতীয়দের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন। এরপর মিডল ওভারে যখনই প্রয়োজন পড়েছে তখনই ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। দুর্দান্ত বোলিংয়ে নামের পাশে যোগ করেছেন আরেকটি পাঁচ উইকেট। আর তাতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন গুড়িয়ে গেছে দুইশ রানেরও কমে। মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রোববার ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব-এবাদতদের তোপে ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানে অল আউট হয়েছে শক্তিশালী ভারত। প্রথমবার বাংলাদেশকে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিতে নামা লিটন দাস আজ টস জিতে নিয়েছেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হন ধাওয়ান। এরপর দলীয় ৪৮ রানে ফের ভারতকে আঘাত। এবার ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট ভারতীয় এই ওপেনার।এরপর দলীয় ৪৮ রানে ফের ভারতকে আঘাত। এবার সাকিব ফেরান রোহিত শর্মাকে।ব্যক্তিগত ২৭ রানে আউট ভারত অধিনায়ক। তাকে বোল্ড আউটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। দুই বল পরই ফের সাকিব ম্যাজিক। ভারতের সেরা অস্ত্র কোহলিকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। লিটনের দারুণ ক্যাচে ফিরে যান কোহলি ৯ রান করে। দুর্দান্ত ক্যাচ লিটনের। হতাশই হলেন কোহলি। ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতের শিবিরে কিছুটা আশার সঞ্চার করেন শ্রেয়াস আয়ার এবং কেএল রাহুল। তবে ভারতের দলীয় ৯২ রানে আবারও আঘাত হানে বাংলাদেশ। এবার আয়ারকে ফেরান এবাদত হোসেন। ব্যক্তিগত ২৪ রানে লিটনের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রাহুল। কিছুক্ষণ তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু আবারও সাকিবের বাধা। ওয়াশিংটনকে ১৯ রানে ফিরিয়ে আবারও রানের লাগাম টানেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এই জুটি ভাঙার পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। পরের দুই ওভারে আরও তিন উইকেট ফেলেন সাকিব-এবাদত। ৩৫ তম ওভারে দীপক চাহারকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে নিজের নম্বর পাঁচ উইকেটটা তুলে নেন সাকিব। বিশাল বিপদের মুখেও সিরাজকে নিয়ে একটু একটু করে আগাতে চেষ্টা করছিলেন রাহুল। কিন্তু তাকে সেই সুযোগটা দিলেন না এবাদত। ভারতের শেষ আশা কে এল রাহুলকে ৭৩ রানে ফেরান ডানহাতি এ পেসার। শেষ উইকেটটাও নিয়েছেন তিনিই। তাতে ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে চারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
আবারও আর্জেন্টিনা, আবারও লিওনেল মেসি। মেসি বোঝালেন কেন তাকে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় বলা হয়। বোঝালেন কেন তিনি এবারের বিশ্বকাপ জিততে এসেছেন। একক নৈপুণ্য দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারালো আর্জেন্টিনা। উঠে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালে।বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দিকে খেই হারালেও ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পায় আর্জেন্টিনা।আর্জেন্টিনার সেই ত্রাতা হয়ে আবারো আবির্ভাব লিওনেল মেসির। তার ঐতিহাসিক ১০০০তম প্রফেশনাল ম্যাচে গোল করার পাশাপাশি দুর্দান্ত খেলে আর্জেন্টিনাকে তুলেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে।আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন হুলিয়ান আলভারেজ। আর অস্ট্রেলিয়ার গোলটি আসে আত্মঘাতী গোলে এনজো ফার্নান্দেজের মাধ্যমে।নিজের প্রফেশনাল ফুটবল ক্যারিয়ারের ১০০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে মেসি আবারও নিজের জাত চেনালেন। শুরু থেকে বল নিজেদের দখলে নিয়ে খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। কিন্তু গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না মেসিরা। ডি মারিয়ার অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিলেন তারা।ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটে কোনো শটই কেউ গোলমুখে নিতে পারেনি। ৩৬ মিনিটের সময় ডি-বক্সের বাইরে জটলা থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের সামান্য ভেতর থেকে বা পায়ের দারুণ বাকানো শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। ১০০০তম ম্যাচে এটি তার ৭৮৯তম গোল।ম্যাচের প্রথমার্ধে আর কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মেসিরা। ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই গোল করতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে আলবিসেলেস্তারা। ৫৬ মিনিটে গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক টার্নারের ভুলে গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হুলিয়ান আলভারেজ। বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় এবং আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ছয় ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ালো ছয়।বল দখলে রেখে আর্জেন্টিনা মাঝমাঠ পুরোটা দখল নিয়ে খেলতে থাকে। অস্ট্রেলিয়ানরা অনেক চেষ্টা করেও যেন বারবার খেই হারাচ্ছিল। কিন্তু ৭৮ মিনিটে ভাগ্যগুণে গোল পেয়ে যায় তারা। গুডউইনের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট এনজো ফার্নান্দেজের গায়ে লেগে জালে জড়ালে লাইফ লাইন পায় অস্ট্রেলিয়া।৮৩ মিনিটে ম্যাচে অজিদের সমতায় ফেরার সহজ সুযোগকে পরাস্ত করে দেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। বেহিচ মাঝমাঠ থেকে ৪-৫ জনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে গিয়ে শট নিলে মার্টিনেজ দারুণভাবে ট্যাকেল করে দলকে রক্ষা করেন।৮৯ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস করেন লাউতারো মার্টিনেজ। মেসির বাড়ানো বলে গোলপোস্ট পুরো ফাঁকা পেয়েও গোলবারের ওপর দিয়ে শট মারেন তিনি।ম্যাচের ৯৫ মিনিটে আবারও লাউতারো মার্টিনেজের শট রুখে দেন অজি গোলরক্ষক টার্নার। রিবাউন্ডে মেসি শট নিলে সেটিও চলে যায় গোলবারের বাইরে।৯৬ মিনিটে মেসি নিজেই গোলবারের শট নেন ডি-বক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায় বল।ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার কুওলের শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এ জয়ে কোয়ার্টারে চলে গেলো আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপও সুবিধা করতে পারছে না। বেশ ভালোভাবেই সফরকারি দলকে চেপে ধরেছেন টাইগার বোলাররা। একশর আগে (৯২ রানে) ভারত হারিয়েছে ৪ উইকেট।মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। বোলিং উদ্বোধন করেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ১ রান।এরপর হাসান মাহমুদ, মেহেদি হাসান মিরাজরাও বোলিংয়ে এসে চাপ ধরে রাখেন। অবশেষে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে উইকেটের দেখাও পেয়ে যায় বাংলাদেশ।মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন শিখর ধাওয়ান, বলটা ব্যাটে লেগে লাগে স্টাম্পে। পড়ে যায় বেল। ভাঙে ভারতের উদ্বোধনী জুটি।মাত্র ৭ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন ধাওয়ান। দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। এরপর দেখেশুনে খেলে দলকে কিছুটা পথ এগিয়ে নেন কোহলি আর রোহিত। ১০ ওভারে ভারত তোলে ১ উইকেটে ৪৮ রান।একাদশতম ওভারে এসে জোড়া শিকার করে ভারতকে ফের চাপে ফেলে দেন সাকিব। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিকে তিন বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।ওভারে দ্বিতীয় বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে রোহিতকে (৩১ বলে ২৭) বোল্ড করেন সাকিব। এক বল বিরতি দিয়ে ফেরান কোহলিকে।ওই উইকেটে অবশ্য অবদান বেশি বলতে হবে লিটনের। এক্সট্রা কভারে বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নেন লিটন। কোহলি (৯) যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল। তাদের ৫৬ বলে ৪৩ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন এবাদত হোসেন।২০তম ওভারের শেষ বলে এবাদতের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন আইয়ার (২৪)। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম নেন সহজ ক্যাচ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ ডিসেম্বর ২০২২