পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেছেন, আইটিকে প্রধানতম স্তম্ভ হিসাবে তৈরি করলে আমাদের গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর করতে হবে না, প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করতে হবে না।সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সাথে আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আইসিটি বিভাগ যেভাবে গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জনগণের নিকট আইটি শিক্ষা পৌঁছে দিচ্ছে এতে করে আইটি খাতকে বাংলাদেশের প্রধান স্তম্ভ হিসেবে তৈরী করা সম্ভব হবে।চ্যান্সেলর হানিপ বলেন, আমেরিকান অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগেই একাডেমিক দিকটাকে বেশি জোর দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে সেখান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের পর একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে চাকরি নিতে হয়। কিন্ত আমি ট্রিপল মিশন নিয়ে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি গড়েছি, সেখানে ডিগ্রি, দক্ষতা ও চাকুরী। এই বিশ্ববিদ্যলয় থেকে শিক্ষার্থীরা দক্ষতার সাথে বের হয়ে শতভাগ চাকরি পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।তিনি আরো বলেন, ’শিক্ষার্থীরা আমেরিকার বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে এসে পড়শোনা করছে। শুধু দক্ষ হয়ে চাকরী পাবার আশায়। গত ২০ বছরে আমি পিপলএনটেকের মাধ্যমে আমেরিকার মূল ধারায় ১০ হাজার দক্ষ ব্যক্তিতে চাকরি দিয়েছি যারা ১০০ থেকে ২০০ হাজার ডলার ইনকাম করছে।'ইঞ্জিনিয়ার হানিপ আরো বলেন, সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য আইটি কে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পিপলএনটেক ও আইসিটি অধিদপ্তরের দক্ষ জনবল একসাথে কাজ করবে এমন টায় প্রত্যাশা।উক্ত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সামসুল আরেফিন বলেন, আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে যত বেশি জনবল তৈরি করতে পারব তত বেশি দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। আমি আশা করছি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ও দক্ষ জনবল তৈরি করতে আইসিটি বিভাগ ও পিপলএনটেক একসাথে কাজ করবে।এছাড়াও বিদেশের মাটিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি গড়ার জন্য চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপকে ধন্যবাদ জানান তিনি।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জোহরা, পিপলএনটেকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা, ডেপুটি ব্যবস্থাপক (অপারেশন) শেখ আহমেদ প্রমুখ।উল্লেখ্য, পিপলএনটেক প্রথম ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশান ভার্জিনিয়া (SCHEV) থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত এবং NYCDCA অথরাইজড রিক্রুটিং এজেন্সি।পিপলএনটেক’র শিক্ষণ-শিখন এবং জব প্লেসমেন্ট পদ্ধতি ইতোমধ্যেই একটি সফল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।বর্তমানে পিপলএনটেক ইনস্টিটিউটে ৬০টির অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণসহ সফটওয়ার টেস্টিং, ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রাশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান টেস্টিং, বিজনেস অ্যানালিস্ট, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ অক্টোবর ২০২৩
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রতিবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান দেশের বহু শিক্ষার্থী। নানা বিচিত্র বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে সে দেশে।যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি যেখানে স্নাতক পর্যায়ে পড়ার জন্য বেশ বিস্তৃত ও নানা আঙ্গিকের সুযোগ রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়টি তে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রির আবেদন করা যায়।আবার নানা বিষয়ে চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্যও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া,পার্টটাইম চাকুরী, টিউশন ফি, স্কলারশিপ, প্রশিক্ষণ সুবিধা সহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপের সাথে।আগামী ৯ অক্টোবর সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবেন এবং বিস্তারিত জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।সাক্ষাতের স্থান-পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটি।১৫১/৭, গুড লাক সেন্টার, (৭মও ৮ম তলা) গ্রীণ রোড, ঢাকা।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০২১ সালে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকানা নেন। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। যার মধ্য দিয়ে এটি দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০২১ সালে তিনশো ছাত্রছাত্রী নিয়ে আবুবকর হানিপ তার যাত্রা শুরু করেন। দুই বছরের ব্যবধানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দাড়িয়েছে এখন ১৫শ'র বেশি। এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা চারগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে পাঁচশতাধিকের ও বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলার কাম প্রাক্টিশনার শিক্ষক, সুসংগঠিত টিমওয়ার্ক, শ্রেণিকক্ষে কর্মস্থলের রেপ্লিকা সৃষ্টি করে দেওয়া বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি এবং সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস প্রতিষ্ঠাই এই সাফল্যের কারণ।ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও গ্রিনকার্ড হোল্ডার শিক্ষার্থীরাও এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের পাঠস্থল হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ অক্টোবর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ও চেয়ারম্যান ও পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ বলেছেন, মূলত ইন্ডাস্ট্রিতে যা দরকার সেটা আমরা ক্লাসরুমে নিয়ে এসেছি যার ফলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে এবং আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে এসে ভর্তি হচ্ছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচ টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অডিটোরিয়ামে সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রি স্কিল ফর গ্লোবাল ক্যারিয়ার এন্ড ওরিয়েন্টেশন অফ পলিটেকনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, 'আমাদের আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেকে প্রায় ৬৭ টি কোর্স রয়েছে, প্রতিটি কোর্সেই ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে কিন্তু পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসব কোর্সগুলোতে খরচ হবে সাত থেকে আট হাজার টাকা কারণ এটা আমরা শুধুমাত্র পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় দিয়েছি যাতে করে তারা দক্ষ হয়ে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে এবং পরবর্তীতে দেশের সেবা করতে পারে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, আগামী তিন মাস তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি তোমরা আগামী তিন মাস কঠোর পরিশ্রম করো এবং পিপলএনটেক থেকে এই কোর্সগুলো সম্পূর্ণ করতে পারো তাহলে তোমরা অবশ্যই সফল হতে পারবে। তিনি বলেন, আমরা একইভাবে প্রায় দশ হাজার বাংলাদেশিকে আমেরিকার মেইনস্ট্রিমে চাকরি দিতে পেরেছি। যারা সাধারণত প্রতিবছর ৫০ হাজার ডলার আয় করতে পারত, তারা এখন পিপলএনটেক থেকে ট্রেনিং করে আমেরিকার মেইন স্ট্রিমে চাকরি করছে এবং তারা এখন প্রতিবছর ১৫০ হাজার ডলার আয় করছে।এ সময় চ্যান্সেলর হানিপ যুক্তরাষ্ট্রে তার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জানান।তিনি জানান ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি প্রতিটি ফ্যাকাল্টি মেম্বারের প্রায় চার থেকে ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সফলতা এবং আমাদের ভার্সিটি থেকে বের হয়ে তারা আমেরিকার মেইনস্ট্রিমে জব করছে।তিনি বলেন, সাধারণত ইউনিভার্সিটি গুলোতে একাডেমিক বিষয়ে পড়াশোনা করানো হয়, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গেলে ইন্ডাস্ট্রি জ্ঞান দরকার হয়, দক্ষতার দরকার হয়, অভিজ্ঞতার দরকার হয়, সেটা যেহেতু ইউনিভার্সিটিগুলোতে শেখানো হয় না সেজন্য পরবর্তীতে আমাদের চাকরী পেতে সমস্যা হয়।আগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, "চেষ্টা করলে তুমি যেখানে যেতে চাও সেখানেই যেতে পারবে। তিনি বলেন এই বিশ্বায়নের যুগে পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে তুমি যেকোনো দেশে কাজ করতে পারবে সেজন্য তোমাকে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।'অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সদস্য ও টেকনোগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু, পিপলএনটেক পরিচালক সাথী বেগম ও পিপলএনটেকের এডভাইজার আবুল হোসেন মিয়া, পিপলএনটেকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, চীফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আগামী বছরের (২০২৪ সাল) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং এইচএসসি পরীক্ষা হবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে।আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ–সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা হবে ২০২৩ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, তবে এসএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী।আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসের নেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি।২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে পরীক্ষার সময়সূচি ওলট-পালট হয়ে গেছে। কখনো কখনো পরীক্ষা হয়েছে দেরি করে। আবার কখনো কখনো পরীক্ষা ছাড়াই ভিন্ন মূল্যায়নে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে এসএসসি পরীক্ষা স্বাভাবিক সময়ে ফিরছে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা হবে আগামী বছরেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে।সাধারণত স্বাভাবিক সময়ে ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি এবং এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার মূল চাবিকাঠি হবে ডিজিটাল সংযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে সাইবার সিকিউরিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করবে পিপলএনটেক বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে সাইবার সিকিউরিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সাইবার সিকিউরিটি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাস হবে ঢাকার কেরানীগঞ্জে, এমনটি ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সিএফও ফারহানা হানিপ।সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চ্যুয়াল বাস্তবতা, উদ্দীপিত বাস্তবতা, রোবোটিকস ও বিগ ডেটার মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে দেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের তিনটি দেশে দেড় যুগ যাবত কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষণ-শিখন এবং জব প্লেসমেন্ট পদ্ধতি ইতোমধ্যেই একটি সফল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।ঢাকার কেরানীগঞ্জে বেড়ে উঠা ফারহানা হানিফ বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায়। সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে ফারহানা হানিপ পরিবারের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে ডাবল ব্যাচেলর ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে এমবিএ, মাস্টার্স ইন লিডারশীপ ম্যানেজমেন্টে পড়ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোৎকৃষ্ট আইটি কোম্পানিতে দীর্ঘ ২০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে পিপলএনটেক যুক্তরাষ্ট্র, ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ অফিসের স্বত্বাধিকারী ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন তিনি।এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক সেক্টর ও গভমেন্ট সেক্টর নিয়ে কাজের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসিতে উইমেন ইমপ্যাক্ট ইন পাবলিক পলিসি (ডব্লিউআইপিপি) সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভিজিট করেন পিপলএনটেক প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সিএফও ফারহানা হানিফ।গত ১৬ আগষ্ট বাংলাদেশে আরটিভির ইয়ং স্টার প্রোগামে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রে শিলার ও তার স্ত্রী মার্সিয়া শিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পিপলএনটেক প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সিএফও । উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আরটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোরশেদ আলম।এসময় ফারহানা হানিপ বলেন, 'পিপলএনটেক থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রায় আট হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী আইটিতে জব করছে। যার অধিকাংশ'ই হচ্ছেন নারী। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প, বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশন ও হাইটেকপার্কের সাথে পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কার্যক্রমসহ বিভিন্ন প্রকল্প বিষয়ক আলোচনা করা হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র,বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার অন্যতম একটি সেরা আইটি ট্রেনিং সেন্টারে পরিনত হয়েছে পিপলএনটেক।পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কার্যক্রম শুনে এসময় উচ্ছ্বসিত হোন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মুখপাত্র।ভবিষ্যতে পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন মুখপাত্র ব্রে শিলার। বাংলাদেশ সহ তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি। বাংলাদেশের শিক্ষা জীবন সমাপ্তি করা বেকার যুবক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার হতে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে পিপলএনটেক।বর্তমানে ফারহানা হানিপের স্বপ্ন ঢাকা জেলা ১ ও ২ এলাকার বেকার যুবকদের আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করে স্বাবলম্বী করে তোলা। তিনি বলেন, আমি চাই আমার সবচেয়ে পছন্দের ঢাকা ১ ও ২ এলাকার যুবকদের যেন বিশ্বের অন্য কোন দেশে গিয়ে অড জব করতে না হয়, তাদের স্কিল ডেভলপমেন্ট করার জন্য পিপলএনটেক সর্বদা তাদের পাশে থাকবে এবং আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলে আমরাই চাকুরির ব্যবস্থা করে দিবো।ঢাকা জেলা জিঞ্জিরা এলাকার যুবকদের পড়াশোনার মান এবং তাদের আইটি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি মালিকানায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করেন পিপলএনটেকের নির্বাহী প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন ফারহানা হানিপ।ফারহানা হানিপ বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশীদেরকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছানোর জন্য পিপলএনটেক এর পাশাপাশি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজিও বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন চার বছরের ডিগ্রি নিয়ে যাতে করে বসে থাকতে না হয় তার জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি এবং পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির কর্মকর্তাবৃন্দ কাজ করে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির বিভিন্ন্ কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করবেন বলেও তিনি জানান'।সম্প্রতি পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটি পরিদর্শনে আসেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন।এসময় পিপলএনটেক ইন্সটিটিউট অফ আইটির কার্যক্রম দেখে উচ্ছ্বসিত হোন তিনি। এছাড়াও ফারহানা হানিপের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জিঞ্জিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাকুর হোসেন সাকু।সাক্ষাতকালে সাকু বলেন, পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কার্যক্রম দেখে আমি মুগ্ধ।এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার করার প্রস্তাব দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির প্রেসিডেন্ট ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজির (ডব্লিউইউএসটি) চীফ ফিন্যানসিয়াল অফিসার ফারহানা হানিপের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকাস্থ পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির কার্যালয়ে তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু দেশের বাইরে নয় দেশেও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শাখা। যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতি বছর দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হচ্ছে হাজার হাজার যুবক, উচ্চ বেতনে চাকুরি পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।এবার প্রতিষ্ঠানটি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইউএসটি’র সাবেক শিক্ষার্থী এবং দৈনিক চট্টগ্রাম খবরের নির্বাহী সম্পাদক শেখ মো. আকিজ।শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পিপলএনটেক বিগত বছরগুলোতে যেমন দেশের ও দেশের বাইরে বাংলাদেশিদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করেছে সামনেও আশা করি কাজ করে যাবে। বিশ্ব এখন তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর। এক্ষেত্রে যে যত বেশি দক্ষ সে তত বেশি এগিয়ে যাবে। আমরা আশা করি স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে পিপলএনটেক কাজ করে যাবে।শুভেচ্ছা বিনময়কালে ফারহানা হানিপ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। ঢাকায় যারা প্রশিক্ষণ নেন তাদেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে যাই। আর যারা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ভালো কোন চাকুরি পায় না তাদেরও দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই দেশের যুবসমাজ দেশের জন্য শক্তিতে পরিণত হোক তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।তিনি আইটি ক্ষেত্রে এবং উচ্চ শিক্ষা প্রসারে সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের বিষয় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।এ সময় পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির উপদেষ্টা আবুল হোসেন মিয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, চীফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাছুমা ভুঞা ফারহা সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, পিপলএনটেক আইটি প্রশিক্ষণ নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া ও নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠানটির শাখা রয়েছে। ঢাকার গ্রিনরোড, পান্থপথ এবং ধানমন্ডিতেও এর শাখা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। যিনি দেশের বাইরে প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান ও সিইও।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২৩
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও পিপলএনটেক প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপের সাথে সাক্ষাৎ করলেন যুক্তরাষ্ট্রে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীরা।শনিবার ১৯ আগষ্ট বেলা ১১ টায় পিপলএনটেক বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য ভর্তির যোগ্যতা, ভর্তির জন্য সুযোগ - সুবিধা , টিউশন ফি, থাকা ও খাওয়া খরচ, ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ফারহানা হানিপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার জন্য আমরা বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দিয়েছি আপনাদের এই সুযোগ গ্রহন করা উচিত।শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন যাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ফারহানা হানিপ বলেন, 'পিপলএনটেক ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এই দুইটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা হিসাবে গড়ে তুলতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।বাংলাদেশীদের জীবনমান উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘ দেড় যুগ আগে আমারা এপার্টমেন্টের বেইসমেন্টে আইটি চাকুরী পাওয়ার জন্য যে শিক্ষা পদ্ধতি চালু করেছিলাম তা এখন বাংলাদেশ কমিউনিটির গন্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কমিউনিটির কাছে পৌছে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে অড জব থেকে বের করে আইট শিক্ষায় শিক্ষিত করে আইটিতে চাকুরীর ব্যবস্থা করার যে স্বপ্ন ছিল, তার সফল বাস্তবায়ন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন । তিনি বলেন প্রায় আট হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীর আইটি জবের ব্যবস্থা করে পিপলএনটেক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রর অন্যতম একটি সেরা আইটি ট্রেনিং সেন্টারে পরিনত হয়েছে'।তিনি আরো বলেন,' যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশীদেরকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছানোর জন্য পিপলএনটেক এর পাশাপাশি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজিও বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন চার বছরের ডিগ্রি নিয়ে যাতে করে বসে থাকতে না হয় তার জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি এবং পিপলএন্ডটেক ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির কর্মকর্তাবৃন্দ কাজ করে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে পিপলএন্ডটেক ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির বিভিন্ন্ কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তিনি জানান'।অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন পিপলএনটেক ইনস্টিটিউট অফ আইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশরুল হোসাইন খান লিওন, চীফ অপারেটিং অফিসার আব্দুল হামিদ, ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাছুমা ভুঞা ফারহা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ আগস্ট ২০২৩
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ‘অফিস সহায়ক’ পদের একজন নিয়োগপ্রার্থী দিনাজপুরের মোবারক হোসেন। প্রথমে নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) পরীক্ষা হয়। নৈর্ব্যক্তিকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে হয় লিখিত পরীক্ষা। উভয় পরীক্ষায় ‘উত্তীর্ণ’ হন মোবারক। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গত ২০ জুলাই মোবারক রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে হাজির হন। মৌখিক পরীক্ষার নিয়োগ বোর্ডে তিনি কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। তখন নিয়োগ বোর্ডের সন্দেহ হয়। বোর্ডের সদস্যরা মোবারককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে মোবারক বলেন, ‘স্যার, আমি কোনো (এমসিকিউ-লিখিত) পরীক্ষা নিজে দিইনি। আমার হয়ে অন্য কেউ পরীক্ষা দিয়েছেন।’মোবারক লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। লিখিত স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেন, এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষায় নিজে অংশ নেবেন না, কিন্তু উত্তীর্ণ করিয়ে দেবেন—এমন শর্তে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি এমসিকিউ ও লিখিত কোনো পরীক্ষায় নিজে অংশ নেননি। তাঁর হয়ে অজ্ঞাত কেউ অংশ নিয়েছেন। এভাবে উভয় পরীক্ষাতেই তিনি উত্তীর্ণ হন। তিনি ইতিমধ্যে চুক্তির সাড়ে সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।জালিয়াতি ধরা পড়ার পর ২০ জুলাই মোবারকের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করে নির্বাচন কমিশন। মামলায় মোবারকের ভাই মোবাশ্বেরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। মোবাশ্বেরুল নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মালি পদে কর্মরত। পরে নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ মোবারক ও মোবাশ্বেরকে পুলিশে সোপর্দ করে।একই পদে নিয়োগের এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা না দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার অভিযোগে আরও ১৩ প্রার্থীকে আটক করে নির্বাচন কমিশন। জালিয়াতির এসব ঘটনায় মোট আটটি মামলা করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীর।জানতে চাইলে নাজমুল কবীর গতকাল বুধবার বলেন, ‘নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও যেসব চাকরিপ্রার্থী টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, এমন ১৪ জনকে আমরা ধরেছি। তাঁদের আটক করে পুলিশে দিয়েছি। মামলা করেছি। এমন আরও কেউ আছেন কি না, তা শনাক্তের কাজ চলছে।’নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, অফিস সহায়কের ১৭৮টি পদে লোক নিয়োগের জন্য ৩ বছর আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল মাধ্যমিক পাস। এই পদে নিয়োগ পেতে অনলাইনে ১ লাখ ৩১ হাজার ব্যক্তি আবেদন করেন। রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ৩১ মার্চ। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে লিখিত পরীক্ষা হয় গত ১৯ মে। নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় জুলাই থেকে। মৌখিক পরীক্ষা এখনো চলছে।নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় দেখা যায়, নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া কিছু প্রার্থী কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না। এমন নিয়োগপ্রার্থীদের নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এভাবে ১৪ নিয়োগপ্রার্থী ধরা পড়েন। তাঁরা প্রত্যেকে লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, তাঁরা টাকা দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁদের হয়ে অন্য কেউ নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।১৪ নিয়োগপ্রার্থীর স্বীকারোক্তির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁরা মোট ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার চুক্তি করেন। এর মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ টাকা পরিশোধও হয়েছে। কোনো কোনো প্রার্থী সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পেতে যাঁরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।নির্বাচন কমিশনের করা মামলাগুলোর কাগজপত্রের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, যে ১৪ নিয়োগপ্রার্থী গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা তাঁদের স্বীকারোক্তিতে এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নাম ও মুঠোফোন উল্লেখ করেছেন। কত টাকার চুক্তি হয়েছে, কত টাকা দিয়েছেন, তা–ও তাঁরা বলেছেন। তবে জালিয়াতে যুক্ত এসব ব্যক্তির কেউ এখনো ধরা পড়েননি।দিনাজপুরের মোবারক লিখিত স্বীকারোক্তির তথ্য বলেছেন, নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি রাজু নামের একজনের সঙ্গে ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেন।ধরা পড়া আরেক নিয়োগপ্রার্থী হাফিজুর রহমান তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, পল্লব হোসেন ও সোহাগের সহযোগিতায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দেন। পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি এই পরীক্ষা দেন।নিয়োগপ্রার্থী পলাশ চন্দ্র তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, বাচ্চু ও ফারুকের সহযোগিতায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দিয়ে দেন। সেই ব্যক্তির সঙ্গে ১৬ লাখ টাকার চুক্তি হয়। তিনি ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।নিয়োগপ্রার্থী নূর মোহাম্মদ তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, শাহাজাহানের সহযোগিতায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দেন। সেই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সাত লাখ টাকার চুক্তি হয়।আবদুল্লাহ নামের নিয়োগপ্রার্থী তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, মোতালেবের মধ্যস্থতায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দেন। ১৪ লাখ টাকা চুক্তি হয়। তিনি ১২ লাখ টাকা দিয়েছেন।নিয়োগপ্রার্থী তরিকুজ্জামান তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, রংপুরের নূর নবী ও সরোয়ারের সহযোগিতায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয়। তিনি ইতিমধ্যে সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।সিরাজগঞ্জের সাথী খাতুন নামের নিয়োগপ্রার্থী স্বীকারোক্তিতে বলেন, জয়নাল ও নাজিমের সহযোগিতায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দিয়ে দেন। এ জন্য আট লাখ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। তিনি ইতিমধ্যে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।কুড়িগ্রামের রকিবুল ইসলাম নামের নিয়োগপ্রার্থী তাঁর স্বীকারোক্তিতে বলেন, শামসুল আলমের সহযোগিতায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দেন। ১৪ লাখ টাকার চুক্তি হয়। তিনি ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।বরিশালের নিয়োগপ্রার্থী শাহ আলম বলেন, তাঁর হয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি চুক্তির ১০ লাখ টাকার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ঠাকুরগাঁওয়ের নিয়োগপ্রার্থী জহিরুল ইসলাম ১০ লাখ টাকার চুক্তিতে পাস করেছেন। ১৪ লাখ টাকার চুক্তিতে পাস করেছেন কুড়িগ্রামের রতন কুমার। পটুয়াখালীর শাকিল উদ্দিন ১৪ লাখ টাকার চুক্তিতে পাস করেন। ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে পাস করেছেন নীলফামারীর মশিউর রহমান। রিপন ইসলাম পাস করেছেন ১০ লাখ টাকার চুক্তিতে।নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নিয়োগপ্রার্থীরা প্রথমে অনলাইনে আবেদন করেন। পরে তাঁরা অনলাইন থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেন। প্রত্যেক নিয়োগপ্রার্থীর ছবিযুক্ত তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে সংরক্ষিত আছে।তবে তারপরও প্রকৃত নিয়োগপ্রার্থীর পরিবর্তে কীভাবে অন্যরা নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেন, সে ব্যাপারে যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নাজমুল কবীর বলেন, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগপ্রার্থীদের ছবিযুক্ত তালিকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে অন্যরা পরীক্ষা দিতে পারল, তা তদন্তের বিষয়। এই জালিয়াতি কীভাবে হলো, কারা জড়িত, তা নিশ্চয়ই পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসবে।পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক গতকাল বলেন, ‘এই জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আমরা আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করব।’সূত্র - প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ আগস্ট ২০২৩
৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ বৃহস্পতিবার পিএসসির ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।৪১তম বিসিএসে ২৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ফলাফল সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন ৪ লাখের বেশি প্রার্থী। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি।প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ হন। তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের ১০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ১৩ হাজার জন উত্তীর্ণ হন।২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৬ জুন শেষ হয় ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা।.কোন ক্যাডারে কতোজন২ হাজার ৫২০ জনের মধ্যে প্রশাসনে ৩২৩ জন, পুলিশে ১০০ জন, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন ১০৮ জন, ডেন্টিস্ট ১৭১ জন, কৃষি ক্যাডারে ২৩০ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৮৮ জন, বন ক্যাডারে ৩৬ জন, পশু সম্পদ ক্যাডারে ৭৬ জন, তথ্য ক্যাডারের তিন পদে ৩৮ জন, কর ক্যাডারে ৬০ জন ও অন্যান্য ক্যাডারে ৪৬৫ জন।পেশাগত ১৬টি ক্যাডারে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কাউকে সুপারিশ করতে পারেনি পিএসসি। এছাড়া নন-ক্যাডারে ৯ হাজার ৮২১ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৩ আগস্ট ২০২৩
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল (How to get your SSC results?) প্রকাশ করা হবে শুক্রবার (২৮ জুলাই)। বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরবেন ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ফল জানতে পারবে। এছাড়াও এসএমএস করেও ফল জানতে পারবে।এসএসসির রেজাল্ট কবে? তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন ছিল। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ২৮ জুলাই (শুক্রবার) প্রকাশ করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এসএসসি পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চারটি শিক্ষাবোর্ডের দুটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। নিয়মিত পরীক্ষা শেষে এই পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়।সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ২৩ মে পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ মে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ২৫ মে পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে শুরু হয়ে ৩ জুন শেষ হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ২৩ মে পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ মে শুরু হয়ে ৪ জুন শেষ হয়।জানা গেছে, এবারের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন অংশ নেয়। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৭৯৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মোট ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়।২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এছাড়া মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।এসএসসি ও সমমানের ফল তিনভাবে জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশ হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী সেখান থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে educationboardresults.gov.bd প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে।এর বাইরে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর আবারও স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে (উদাহরণ-SSC DHA ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ জুলাই ২০২৩
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়গুলো এই ছুটির ঘোষণাও দিয়েছে। কিন্তু তার ঠিক এক দিন আগে ছুটি বাতিল করে ক্লাস চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। সেটি এখন আর হচ্ছে না। তবে বৃহস্পতিবার ছুটি থাকবে। এরপর সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি শেষে রোববার থেকে যথারীতি ক্লাস হবে।বৈঠকে শিক্ষকেরা জানান, ইতিমধ্যে ছুটি ঘোষণা হয়ে গেছে। পরে সাংবাদিকেরাও এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান। তখন ছুটি বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এ বছর ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে হবে। তফসিল ঘোষণা হয়ে নির্বাচনী প্রচার ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই শুরু হবে। কাজেই আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা নভেম্বরের শেষের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে।’এ কারণে এবার শিক্ষাবর্ষ শেষ করার জন্য সময় কম জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে এইবার গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করে শীতের ছুটি বাড়িয়ে দেব, যেটা ডিসেম্বরে হবে। আর গ্রীষ্মের ছুটিটা এখন আর থাকছে না। কাজেই এখন ক্লাস চলবে। নভেম্বরের শেষের মধ্যে যেন আমরা সব ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করতে পারি।’শিক্ষা-সংক্রান্ত এ ধরনের সিদ্ধান্ত আগেভাগেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষক ও অভিভাবকদের অনেকে। তাঁদের যুক্তি, অনেকেই আগে থেকে ছুটি ঘিরে নানা ধরনের পরিকল্পনা করে থাকেন।এমন সময়ে শিক্ষামন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিলেন, যখন মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষকদের ওই আন্দোলন বন্ধ করে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জুলাই ২০২৩
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন।সোমবার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখার উপসচিব ড. মো: ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর-১০/৭৩)-এর সংশোধিত আইন, ১৯৯৮-এর ২ (বি) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।উল্লেখ্য, এর আগে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইটি প্রতিষ্ঠান ‘পিপল এন টেক’ এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন ।প্রযুক্তিবিদ ড. সাজ্জাদ হোসেন ১৯৬৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন নিজ জেলা চট্টগ্রামে। পড়াশুনা করেছেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এবং এর পর চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে রাশিয়ার বিখ্যাত মস্কো টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর লেখা ‘প্রোগ্রামিং ইন সি’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ জুন ২০২৩
ওয়াশিংটন ইউনিভাসির্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি )’ তে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নামে এক লাখ ডলারের স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছেন চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ।বাংলাদেশি-আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপকে ‘ম্যাজিকম্যান’ বলে আখ্যায়িত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আমন্ত্রণে ডিসিতে অবস্থানকালে ১১ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন।চ্যান্সেলর হনিপ জানান, তিনশ' থেকে ডব্লিউইউএসটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৫শ'। তার মাঝে ৬শ'র মত বাংলাদেশি স্টুডেন্ট। জুলাই থেকে নিজেদের নতুন ক্যাম্পাসে শুরু হতে যাচ্ছে কার্যক্রম। যোগ হবে নার্সিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডেটা-সায়েন্সসহ নতুন কিছু প্রোগাম।উদ্বোধনের দু'বছর পর এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতি ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা পাঁচগুণ বৃদ্ধি দেখে ড. মোমেন বলেন, আবুবকর হানিপ একটি সফলতার গল্পের নাম। আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যে ল্যান্ড অব অপরচ্যুনিটি বলা হয়, ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তা প্রমাণ করিয়ে দেখিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। প্রথম বারের মত ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপের এই উদ্যোগের প্রশংসা তিনিও করেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তাগণকে আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান। শত ব্যস্ততার মাঝেও এই সফরের জন্য তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ক্যাম্পাস ত্যাগের আগে আশ্বাস দিয়ে যান নতুন ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু হলে তিনি আবারও আসবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৩ এপ্রিল ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।পরে আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, আদালত বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। এটাই আমাদের সংবিধানের স্পিরিট। কাউকে কানসহ মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা যাবে না।এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশন চলাকালে প্রত্যেক ছাত্রীর কানসহ মুখ খোলা রাখার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন।ঢাবি ভিসি, বাংলা বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আজিজুল হক স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮/৯/২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) শাখা ছাত্রলীগের ‘নির্যাতনের’ শিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির দুই ছাত্রকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুই ছাত্রকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। দুই ছাত্র হলেন জাহিদ হোসেন ওরফে ওয়াকিল (২২) ও সাকিব হোসেন (২২)। ছাত্রশিবির সন্দেহে গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে তাঁদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। একই সময় এস এ রায়হান (২১) ও মোবাশ্বির হোসেন (২২) নামের অপর দুই ছাত্রকে নির্যাতন করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।নির্যাতনের শিকার ৪ ছাত্রই চমেকের ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।চমেক সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই চার ছাত্রকে ছাত্রাবাসের নিজ নিজ কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাঁদের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। গতকাল সন্ধ্যার দিকে তাঁদের বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। রায়হান ও মোবাশ্বির বাড়িতে ফিরে যান। জাহিদ ও সাকিব চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। তখন ঘটনা জানাজানি হয়।চিকিৎসাধীন দুই ছাত্রের বিষয়ে চমেক অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার বলেন, দুজনের অবস্থাই স্থিতিশীল। তাঁদের জীবনের আশঙ্কা নেই। তবে একটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য তাঁদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।সাহেনা আক্তার বলেন, চমেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তারপরও কেন এই ঘটনা ঘটল, কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চমেকের অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি খতিয়ে দেখছে।চমেকে ছাত্রলীগের দুটি ধারা সক্রিয়। মহিবুলের বাইরে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের একটি পক্ষ চমেকে সক্রিয়।২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির পর চমেক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন মারামারিতে মহিবুলপন্থী মাহাদি জে আকিব নামের এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাঁর মাথার খুলির হাড় ভেঙে গিয়েছিল। এরপর চমেক ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।সূত্র : প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর এইচএসসি নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।এর আগে বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চামেলী হলে নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডে জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন। সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭১ জন। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ- ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৬ জন।যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭০৬ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৩০ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন।এছাড়া কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৫ জন। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ প্লাস পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন।গত বছরের ৬ নভেম্বর শুরু হয়েছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখের কিছু বেশি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪ দিনব্যাপি ছাপচিত্র কর্মশালা । বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নিচ তলায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় । এতে ছাপচিত্রের বিভিন্ন মাধ্যমের করণকৌশল এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোকপাত ও প্রশিক্ষণ নেন শিক্ষার্থীরা । ২৪ , ২৫, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি , এই চারদিনব্যাপী কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক নগরবাসীর বর্মন (পার্থ) । উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং ছাপচিত্র বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল শাহরিয়ার।ছাপচিত্রের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো রিলিফ প্রোসেস।আর রিলিফ প্রোসেস এর একটি উল্লেখযোগ্য পদ্ধতির নাম উডকাঠ। ছাপচিত্র কর্মশালাটিতে শেখানো হয়েছে কিভাবে রঙিন উডকাঠ করতে হয়। চারুকলা অনুষদের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কর্মশালাটিতে সফল ভাবে সংগ্রহ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। রং, প্লেট সহ আনুষঙ্গিক সকল সহযোগিতা প্রদান করেন চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নগরবাসীর বর্মন।প্রোগ্ৰামটির পরিচালক নগরবাসীর বর্মন বলেন , ২০১৫ সালের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এটিই প্রথম কোন ছাপচিত্র কর্মশালা । এতে অংশগ্ৰহণ করতে পেরে শিক্ষার্থীরা খুবই আনন্দিত । আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়া স্মরণে ঢাকার লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য ছাপচিত্র মেলায় কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কাজগুলো প্রদর্শিত হবে । আমি আশা করি এ ধরণের কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আগামীতে ভাল কিছু করতে উদ্বুদ্ধ হবে ।মোকছেদুল মুমীন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ জানুয়ারি ২০২৩
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) এ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তপন কুমার সরকার বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এ পরীক্ষার ফল প্রকাশে আগামী ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাই। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠালে তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে গত বৃহস্পতিাবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্মতির বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় নির্ধারণ করায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এদিকে পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন। এরপর দুপুরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুর ১২টার পর থেকে রেজাল্ট জানা যাবে।করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ৬ নভেম্বর সারা দেশে অনেকটা স্বাভাবিক পরিবেশে শুরু হয়েছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখের কিছু বেশি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ জানুয়ারি ২০২৩
মোকছেদুল মুমীন, জাককানইবি প্রতিনিধি : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ মাস ধরে নেই বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার।গত বছরের ৩০ জুন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ কর্মদিবস সম্পন্ন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালালউদ্দিন। ২০১৮ সালের ৩ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদ এটি। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে প্রো-ভিসি পদ না থাকায় ভিসির অনুপস্থিতিতে রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে থাকেন ট্রেজারার। প্রায় সাত মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য হয়ে আছে।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ১২(৫) ধারায় বলা হয়েছে, ‘ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে ভাইস-চ্যান্সেলর, সংশ্লিষ্ট কমিটি, ইনস্টিটিউট ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পরামর্শ প্রদান করিবেন।’এই আইনের ২৮ (১) ধারা অনুযায়ী ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির সভাপতিও। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়াকার্স কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ট্রেজারার।দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পদ শূন্য থাকার কারণে প্রশাসনিক কাজ তদারকি এবং সমন্বয়ে উপাচার্যের উপর অতিরিক্ত চাপ পরছে।অথচ এই সুদীর্ঘ সময় পরেও ট্রেজারার নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা আসছে না।এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড সৌমিত্র শেখর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার নিয়োগ কিংবা নিয়োগের প্রক্রিয়ায় উপাচার্যের কোনো এখতিয়ার নেই।দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার পদ শূন্য থাকা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি, প্রো- ভিসি কিংবা ট্রেজারার নিয়োগে ইউজিসির কোনো ভূমিকা থাকে না। সরকার এসব পদে নিয়োগ প্রদান করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ভিক্টর পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম নাদিয়া। আজ রোববার বেলা পৌনে একটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। তবে পালিয়ে গেছেন বাসচালক ও তাঁর সহযোগী।ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম আছাদুজ্জামান বলেন, উত্তরার দিক থেকে আসা ভিক্টর বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যান নাদিয়া।তবে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে, নাকি বাস থেকে নামতে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি, শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জানা যায়নি।ওসি এ বি এম আছাদুজ্জামান আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৩ জানুয়ারি ২০২৩