যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার স্টেট সিনেট অ্যাসেম্বলিতে স্থান পেলো বাংলাদেশি মালিকানাধীন একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স স্টেট সিনেটর জন চ্যাপম্যান পিটারসন ভার্জিনিয়ার স্টেট সিনেট অ্যাসেম্বলিতে তার উপস্থাপনায় তুলে আনেন নিজের নির্বাচনী এলাকার এই বিশ্ববিদ্যালটির কথা।বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এতে যোগ দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, বিজনেস স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর ড. হুয়ান লি ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নাঈম হাসান।সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৪০ জেলার স্টেট সিনেটর। অ্যাসেম্বলি পরিচালনা করেন লেফট্যান্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল সিয়ার্স।সেনেটরের উপস্থাপনার পর লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল সিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার বিস্তার এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।এক প্রতিক্রিয়ায় ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, 'প্রতিটা কাজেরই একটা স্বীকৃতির প্রত্যাশা থাকে। স্টেট অ্যাসেম্বলিতে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কথা উঠে আসা একটি অন্যতম স্বীকৃতি। এতে আমাদের এগিয়ে চলার পথে নতুন উদ্দীপনা কাজ করবে।'তিনি আরও বলেন, 'অ্যাসেম্বলি হলে সব স্টেট সিনেটর ও অন্য অতিথিরা যখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য করতালি দিচ্ছিলেন সে সময়টি আমাকে অবশ্যই গর্বিত করেছে। দৃশ্যটি আমার দীর্ঘদিন মনে ধরে থাকবে।'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির জন্য দিনটি ছিল স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো একটি দিন।'ফারহানা হানিপ বলেন, 'এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার। এতে সবাই আরও উদ্দীপ্ত হয়ে কাজ করবে। স্টেট পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যে স্বীকৃতি পেলো নিঃসন্দেহে তা এর নতুন পথচলার উদ্দীপনা হয়ে থাকবে। একসময় ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকেও মিলবে এমন স্বীকৃতি এমনটাই প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত সবার।'প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০২১ সালে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকানা নেন। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। যার মধ্য দিয়ে এটি দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যায় ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।২০২১ সালে তি্ন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার যাত্রা শুরু করেন। দুই বছরের ব্যবধানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০০ এর বেশি। যার মধ্যে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলার কাম প্রাক্টিশনার শিক্ষক, সুসংগঠিত টিমওয়ার্ক, শ্রেণিকক্ষে কর্মস্থলের রেপ্লিকা সৃষ্টি করে দেওয়া বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি ও সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস প্রতিষ্ঠা এই সাফল্যের কারণ।বিদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও গ্রিনকার্ড হোল্ডার শিক্ষার্থীরাও এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের পাঠ্যস্থল হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ জানুয়ারি ২০২৩
মোকছেদুল মুমীন ,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ গুচ্ছভুক্ত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ধাপের শূন্য আসনে ভর্তির জন্য প্রকাশিত ফলাফলে নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ এনে আন্দোলনে বসেছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি মেধাতালিকায় সামনে থেকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিত অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখেই রিপোর্টিংয়ের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও তারা ভর্তির জন্য মনোনিত হননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে যারা মেধাতালিকায় সামনে থেকেও ভর্তির জন্য মনোনিত হননি তারা হয়তো তাড়াহুড়ো করে রিপোর্টিংয়ের সময় স্বাক্ষর করেননি অথবা প্রবেশপত্র জমা দেননি। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনে বসেন ভর্তিচ্ছু ৪ শিক্ষার্থী। এসময় তারা প্রকাশিত ৭ম মেধাতালিকা বাতিল করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান অথবা তারা যে রিপর্টিংয়ের সময় স্বাক্ষর করেনি বলে বলা হচ্ছে সেই কাগজ দেখোনোর দাবি করেন। আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী রায়হান রাসেল বলেন, “গুচ্ছ মেধাতালিকায় বি ইউনিটে আমার পজিশন ছিল ১১৮১। আমার সাজেক্ট পছন্দের তালিকায় ফোকলোর বিভাগ ছিল,অথচ মেধাতালিকায় আমার পেছনে ১২৯২ মেধাক্রমে থেকে ফোকলোর বিভাগ পেলেও আমাকে কোনো বিভাগে মনোনিত করা হয়নি। আমি রিপোর্টিংয়ের সময় সকল ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আমি ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রেখে নতুন করে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। অথবা আমাকে রিপোর্টিংয়ের নথি দেখানো হোক ।”সি ইউনিটের মেধাতালিকায় ৬৬১ তম অবস্থানে থাকা উদয় হাসান রাজ বলেন,“আমার সাথে অবিচার করা হয়েছে।সকল শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও আমাকে ভর্তির সুযোগ না দিয়ে আমার পরে মেরিটে থাকা অনেককেই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।আমি পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।”এসময় আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর(ভারপ্রাপ্ত) ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান। তিনি আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের গুচ্ছের নিয়ম মেনে ফলাফল পুনঃবিবেচনা করতে বলেন। পরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড.হুমায়ুন কবীরের কাছে গেলে তিনি বলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংশয় বা অভিযোগ থাকলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ২০০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ব্যাংক রশিদসহ আবেদন করতে হবে।কেউ যোগ্য হলে অবশ্যই তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।”এর আগে সোমবার(১৬ জানুয়ারি)রাতে ৭ম মেধাতালিকা প্রকাশের সাথে সাথে প্রকাশিত ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
করোনার সংক্রমণের কারণে গত তিন বছর ধরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা পরীক্ষা হয়নি। নতুন শিক্ষাক্রমেও এই পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা নেই। এমন অবস্থায় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুই পাবলিক পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনুমোদন দিয়েছেন।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশ থেকে জানা যায় তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাই ২০২২,২০২৩ এবং পরবর্তীতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’ওই আদেশে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন।২০০৯ সালে হঠাৎ করেই জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। প্রথমে শুধু সাধারণ ধারার শিক্ষায় এটি সীমাবদ্ধ ছিল। পরে মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পঞ্চম শ্রেণির সমমান) পরীক্ষাও চালু করা হয়। এরপর ২০১০ সালে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এসব পরীক্ষা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা আছে। সাধারণত প্রতি বছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ জন্য গত তিন বছর এ পরীক্ষাগুলো হয়নি।এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও গত তিন বছর ধরে আর হচ্ছে না। কিন্তু বিদায়ী বছরের শেষ পর্যায়ে আকস্মিকভাবেই পঞ্চম পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চাপিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৭ জানুয়ারি ২০২৩
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে এ বছর যে বইগুলো গেছে সেগুলো পরীক্ষামূলকভাবে গেছে। মাধ্যমিকের ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণ বইগুলো দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী বছরব্যাপী এগুলোকে পরিমার্জন-পরিশীলন করা হবে।তিনি বলেন, কাজেই এবার ৬ষ্ঠ, সপ্তম ও প্রথম শ্রেণিতে যে বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে উঠেছে সেগুলোতে ভুল থাকতে পারে। বিষয়বস্তুর সঙ্গে কারও দ্বিমত, অস্বস্তি কিংবা আপত্তি থাকতে পারে, সেগুলো যেন আমাদের জানানো হয়। আগামী বছরগুলোতে সেগুলোর সংস্করণ করবো।শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত একুশ শতকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ জানুয়ারি ২০২৩
বাবা ভক্তের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওসমান গণি বেশ আলোচনায় এসেছেন । সমাবর্তনে অংশ নেয়ার অর্থ দিয়ে বাবার ঢাকা দেখার স্বপ্নপূরণ করেছেন ওসমান। এর পরই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। পরে তাকে ডেকে নিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গেল বুধবার সন্ধ্যায় (২৮ ডিসেম্বর) ঢাবি শিক্ষার্থী ওসমান গণিকে তার বাবাভক্তির জন্য নিজের বাসায় ডেকে কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।পত্রিকায় বাবার প্রতি ভালোবাসার এ সংবাদ দেখে তথ্যমন্ত্রী তার মিন্টো রোডের বাসভবনে ওসমান গণিকে আমন্ত্রণ জানান। মন্ত্রীর বাসভবনে এলে ওসমান গণিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন ড. হাছান। এ সময় ওসমানের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ে সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং মন্ত্রী নিজের বাবা ও ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এসময় ওসমান গণি ও তার বাবার জন্য উপহার সামগ্রী এবং আর্থিক সহায়তা দেন ড. হাছান মাহমুদ । জানা যায়, পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ওসমান গণি তার সঞ্চয় দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন না করে সে অর্থ দিয়ে তার বাবা বুলু আকন্দকে প্রথমবারের মতো ঢাকা মহানগরী ও পদ্মাসেতু দেখান। পরে সহপাঠীদের কাছ থেকে গাউন ধার করে বাবার সঙ্গে ছবি তুলে ১৯ নভেম্বর ফেসবুকে তিনি লেখেন- ‘আমাকে গড়ার মূল কারিগর আমার বাবা, আজ আমার ক্যাম্পাসে। ৫৩তম সমাবর্তন, ঢাবি।’ওসমান গণির মা রওশন আরা ও বাবা বুলু আকন্দ বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার হাঁসরাজ গ্রামের বাসিন্দা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
মোকছেদুল মুমীন, জাককানইবি প্রতিনিধি : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কালো ব্যাজ ধারণ করার মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে ক্যাম্পাসে ‘চির উন্নত মম শির’ প্রাঙ্গণে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) ড. তারিকুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তুহিনুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেন,বঙ্গবন্ধু-নীল দলের সভাপতি প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানসহ অন্যরা। এসময় কলা অনুষদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব হল, দোলন-চাঁপা হল, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তব অর্পণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তরাধিকার’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।মুক্তিযুদ্ধের বুদ্ধিজীবী শ্রেণির অবদান অপরিসীম মন্তব্য করে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, যেকোন রাজনৈতিক সংগ্রামের পেছনে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম ক্রিয়াশীল থাকে। মাঠের যে যুদ্ধ সেই বাহ্যিক লড়াইয়ের আগে একটি মনস্তাত্তি¡ক যুদ্ধ থাকে। বুদ্ধিজীবীরা এই মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে অংশ নেন। যেটি আমরা বাইরে থেকে সাধারণত দেখি না। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেও বুদ্ধিজীবী শ্রেণি মনস্তাত্তি¡ক লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। আমাদের মুক্তির লড়াইয়ের একাত্তর পর্যন্ত পৌঁছানোর সুদীর্ঘ বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস রয়েছে।উপাচার্য বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আগের প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে বুদ্ধিজীবীদের অবদান অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু সবসময় বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সঙ্গে মিশতেন। তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। এমনকি বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও তার বঙ্গভবনের দরজা বুদ্ধিজীবীদের জন্য সবসময় খোলা ছিল।লড়াই সংগ্রামের বুদ্ধিজীবীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, পৃথিবীর যখনই কোথাও লড়াই হয়েছে, সাধারণ মানুষ জেগে উঠবার চেষ্টা করেছে তখন প্রণোদনা জুগিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ,ভিয়েতনাম যুদ্ধ, সোভিয়েত বিপ্লবের দিকে তাকালে আমরা সেটি দেখতে পাই। ম্যক্সিম গোর্কি রাশিয়ান জনগণকে, হো চি মিন ভিয়েতনামের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বুদ্ধিজীবীরা আমাদের মনোজগৎকে ঋদ্ধ করেন তাই কুশাসকরা এই শ্রেণিকে দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করে।যে জাতির সংস্কৃতি যত উন্নত সে জাতিকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না উল্লেখ করে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এই দিবসের সংকল্প হবে, বুদ্ধিজীবীদের চিন্তার আলোকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়া।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম। আলোচনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তুহিনুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেন,বঙ্গবন্ধু-নীল দলের সভাপতি প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দোলন-চাঁপা হলের প্রভোস্ট মাশকুরা রহমান রিদম ও থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যা ছয়টায় ‘চির উন্নত মম শির’ প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
উচ্চমাধ্যমিকে (একাদশ শ্রেণি) শিগগির শুরু হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া। এবারো কলেজগুলোতে ভর্তি করা হবে মেধার ভিত্তিতে। ব্যতিক্রম শুধু চার্চ পরিচালিত তিন কলেজ। সেখানে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ৮ ডিসেম্বর অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেওয়ার চিন্তা করছে বোর্ডগুলো। দু’মাস ধরে চলবে ভর্তি কার্যক্রম। তিন থেকে চার ধাপে আবেদন কার্যক্রম ও ফল প্রকাশ করা হবে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে ক্লাস শুরুর চিন্তা। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই চূড়ান্ত হবে সব।পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতেও একই তারিখ থেকে আবেদন নেওয়ার চিন্তা চলছে। আর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ক্লাস শুরু করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে আলাদা দু’টি ভর্তি নীতিমালায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অনুমোদনে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এই দুই নীতিমালা চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।জানা যায়, সারাদেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদরাসায় একদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা চলে। সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে ৫৬৫টি। এছাড়া ডিপ্লোমা ইন কমার্স প্রতিষ্ঠান সাতটি এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি) পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ১৮শ। কলেজ ও মাদরাসায় আসন আছে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকে আছে প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার।এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে প্রায় ৯ লাখ আসন রয়েছে। এর মধ্যে এইচএসসি ভোকেশনালে পৌনে তিন লাখ, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তিতে (বিএমটি) চার লাখ আসন। সব মিলে আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ। এবার এসএসসি, দাখিল এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে মোট পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। এতে এসএসসি, দাখিল আর কারিগরি- এই তিন স্তরে শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে শুধু এসএসসিতে পাস করেছে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭১ জন, মাদরাসায় ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন, আর কারিগরিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৬৫ জন। সব শিক্ষার্থী ভর্তির পরও আসন শূন্য থাকছে প্রায় ১৬ লাখ।ভর্তির জন্য ওয়েবসাইট xiclassadmission.gov.bd-তে আবেদন করতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা সর্বনিন্ম পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে পারবে। খসড়া নীতিমালায় উন্মুক্ত বিশ্বিবিদ্যালয়ের এইচএসসি প্রোগ্রাম আর পলিটেকনিকের মতোই বয়সসীমা তুলে দেওয়ার চিন্তা আছে। যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিলের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছে তাদের আবেদনের শেষ তারিখ আলাদাভাবে ঠিক করা হবে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ১ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে বলে জানা যায়।এসব বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির খসড়া নীতিমালা অনুমোদনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার সভা ডাকা হয়েছে। চূড়ান্ত হওয়ার পর সেটি প্রকাশ করা হবে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশে ভর্তির আবেদন আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু করার প্রস্তাব রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ডিসেম্বর ২০২২
এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে মেয়েরা। ১ লাখ ৪৮ হাজার চারশ ৪৬ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আজ সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এসএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়েছে ২,৬৯,৬০২ জন।এর মধ্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ–৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩।এদিকে, চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০। আর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ।এর আগে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করা হয়। দুপুর ১২টার পর থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়।মহামারি করোনা ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি। তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৬ লাখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফল ঘোষণা করেন।প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চামেলী হলে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।যেভাবে ফল জানা যাবে—আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে।নির্ধারিত http://www.educationboardresults.gov.bd/ ও https://eboardresults.com/v2/home ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।এছাড়া মোবাইল ফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। মোবাইল ফোনে মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ—SSC DHA 123456 2022 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ—DAKHIL MAD 123456 2022 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৯ নভেম্বর ২০২২
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ফল প্রকাশের পর নিয়োগ দেওয়ার কাজও দ্রুতই শুরু হবে বলে জানা গেছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজ শনিবার বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সচিবালয়ে আসার কথা রয়েছে। আমরা তাঁকে বিষয়টি অবহিত করব। এরপর এ সপ্তাহের যেকোনো দিন ফল প্রকাশ করা হবে।’প্রাথমিকের ফল প্রকাশ নিয়ে ধোঁয়াশা যেন কাটছে না। গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি গণমাধ্যমে ফল প্রকাশের খবর প্রকাশ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ফল প্রকাশের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর অনেক পরীক্ষার্থী খবরের সত্যতা জানতে চান। কিন্তু ওই দিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে ফল প্রকাশের খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশিত হবে, এ রকম কোনো বক্তব্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়নি। যাঁরা খবর প্রকাশ করেছেন, তাঁরা কোথা থেকে এ তথ্য পেয়েছেন, তা আমাদের জানা নেই।’ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সূত্র ধরে এ গুজব ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরীক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজবে কান না দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।পদ বাড়ছে নাসহকারী শিক্ষকের পদসংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এটি আর হচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে অনুমোদিত পদেই নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সে অনুসারে, ৩২ হাজার ৫৭৭ পদেই নিয়োগ দেওয়া হবে।প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেওয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।প্রাথমিকের ইতিহাসে বড় এই নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, যেহেতু এটি একক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, তাই লিখিত ও মৌখিক—তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হচ্ছে। তা না হলে সিনিয়র-জুনিয়র সমস্যা দেখা দিতে পারে।এ নিয়োগে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।সুত্রঃ প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২৭ নভেম্বর ২০২২
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৮ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে।আজ সোমবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।গত ১৫ সেপ্টেম্বরে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়, যা শেষ হয় ১ অক্টোবর। এরপর ১০ থেকে ১৫ অক্টোবর মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।এ বছর দেশের ৯ সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন। দেশব্যাপী ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৮ জন, রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৪ জন, যশোর বোর্ডে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৭ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১০ জন, বরিশাল বোর্ডে ৯৫ হাজার ৯৭৬ জন, সিলেট বোর্ডে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬১ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৪৮ জন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২২ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীসহ দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগরী ও জেলা সদরের সদর উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবারও বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে ডিজিটাল লটারির (অনলাইন লটারি) মাধ্যমে। আজ বুধবার থেকে এ ভর্তি আবেদন শুরু হবে। গত সোমবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হবে ১৬ নভেম্বর থেকে। চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে ডিজিটাল লটারি। আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে অনলাইন লটারি। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে লটারি ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ করতে হবে।শুধু অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করা যাবে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে (ফিডার শাখাসহ) তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করে ভর্তির কাজটি করা হবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দক্রম দিয়ে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় দিতে পারবে। অন্যদিকে সারা দেশে আবেদনকারী আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। সেখান থেকে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম দিতে পারবে। দ্বিতীয় পালায় (ডাবল শিফট) চলা বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে উভয় পালা পছন্দ করলে দুটি পছন্দ বলে গণ্য হবে।বেসরকারি বিদ্যালয়বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের মহানগরী পর্যায়ের বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও শুধু অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করা যাবে। সরকারি বিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ১৬ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। তবে এগুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাইয়ে ডিজিটাল লটারি হবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৬ নভেম্বর ২০২২
মেহেদী হাসান, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা ।পাঁচ দফা দাবিতে সোমবার (১৪ নভেম্বর ) বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষক কর্মচারীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।বশেমুরবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজে ১৯ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী আছেন । গত তিন বছর ধরে তারা কোনো বেতন ই পান না । বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে শিক্ষক কর্মচারীদের । স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে।উল্লেখ্য পাঁচ দফা গুলো হলো-চাকরি স্থায়ীকরণ, বকেয়া বেতন পরিশোধ, আগে যে ভবনে ক্লাস করা হতো সেই ভবনে ফেরত যাওয়া, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা এবং ওই প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া ।প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা আলেয়া বেগম জানান,এই প্রতিষ্ঠান নাকি ভেঙে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত আমাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি। চাকরি স্থায়ীকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্যের কক্ষে তালা লাগানো হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তালা খুলব না।’বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিটা জিনিসের একটা পদ্ধতি আছে এবং সেই পদ্ধতি অনুযায়ী এগোতে হবে। অথচ আজ তাঁরা হুট করে এসেই উপাচার্য স্যারের কক্ষের সামনে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। এটা কোনো সমাধান নয়। সমাধান করতে হলে আলোচনা করতে হবে। কিন্তু তাঁরা আমাদের আলোচনায় বসার সুযোগ দিচ্ছেন না।’এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড এ কিউ এম মাহবুব বলেন, 'বিদ্যালয়টির সমস্যা নিয়ে আমরা রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনা করব৷ কিছুদিনের মধ্যে হয়তো রিজন্ট বোর্ড বসতে পারে। রিজেন্ট বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা সেটির বাস্তবায়ন করব। তিনি বলেন, রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত ব্যতিত আমি কোনোকিছুই করতে পারবনা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১৫ নভেম্বর ২০২২
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক সমিতি ও সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির জরুরী সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামান ও সাধারণ ড. মো. আবু সালেহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এসময় তারা রিজেন্ট বোর্ডে অভিন্ন নীতিমালা নির্দেশিকা পাসের বিষয়ে বলেন, শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষকবৃন্দের অভিন্ন নীতিমালা নির্দেশিকাটি হুবহু গ্রহণ করার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকদের সাধারণ সভার পরামর্শ মোতাবেক একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক গঠিত অভিন্ন নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটির কোনো সুপারিশ গ্রহণ না করে রিজেন্ট বোর্ডে ইউজিসি কর্তৃক প্রেরিত অভিন্ন নীতিমালা নির্দেশিকাটি হুবহু অনুমোদন করা হয়েছে। ইউজিসি কর্তৃক প্রেরিত অভিন্ন নীতিমালায় শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতির বিভিন্ন শর্তের অস্পষ্টতা ও অসামঞ্জস্যতা বিদ্যমান থাকায় এবং অভিন্ন নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটির কোনো সুপারিশ গ্রহণ না করায় বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষকবৃন্দ জরুরী সাধারন সভায় নীতিমালাটি প্রত্যাখ্যান করে। উক্ত বিষয়ে দৃশ্যমান সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সর্বসম্মতিক্রমে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এছাড়া শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে উপাচার্যের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ একরের স্বল্প আয়তনে আইসিটি পার্ক স্থাপনে তীব্র আপত্তি জানান। এসময় তারা নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধি করে উক্ত স্থানে আইসিটি পার্ক স্থাপন করার দাবি জানান।উল্লেখ, এর আগে গত জুন মাস থেকে অভিন্ন নীতিমালা হুবহু গ্রহণ করার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়ে কর্মবিরতিতে গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ। এদিকে গত আগস্ট মাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইসিটি (হাইটেক) পার্কের কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে রিজেন্ট বোর্ডে তা পাশ করা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদক । ১০ নভেম্বর ২০২২
দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অনেকের। এটা যদি যুক্তরাষ্ট্রে হয় তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য কজনেরই বা ভাগ্যে জোটে। তবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আশার কথা।যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। যার নাম ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’। তবে অবাক করার বিষয় হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিক একজন বাংলাদেশি। দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটিতে গর্ব করার মতো এই উদ্যোগ নিয়েছেন প্রকৌশলী আবুবকর হানিপ।এই বাংলাদেশি মার্কিন নাগরিক জানান, এরইমধ্যে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। বছরে তাদের কারও কারও বেতন এক থেকে দেড় লাখ ডলারের মতো।তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ কোর্সে ১২১টি দেশের হাজারের বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। কারণ এখানে তাদের জন্য রয়েছে সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তিও রয়েছে। গত এক বছরে ৫০০ এর বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়তে এসেছেন।বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানা যায়, ২০০৮ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১০০ কোটি টাকায় কিনে নেন আবুবকর হানিপ। এরপর এর নাম হয় ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।’ আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর।২০২১ সালে যখন এর যাত্রা শুরু হয় তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০০। দুই বছরের কম সময়ে সেই সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক হাজার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকেই গেছেন ৫শ’র বেশি শিক্ষার্থী।আবুবকর হানিপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলভিত্তি হলো কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষায় পাঠদান। এখানে পড়ালেখা শেষ করে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন।‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’তে পড়াশোনা করছেন মাহমুদ মেনন খান। বাংলাদেশি এই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের যারা শিক্ষক রয়েছেন তারা তাদের ইন্ডাস্ট্রিতে খুব অভিজ্ঞ। একই সঙ্গে তারা আবার স্কলার। ফলে তাদের ইন্ডাস্ট্রি জ্ঞান ক্লাসরুমে শেয়ার করেন। এতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হই।বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে অনেকে কর্মক্ষেত্রে সফল হলেও এর যাত্রার পেছনের গল্পটা সহজ ছিল না। কারণ আবুবকর হানিপ শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে স্নাতক করে তিনি যান যুক্তরাষ্ট্রে।দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপীঠের সনদ থাকার পরও কেবল দক্ষতার অভাবে ঘণ্টায় মাত্র পাঁচ ডলার মজুরিতে কাজ করেছেন ভিনদেশে। এই কষ্টের অভিজ্ঞতা হানিপকে অনুপ্রাণিত করে। এরপর তিনি পিপলএনটেক নামে একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সবশেষ চালু করেন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’।বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়াই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান আবুবকর হানিপ।তিনি বলেন, আমাদের টিউশন ফি খুবই সহনীয়। যেমন মাস্টার্স করলে দুই বছরে ২২ হাজার ৬০০ ডলার লাগে। তবে যদি বৃত্তি পায় এই খরচ কমে আসে। সেক্ষেত্রে দুই বছরে ১৫ হাজার ডলার প্রয়োজন হয়।পড়াশোনার পাশাপাশি যেন চাকরি করা যায় সেই সুযোগও শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ।তিনি জানান, ওয়াশিংটনে নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ৩শ কোটি টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৮ নভেম্বর ২০২২
২০২২ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু । আজ (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে সারা দেশে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে।এ বছর পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন ছাত্র এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন ছাত্রী।এ বছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। মোট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থীরা এক হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।অপরদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৭৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৪৪৮টি কেন্দ্রে ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৫১ হাজার ৬৯৫ জন ছাত্র এবং ৪৩ হাজার ৬৮ জন ছাত্রী।এছাড়া এ বছর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৮৮ হাজার ৯১৮ জন ছাত্র এবং ৩৪ হাজার ১৩ জন ছাত্রী। এ বছর ১ হাজার ৮৫৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৬৭৩টি কেন্দ্রে তারা অংশ নেবেন।পরীক্ষার নির্দেশনা অনুযায়ী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কোনো প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক কোনভাবে পাবলিক পরীক্ষায় বেআইনি কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে।পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।এর আগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবমুক্ত, নকলমুক্ত, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২২
আব্দুর রাজ্জাক (রাজশাহী) : সারাদেশের মতই রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।রাজশাহীতেও শুরু হয়েছে।বোর্ডে এবছর (২০২২) এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ২৫ জন। এরমধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৩৬ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৬০ হাজার ৯৮৯ জন।২০১ টি কেন্দ্রে ৭৫২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৪ হাজার ৬১১ জন শিক্ষার্থীর। এছাড়া মানবিক বিভাগে ৮০ হাজার ৯৬৪ জন ও বাণিজ্য বিভাগে ১৩ হাজার ৩৮৭ জন পরীক্ষায় বসছে।জানা গেছে- এবছর (২০২২) নিয়মিত ছাত্র ৬৫ হাজার ৫৮৯ জন ও ছাত্রী ৫৯ হাজার ৩২৬ জন। এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৯৫৪ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২ হাজার ৩৭৫ ও ছাত্রী ১ হাজার ৫৭৯ জন। এবছর মানোন্নয়ন পরীক্ষায় বসছে ১৪৩ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ৬৬ ও ছাত্রী ৭৭ জন। এছাড়া প্রাইভেট ১৯ জন।রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের আওতায় রয়েছে বিভাগের ৮ জেলা। এসব জেলার মধ্যে সবচেয়ে পরীক্ষার্থী কম জায়পুরহাটে। সবচেয়ে বেশি রাজশাহীতে। এবছর রাজশাহী জেলায় ৪০টি কেন্দ্রে ১৭৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৫ হাজার ২৭৮ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ১৪ হাজার ১৯৮ ও ছাত্রী ১১ হাজার ৮০ জন।চাঁপাই নবাবগঞ্জে ১৫টি কেন্দ্রে ৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ১৭৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪৮২ ও ছাত্রী ৪ হাজার ৬৯৭ জন।নাটোরে ২০টি কেন্দ্রে ৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার ১৯৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৯০৫ ও ছাত্রী ৫ হাজার ২৯৪ জন। নওগাঁয় ২৬টি কেন্দ্রে ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার ৯৯২ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ২২৩ ও ছাত্রী ৫ হাজার ৭৬৯জন। পাবনায় ২৬টি কেন্দ্রে ৯৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭ হাজার ৪০৩ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ৮ হাজার ৩৭২ ও ছাত্রী ৯ হাজার ৩১জন। সিরাজগঞ্জে ৩০টি কেন্দ্রে ১০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২২ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ১১ হাজার ৬৫৩ ও ছাত্রী ১০ হাজার ৬৩২জন।বগুড়ায় ৩২টি কেন্দ্রে ১১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৪ হাজার ৮৩৪ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ১৩ হাজার ৩৪১ ও ছাত্রী ১১ হাজার ৪৯৩জন। জয়পুরহাটে ১২টি কেন্দ্রে ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ২ হাজার ৮৬২ ও ছাত্রী ২ হাজার ৯৯৩জন।এবছর এক বিষয়ে পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৩৯৯ জন। আর দুই বিষয়ে পরীক্ষার্থী ১৭৫ জন। মোট ২ হাজার ৫৭৪ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে ১ হাজার ৬১০ ছাত্র। আর দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে ১২৭ ছাত্র মিলে মোট ১ হাজার ৭৩৭ জন। ছাত্রীর হিসেবে এক বিষয়ে পরীক্ষায় বসছে ৭৮৯ ও দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিবে ৪৮জন মিলে মোট ৮৩৭ জন।শিক্ষাবোর্ডের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মঞ্জুর রহমান খান জানান, পরীক্ষা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৭ নভেম্বর ২০২২
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অফিস অব দ্য স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহকারী পরিচালক এবং রোভার স্কাউট লিডার ফরহাদ হোসেন বাংলাদেশ স্কাউটসের মেসেঞ্জার্স অব পিস - এমওপির ‘রিং ব্যাজ’ গ্রহণ করেছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড পিস ডে উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে সারা দেশের ৩৯ জন স্কাউট লিডারকে ব্যাজটি প্রদান করা হয়। এই লিডাররা ’মাস্টার ট্রেইনার’ নামে পরিচিত। ফরহাদ হোসেন সম্প্রতি এমওপি টিম বাংলাদেশের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়েছেন। ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় সদর দফতর থেকে তিনি রিং ব্যাজ গ্রহণ করেন। এমওপি রিং ব্যাজ হলো মেসেঞ্জার্স অব পিসের সদস্যদের পরিচিতি স্মারক, যা তারা স্কাউট ইউনিফর্মে পরিধান করতে পারেন। ফরহাদ হোসেন বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ও গ্রোথ’ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য এবং ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি রোভার স্কাউট গ্রুপ কমিটির সম্পাদক ও কোঅর্ডিনেটর। রোভার স্কাউটিংয়ে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০৯ সালে ‘প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট’ (পিআরএস) অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ ছাড়া, তিনি কাব স্কাউট, স্কাউট ও রোভার স্কাউট - তিন শাখাতেই ‘উডব্যাজ পার্সমেন্ট’ সনদ পেয়েছেন। ফরহাদ হোসেন বর্তমানে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার সার্ভিস ও ইন্টারন্যাশনাল অফিসেরও দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২
মেহেদী হাসান , বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বশেমুরবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগ কাউন্সিলিং চালু করেছে।বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর ) পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।শারীরিক স্বাস্থ্যের পরও মানসিক স্বাস্থ্য নামে আরেকটা স্বাস্থ্য আছে । মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শরীর ও সুস্থ থাকে । কাজে সফলতা পাওয়া যায় ।শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীশতা বাড়াতে পরিসংখ্যান বিভাগ এ উদ্যোগ গ্রহন করে।প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.নিশীথ কুমার,জনাব এস এম নাসিম আজাদ, সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, ড.রেহেনা পারভীন, জনাব মোঃ জাহিদ হাসান কাউন্সিলিং গাইড হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী কাউন্সিলিং এর সুবিধা পাবেন । পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে পরিসংখ্যান বিভাগের একাডেমিক মিটিং-এ বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়েছে। নিয়মিত কাউন্সিলিং ছাত্রছাত্রীদের মানসিক সহযোগিতা করবে।পড়ালেখায় নানা সমস্যায় পরামর্শও পাবে তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ০৫ নভেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশি মালিকানাধীন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পরিদর্শন ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর খাগভাসুরেন বাদ্রান।ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বহু দেশ থেকে পড়তে এসেছে। এ পর্যন্ত ১২১টি দেশের শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। যাদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে মঙ্গোলিয়ার।সম্প্রতি পূর্ব-এশীয় এই দেশটির ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর খাগভাসুরেন বাদ্রান এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিচ্ছিলেন তিনি। এই সময়ে কাজের অবসরে তিনি এসেছিলেন মঙ্গোলীয় শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির- ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও বোর্ড চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক ও অন্যান্যের সঙ্গে মত বিনিময় করেন ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর। ব্যাংকের মনিটারি পলিসি বিষয়ক মহাপরিচালক বায়াদ্রাভা বায়ারাসসাইখান এবং মনিটারি পলিসি কমিটির সদস্য মুনখবায়ার সেদেভাসুরেন গভর্নরের সঙ্গে ছিলেন। এসময় তারা মঙ্গোলীয় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নেন। এবং শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের পক্ষ থেকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। আবুবকর হানিপ এসময় মঙ্গোলীয় প্রতিনিধি দলকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেরা শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পাচ্ছেন। এছাড়া তাদের লেখাপড়া শেষে যাতে কর্মজগতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে সে লক্ষে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবার্ক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাইভার্সিফায়েড কালচার থেকে আসা শিক্ষার্থীরা রয়েছে। এটা আরও সংহত করতে হবে। আমরা চাই মঙ্গোলিয়া থেকে এখানে আরও শিক্ষার্থী আসুক, কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অ্যাফোর্ডেবল, বলেন হাসান কারাবার্ক। ব্যাংক অব মঙ্গোলিয়ার গভর্নর এ সময় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এবং ভবিষ্যতে আরও শিক্ষার্থী মঙ্গোলিয়া থেকে এখানে পড়তে আসবে বলে আসাবাদ ব্যক্ত করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক । ২১ অক্টোবর ২০২২